নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নীরব কথামালা

মুক্তমত প্রকাশের প্লাটফর্ম ব্লগ। তাই ব্লগে আসতেই হয়, ভাবনা প্রকাশে......!

এম এ হাসান মাহামুদ

লেখালেখির মোটামুটি ইচ্ছে থেকেই ব্লগে ঢু মারি। ভাল লাগে বই পড়তে আর নিজের ইচ্ছে মতো লিখতে।

এম এ হাসান মাহামুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নতুন রাজনীতি: রিমান্ড বচন॥ রিমান্ড আর ডিমান্ড

১৬ ই জুন, ২০১৪ রাত ১২:৩৮

প্রধানমন্ত্রী রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে বলেছেন তারেক রহমান। আওয়ামীলীগের হানিফ বলেছেন, খালেদাকে রিমান্ড নিতে । ওদের ডিমান্ড যাই হোক না কেন। আমাদের ডিমান্ড অন্য। আমরা আম-জনতা আমরা ভালবাসি নায় বিচার ও শান্তিতে। কিন্তু আমাদের কথা কেউ শুনে না। শুনার প্রয়োজনও নেই ওদের। ওরা ভালবাসে ক্ষমতা। যদিও গনতন্ত্রের ভাষায়- জনগনই সকল ক্ষমতার উৎস কিন্তু একালের রাজনীতিবিদরা তা বিশ্বাস করেন কিনা সন্দেহ। সুস্থ রাজনীতি চর্চার এমনি বেহাল অবস্থা যে, শীর্ষ দুই নেত্রীও রিমান্ডের মুখোমুখি এবং তা রাজনীতিবিদের দ্বারাই। কেউ কারো ছায়া দেখতে পারেনা।



সেদিন এক বন্ধু বলছিল, আওয়ামীলীগের এক আইনজীবী নেতা নাকি ওমরাহ হজ্বে গিয়ে একটা পাথর নিয়ে আসেন, শয়তান মারার পাথর। অন্য আইনজীবী জিজ্ঞেস করলেন- পাথর কেন? ওমরাহ ফেরত আইনজীবী উত্তর- ব্যারিস্টার মওদুদকে মারবো। মারামারি এই কালচারে থেকে দেশ চালাবেন তারা? আইন প্রণয়ন, আইনের শাসন? বাংলাদেশে মিডিয়া বলছে শামিম ওসমান গুুম খুনের নেতা। আওয়মীলীগ নেত্রী আইভও বলছেন একই। প্রধানমনত্রী ভিন্ন। তিনি অভয় দিয়েছেন, শামিম ওসমানের পাশে দাঁড়াবার। তাহলে?



কদিন আগে খালেদা দাবি করলেন-জিয়া হত্যার মূল নায়ক এরশাদ। যদি তাই হয় তাহলেতো এরশাদকে রিমান্ড নেবার কথা, প্রধানমন্ত্রীকে কেন? তারেক কেন এই দাবি করলেন? কিছুদিন আগে আমরা দুই নেত্রীর ফোন আলাপ শুনলাম। ভয়াবহ। ভদ্রতা বলেও তো একটা কথা আছে। দলের দুই শীর্ষ নেত্রীর , শীর্ষ ঝগড়া। নির্বাচন হল। কেমন নির্বাচন? অর্ধেকেরও বেশি বিনা ভোটে পাশ। গণতন্ত্রের নমুনা দেখেন। অথচ ‘গণতন্ত্র’ বলতে বলতে দুই দলের নেত্রীরা অস্থির।



আর জাতীয় পার্টি? যেন এরশাকে ফাঁসির হাত থেকে বাঁচানোটাই মূল লক্ষ্য। আজ এদিকে দৌড়ায় তো কাল ওইদিকে। দল আরেকটা। সেটা রাজনৈতিক নয়। গোলাবারুদের। নাম র‌্যাব গুম-খুন দমন করতে গিয়ে নিজেই জড়িয়ে গেছে এর সাথে। বিরোধী দল বলছে, বিলুপ্ত করতে হবে, সরকার বলছে, না। এভাবেই চলছে দেশ। বিএনপি ক্ষমতায় গেলেই যে ভাল ভাবে দেশ চালাবে তারও কোন নিশ্চয়তা নেই। এরশাদেরও নাই। সবাই পরীক্ষিত। আর অন্য যারা আছে তারাও সাইনবোর্ড অথবা ব্রাকেট বন্দি। আসলে সমস্যায় পড়েছি আমরা, আমজনতা। কোন ভাবেই ঠিক করা যাচ্ছে না রাজনীতিবিদদের।



তারা বেপরোয়া। রাজনীতি হচ্ছে ব্যবসা অথবা অসীম ক্ষমতা। যা দিয়ে সম্পদ ও গৌরব দুটোই মেলে এবং তা অল্প সময়েই। এবং এর জন্যই পাড়ার সব বখাটে মাস্তানরা দলে যোগ দিচ্ছে তথাকথিত সেই রাজনীতিতে। হয়ে উঠেছে, সম্পদশালী, ক্ষমতাধর এবং এরাই দেশ চালাবে, আইন প্রণয়ন করবে। দেশের অবস্থাটা কি হবে? অথবা হচ্ছে? ওদের জন্য একটা গল্প নয়, কবিতা।



কবি বলেছেন- গরীবের কিছু স্ন্দুর নয়। তার হাসি খুব কুৎসিত, শিশুকে চুমু খেলে মনে হয় থুথু লেপটে দিচ্চে। গরীবের কথা মানেই দুর্গন্ধ। একমাত্র তখনি তাকে সুন্দর দেখায়, যখন সে রুখে দাঁড়ায়। তাই রিমান্ডগামী নেতাদের কাছে ডিমান্ড একটাই-দয়া করে কবিতা বুঝার চেষ্টা করবেন এবং আমাদেরকে হাটতে দেবেন, সুন্দর আগামীর পথে, আলোতে আর সুস্থতায়।



(মোহাম্মদ হোসেন-এর কলাম)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.