![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখির মোটামুটি ইচ্ছে থেকেই ব্লগে ঢু মারি। ভাল লাগে বই পড়তে আর নিজের ইচ্ছে মতো লিখতে।
বছর ঘুুরে আবার দেখা দিল পবিত্র মাহে রমজান। প্রতিবারের মত এবারের রমজানেও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী চক্র অধিক মুনাফা লাভের আশায় বেশ সক্রিয়। আর এসব দেখেও যেন না দেখার ভান করছে কাস্টমস কর্মকর্তারা। অসাধু ব্যবসায়ীরা ছোট ছোট কক্ষ ভাড়া নিয়ে ভেজাল খাবার উৎপাদন করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার সব ধরনের আয়োজন সম্পন্ন করেছে। নামিদামি আর জনপ্রিয় কোম্পানির প্যাকেট ও লোগো নকল করে বাজারজাত করা হচ্ছে নকল পণ্য।
বিএসটিআইয়ের অনুমোদন না নিয়েই অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে তৈরি করা হচ্ছে সব ধরনের ভোগ্যপণ্য। রমজানে কেনাকাটায় সাধারণ মানুষ বেশিরভাগ সময় খুব বেশি দর কষাকষি করেন না। এ সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরা নকল পণ্য বিক্রি করে তাদের পকেট ভারী করেন। ভেজাল শুধু রাস্তার পাশে ফুটপাতের দোকানে নয়, নামিদামি দোকানেও ভেজাল পণ্যের পসরা। মাছে-দুধে দেওয়া হচ্ছে ফরমালিন। শাক-সবজিতে মেশানো হচ্ছে ক্ষতিকর রাসায়নিক। ফলে মেশানো হচ্ছে বিষাক্ত কার্বাইড। নামিদামি সব প্রসাধন কোম্পানির পণ্য নকল হচ্ছে। কাউন, কাঠের গুঁড়া মিশিয়ে মসলা তৈরি করা হয়। ঘাসের গুঁড়ার সঙ্গে রঙ মিশিয়ে নামিদামি ব্র্যান্ডের মসলা তৈরি করে একটি চক্র।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বড় বাজারের এক পাইকারি ব্যবসায়ি জানান, বড় বাজার কেন্দ্রিক উক্ত সিন্ডিকেটের হাতে সকল পাইকারি ব্যবসায়িরা জিম্মি হয়ে পড়েছে র্দীঘ দিন ধরে। সিন্ডিকেটটি যে দামে পণ্য বিক্রয় করেন সে দামে সবাইকে কিনতে হয়। অনেক সময় বিভিন্ন পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করে চক্রটি। তাদের নির্ধারিত গুদামে এসব পণ্য মজুদ করে মাঝে মাঝে বাজারে সংকট সৃষ্টি করে থাকেন। পণ্য সংকটের অজুহাতে হঠাৎ করেই দাম বাড়িয়ে দেয়া হয়।
অনেক বিশেষজ্ঞদের মতে খাদ্যে ভেজাল এক ধরনের প্রয়োজন যা হত্যার চেয়েও ভয়াবহ। বর্তমান খাদ্যাভ্যাস বজায় থাকলে ২০২১ সালের মধ্যে শতকরা ৭০ ভাগ মানুষ ডায়াবেটিসসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হবে। তাই ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হবার স্বপ্ন শুধু স্বপ্নই থেকে যাবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছরই পবিত্র রমজান মাস আসার আগেই অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ায়। এক্ষেত্রে এসব ব্যবসায়ী কখনও আমদানি ও উৎপাদনে শ্লথ গতি এনে পণ্যের কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে। যে কারণে সরকারের মনিটরিং সত্ত্বেও পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের হাতের নাগালের বাইরে চলে যায়। অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে পণ্য বাজার। গোয়েন্দা প্রতিবেদন অনুযায়ী, আসন্ন রমজানে চিনির দাম বাড়ার কোনো আশঙ্কা না থাকলেও ভোজ্যতেল এবং পেঁয়াজ নিয়ে কারসাজি করে বাজার অস্থিতিশীল করতে পারে অসাধু ব্যবসায়ী চক্র। আদার বাজার নিয়েও চিন্তিত গোয়েন্দারা। ভোজ্যতেলের বার্ষিক চাহিদা রয়েছে ১৪ দশমিক ৫ লাখ থেকে ১৫ লাখ মেট্রিক টন। মাসিক চাহিদা রয়েছে ১ থেকে ১ দশমিক ২ লাখ মেট্রিক টন। তবে রমজান মাসে এ চাহিদা বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় আড়াই লাখ মেট্রিক টন।
জাতীয় গোয়েন্দা অধিদফতরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রিফাইনারি প্রতিষ্ঠানগুলো ভোজ্যতেল উৎপাদনের পর বিপণনের সময় কর্তৃক ডিও অথবা এসও-এর অনুকূলে পণ্য সরবরাহে ইচ্ছাকৃতভাবে দেরি করে। এক্ষেত্রে মিল গেটে ট্রাকের লম্বা লাইন বা জটলা সৃষ্টি হয়। মিল কর্তৃপক্ষ অনৈতিকভাবে ডিও নির্ধারিত মূল্যের অধিক মণপ্রতি ১০০ থেকে ২০০ টাকা নেয়। অতিরিক্ত টাকা নিয়ে সিরিয়াল ব্রেক করে পরে আসা ট্রাকগুলোকে মাল ডেলিভারি দেয়। এতে দীর্ঘদিন সিরিয়ালে থাকা ট্রাকগুলোকে প্রতিদিন ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা ক্ষতিপূরণ গুনতে হয়। ফলে অতিরিক্ত মূল্যে ক্রয়কারী ব্যবসায়ী বাধ্য হয়ে বেশি দামে তেল বিক্রি করে। আর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে পুরো তেলের বাজারে। পাশাপাশি এতে রিফাইনারি প্রতিষ্ঠানের হাতে পর্যাপ্ত ক্রুড থাকা সত্ত্বেও তেলের বাজার মূল্যবৃদ্ধির অবকাশ পায়। এটি একটি অভিনব কৌশল। সম্প্রতি টিকে গ্রুপ এই অনৈতিক পন্থায় মণপ্রতি ২০০ টাকা দাম বাড়িয়েছে। আসন্ন রমজানে তেলের দাম বৃদ্ধির এটা তাদের টেস্ট কেস। এছাড়া ট্রাকে সিরিয়াল দীর্ঘ হলে তেলের সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছেথ এমন গুজবও ছাড়ানো হয়। টিকে গ্র“পের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে গোয়েন্দা সংস্থা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় ব্যবসায়ীরা আমাদের দেশে স্থলবন্দরে তাদের মনোনীত ব্যবসায়ী বা কমিশন এজেন্টের মাধ্যমে নগদ টাকায় তাদের বেঁধে দেয়া দামে পেঁয়াজ বিক্রি করিয়ে মোটা অঙ্কের লাভ হাতিয়ে নেয়। এতে একদিকে যেমন আমাদের কারেন্সি পাচার হচ্ছে, তেমনি পণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থাপনার ওপর আমাদের দেশের ব্যবসায়ীদের কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকছে না। ভারতীয় ব্যবসায়ীদের বেঁধে দেয়া মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি না করলে তারা পেঁয়াজ সরবরাহ থেকে হাত গুটিয়ে নেয়। আমদানিতে এক ধরনের কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি হয়। অসাধু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মিলে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা এটা বাস্তবায়ন করছে। গোয়েন্দারা এসব অসাধু ব্যবসায়ীর একটি তালিকা করেছে।
এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা: একিউএম সিরাজুল ইসলাম বলেন, খাদ্যে ভেজাল রোধে ভেজাল বিরোধী অভিযান যথেষ্ট নয়। এর সাথে প্রয়োজন কঠোর আইন ও তার যথাযথ প্রয়োগ।
বিএসটিআইর সহকারী পরিচালক মো: হাবিবুর রহমান অসাধু ব্যবসায়ীদের এমন তৎপরতার কথা স্বীকার করে বলেছেন, আমরা তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছি, জরিমানা আদায় করছি। সমস্যা হলো আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। জনবল সংকট ও প্রযুক্তিগত সুবিধা না থাকায় অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে আমরা বিভিন্ন সমস্যায় পড়ছি। তবু আমাদের চেষ্টার কোন কমতি নেই।
পত্রিকার জন্য তৈরি রিপোর্ট সামুতে দেয়া হলো।
ফেসবুক লিংক:
https://www.facebook.com/pages/Hasan-Mahamud/1420843581502615
২| ২৭ শে মে, ২০১৪ সকাল ১০:০২
নিজাম বলেছেন: আল্লাহ আমাদের হেফাযত করুন।
২৭ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:৩৯
এম এ হাসান মাহামুদ বলেছেন: আমীন....
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে মে, ২০১৪ রাত ১:৩৪
তুষার মানব বলেছেন: