নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নীরব কথামালা

মুক্তমত প্রকাশের প্লাটফর্ম ব্লগ। তাই ব্লগে আসতেই হয়, ভাবনা প্রকাশে......!

এম এ হাসান মাহামুদ

লেখালেখির মোটামুটি ইচ্ছে থেকেই ব্লগে ঢু মারি। ভাল লাগে বই পড়তে আর নিজের ইচ্ছে মতো লিখতে।

এম এ হাসান মাহামুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপনার অতিপ্রয়োজনীয় মোবাইলফোন ও ল্যাপটপ চুরি ঠেকাবেন কিভাবে?

০১ লা জুন, ২০১৪ রাত ১২:২৯

টাকা পয়সা হারালেও ততটা খারাপ লাগে না, যতটা খারাপ লাগে নিজের ব্যবহারের মোবাইলফোন বা ল্যাপটপটা হারিয়ে গেলে বা চুরি হয়ে গেলে। এমন সময় আসতে পারে, যখন জিনিস দুটোর প্রতি ততবেশি খেয়াল রাখা যায় না। তাই কিছু বুদ্ধি আগেই জেনে নিন।



বর্তমানে প্রযুক্তি প্রেমীদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিভিন্ন স্মার্ট ডিভাইস। এর মধ্যে স্মার্টফোন, ল্যাপটপ কিংবা ট্যাবলেট আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের তালিকায় রয়েছে। কাজ এবং বিনোদনের জন্য স্মার্টফোন, ল্যাপটপ কিংবা ট্যাবলেট ছাড়া দিন কাটানো মুশকিল।





তবে প্রয়োজনীয় এসব ডিভাইস চুরি হওয়ার শঙ্কায়ও নেহাত কম নয়। ফলে এগুলোর নিরাপত্তা নিয়েও বিচলিত থাকতে হয় সবসময়। কেননা ডিভাইসগুলো হারিয়ে গেলে বা চুরি গেলে আর্থিক ক্ষতির চেয়েও বেশি অসহনীয় অবস্থায় পড়তে হয় ডিভাইসগুলোতে থাকা মূল্যবান ডাটার হারানোর ব্যাথায়। নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব গ্যাজেট চুরি হলে এবং চুরি প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে যাবতীয় টিপস জেনে নিন।





অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেট:

অ্যান্ড্রয়েড চালিত স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেটের জন্য বিশেষ ট্রাকিং সিস্টেম রয়েছে। এক্ষেত্রে google.com/android/devicemanager সেবা ব্যবহার করে অ্যান্ড্রয়েড চালিত যে কোনো স্মার্টফোন বা ট্যাবলেট ব্যবহারকারী তার ডিভাইসটির অবস্থান জানতে পারবেন। এজন্য ডিভাইসটিকে সংশ্লিষ্ট ব্যবহারকারীর গুগল আইডির সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে। সেবাটির মাধ্যমে অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ট্র্যাক করা, ম্যাপের সাহায্যে তার অবস্থান নির্ণয় করা যাবে। চুরি হওয়া ডিভাইস উদ্ধার করা না গেলেও সেবাটির মাধ্যমে দূর থেকেই ডিভাইস লক করে দেয়া এবং ডিভাইসের যাবতীয় তথ্য মুছে দিতে পারবেন। এছাড়া এভিজি, অ্যাভাস্ট অথবা ক্যাসপারস্কি অ্যান্টিভাইরাস অ্যাপ ব্যবহার করেও ট্যাকিং সুবিধা পাওয়া যাাবে। এগুলো দূর থেকেই ফোনলক কিংবা ডিভাইসের সব ডাটা মুছে দিতে পারে।





অ্যাপল আইফোন, আইপ্যাড এবং আইপড টাচ:

সব অ্যাপল ডিভাইসের জন্যই রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির ফ্রি ‘অ্যান্টি থেফট’ অ্যাপস। এ অ্যাপ ব্যবহার করে হারিয়ে যাওয়া অ্যাপল ডিভাইসের অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব। এজন্য ঋরহফ গু চযড়হব অপশনটি খুঁজে বের করে আইফোন, আইপ্যাড বা আইপড টাচে সেটআপ করে নিতে হবে। পরবর্তীতে অ্যাপল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এসব ডিভাইসটি পরিচালনা করতে পারবেন।

যে কোনো ওয়েব ব্রাউজার থেকে আইক্লাউডের অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করে সংশ্লিষ্ট ডিভাইসটিতে এসএমএস পাঠিয়ে অ্যাপল ডিভাইসটি লক করে দেয়া থেকে শুরু করে সব তথ্যও মুছে দেয়া যাবে। এছাড়াও আপনার আইফোন, আইপ্যাড বা আইপড টাচে অ্যান্টি থেফট অ্যাপস হিসেবে অন্যান্য অ্যাপসও ব্যবহার করতে পারেন। যেমন- Secureit A_ev iLostfinder অ্যাপস।





উইন্ডোজ ফোন:

উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারীরাও তাদের মোবাইল ডিভাইস হারিয়ে গেলে তা শনাক্ত করার সুবিধা পাবেন। এজন্য উইন্ডোজ ফোনে Find My Phone নামক অ্যান্টি থেফট অ্যাপস ব্যবহার করা লাগবে। এ সেবা ব্যবহার করতে হলে windowsphone.com ওয়েবে প্রবেশ করতে হবে। এজন্য আপনার উইন্ডোজ মোবাইল ডিভাইস থাকা উইন্ডোজ লাইভ আইডি ব্যবহার করা লাগবে। এ সেবার মাধ্যমে দূরে থেকেই উইন্ডোজ ফোনটি লক করার জন্য নতুন পাসওয়ার্ড যুক্ত করা এবং মোবাইলে থাকা সব তথ্য মুছে দিতে পারবেন।





ব্ল্যাকবেরি স্মার্টফোন:

ব্ল্যাকবেরি ডিভাইসের অ্যান্টি-থেফট সেবাটির নাম হচ্ছে BlackBerry Protect এটি ব্যবহারের জন্য ব্ল্যাকবেরিতে একটি অ্যাকাউন্ট খুলে আইডি সেট করতে হবে। পরবর্তীতে অন্যান্য স্মার্টফোনের মতো ওয়েবসাইটে লগইন করে আপনার ব্ল্যাকবেরি ডিভাইসের অবস্থান ট্র্যাক করতে পারবেন এবং সমস্ত ডাটা মুছে দিতে এবং ডিভাইসটি লক করে দেয়া যাবে। ব্ল্যাকবেরির এ সেবার বিশেষ দিক হচ্ছে, একটি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৭টি ডিভাইসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে।





উইন্ডোজ ল্যাপটপ:

উইন্ডোজ ল্যাপটপের জন্য বিনামূল্যে LAlarm (lalarm.com) পাওয়া যায়। এটি সেট করা থাকলে গুগল ম্যাপের মাধ্যমে আপনি আপনার ডিভাইসটি লক ও ডাটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। আপনার গুগল অ্যাকাউন্টটি আপনি ছাড়া অন্য কেউ ব্যবহার করতে গেলেই এলএলার্ম আপনাকে বার্তা পাঠাবে এবং ল্যাপটপটিতে জোড়ে অ্যালার্ম বেজে উঠবে। এছাড়া চুরি হওয়া বা হারিয়ে যাওয়া উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের ল্যাপটপটির অবস্থান শনাক্তকরণে Locate My Laptop অ্যাপ্লিকেশনটিও বেশ কার্যকর। গুগল ম্যাপের সাহায্যে এটি ল্যাপটপের অবস্থান দেখাবে। আরো নিরাপত্তার জন্য Prey on your device device নামক অ্যান্টি-থেফট অ্যাপ্লিকেশনটিও ব্যবহার করতে পারেন।





অ্যাপল ম্যাকবুক:

অ্যাপলের ম্যাকবুক ল্যাপটপের সুরক্ষায় রয়েছে নিজস্ব Find my Mac অ্যাপ্লিকেশন। ম্যাকবুক ব্যবহারকারীরা আইক্লাউড অ্যাকাউন্টে লগ-ইন করলে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সক্রিয় হয়ে যাবে। ম্যাকবুকটি কখনও চুরি হয়ে গেলে এর মাধ্যমে ল্যাপটপটির অবস্থান ট্র্যাক করে প্রয়োজনীয় সমস্ত ডাটা মুছে দিয়ে ডিভাইসটি লক করতে পারবেন।





ল্যাপটপের জন্য সিকিউরিটি লক:

বর্তমানে বেশিরভাগ ল্যাপটপেই নিরাপত্তা পোর্ট হিসেবে কেনসিংটন সিকিউরিটি পোর্ট দেয়া থাকে। এই পোর্টটির মাধ্যমে ফিজিক্যালি ল্যাপটপকে সুরক্ষিত রাখতে পারেন। এজন্য একটি সিকিউরিটি লক কিনে তা ক্যাবলের মাধ্যমে ল্যাপটপে সংযোগ দিয়ে নিরাপদ থাকতে পারেন।







স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেটের জন্য নিরাপত্তা:

স্মার্টফোন কিংবা ট্যাবলেট চুরি করা বেশ সহজ ব্যাপার। কেননা ল্যাপটপের মতো এগুলোতে কোনো লক পোর্ট নেই। তবে ম্যাকের ইউনিভার্সাল লক কিনতে পারেন, যা অনেক স্মার্টফোন ও ট্যাবে কাজ করে। এরপরও স্মার্টফোন কিংবা ট্যাবলেটটি নিয়ে চিন্তিত থাকলে টেবিলের সঙ্গেই স্মার্টফোন কিংবা ট্যাবলেটটি সংযুক্ত করে রাখতে পারেন। এজন্য কেনসিংটন অথবা রকফর্ম সিকিউরিটি লক ব্যবহার করতে পারেন।



টাইমস অব ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদনের অনুবাদ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জুন, ২০১৪ ভোর ৬:৪৮

সকাল হাসান বলেছেন: এইগুলো তো সব দামী ফোন বা ল্যাপটপের জন্য।

সাধারন ফোন(যাদের অ্যান্ড্রোয়েড নাই) বা ল্যাপটপটাও খুব একটা ভাল ব্র্যান্ডের না তাদেরটা কিভাবে সেভ করা যাবে?
সেটা নিয়ে বললে ভাল হত।

০২ রা জুন, ২০১৪ রাত ১:০১

এম এ হাসান মাহামুদ বলেছেন: সেক্ষেত্রে সেটের IMEI নাম্বারটা সংরক্ষণ করতে পারবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.