নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নীরব কথামালা

মুক্তমত প্রকাশের প্লাটফর্ম ব্লগ। তাই ব্লগে আসতেই হয়, ভাবনা প্রকাশে......!

এম এ হাসান মাহামুদ

লেখালেখির মোটামুটি ইচ্ছে থেকেই ব্লগে ঢু মারি। ভাল লাগে বই পড়তে আর নিজের ইচ্ছে মতো লিখতে।

এম এ হাসান মাহামুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

লাশের দাম ২০ হাজার টাকা মাত্র!

১৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:৩০

পল্লবীর বিহারী ক্যাম্পে নৃশংস হত্যাকান্ডের পর এখনো লাশ স্বজনের কাছে হস্তান্তর হয়নি। তবে এ হস্তান্তর হবে এবং সরকারের তরফ থেকে প্রতিটি লাশের জন্যে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে ২০ হাজার টাকা মাত্র। লাশের প্রকৃতি ভেদে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বাড়ে কমে। আপনি যদি লঞ্চ ডুবিতে মারা যান তাহলে তার একটি নির্দিষ্ট মূল্য আছে। যদি ট্রেন দুর্ঘটনায় মারা যান তাহলে তার নির্ধারিত মূল্য রয়েছে। যদি সীমান্ত রক্ষায় শহীদ হন তাহলে তা বিবেচনা হবে স্বাভাবিকভাবেই অন্যভাবে। যদি জাতিসংঘের শান্তি মিশনে অন্য কোনো দেশের শান্তি রক্ষায় নিয়োজিত হয়ে মারা যান তাহলে তার নির্দিষ্ট ক্ষতিপূরণ ও যোগ্য সন্মানি আছে। পল্লবীতে শিশু সহ একই পরিবারের যে সাত জনকে ঘরের মধ্যে আটকে রেখে বাইরে শেকল বন্ধ করে পেট্রোল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে মেরেছে দুর্বৃত্তরা, তাদের বিচারের দাবিতে আজ রোববারও বিক্ষোভ করেছে বিহারীরা। ওই দুর্বৃত্তরা লুটপাটের জন্যে তা করলেও পুলিশ তাদের ঠেকাতে পারেনি। আর এমন হাঙ্গামা ঠেলে দমকল বাহিনীর কর্মীরা আগুন নেভাতে আসতে পারেনি। এগুলো হচ্ছে নিহত ১০ জনের কপাল কেন মন্দ হল তার কারণ বিশ্লেষণী তথ্য। তারপর সদাশয় সরকার প্রতিটি লাশের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২০ হাজার টাকা করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।



আপনি যদি এমন মানুষ হন যে চোখ কান একটু খোলা রাখতে পারেন, তাহলে সাহস করে ঘুরে আসুন পল্লবীর ওই ঘটনাস্থলে। ঘটনার পারিপার্শ্বিকতা, স্থানীয় লোকজনের বক্তব্য, পেট্রোল কোত্থেকে এল, কারা চাপাতি নিয়ে ছুটে এল তারা কি জয়বাংলার লোক নাকি যুদ্ধাপরাধী তা পরিস্কার হয়ে যাবে। নেপথ্যে জমি দখল ও ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বিরোধ থেকে এধরনের ঘটনা যে ঘটেছে তা মোটামুটি একপ্রকার নিশ্চিত। পবিত্র শবেবরাতের রাতে ইবাদত বন্দেগীতে মশগুল ছিলেন বলে স্থানীয় সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দীন মোল্লাহ ঘটনাস্থলে তাকে পাওয়া যায়নি। এ প্রসঙ্গে তিনি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে বলেছেন, এই রাতে ইবাদতের কারণে আমি ঘুম থেকে উঠতে দেরি করি। তবে ঘুম থেকে উঠার পর যেভাবে পারি সবাইকে সহযোগিতা করেছি। এই জনপ্রতিনিধির ছবি প্রায়শ পোস্টারে ছাপা হয় টুপি পরিহিত অবস্থায়। মিরপুরবাসীর কপাল ভাল একজন এবাদত বন্দেগীওয়ালা সাংসদ পেয়েছেন। আফশোস এটুকু যে সাংসদ ইলিয়াস অগ্নিদগ্ধ আহতদের দেখতে হাসপাতালে এখনো যাননি। বরং ধন্যবাদ সাবেক এমপি সাহিদা তারেখ দীপ্তিকে। তারই হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসে। স্থানীয় এমপি ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা কেন ঘটনাস্থলে যাননি জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি কেন আসেননি তা লোকজন জানে। তারাই বলতে পারবে।



তবে সাংসদ ইলিয়াস বলেছেন, কালশী হত্যাকাণ্ড নিয়ে যারা বিভিন্নভাবে জায়গা দখল ও বস্তি দখলের কথা বলে গরুর রচনা তৈরি করছে তারা যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। ওই টেলিভিশনের সঙ্গে ফোনে ইলিয়াস মোল্লাহ বলেন, এ ঘটনায় আমি মর্মাহত, আমি শোকাহত। আজকে যারা মারা গেছে অবাঙালি তারা সবাই আমার ভোটার। আমি একটি কথা বলতে চাই, শুধু আজকের রাতই নয়, গত তিনদিন ধরে আমি আমার পুলিশ প্রশাসন সব দিকে নজর রাখছি। এই নজরের মধ্য দিয়ে মোটামুটি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক ছিল। কিন্তু কুর্মিটোলা ক্যাম্পে যে ঘটনাটি ঘটেছিল বিদ্যুৎ নিয়ে এটি সঙ্গে আজকের ঘটনার কোনো সম্পর্ক নেই।



ইলিয়াস মোল্লা বলেন, গত ১০ জুন একটি ঘটনা ঘটেছিল কেউ কেউ বিদ্যুৎ না পেয়ে রাস্তা অবরোধ করেছিল। সেখানে আমি গিয়েছিলাম, সমস্যা সমাধান করে এলাম। এক পক্ষ বিদ্যুৎ নিতে চেয়েছিল, আরেক পক্ষ বলল তাদের বিদ্যুৎ দেব না। এখান থেকে বিদ্যুৎ দিলে সার্কিট পড়ে যায়। আমি বললাম তাহলে ডাইরেক্ট করে দিই। পরে আমি বিদ্যুৎতের লোকজন দিয়ে একটি চঙ্গ তুলি বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার জন্য। পরে আরেক পক্ষ এসে চঙ্গ নামিয়ে দেয়। পরে উভয় পক্ষকে বলি তোমরা যেভাবে আছো সেভাবেই থাক, আমরা এটি নিয়ে তোমাদের চেয়ারম্যান ভন্ঠুর সঙ্গে কথা বলে এই সমস্যার সমাধান করবো। এ কথা বলে আমি সেখান থেকে চলে আসি।



তিনি বলেন, আজ যে ঘটনাটা ঘটেছে এটি সঙ্গে বিদ্যুৎতের কোনো সম্পর্ক নেই। এটি আতশবাজির কারণে হয়েছে। তবে বিদ্যুৎতের ঘটনার জন্য এটি বন্ধ হয়নি। কেউ একটি পটকা মারলে অন্যপক্ষ দুইটি মারে। কেউ দুইটি মারলে চারটি মারে। আর এ কারণে পুলিশও এটি বন্ধ করতে পারেনি। সাংসদ ইলিয়াসের কথায় এটা সুস্পষ্ট কেউ যদি পল্লবীর ঘটনা নিয়ে গরুর রচনা লিখতে চায় তাহলে তা যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর শামিল। তাহলে যে ১০ জন আগুনে পুড়ে মারা গেল তারা কি যুদ্ধাপরাধী ছিলেন। তারা যদি যুদ্ধাপরাধী হয়ে থাকেন তাহলে তাদের বাড়ি ঘর লুটপাট করে অগ্নিসংসোগ চলতে থাকবে, পাশাপাশি গণগ্রেফতারের মধ্যে কেউ পালাবার পথ পাবে না, এমন পরিস্থিতিতে ঘরে আটকে একই পরিবারের সাত জন সহ মোট ১০ জন মারা যাবেন। এবং এর কারণ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন তৈরি হলে তা হবে যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর শামিল।



দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে। যতদূর জানা গেছে তাতে এখন পর্যন্ত পল্লবীর বিহারী ক্যাম্পের কেউ যুদ্ধাপরাধী হিসেবে আটক বা গ্রেফতার হয়নি। বিহারী ক্যাম্পে কেউ সন্দেহভাজন যুদ্ধাপরাধী রয়েছেন কি না তাও জানা যায়নি। মিডিয়া ঘটনাস্থল বিবেচনা ও মানবিক দিক লক্ষ্য করে প্রতিবেদন তৈরি করছে। সেখানে তথ্য সংগ্রহে ভুল থাকতে পারে যা ইলিয়াস মোল্লাহ শুধরিয়ে দিতে পারেন। কিন্তু কেউ কিছু লিখলেই তা যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর অপচেষ্টা বলে বক্তব্য দেয়ার মধ্যে দিয়ে একধরনের সতর্কবাণী উচ্চারণ করা কেনো যে লিখলেই যুদ্বাপরাধীদের দোসর বলে বিবেচিত হবে।



অনুসন্ধানে স্থানীয়দের কাছ থেকে বর্বরোচিত এই হত্যাযজ্ঞের জন্যে অভিযোগের আঙুল উঠেছে আওয়ামী লীগ এমপি ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে। বিহারী ক্যাম্পের পাশে রাজু নামে একটি বস্তি ছিল। ওই বস্তিতে স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের লোকজন পাশের বিহারী ক্যাম্প থেকে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ নেন। এতে বাধা দেন বিহারী ক্যাম্পের লোকজন। এতে রাজু বস্তির লোকজন তাদের ওপর ক্ষিপ্ত ছিল। আর এ ঘটনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদত ছিল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের স্থানীয় এমপি ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লার। যুবলীগ নেতা জুয়েল রানার নেতৃত্বে হামলা হয় বলেও অভিযোগ করেছেন ক্যাম্পের বাসিন্দারা।



বিহারী ক্যাম্পের বাসিন্দাদের সংগঠন স্ট্র্যান্ডেড পাকিস্তানিজ জেনারেল রিপ্যাট্রিয়েশন কমিটির (এসপিজিআরসি)’র চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন ভল্টু বলেন, এই ঘটনার পেছনে এমপি সাহেবের ইন্ধন আছে। তিনি বলেন, ‘বিদ্যুতের সংযোগ দিতে না দেয়ায় তার লোকজন আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। এছাড়া হামলার সময় এমপির অনেক লোকজনকে দেখেছে ক্যাম্পের বাসিন্দারা। এত বড় ঘটনা এমপি একবারও এলাকায় এলেন না কেন? এতেই বোঝা যায় তিনি এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত কিনা?’



পল্লবীর সেকশন ১২/ই কুর্মিটোলা বিহারী ক্যাম্পের পাশে নতুন কুর্মিটোলা বিহারী ক্যাম্প (রাজু বস্তি বলে পরিচিত)। ওই জমির মালিক সরকারি একটি সংস্থা। তিন বছর আগে সেটি ফাঁকা বালুর মাঠ ছিল। বাঙালি ছিন্নমূল ও বিহারী পরিবারের লোকজন ওই মাঠে বসতি গড়ে তোলে। আগে রাজু বস্তিতে বিদ্যুৎ লাইন ছিল না। পরে রাজু বস্তির লোকজন স্থানীয় এমপি ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লার প্রভাব খাটিয়ে পাশের মূল বিহারী ক্যাম্প থেকে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ লাইন নেয়। বিহারী ক্যাম্প থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়ার কারণে তাদের বিদ্যুতের বিল পরিশোধ করতে হতো না। স্থানীয় এমপির লোকজন ওই বস্তিতে প্রতিটি বাড়ি থেকে বিদ্যুৎ বিলের টাকা ওঠাতো এবং নিজেরা ভাগ-ভাটোয়ারা করতো।



সরকারি সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, কুর্মিটোলা বিহারী ক্যাম্প থেকে অবৈধভাবে নেয়া রাজু বস্তির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে। এ নিয়ে চাপ দেয়া হয় (এসপিজিআরসি) কর্তৃপক্ষকে। তখন কুর্মিটোলা বিহারী ক্যাম্পের লোকজন ১১ মে বুধবার রাতে রাজু বস্তির অবৈধ বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ বিছিন্ন করতে যায়। তখন রাজু বস্তির লোকজন এতে বাধা দেয়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও তর্কাতর্কির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে স্থানীয় এমপি ইলিয়াস আলী মোল্লা ঘটনাস্থলে হাজির হন। সেখানে এমপি এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বলেন, রাজু বস্তিতে বিদ্যুৎ লাইন থাকবে। এই লাইন বৈধ না অবৈধ এবং কোথা থেকে এসেছে এটি দেখার দরকার নেই। কে বিদ্যুৎ লাইন বিছিন্ন করার আদেশ দিলেন সেটিও বিবেচনায় আনার দরকার নেই। শেখ হাসিনার সরকার জনগণের সরকার। তাই জনগণের জন্য যেটি মঙ্গল হবে সেটিই করা হবে।



এমপির এই বক্তব্যে ক্যাম্পের লোকজনের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ওই দিন বিক্ষুব্ধ লোকজন ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লার পাঞ্জাবির কলার ছিঁড়ে ফেলে এবং ধাক্কাধাক্কিতে ইলিয়াস পড়ে যান। এরপর এমপি বিহারী ক্যাম্পের লোকজনকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লার ইন্ধনে পল্লবী থানায় রাজু বস্তির বাসিন্দা ও স্থানীয় যুবলীগ নেতা মাদক ব্যবসায়ী মো. রিয়াজ বাদী হয়ে বিহারী ক্যাম্পের লোকজনের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করে। মামলা নম্বর ৫। মামলায় আসামি করা হয় ২০ জনকে।



শুক্রবার বিহারি ক্যাম্পে মামলার তদন্ত করতে আসে পুলিশ। বিহারী ক্যাম্পের লোকজন যেন রাজু বস্তির বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে না যায় এজন্য ক্যাম্পের বাসিন্দাদের পুলিশও সতর্ক করে যায়। ক্যাম্পের বাসিন্দারা জানান, বুধবারের রাতের ঘটনার পর স্থানীয় এমপি ইলিয়াস আলী মোল্লা ও তার লোকজনের বিহারী ক্যাম্পের বাসিন্দাদের প্রতি আক্রোশ বেড়ে যায়। এছাড়াও বাউনিয়াবাদ এলাকার কিছু সরকারি দলীয় লোকজনের বিহারী ক্যাম্পের জমি দখলের ওপর দৃষ্টি ছিল। তারা পরিকল্পনা করে আতশবাজির নাম করে বিহারী ক্যাম্পে এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।



অথচ প্রায় ১৫ দিন আগে ঢাকা জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয় যে, পল্লবীর ১২/ই কুর্মিটোলা বিহারি ক্যাম্পে কতটি বাড়িতে বিদ্যুৎ লাইন আছে এবং কতটি বাল্ব জ্বলে? বিহারী ক্যাম্পের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসককে একটি তালিকা দেয়া হয়।



দুধের বাচ্চা থেকে শুরু করে যে ১০ জন প্রাণ দিলেন তাতে হয়ত আপাতত তাদের বসত ভিটা টিকে যাবে। কিন্তু রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন ও শাসক শ্রেণীর মিলিত যে চক্র গড়ে উঠেছে তার ছোবল ফের ফিরে আসবে পল্লবীতে এ কথা হলফ করেই বলা যায়। কারণ উচ্ছেদ-আক্রমণ প্রতিরোধ করলে তারা পুলিশের চোখে হয় সন্ত্রাসী, না করলে পুড়ে মরে, আর পাকিস্তানও তাদের নেয় না। তাহলে তারা যাবে কোথায়? এরা এসেছিলেন ভারতের বিহার থেকে তাদের স্বপ্নের পাকিস্তানে।



কার্টেসী: আমাদেরসময়.কম

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:১৯

রেজওয়ান26 বলেছেন: বাংলাদেশে সবকিছুর দাম বাড়ে কিন্তু শুধু লাশের দাম দিন দিন কমতেছে !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.