নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নীরব কথামালা

মুক্তমত প্রকাশের প্লাটফর্ম ব্লগ। তাই ব্লগে আসতেই হয়, ভাবনা প্রকাশে......!

এম এ হাসান মাহামুদ

লেখালেখির মোটামুটি ইচ্ছে থেকেই ব্লগে ঢু মারি। ভাল লাগে বই পড়তে আর নিজের ইচ্ছে মতো লিখতে।

এম এ হাসান মাহামুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বঙ্গবন্ধুকে অসম্মান করে কথা বলে পিয়াস করিম কী নব্য বুদ্ধিজীবী হতে চাইলো..?

০৩ রা জুন, ২০১৪ রাত ১:৫১

বাংলাদেশে একটা জিনিসের অভাব কখনো হয় না, সেটা হলো বুদ্ধিজীবী। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. পিয়াস করিম অনেক আগে থেকেই সেই দৌড়ে সামিল হয়েছেন। টক শো-তে আসলেই লোকটির জ্ঞান যেন ফুইলা উঠে।

কিন্তু মানুষটি বঙ্গবন্ধুকে অসম্মান করে কথা বলে নিজেকে কী প্রমাণ করতে চাইলেন, সেটা বুঝলাম না।





ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের ‘আজকের বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে তিনি আজ বললেন, এটা অনস্বীকার্য যে- জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের নেতা। মওলানা ভাসানিসহ অনেক নেতা স্বাধীনতার জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্র তৈরি করেছেন, তবে বাংলাদেশেল স্বাধীনতাকে যৌক্তিক পর্যায়ে উপনিত করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে- বঙ্গবন্ধুকে অবতারত্ব বা ঈশ্বরত্ব আরোপ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু কখনই ঈশ্বর বা ঈশ্বরের অবতার ছিলেন না।'



এ প্রসঙ্গে ড. পিয়াস করিম তিনি বলেন, পৃথিবীতে এমন কোনো রাজনৈতিক নেতা নেই যার জীবনে ব্যর্থতা নেই। তবে ব্যর্থতা এবং সফলতার সংজ্ঞা ও ব্যাখ্যা কিছুটা ভিন্ন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ হতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আকাশচুম্বী সফলতা থাকলেও ব্যর্থতার সংখ্যা কম নয়। বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি ছিল সফলতা ও ব্যর্থতা মিশ্রিত। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে ১৯৭২-৭৩-৭৪ এবং ৭৫ এ বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে রক্ষীবাহিনী স্থান পেয়েছে। দুর্ভিক্ষ, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, বাকশালসহ নানা অসিহংসতায় তৎকালীন বাংলাদেশ জর্জরিত ছিল এবং এসবের পেছনে বঙ্গবন্ধুর যেমনটি ঠিক তেমনি দল হিসেবে আওয়ামী লীগেরও অংশীদারিত্ব রয়েছে। রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে বঙ্গবন্ধুর সফলতা এবং ব্যর্থতা পরস্পর সমান্তরাল।





খালেদ মুহিউদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরো উ্পস্থিত ছিলেন যমুনা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু আলম মো. শহীদ খান এবং এবিসি রেডিও এর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা সানাউল্লাহ লাবলু।



এখন কথা হচ্ছে, বঙ্গবন্ধু আমাদের জাতির অহঙ্কার। উনাকে নিয়ে যখন-যখন, যেই কেউ কথা বলা কতটা উচিত?

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুন, ২০১৪ রাত ২:০৩

পংবাড়ী বলেছেন: কয়েকজন মিলে গিয়ে কুত্তা করিমকে কয়েকটা লাথি দিয়ে চলে আসুন।

২| ০৩ রা জুন, ২০১৪ রাত ৩:৩১

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: ১. ভাষণ দিয়ে দেশ স্বাধীন করা আর আস্ত একটা দেশ চালানো সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয় ।

২ . বাংলাদেশকে স্বাধীন করার কারণে শেখ মুজিব ও তার দলের ধারণা ছিল দেশটা তারা ও তাদের নেতারা কিনে ফেলেছেন। একমাত্র তারাই দেশের মালিক ও দেশ শাসন করার অধিকার রাখেন ।

৩. ইতিহাসের এই নোংরা, কুৎসিত অধ্যায়ের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে বাংলাদেশে শেখ মুজিবের কন্যার মাধ্যমে। এখানে জনগণের ভোটের দাম নেই, ভোটের অধিকার নেই।

৪. শেখ মুজিব দেশ চালাতে ব্যর্থ। সেকারণেই সর্বকালের সবচাইতে ব্যর্থ রাষ্ট্র নায়ক । এটার জন্য যথেষ্ঠ প্রমাণ, তথ্য আছে---যেগুলো তারাই অস্বীকার করে যারা শেখ মুজিবকে অবতার মানে এবং ভারতের কাছে হাসিনার দেশ বেচে দেয়াকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলে বিশ্বাস করে।

৫. শেখ মুজিবের মত হাসিনাকে মরতে হলে বাংলার কত মানুষ আনন্দ করতে পারে ---সেটার জরিপ নিয়ে আসুন---গণতন্ত্রে বিশ্বাস করুন--ইহতিহাসকে স্বীকার করুন।

৩| ০৩ রা জুন, ২০১৪ ভোর ৪:২৮

কানা দাজ্জাল বলেছেন: ভালাইত কইছে। খারাপ কইল কোনডা? আপনার ক্ষেপার স্টাইল দেইখাতো ভাবছিলাম কি না জানি বইলা ফালাইছে। হুদাই সাধারন একটা কথারে ইলাস্টিকের মত লম্বা করেন আর ত্যানা প্যাচান। X((

৪| ০৩ রা জুন, ২০১৪ ভোর ৪:৪৪

াহো বলেছেন:
মুজিব রাষ্টনায়ক হিসেবে ব্যর্থ ছিলেন বলে যারা গ্যাজান শুধু তাদের জন্যে এই পোষ্ট,


আপনাকে এমন একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে দেয়া হল,
১। যে দেশী মাত্র যুদ্ধ বিধ্বস্থ- বিশ্ব ব্যাংকের রিপোর্ট অনুযায়ী,
ক) ৬০ লাখ ঘরবাড়ি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে ( ৬০ লক্ষ x ৫ জনের পরিবার= ৩ কোটি মানুষের আবাসস্থল)
খ) ২৪ লাখ কৃষক পরিবারের কাছে জমি চাষের মতো গরু বা উপকরণও নেই
গ) পরিবহনব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, পুল-কালভার্টের চিহ্নও নেই এবং অভ্যন্তরীণ নৌ-যোগাযোগেও অনেক বাধাবিঘ্ন।
ঘ) লক্ষ মুক্তিযোদ্ধা আর হাজার দালালের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র অসংখ্য উপদল, বিপ্লবী
ঙ) দেশে পুলিশ, সেনা বা কোন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নেই।
চ) ফেরত আসা কোটি শরনার্থী
ছ) খাদ্যের ফাকা গুদাম, ব্যাংকে কোন রিজার্ভ নেই, যারা সরকারী চাকুরী করে তাদের বেতন দেবার মতো কোন তহবির আপনার হাতে নেই। (যুদ্ধের শেষদিকে পাকিস্তানি মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যত প্রতিটি ব্যবসা ক্ষেত্রই পাকিস্তানিদের দখলে ছিল তাদের সব অর্থ-সম্পদ পশ্চিম পাকিস্তানে পাচার করে দেয়। যুদ্ধ শেষে চট্টগ্রামে পাকিস্তান বিমানের অ্যাকাউন্টে মাত্র ১১৭ রুপি জমা পাওয়া গিয়েছিল। পাকিস্তান সেনাবাহিনী ব্যাংক নোট ও কয়েনগুলো ধ্বংস করে দেয়। ফলে সাধারণ মানুষ নগদ টাকার প্রকট সংকটে পড়ে। রাস্তা থেকে প্রাইভেটকারগুলো তুলে নেওয়া হয়, গাড়ির ডিলারদের কাছে থাকা গাড়িগুলো নিয়ে নেওয়া হয় এবং এগুলো নৌবন্দর বন্ধ হওয়ার আগমুহূর্তে পশ্চিম পাকিস্তানে পাচার করে দেওয়া হয়।)
জ) মুদ্রা ছাপানোর মতো পর্যাপ্ত স্বর্ণ বা বিদেশী মুদ্রার তহবিল নেই।
ঝ) সামগ্রিক শিল্প উত্পাদন ব্যবস্থা শুণ্য
ঞ) নৌবন্দরে মাইন, বিমান বন্দর ধ্বংশপ্রাপ্ত



===============================

নিউজউইক ম্যাগাজিনের USA ১৯৭১ সালের ৫ এপ্রিল সংখ্যাটির প্রচ্ছদ বঙ্গবন্ধুর জন্য উৎসর্গ এবং এতে তাঁকে স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া এতে তার ওপর রাজনীতির কাব্যকার শিরোনামে একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। নিবন্ধে বলা হয়, কাঁচা-পাকা চুল, ঘন গোফ ও কালো চোখের অধিকারী দীর্ঘদেহী বাঙালি মুজিব (৫ ফুট ১১ ইঞ্চি) তাঁর সভায় লাখ লাখ লোকের সমাবেশ ঘটাতে এবং আবেগঘন বক্তৃতার মাধ্যমে তাদের মন্ত্রমুগ্ধ করতে পারতেন। এ অঞ্চলের সকল শ্রেণী ও মতের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার ক্ষমতা তাঁর ছিল। নিবন্ধে আরো বলা হয়, শেখ মুজিব যখন মার্চের (১৯৭১) শেষ সপ্তাহে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন তখন তার কতিপয় সমালোচক এ কথা প্রচার করে যে তিনি উগ্র-সমর্থকদের দ্বারা পরিবেষ্টিত রয়েছেন এবং সময়ের অপেক্ষায় আছেন। নিবন্ধে বলা হয়, নতুন বাঙালি জাতির সংগ্রামী নেতা হিসাবে মুজিবের আবির্ভাব মূলত: বাঙালি জাতীয়তাবাদের জন্য তাঁর আজীবন সংগ্রামের অনিবার্য ফসল। এই প্রাপ্তি তাঁর জন্য মোটেও অপ্রত্যাশিত ছিল না।
=========================================

যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশ
টইম Magazine USA
Feb. 28, 1972
Virtually no foreign exchange has been earned in two months, since the ports of Chittagong and Chalna are almost closed by mines and sunken ships. Food and other shipments into the interior are slow because of hundreds of blown railroad and highway bridges and insufficient river transport. -------- "All disaster relief operations in the past have no comparison with the magnitude of the task in Bangladesh," says Toni Hagen, the Swiss U.N. chief in Dacca. The destruction, he adds, was greater than that suffered by Europe in World War II. The government itself is virtually bankrupt. Mujib has pleaded for massive international aid, a plea echoed last week by U.N. Secretary-General Kurt Waldheim. So far, India has supplied $53 million in cash and other aid, and pledged to supply one-quarter of Bangladesh's food needs for the coming year. Other countries have promised aid amounting to $95 million. The U.S. has not yet recognized Bangladesh, or made any commitment of aid.

=============================
শেখ মুজিব মৃত্যুর 10 দিন পরে, বিশ্ব বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন ইউএসএ শেখ মুজিবের নেতৃত্বের প্রশংসা করা হয়েছে.পুরো বাংলা

মুজিব।। স্থপতির মৃত্যু Time Magizine USA আগষ্ট ২৫,১৯৭৫

গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার দীর্ঘসুত্রিতার উপর ক্রমশঃ বিরক্ত হয়ে নিজের হাতে আরো বেশী ক্ষমতা কেন্দ্রীকরনের সিদ্ধান্তগ্রহন করেন মিসেস ইন্দিরাগান্ধী-ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী, এ বছরের জুন মাসে ।

এ সিদ্ধান্তগ্রহনে হয়তো তাকে প্রভাবিত করেছিল ক্ষুদ্র প্রতিবেশী বাংলাদেশ।
অর্থনীতির অচল অবস্থা এবং অপ্রতিরোধ্য দুর্নীতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানের ধৈর্যচ্যুতি ঘটায় এবং গত জানুয়ারী মাসে সরকার পদ্ধতির পরিবর্তন ঘটিয়ে তিনি আরো বেশী রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অধিকারী হন ।
এ পরিবর্তন কাউকে বিস্মিত এবং প্রায় সবাইকে ব্যথিত করে । কারন শেখ মুজিবুর রহমান সবার কাছে পরিচিত ছিলেন যুক্তিবাদী,গনতান্ত্রিক এবং অবশ্যই একজন সৎ ও সাহসী মানুষ হিসাবে ।

তার নেতৃত্বকে অযোগ্য অভিযুক্ত করে গতসপ্তাহে বাংলাদেশে সেনাবাহিনী এক অভ্যুত্থান ঘটিয়েছে । যাকে তার দেশের মানুষ ভালোবেসে 'বঙ্গবন্ধু'ডাকতো, যার নেতৃত্বে মাত্র চারবছর আগে দেশ স্বাধীন হয়েছে-তাকে হত্যা করা হয়েছে এবং তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন তারই দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের এক সহকর্মী ।
যদি ও অভ্যুত্থানের পর পর বহিবিশ্বের সাথে বাংলাদেশের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হয় এবং সংবাদ সংগ্রহে বাধা দেয়া হয়,তবু প্রাপ্ত থেকে অনুমান করা যায় এ অভ্যুত্থান বেশ রক্তাক্ত । শেখ মুজিবের সাথে তার দুই ভাগনে এবং প্রধানমন্ত্রী মনসুর আলী নিহত হওয়ার কথা শুনা গেছে । এ ছাড়া সারা দেশে মুজিবের ২০০ অনুসারীকে হত্যা করার খবর ও পাওয়া গেছে ।
সপ্তাহশেষে অভ্যুত্থানকারী এক ঘোষনায় জানিয়েছে যে নিহত নেতাকে 'যথাযোগ্য মর্যাদা'য় তার গ্রামের বাড়িতে কবর দেয়া হয়েছে । তার মৃত্যু সম্পর্কে এ ছাড়া আর কোন সরকারীভাষ্য জানা যায়নি ।

পিপলস রিপাবলিক থেকে ইসলামিক রিপাবলিক বাংলাদেশঃ
ভোরবেলা শেখ মুজিবকে হত্যা করার পরপরই বাংলাদেশের রাষ্ট্রের নাম এবং চরিত্র বদলে দেয়া হয় । অভ্যুত্থানকারীদের নেতা,ডালিম নামের একজন মেজর রেডিওতে ঘোষনা করেন যে--এখন থেকে দেশের নাম ' ইসলামিক রিপাবলিক অব বাংলাদেশ', 'পিপলস রিপাবলিক' নয় । খনদকার মোশতাক আহমদকে বাংলদেশের রাষ্ট্রপতি ঘোষনা করা হয়,যিনি মুজিব মন্ত্রীসভার বৈদেশিক বানিজ্য মন্ত্রী ছিলেন । এছাড়া ডালিম সামরিক আইন জারী ও সারাদেশ অনির্দিষ্টকালের জন্য ২৪ ঘন্টা কারফিউ এর ঘোষনা দেন । সেই সাথে হুশিয়ারী উচচারন করেনঃ-'নতুন সরকারের বিরুদ্ধে যে কোনো ষড়যন্ত্র,আন্দোলন ও প্রচারনা অত্যন্ত কঠোর হাতে দমন করা হবে'তার এ ঘোষনার সময় ঢাকার রাস্তায় ট্যাংক ও সাঁজোয়াযান মোতায়েন ছিল

পরে আরেক রেডিও সম্প্রচারে নতুন রাষ্ট্রপতি জাতিকে আস্বস্ত করেন যে, দুর্নীতি স্বজনপ্রীতি ও একনায়কতন্ত্র থেকে দেশকে রক্ষা করতেই এ পরিবর্তন । রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবের সমালোচনা করে বলেন যে তার সরকার দেশের অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হয়েছিল । এরপরে খন্দকার মোশতাক তার ১৬ সদস্যের কেবিনেট ঘোষনা করেন । আশ্চর্য্যজনক ভাবে নতুন কেবিনেটের প্রায় সকলে,সেই কথিত 'ব্যর্থ সরকার' এরই প্রাক্তন সদস্য ।

কোন কোন রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করিয়ে দেন যে, ৭১ এ প্রবাসী সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্বপালন কালে খন্দকার মোশতাকের,মুজিবের প্রতি অনুগত ছিলেননা এবং তার ভুমিকা ছিলো সন্দেহজনক । স্বাধীনতার পর অভিযোগ উঠে যে, যুদ্ধচলাকালীন সময়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে আমেরিকার ষড়যন্ত্রের ক্রীড়ানক ছিলেন মোশতাক ।
অভিযোগ প্রমানিত হলে, মুজিব সদ্যস্বাধীন দেশের অতিগুরুত্বপুর্ন পররাষ্ট্ মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব থেকে তাকে অব্যহতি দেন এবং তরুন ডঃ কামালকে স্থলাভিষিক্ত করেন । হত্যাকান্ডের সময় ডঃকামাল বেলগ্রেডে অবস্থান করছিলেন ।

সংকীর্ন রাজনৈতিক দৃষ্টিভংগীর অধিকারী খন্দকারকে অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক,পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ চর বলে ও সন্দেহ করেন । পাকিস্তানের ভুট্টো সরকারই প্রথম স্বীকৃতি দিয়েছে এই নতুন সরকারকে ।
কিন্তু মুজিব হত্যাকান্ডে ভারতের প্রতিক্রিয়া সবাইকে স্তম্ভিত ও মর্মাহত করেছে ।
একজন সরকারী মুখপাত্র কেবল একটা বিবৃতি দিয়েছেন : তাঁকে আমরা আমাদের সময়ের অত্যন্ত সম্মানিত ও গুরুত্বপুর্ন ব্যক্তিত্ব বলে গন্য করি ।'

নিহত মুজিবের ব্যক্তিত্ব ছিলো অত্যন্ত আকর্ষনীয় ও জাদুকরী ।তার প্রানচাঞ্চল্য উদ্যমী করে তোলতো সবাইকে । তার আবেগময় ভাষনে লক্ষ লক্ষ জনতা উদ্বেলিত হতো ।
একজন বিশ্লেষক বলেনঃ
'আমি গান্ধী,জিন্নাহ,ও নেহেরুর রাজনীতি এবং জনসম্পৃক্ততা দেখেছি । কিন্তু মুজিব লক্ষ লক্ষ মানুষের মাঝে যে প্রেরনা জাগিয়ে তুলতে পারতেন, তার কোন তুলনা হয়না । তার আকর্ষনীয় ব্যক্তিত্ব ও প্রভাবিত করার ক্ষমতা, তা অন্য কোনো নেতার কখনোই ছিলোনা '

বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের কর্মী হিসাবে মুজিব যখন প্রথম কারাবন্দী হন , তখন তিনি সপ্তম শ্রেনীর ছাত্র । এরপর বিভিন্ন মেয়াদে বৃটিশ ও পাকিস্তানের কারাগারে তার কেটেছে অন্ততঃ দশ বছর । মজা করে তাই বলতেন : কারাগার তো আমার দ্বিতীয় বাড়ি ।
১৯৪৯ এ তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন এবং ১৯৭০ এ পাকিস্তানে প্রথম সাধারন নির্বাচনে দলের জন্য নিরংকুশ বিজয় ছিনিয়ে আনেন । সংবিধান অনুযায়ী তার সমগ্র পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কথা । কিন্তু ক্ষমতাসীন পশ্চিম পাকিস্তানীরা নির্বাচনের রায়কে অগ্রাহ্য করে । ফলে খুব দ্রুত পাকিস্তানের দু অংশের সম্পর্কের অবনতি ঘটে ।
এ সময় মুজিব পশ্চিম পাকিস্তানীদের উদ্দেশ্যে বলেনঃ 'তোমাদের হাতে অস্ত্র আছে, তোমরা আমাকে হত্যা করতে পারো । কিন্তু সাড়ে সাতকোটি বাংগালীর স্বাধীনতা তোমরা আটকে রাখতে পারবেনা' ।

এরপর সামরিক একনায়ক ইয়াহিয়া খান তাকে বন্দী করে নিয়ে যায় পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে । আর পুর্ব পাকিস্তানে শুরু হয় সামরিক আগ্রাসন । পাকিস্তান সেনাবাহিনী হত্যা করে ৩০ লক্ষ বাংগালী, এক কোটি শরনার্থী হয়ে আশ্রয় নেয় ভারতে । পরে ভারত বাংলাদেশের পক্ষে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে ৯ মাসের মাথায় বাংলাদেশ স্বাধীন হয় । পরাজিত পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিবর্তনে ইয়াহিয়া খান গৃহবন্দী হন আর শেখ মুজিব মুক্ত হয়ে ফিরে আসেন সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে ।

৭২এর জানুয়ারী'র প্রথম সপ্তাহে মুজিব ফিরে এলে দেশবাসী এক অনন্য সম্বর্ধনার মাধ্যমে তাকে বরন করে নেয় । ইতিহাসে এর আগে আর বোধ হয় কোন নেতা এতো বিশাল সম্বর্ধনায় সিক্ত হননি । সম্বর্ধনার সাথে সাথে মুজিব এমন এক রাষ্ট্রের দায়িত্ব পান, যে রাষ্ট্রের কেবল একটা কাঠামোই অবশিষ্ট ছিলো, এর বেশী আর কিছু নয় । পৃথিবীর সবচেয়ে দরিদ্র দেশগুলোর একটি,সবচেয়ে ঘনবসতিপুর্ন যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশ ।
প্রশাসন বলে কিছু নেই, শিল্পকারখানা গুলো ধ্বংস হয়ে গেছে ,সমুদ্র ও বিমান বন্দর গুলো ব্যবহার অনুপযোগী, রেললাইন উপড়ে গেছে, দেশপ্রেমিক বুদ্ধিজীবি ও দক্ষ পেশাজীবিদের প্রায় সকলে নিহত ।
অর্থনীতির তলানী বলতে যা কিছু ছিল তাও '৭৩ এর খরা ও '৭৪ বন্যায় শেষ হয়ে যায় ।

তাঁর প্রশংসনীয় উদ্যোগঃ
স্বাধীনতার পরের তিনবছরে ৬০০০ হাজারের ও বেশী রাজনৈতিক হত্যাকান্ড ঘটে । সহিংসতা সারাদেশব্যাপি ছড়িয়ে পরার আশংকা তৈরী হলে মুজিব রাষ্ট্রীয় জরুরী অবস্থা ঘোষনা করেন । চরমবাম ও চরম ডানপন্থী সংগঠনগুলো নিষিদ্ধ করা হয়, পত্রিকাগুলোকে নিয়ে আসা হয় সরকারী নিয়ন্ত্রনে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয় ।
এ উদ্যোগগুলো বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে গৃহীত হলেও অনেকেই সমালোচনামুখর হয়ে উঠেন । সমালোচকদের উদ্দেশ্যে মুজিব তার স্বভাবসুলভ ভংগীতে বলেনঃ-'ভুলে যেওনা আমি মাত্র তিনবছর সময় পেয়েছি । এই সময়ের মধ্যে তোমরা কোনো দৈব পরিবর্তন আশা করতে পারোনা' ।
যদি ও শেষ সময়ে তিনি নিজেই হতাশ ও বিরক্ত হয়ে কোন দৈব পরিবর্তন ঘটানোর জন্য অধৈর্য্য হয়ে পড়েছিলেন ।

সন্দেহাতীতভাবেই মুজিবের উদ্দেশ্য ছিলো তার দেশ ও দেশের মানুষের উন্নয়ন ঘটানো । শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত মুজিব একটা 'সোনার বাংলা' গড়তে চেয়েছিলেন, যে 'সোনার বাংলা'র উপমা তিনি পেয়েছিলেন কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছ থেকে, ভালোবেসে মুজিব সেই 'সোনার বাংলা'র স্বপ্নকে তার দেশের জাতীয় সংগীত নির্বাচন করেছিলেন ।


Click This Link

------------------------------------------------


BANGLADESH: Mujib: Death of the Founder
Monday, Aug. 25, 1975
Click This Link
When India's Prime Minister Indira Gandhi decided to dispense with the irksome processes of democracy and arrogate all power to herself in June, she was able to take a few cues from her next-door neighbor. Last January Sheik Mujibur Rahman of Bangladesh, impatient with the plodding progress and growing anarchy of his impoverished country, pushed legislation through Parliament changing the government to a presidential system giving him enlarged powers. The move surprised some and saddened others, since "Mujib" had long impressed observers as a man of reason and moderation as well as great courage.

Last week, accusing Mujib of ineffectual leadership, the armed forces seized the Bangladesh government in a predawn coup. The man the Bengalis called Bangabandhu (father of Bengal), who led the country to independence from Pakistan only four years ago, was killed and replaced by a longtime associate. Although communications with Dacca were cut shortly after the takeover and reports were sketchy, it was clear that the coup was bloody. In addition to Mujib, 55, Prime Minister Mohammed Mansoor Ali and two of Mujib's nephews were also killed. So reportedly were at least 200 other supporters. At week's end the coup's leaders announced that the slain President was buried Saturday in his home village near Dacca with "full honors." There were no other details on how he died.

Islamic Republic. The first signs of trouble came when gunfire was heard near Mujib's house in Dacca. At 5:15 a.m., a Major Dalim announced over Radio Bangladesh that the armed forces had taken over and changed the country's name from the People's Republic of Bangladesh to the Islamic Republic of Bangladesh. The new President, he declared, would be Khandakar Moshtaque Ahmed, 56, who had been Minister of Foreign Trade and Commerce in Mujib's Cabinet. Dalim further announced that martial law, as well as a 24-hour curfew, had been proclaimed throughout the country. "Anybody trying to resist the new revolutionary government or violating any instructions given so far will be dealt with severely," he added. By the time he had finished speaking, tanks were patrolling the streets of Dacca.

In a later broadcast, the new President claimed that the takeover had been prompted by "corruption, nepotism and attempts to concentrate power on one head." He charged that Mujib had failed to solve the country's economic problems. But when Khandakar announced a new 16-man civilian ministry, it turned out to be composed entirely of members of Mujib's Cabinet.

Some observers pointed out that while Khandakar had served as Foreign Minister in the government-in-exile during the Pakistani civil war, he may not have been loyal to Mujib. There were allegations after independence that he had participated in U.S.-initiated attempts to prevent the breakaway of Bangladesh. Mujib piqued Khandakar by relieving him of the foreign ministry, appointing Dr. Kamal Hossain, who was in Belgrade when the coup occurred.

A political conservative, Khandakar is said to favor closer ties with Pakistan. Late last week Pakistan President Zulfikar Ali Bhutto became the first to recognize the new government. But the reaction in India was one of dismay and grief over Mujib's death. Said a government spokesman: "We held him in high esteem in India as one of the outstanding personalities of our time."

The slain Mujib was a man of enormous magnetism and charm who frequently attracted million-strong throngs with his stirring and emotional oratory. "I have known the impact of Gandhi, Jinnah and Nehru," said one observer, "but the depth of feeling Mujib evoked in so many people and so effortlessly was something no other leader had ever done." Jailed for the first time as a seventh-grader when he agitated in favor of India's independence from Britain, Mujib spent more than ten years behind bars, joking, "Prison is my other home."

In 1949 he founded the Awami League, and took it to a stunning victory in Pakistan's first national election in December 1970. He stood to become Prime Minister of all Pakistan. But he was an East Pakistani, and the West Pakistanis, who had long held absolute sway in the geographically divided country, were not about to yield power. Relations between the two regions deteriorated swiftly.

"They have all the guns," he said of the West Pakistanis at the time. "They can kill me, but let them know that they cannot kill the spirit of the 75 million people of Bengal." Soon afterward, Pakistan's dictator, General Agha Mohammed Yahya Khan, packed Mujib off to a desert prison cell under sentence of death. In a brutal military pogrom, the West Pakistanis proceeded to massacre 3 million Bengalis; 10 million others fled to India for refuge. After India entered the war and crushed Pakistani forces nine months later, Yahya was himself placed under house arrest, and Mujib was released to become the leader of the independent nation of Bangladesh.

Mujib returned to the most tumultuous welcome Dacca had ever seen—and a staggering array of problems in probably the poorest (and most densely populated) country on earth. There were virtually no civil servants and little industry. Ports were clogged, railroads destroyed, the educated elite savaged. Worse, what had not been destroyed in war was soon destroyed by a devastating drought in 1973 and floods last year that inundated three-quarters of the country.

Laudable Objectives. Facing spreading violence—there had been at least 6,000 political murders since independence—Mujib declared a state of emergency last December. He subsequently banned extremist parties on both the left and the right, brought the press under government control, and cracked down on corruption.

The moves met with general favor in Bangladesh, but there were those who were critical. "Do not forget I have had only three years as a free government," he reminded critics. "You cannot expect miracles." Yet even he seemed impatient for miracles in the end. No one ever doubted that his objectives were laudable. Mujib wanted nothing less than to build a "shonar Bangla," the golden Bengal of the poem by Rabindranath Tagore that serves as the country's national anthem.


Click This Link
Read more: Click This Link#ixzz0r38hrhPH

০৩ রা জুন, ২০১৪ রাত ১১:২৪

এম এ হাসান মাহামুদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
আমি শেখ মুজিবের শাসনকাল নিয়ে একটি প্রবন্ধ লিখবো ভাবছিলাম, আপনার সোর্সগুলো খুব কাজে লাগবে আমার।
আবারো ধন্যবাদ আপনাকে তথ্যসমৃদ্ধ মন্তব্যটির জন্য।

৫| ০৩ রা জুন, ২০১৪ ভোর ৪:৪৬

কামরুল ইসলাম রুবেল বলেছেন: তো উনি ভুল কি বলেছেন? শুধু হাসিনা ক্ষমতায় বলে এসব বের হয়না, নয়তো বিএনপির ভাঙ্গা সুটকেসের মত আরো অনেক কাহিনী শেখ মুজিবেরও বের হতো। আচ্ছা উনার কথাগুলো কোন অংশগুলো আপনি মিথ্যা বলতে চান।

আসেন ক্যাচাল করি। উপযুক্ত প্রমাণ ও সুত্র সহকারে বুঝাইয়া দিব।

৬| ০৩ রা জুন, ২০১৪ ভোর ৫:১২

াহো বলেছেন:



বার্মা টাইমস নামে খবর মিথ্যা burmatimes.net

একটি ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট.
আপনি ওয়েবসাইটে যে কোনো নামে খুলতে পারেন জাপান / ইউএসএ টাইমস .
whois রেকর্ড থেকে, এই ডোমেন সেপ্টেম্বর 2013 নিবন্ধিত
Registrant Organization: Banglatimes.com.bd
Creation Date: 04-Sep-2013
whois record check bd time 0500hours 03 June 2014 




প্রথম পাতা  --মানবজমিন 03 June 2014
বার্মা টাইমস-এর খবর 
পার্বত্য চট্টগ্রাম দখলে নেয়ার প্রত্যয়
Click This Link

৭| ০৩ রা জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৪৭

এম এ হাসান মাহামুদ বলেছেন: উপরের সবার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
সময় নিয়ে বসতে পারলাম না, তাই দুঃখিত। তবে অবশ্যই বিষয়টি পরিষ্কারভাবে জানার জন্যে হলেও মন্তব্যে আসবো।

৮| ০৩ রা জুন, ২০১৪ রাত ১১:৩৭

াহো বলেছেন:
বঙ্গবন্ধু হত্যায় জিয়ার হাত

সপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা এবং সাবেক সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানের হাত ছিল। হত্যাকাণ্ডের আগে বঙ্গবন্ধুর খুনিরা জিয়াউর রহমানের কাছ থেকে সমর্থন আদায় করে নিয়েছিল। খুনিদের সমর্থন দেয়ার আগে সাবেক এই সেনাপ্রধান সচিবালয়ে তত্কালীন বাণিজ্যমন্ত্রী খন্দকার মোশতাক আহমেদের সঙ্গে বৈঠকও করেন। খুনিরা খন্দকার মোশতাক ও জিয়াউর রহমানের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখেই বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে খুন করে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমান জড়িত থাকার বিষয়টি চারজনই তাদের জবানবন্দিতে স্বীকার করে গেছে। মামলার ১৭ আসামি বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গেও জড়িত ছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আসামি হিসেবে এদের মধ্যে ৫ জনের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। -

Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.