নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নীরব কথামালা

মুক্তমত প্রকাশের প্লাটফর্ম ব্লগ। তাই ব্লগে আসতেই হয়, ভাবনা প্রকাশে......!

এম এ হাসান মাহামুদ

লেখালেখির মোটামুটি ইচ্ছে থেকেই ব্লগে ঢু মারি। ভাল লাগে বই পড়তে আর নিজের ইচ্ছে মতো লিখতে।

এম এ হাসান মাহামুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পদ্মাসেতু: আবারো দুর্নীতির ঘোলা জলে

২৪ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:০২

দুর্নীতির অভিযোগে শত ঘাটের জল খাওয়ার পর, পদ্মাসেতু বানাতে আবারও সেই দুর্নীতিবাজ একটি কোম্পানির সাথেই চুক্তি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। পদ্মা সেতুর মূল কাঠামো নির্মাণের কাজটি পাচ্ছে চীনা নির্মাণ প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড।

বৃহস্পতিবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ প্রতিষ্ঠানের দরপত্রে দেয়া ১২ হাজার ১৩৩ কোটি ৪০ লাখ টাকার দরপ্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।

চারটি চীনা প্রকৌশলভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ও একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সম্মিলিতভাবে ২০০৪ সালে চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড গঠন করে। নির্মাণ প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- চায়না জঙ্গতি মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড, ইউয়ান আয়রন এন্ড স্টিল গ্র“প কর্পোরেশন, চায়না রেলওয়ে টানেল গ্র“প কোম্পানি, চায়না রেলওয়ে সাঙহাইজেন ব্রিজ গ্র“প কোম্পানি লিমিটেড।

কোম্পানিগুলোর প্রতিটির বিরুদ্ধেই রয়েছে দুর্নীতি সম্পৃক্ততা ও প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যর্থতার ভয়ঙ্কর সকল অভিযোগ।

এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে চায়না জঙ্গতি মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড। চীনের সংবাদ মাধ্যমগুলোর সূত্র মতে, দুর্নীতির অভিযোগ থেকেই রক্ষা পেতে এই কোম্পানিটির মাতৃপ্রতিষ্ঠানের পরিচালক বাই জংগ্রেন চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে একটি বহুতল ভবন থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করেন।

গত বছর চীনের রেলওয়ে খাতে ব্যাপক দুর্নীতির তদন্ত শুরু করে দেশটির সরকার। তদন্তের অংশ হিসেবে চীনের সাবেক রেলওয়ে মন্ত্রীর দুর্নীতি প্রকাশ পায়। দুর্নীতির অভিযোগে ওই মন্ত্রীর মৃত্যুদ-ও দেওয়া হয়। ধারণা করা হচ্ছে, দুর্নীতি বিরোধী অভিযানের ভয়, শ্রমিকদের বেতন বাড়ানর চাপ ও অর্থসঙ্কটের কারণে বাই জংগ্রেন আত্মহত্যা করেছিলেন। গেল কয়েক বছরে, বাই জংগ্রেনের মতো আরও অনেক নেতাই দুর্নীতির অভিযোগ থেকে রক্ষা পেতে আত্মহত্যা করেছেন।

পদ্মাসেতু নির্মাণের দায়িত্ব পাওয়া মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হচ্ছে ইউয়ান আয়রন এন্ড স্টিল গ্র“প কর্পোরেশন। ২০১২ সালে কানাডায় চেক জালিয়াতি করে অর্থসংগ্রহের অভিযোগ উঠে ইউয়ান আয়রন এন্ড স্টিল গ্র“প কর্পোরেশনের বিরুদ্ধে।

পদ্মাসেতু নির্মাণে ভূমিকা পালন করবে এমন আরেকটি কোম্পানি হচ্ছে চায়না রেলওয়ে টানেল গ্র“প কোম্পানি। এই কোম্পানিটি আরেকটি চীনা কোম্পানির সাথে সম্মিলিতভাবে পোল্যান্ড-জার্মানি সংযোগ সড়ক নির্মাণে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল ২০০৯ সালে। তারপর পোল্যান্ডের সরকার, চীনা কোম্পানিটির বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রকল্প সম্পন্ন করতে না পারা ও প্রকল্প ব্যয় বাড়িয়ে ফেলার অভিযোগ তোলে। এবং পোল্যান্ডের সরকারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয়।

এই সকল অভিযোগ ছাড়াও চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের সহায়ক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিটির বিরুদ্ধে শ্রমিক ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থতার অভিযোগ উঠে প্রায়শঃই। প্রকল্প চলাকালে শ্রমিকরা প্রায়ই বিদ্রোহ করে বসে। পদ্মাসেতু নির্মাণের মতো সময় সাপেক্ষ কাজের শ্রমিক ব্যবস্থাপনা খুবই চ্যালেঞ্জিং। এর বিপরীতে চীনা কোম্পানিগুলোর এমন ব্যর্থতা পদ্মাসেতু নির্মাণকাজকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা।



কার্টেসী: নতুনদিন





ফেসবুক পেজ:

https://­www.facebook.com/­pages/Hasan-Mahamud/­1420843581502615

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:০৮

পংবাড়ী বলেছেন: চীনারা পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্নীতিবাজ, বাংলাদেশ ২য় স্হানে।
পদ্মাসেতু তৈরি বন্ধ করে দেয়া দরকার।

২| ২৪ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:২৫

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ১। শুরু হয়েছিল ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়ে, এখন সেটি ঠেকছে ২৫ হাজার কোটি টাকার বেশি৷ তবে এই ব্যয় আরও বাড়বে৷
২। একটামাত্র প্রতিষ্ঠানের আর্থিক প্রস্তাবের ওপর ঠিকাদার নিয়োগ ঝুঁকি রয়েছে।

৩। ব্যয়ের পরিকল্পনা এখানেই শেষ নয়৷ সেতু নির্মাণের দায়িত্বপ্রাপ্ত সেতু বিভাগ এখন একটি প্রকল্প কয়বার সংশোধন করা যাবে, সেই নীতিমালাটিও মানতে চাইছে না৷ পদ্মা সেতুকে তারা এই নীতিমালার বাইরে রাখতে চায়৷ অর্থাৎ আবারও বাড়বে পদ্মা সেতু নির্মাণের ব্যয়৷

৪।চায়না মেজর ব্রিজের আর্থিক প্রস্তাব মেনে নিয়োগ দিলে মূল সেতুতে তিন হাজার ৭৭২ কোটি টাকা ব্যয় বাড়বে।

৫।চায়না মেজর ব্রিজ কোম্পানি পাকশীতে লালন সেতু নির্মাণ করেছিল। পদ্মা নদীর ওপর নির্মিত সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অধীন ওই সেতুর দৈর্ঘ্য প্রায় পৌনে দুই কিলোমিটার। ওই প্রকল্পে চায়না মেজর ব্রিজের সহযোগী ছিল সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সাকো ইন্টারন্যাশনাল। ওই প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা কামরুজ্জামান এখন পদ্মা সেতু প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এবং মূল সেতুর দায়িত্বে নিয়োজিত। ৯০৭ কোটি টাকার এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল ২০০০ সালে, তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায়। উদ্বোধন হয় ২০০৪ সালে।

জনাব আবুল না থেকেও আছেন!

২৪ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৩০

এম এ হাসান মাহামুদ বলেছেন: এক নিরুদ্দেশ পথিক আপনি অনেক ভাল বলেছেন।

আমরা পত্রিকার পক্ষ থেকে এই সেতুর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সার্ভে করেছিলাম।
বিশ্বাস করবেন না, প্রিকোয়েন্সি ৯৮.৯৯ শতাংশ, সেতু দরকার। অথচ সরকার কী এক নির্লজ্জ খেলা খেলছে গত কয়েক বছর ধরে।
এসব ভন্ডামির অবসান চাই.....

৩| ২৪ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:২৯

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আরেকটি ব্যাপার, সম্ভভত এই মেজর ব্রিজ ই ঢাকা চট্রগ্রাম চার লেইন এর কাজ করছে ৭ বছর ধরে, যার মধ্য ব্যয় বাড়ানো হয়েছে অনেক ধাপে। একই কাজ পদ্মা সেতুর বেলায় অ হতে যাচ্ছে?

২৪ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৩২

এম এ হাসান মাহামুদ বলেছেন: সেটাই।
এখন তো এই সেতু আদৌ হবে কী না, আমরা যথেষ্ঠ সন্দিহান।

৪| ২৪ শে মে, ২০১৪ ভোর ৪:২৪

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: Click This Link

সবগুলো কথা কে একসাথে রেখে আরেকটি পুনঃপোস্ট। ধন্যবাদ।

৫| ২৪ শে মে, ২০১৪ ভোর ৪:২৬

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: সবগুলো কথা কে একসাথে রেখে আরেকটি পুনঃপোস্ট। ধন্যবাদ।

Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.