![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখির মোটামুটি ইচ্ছে থেকেই ব্লগে ঢু মারি। ভাল লাগে বই পড়তে আর নিজের ইচ্ছে মতো লিখতে।
ঘরে এসি না থাকলে চিন্তা নেই। এজন্য প্রয়োজন একটু বুদ্ধি আর কৌশল। একটা কথা মনে রাখবেন, নীচের এসব পরামর্শকে অনেকে বেশি বেশি কষ্ট মনে করতে পারেন। কিন্তু একবার ভেবে দেখুন, কষ্টগুলো শুধু একবারই করতে হবে। আর এতে আপনার ঘরে গরম কমার সঙ্গে সঙ্গে আরো অনেক কিছু প্রয়োজনীয় উপকরণ বেড়ে যাবে।
হাওয়া চলুক দিন-রাত
বাড়ির মধ্যে যত বাতাস চলাচল করবে বাড়ি ততই ঠান্ডা থাকবে। তাই বলে এই সময় দিনভর জানালা খুলে রাখবেন না। বিশেষ করে দক্ষিণ ও পশ্চিমমুখী জানালা দিয়ে রোদ ঢোকার সম্ভাবনা রয়েছে। এই গরমের সময় বাড়ি ঠান্ডা রাখার কৌশলই হচ্ছে, দিনের বেলায় ভারি পর্দা দিয়ে জানালা দরজা ঢেকে রাখা। এতে করে রোদ ঢুকবে না৷ আর রাতের বেলায় জানালা খুলে রাখুন। কারণ এতে করে পর্যাপ্ত হাওয়া বাড়ির মধ্যে ঢুকতে পারে।
পর্দার নানা ব্যবহার
গরমকালে পর্দার ব্যবহার ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় কোনো গাঢ় রঙের পর্দা ব্যবহার করবেন না। বরং হালকা রঙের পর্দা ব্যবহার করুন। খুব ভালো হয় সাদা রঙের পর্দা ব্যবহার করতে পারলে। কারণ সাদা রং আলোকে রিফ্লেক্ট করতে সাহায্য করে, তাই সূর্যের আলো ঢুকতে বাধাগ্রস্থ হবে।যে জানলাগুলোতে বেশি রোদ প্রবেশ করে সেই জানালাগুলোতে পর্দা ব্যবহার না করে ভারী কোনো চাদর টাঙানোর ব্যবস্থা করুন। তবে সাধারণ চাদর নয়। দেখতে যেন ভালো হয়। তবে গরম থেকে রেহাই পেতে নান্দনিকতা যেন নষ্ট না হয়।ধরুন, রঙিন সুতার কাজ করা বা অ্যাপ্লেক করা কোনো চাদর টানটান করে দিনের বেলা টাঙিয়ে রাখলেন। আর যে জানালাগুলোতে তেমন রোদ পড়ে না, সেগু্লােতে হালকা রঙের মখমল বা লিনেনের মতো ফ্যাব্রিকের ব্যবহার করুন৷
পর্দার বদলে মাদুর লাগাতে পারেন। আজকাল মাদুরের তৈরি পর্দা আলাদা করে কিনতেই পাওয়া যায়। মাদুরের একটা ন্যাচারাল ভেন্টিলেশন পদ্ধতি রয়েছে। তাই ঘর ঠা-া থাকবে। ব্লাইন্ডস বা মিনি ব্লাইন্ডস রাখতে পারলে খুব ভালো হয়।
ঠা-া রাখুন ছাদ
আপনার ঘরে যতটা তাপ প্রবেশ করছে, তার ষাট শতাংশই ছাদের অংশ থেকে আসে।তাই এ সময় অ্যাটিক ফ্লোরকে যতটা সম্ভব ঠা-া রাখার চেষ্টা করুন। এজন্য ছাদে একটা মিনি বাগান গড়ে তোলতে পারেন। আর দিনের মধ্যে দুই তিনবার হোস পাইপ দিয়ে ছাদে জল ঢেলে ছাদ ঠান্ডা রাখতে পারেন।
ঘরের ভিতরে গাছ
ইনডোর প্ল্যান্টস শুধু ঘরের সৌন্দর্যই বৃদ্ধিই করে না, এত করে ঘরে যথেষ্ট পরিমাণ অক্সিজেনের সরবরাহও করে। পিস লিলি, বোস্টন ফার্নের মতো কেতাদার ইনডোর প্ল্যান্টস অতিরিক্ত আর্দ্রতাকে শোষণ করে নেয়। ফলে ঘরের মধ্যে ভাবসা গরম ভাবটা থাকে না। পাম বা অর্কিডজাতীয় গাছও এ সময় ইন্ডোর প্ল্যান্টস হিসেবে বেছে নেওয়া যেতে পারে। তাছাড়া বাড়ির বারান্দায় মৌসুমি ফুল বা ফলের গাছ লাগাতে পারেন।
ব্যবহার করুন এয়ারকুলার
মিনি ইকো আইস কুলার বা আইস এয়ার কুলার কিনতেই পারেন। এগুলো এসির চেয়ে দামে সস্তা। এবং এসির চেয়ে ৭৫ শতাংশ বেশি এনার্জি সংরক্ষণ করতে পারে।
জেনে রাখুন ঠান্ডা পরামর্শ
ঘরে সিলিং ফ্যান তো আছেই। কিন্তু রাতে ঘুমোবার সময় জানালার সামনে একটা টেবিল ফ্যানও রাখতে পারেন।এতে করে ঘরে আরো বেশি হাওয়া খেলবে। পারলে ফ্যানের সামনে একটা বড় পাত্রে ভর্তি করে বরফ রাখুন। এ সময়টায় যতটা পারেন বাড়ির খোলা অংশগুলো ব্যবহার করুন। আর ঘরে এলইডি লাইট ব্যবহার করুন।
তাছাড় আপনার রান্নাঘর ও বাথরুমের ভেন্টিলেশন ঠিক আছে তো! সকাল সকাল রান্না-বান্না, কাচাকুচি সেরে নিন। বেশি বেলায় এসব কাজ করলে ঘরে হিউমিডিটির পরিমাণ বেড়ে যাবে।
কার্টেসী: রাইজিংবিডি
৩১ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:২২
এম এ হাসান মাহামুদ বলেছেন: ধন্যবাদ...
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে মে, ২০১৪ ভোর ৫:১০
সকাল হাসান বলেছেন: উপকারী পোষ্ট।
+++
ধন্যবাদ ভাই কথাগুলো জানানোর জন্য।