![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভারতীয় টিভি চ্যানেল গুলোতে মানুষের কূ নজর (?) থেকে বাঁচতে বলিউড ষ্টার গবিন্দকে দেখতাম তাবিজ কবজ ধারনে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে । দেখে স্বস্থি অনুভব করতাম এই ভেবে যে এখনো আমাদের চ্যানেল গুলো টাকার বিনীময়ে এইরকম দুর্বৃত্তিপূর্ণ বুজরুকি ঠকবাজি শুরু করে নাই। আজ আমাদের একটি চ্যানেলে এই অন্ধ অনুকরন দেখে আমি বিস্মিত।প্রাচীন মানুষেরা আকাশের তারাকে অলৌকিক শ্বাপদের চোখ ভেবে বিপদ থেকে বাঁচার জন্য তাবিজ ধারন করত । এখনো দেখছি তাবিজ-কবচ, তাগা, কড়ি, হস্থরেখার অলৌকিকতায় বিশ্বাসী প্রচুর মানুষ রয়েছে ।মানুষের জ্ঞানের পরিধি যত প্রসারিত হয়েছে ততোই অলৌকিকতার কুসংস্কার থেকে মুক্ত হয়েছে মানুষ ।সত্যিকার অর্থে অলৌকিকতা এখন বেঁচে আছে শুধু কিছু জ্ঞানপাপী আর অশিক্ষীত জনগোষ্ঠীর বিশ্বাসে,পূরাণে,সাহিত্যে,ইতিহাসে ।আধুনিক সভ্য মানুষ জেনেছে অলৌকিকতা কোনো প্রশ্নের জবাব দেয়না বরং নতুন নতুন প্রশ্নের জন্ম দেয় ।সৃষ্টি করে ধুম্রজাল ।আমাদের দেশে এখনো কিছু শিক্ষিত অশিক্ষিত পীর-ফকির, তাবিজ-কবচ, তাগা, কড়ি, সামুক, ঝিনুক ও গাছ-গাছালির শিকর দিয়ে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা করেন এবং এটি বৈধ ও জায়েজ মনে করেন। এ সম্পর্কে বাজারে কিছু বই পুস্তকও পাওয়া যায়, সে সব বইয়ে নির্ধারিত বিষয়ে গ্রহণ যোগ্য কোন দলিল নেই, আছে কিছু মনগড়া কিচ্ছা-কাহিনী আর অসংখ্য বানোয়াট ব্যাখ্যা। এ সব বই পড়ে কেউ কেউ বিপদাপদ, দুঃখ-কষ্ট, অভাব-অনটন, রোগ, যন্ত্রণা থেকে মুক্তি লাভের আশায় বিভিন্ন তাবিজ কবচ ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ হন । তারা এ ধরণের চিকিৎসার মূল্যায়ন ও তার বৈধতা-অবৈধতা সম্পর্কে পুরোপুরি অজ্ঞ। ফান্ডামেন্টাল অব ইসলাম বই থেকে উদ্ধৃত : যদি কেউ কোন তাবিজ অথবা নাম ফলক তার কাছে রাখে এবং ভাবে যে এটা তার কোন উপকার দিতে পারে তাহলে সে এক প্রকার শিরক্ করল কেননা এতে করে সে তাবিজ অথবা নাম ফলকের উপর নির্ভশীল হল আর সে এটা বিশ্বাস করে নিল যে এটাই তাকে রক্ষা করবে, আল্লাহ'তালা নন।সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এই ঠকবাজি থেকে সহজ সরল মানুষদের বাঁচান।
©somewhere in net ltd.