![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখির মোটামুটি ইচ্ছে থেকেই ব্লগে ঢু মারি। ভাল লাগে বই পড়তে আর নিজের ইচ্ছে মতো লিখতে।
সাত বছর আগে বামফ্রন্টের জমানায় সাচার কমিটির প্রতিবেদনে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু মুসলমানদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার করুণ ছবি প্রকাশিত হওয়ার পর সোচ্চার হয়েছিলেন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বলেছিলেন, তৃণমূল ক্ষমতায় গেলে উন্নতি হবে মুসলমানদের।
কিন্তু তিন বছর ধরে মমতা ক্ষমতায় থাকলেও এখনো আশানুরূপ উন্নয়ন হয়নি মুসলিম সম্প্রদায়ের। বরং যে তিমিরে ছিলেন মুসলমানরা, সেই তিমিরেই রয়ে গেছেন। অথচ মমতা বলেছেন, মুসলমানদের উন্নয়নে ৯০ শতাংশ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু মুসলমানদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার বর্তমান হালহকিকত জানার জন্য রাজ্যের দুটি বেসরকারি জরিপ সংস্থা জরিপ চালায়। গত শনিবার সেই জরিপের প্রাথমিক ফলাফল ঘোষণা করেন প্রখ্যাত কবি শঙ্খ ঘোষ ও সাহিত্যিক নবনীতা দেব সেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষমতায় আসার পর পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার হাল ফেরেনিÑ এমন তথ্যই উঠে এসেছে জরিপের প্রতিবেদনে।
দীর্ঘ আড়াই বছর ধরে এ সমীক্ষাটি চালায় অ্যাসোসিয়েশন স্ন্যাপ এবং গাইডেন্স গিল্ড নামের দুটি বেসরকারি সংস্থা। ‘পশ্চিমবঙ্গে মুসলমানদের অবস্থা’ শীর্ষক এই জরিপ রাজ্যের ১৯টি জেলার মুসলিম-অধ্যুষিত ৩২৫টি গ্রাম এবং ৭৫টি শহরে চালানো হয়। সমীক্ষক দল ৯৭ হাজারের বেশি বাড়িতে গিয়ে বিভিন্ন বয়সের সাড়ে চার লাখের বেশি মুসলমান নারী-পুরুষের সঙ্গে কথা বলে।
প্রতিবেদনে বলা হয়Ñ মুসলমানদের মধ্যে নিরক্ষতার হার ১৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ। আর ১২ শতাংশের শিক্ষা প্রাথমিক স্তরের নিচে। স্নাতক পর্যন্ত পড়েছেন ৪ দশমিক ৮৫ শতাংশ আর স্নাতকোত্তর ১ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
এর মধ্যে সাক্ষরতার হারে সব থেকে পিছিয়ে উত্তর দিনাজপুর জেলা। এরপর রয়েছে নদীয়া, পুরুলিয়া ও কোচবিহার। আর কলকাতায় ৪ শতাংশের বেশি মুসলিম সাক্ষরতার আলো দেখেনি। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারদের মতো পেশাদার মাত্র ২ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মুসলিম-অধ্যুষিত গ্রামগুলোর ২৭ দশমিক ১৩ শতাংশ রাস্তায় পানি জমে থাকে। গ্রামের ১৮ শতাংশ কাঁচা রাস্তা। ৯ শতাংশ গ্রামের রাস্তা পাকা। ৪ শতাংশ কংক্রিটের। সমীক্ষা চালানো গ্রামের ৮ শতাংশে এখনো বিদ্যুৎ পৌঁছেনি। তবে ৯৪ শতাংশ গ্রামে সাধারণের ব্যবহারের জন্য নলকূপ রয়েছে। আবার এর মধ্যে ৬৯ শতাংশ নলকূপ নিজেরাই বসিয়েছে। সরকারি নলকূপ পাওয়া যায় ৩৬ শতাংশ গ্রামে। ৩৫ শতাংশ গ্রামবাসীর চিকিৎসার জন্য যেতে হয় অন্তত চার কিলোমিটার দূরের সরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রে। ১২ শতাংশের আবার সরকারি চিকিৎসাকেন্দ্র আট কিলোমিটার দূরে। ৪৬ শতাংশ সরকারি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কোনো শয্যা নেই। ৪৫ শতাংশ গ্রামবাসীকে নির্ভর করতে হয় হাতুড়ে চিকিৎসকদের ওপর।
২| ০২ রা জুন, ২০১৪ ভোর ৬:৩৭
মিতক্ষরা বলেছেন: দেখুন, যে কয়জন মুসলিম প্রতিনিধি লোকসভায় তার বেশীর ভাগই পশ্চিম বংগ থেকে। অথচ পশ্চিম বংগ কোন মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্য নয়। মমতার মূল ভোট মুসলিম সংখ্যালঘু, সেটা এবার বেড়েছে। মুসলিমরা মমতার উপরে সামগ্রিক আস্থা রেখেছে।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা জুন, ২০১৪ রাত ১:৫৭
একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
মমতা একটা হাড় বজ্জাত