| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এম এ হাসান মাহামুদ
লেখালেখির মোটামুটি ইচ্ছে থেকেই ব্লগে ঢু মারি। ভাল লাগে বই পড়তে আর নিজের ইচ্ছে মতো লিখতে।
২৪ জুলাই তারিখকে জাতীয় ক্রীড়া দিবস হিসেবে বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া দিবস বাস্তবায়ন ও উদযাপন পরিষদ। জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বৃহস্পতিবার সকালে পরিষদের উদ্যোগে ‘২৪ জুলাই জাতীয় ক্রীড়া দিবস বাস্তবায়ন চাই’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মুক্তিযুদ্ধের ফান্ড সংগ্রহের জন্য ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে ফুটবল খেলে ‘স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল’। ১৬টি খেলায় অংশ নিয়ে দলটি মুক্তিযুদ্ধের ফান্ডে ৫ লাখ রুপি দিয়েছিল। সেই টাকায় প্রথম মুক্তিযুদ্ধের জন্য অস্ত্র কেনা হয়। তখন, ১৯৭১ সালের ২৪ জুলাই ভারতের নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর স্টেডিয়ামে ‘নদীয়া একাদশ’ দলের সঙ্গে একটি প্রীতি ফুটবল ম্যাচে অংশ নেয় ‘স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল’। ওই দিন তৎকালীন জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিয়ে পরাধীন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল স্টেডিয়ামে। এটি ছিল স্বীকৃতি ছাড়াই বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের প্রথম পতাকা উত্তোলনের ঘটণা। তাই ঘটনাকে স্মরনীয় করে রাখতে এবং ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই করে দিতে ২৪ জুলাই তারিখটিকে ‘জাতীয় ক্রীড়া দিবস’ ঘোষণা দেয়া হোক। অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সদস্য সচিব হাসান মাহামুদ।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে অসংখ্য দিবস রয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় খেলাধুলার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উপলক্ষে কোনো দিবস নেই। এই দাবি স্বাধীন দেশ হিসেবে একটি যৌক্তিক দাবি।’
সংগঠনের আহ্বায়ক হেদায়েতুল্লার সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টু, সহ-অধিনায়ক প্রতাপ শংকর হাজরা, বিবেক বার্তার সম্পাদক পি আর প্ল্যাসিড, পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক আশরাফুল ইসলাম তপন, জসীমউদ্দিন রুমান, মাহমুদুল করিম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ঘোষণা দেন, এখন থেকে প্রতিবছর দিবসটি পালন করবে পরিষদ। একই সঙ্গে আগামী ২৪ জুলাই দিবসটি উপলক্ষ্যে একটি স্মরনীকা প্রকাশ করা হবে।
অনুষ্ঠানে জাকারিয়া পিন্টু বলেন, ‘ওই সময়ে ফুটবল খেলার জন্য আমাদের পাকিস্তান সরকারের রোষানলে পড়তে হয়েছিল। কিন্তু শুধু একটি গেজেট ঘোষণা ছাড়া তারা এর স্বীকৃতি পাইনি। আমরা এখন আর টাকা চাই না, সার্টিফিকেটও চাই না। আমরা চাই ২৪ জুলাইকে জাতীয় ক্রীড়া দিবস হিসেবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে ইতিহাসে বেঁচে থাকতে।’
©somewhere in net ltd.