নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নীরব কথামালা

মুক্তমত প্রকাশের প্লাটফর্ম ব্লগ। তাই ব্লগে আসতেই হয়, ভাবনা প্রকাশে......!

এম এ হাসান মাহামুদ

লেখালেখির মোটামুটি ইচ্ছে থেকেই ব্লগে ঢু মারি। ভাল লাগে বই পড়তে আর নিজের ইচ্ছে মতো লিখতে।

এম এ হাসান মাহামুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধের রায় .....। ১৯ হাজার ৪৬৭ বর্গকিলোমিটার পেল বাংলাদেশ

০৮ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৫৮

এর আগের দুটো লেখার লিংক:

Click This Link

Click This Link





ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধে বাংলাদেশের সার্বভৌম অধিকার নিশ্চিত হয়েছে। বিরোধপূর্ণ ২৫ হাজার বর্গকিলোমিটার সমুদ্রসীমার মধ্যে বাংলাদেশ পেয়েছে ১৯ হাজার ৪৬৭ বর্গকিলোমিটার। এ তথ্য জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা বিরোধ নিয়ে আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতের (পার্মানেন্ট কোর্ট অব আর্বিট্রেশন-পিসিএ) রায় পর্যালোচনার পর মঙ্গলবার দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।



এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতের এই রায়ে উভয় দেশের সমুদ্রসীমা চিহ্নিত করেছে। উভয় রাষ্ট্রের বিজয় নিশ্চিত হয়েছে।



ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা বিরোধ নিয়ে আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতের (পার্মানেন্ট কোর্ট অব আর্বিট্রেশন-পিসিএ) রায় সোমবার বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটায় ঘোষণা করা হয়েছে।



আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতের নিষেধ্বাজ্ঞা থাকায় রায়ের বিস্তারিত তথ্য এবং এই বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া মঙ্গলবার দুপুরে জানান হয়।





পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ও মুখপাত্র সালাউদ্দিন নোমান চৌধুরী সোমবার দুপুরে দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘বাংলাদেশ-ভারত সমুদ্রসীমা মামলার রায় পিসিএ সোমবার ঘোষণা করেছে। রায়ের কপি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হাতে পেয়েছে।’



পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নেদারল্যান্ডসের রাজধানী হেগে অবস্থিত স্থায়ী সালিসি আদালতে ২০১৩ সালের ৯ থেকে ১৮ ডিসেম্বর সমুদ্রসীমা নির্ধারণের পক্ষে বাংলাদেশ ও ভারত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে।



শুনানি শেষে আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়, কার্যবিধির ১৫ ধারা অনুযায়ী, ছয় মাস পর এই দুই নিকট প্রতিবেশীর সমুদ্রসীমা নির্ধারণের রায় দেওয়া হবে।



তিন দশকের বেশি সময় ধরে আলোচনার পর মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি না হওয়ায় ২০০৯ সালের ৮ অক্টোবর সালিসি আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নির্ধারণের জন্য বাংলাদেশ জার্মানির হামবুর্গভিত্তিক সমুদ্র আইনবিষয়ক আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে (ইটলস) মামলা করেছিল। ২০১২ সালের ১৫ মার্চ ইটলস বাংলাদেশের পক্ষে রায় দেয়।



অন্যদিকে, বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নির্ধারণের মামলা করেছিল নেদারল্যান্ডসের স্থায়ী সালিসি আদালতে।



গত ১৮ ডিসেম্বর ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা মামলার শুনানি শেষ হয়। শুনানির ছয় মাসের মধ্যে রায় ঘোষণার কথা জানায় স্থায়ী সালিশি আদালত। অমিমাংসিত সমুদ্রসীমা নিয়ে প্রায় তিন বছর ধরে মামলা চলার পর রায় পেয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত। দুই দেশের জলসীমা শুরু হবে কোত্থেকে, সেটাই ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিরোধের মূল বিষয়।



এ ছাড়া ভূমিরেখার মূল বিন্দু থেকে সমুদ্রে রেখা টানার পদ্ধতি নিয়েও মতবিরোধ ছিল। সালিশি আদালত দুই দেশের উপস্থাপিত যুক্তিতর্ক এবং মেমোরিয়াল ও কাউন্টার মেমোরিয়াল বিবেচনা করে রায় দিয়েছে।



প্রতিবেশী দুটি দেশের মধ্যে সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তির আলোচনা শুরু হয় ১৯৭৪ সালে। এর পর প্রায় আড়াই দশক দুদেশের মধ্যে এ আলোচনা থেমে থাকে।



দীর্ঘ বিরতির পরে আবার সমুদ্রসীমা বিরোধের আলোচনা শুরু হয় ২০০৮ সালের শুরুতে। কিন্তু আলোচনার পরেও অগ্রগতি না হওয়ায় সালিশি আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ।



তথ্যসূত্র: thereport24.com

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:২৬

হরিণা-১৯৭১ বলেছেন: শেখ হাসিনা সাতার কাটতে পারবে

০৮ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৫১

এম এ হাসান মাহামুদ বলেছেন: হাহাহা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.