![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফেরারী জোৎস্ন্যা : হাসান মনজু
---------------------------------
গ্রহহীন চাঁদ ভবঘুরে মন উদ্বাস্তু স্মৃতির কুয়াশায়
নিঃসঙ্গ রাত একা জাগে চাঁদ ফেরারী জোৎস্ন্যায়
জল স্থল অন্তরীক্ষ অসীম শূণ্যতায়
খুঁজে নেবো আমি খেয়ালী মনের ফুল পাখি কবিতায়
হ্রদের শিয়রে ঝুঁকে পড়া চাঁদ মরালী ভালবাসায়
প্রতারক স্মৃতি নহবত বাজায় ভেঙ্গে যাওয়া জলসায
মৃত স্বপ্নের শহীদ বেদীতে যতনে যে ফুল দিয়েছো উপহার
ক্রুদ্ধ বাঘিনীর হিংস্র নখরে আলুথালু ছারখার
গণিকার কাছে ক্লান্তি সঁপেছি প্রিয়ার শূণ্যতায়
ভালবাসা প্রেম দগ্ধ করেছি নিষ্ঠুর মমতায়
হৃদয়ের রক্তমাখা গ্রহণ তুমি পূর্ণতীথির চাঁদে
খেয়ালীর ছলে রুদ্ধ করেছো কোন অচেনার ফাঁদে
এখন বাঘিনীর পীঠে, জীবন সঁপেছি কোন আঘাটার নায়ে
পাথরচাপা কষ্ট সয়েছি বিসর্জনের পথ চলেছি ক্লান্ত শ্রান্ত পায়ে
আদিক্ষেতা : হাসান মনজু
--------------------------
কে শোনে কার কথা যা হবার হলো তাই
হীরে জহরত সোনার পালঙ্ক তার সাথে নিজেও ছিনতাই
মাঝরাতে সর্বস্ব লুট
পেলাম মুক্তিপণের চিরকুট
মুক্তিপণ পরশ পাথরে সাজানো নক্ষত্রে খামার বাড়ী
কোথা পাই এত পণের কড়ি, আমার কী !
আমি নুলো ভিখিরী
চাঁদ এখন অন্য গ্রহের বাসিন্দা
খুব কাছ থেকে দেখা পুলক বাবুর প্রিয়ার মুখ নয়
ক্ষুধার রাজ্যে যন্ত্রণাক্লীষ্ট সুকান্তর ঝলসানো রুটী গদ্যময়
চাঁদকে এত মহিমান্বিত কিছুতেই আমি করতে চাইনা
তুমিতো আবার কথায় কথায় আহ্লাদে আটখানা
আদিক্ষেতায় বলে বসো আর জনমে চাঁদ হতে চাই
পাগল ! আমি কুল কিনারা ভেবে না পাই
দেখো বিরহের লেখাটি আমার ভেবেছো তো সর্বনাশ
হাজার বছর স্বশ্রম কবিতা লেখার হাজত বাস
কম পক্ষেএকশ'বছর রিমান্ড কবিদের দরবারে
কিংবা আলোকবর্ষ দ্বীপান্তর অন্য গ্রহান্তরে
উঃ বেশতো ভালই হবে
বাকস পেটরা গোছাই তবে
শক্তি বাবুর নক্ষত্র খামারে অথিতী হবো
শাড়ী চুড়ী গয়নাগাটি সবই নেবো
গোলাবাড়ি থেকে কিছু দূরে রবো সূর্যমুখী-পাড়ায়
দেখী কে আমারে ফেরায়
সঙ্গে নেবো ওস্তাদ আলাউদ্দীন খাঁ,মোজার্ট,বেতোবেন ভীমসেন যোশী
তুমিও যেতে পারো ইচ্ছে হলে যা তোমার খুশী
সাথে নেবো প্রিয় ফুল পাখি যতো
এক একটি নূতন নাম দেবো ইচ্ছে মতো
চৌরাসিয়াকেও ডেকে নেবো নবান্নের উৎসবে
বিদায় আজ যাই তবে
উল্কাদের আতশ বাজী উৎসবের শেষ ভাগে
বিসমিল্লা খাঁ সানাঈ হবে পুরিয়া ধানেশ্রী রাগে
ইচ্ছে হয় তো চিঠি দিও পূর্ণতিথীর রাতে
ওয়ান ওয়ে টিকেট পাবে ধুমকেতুর হাতে
আহ্লাদিপনা : হাসান মনজু
---------------------------
ভাগ্যিস হঠাৎ মেঘ বালিকার ক্ষুদে বার্তা
মধ্যরাতে তারাদের উড়ো চিঠি
নাহয় এমন প্রান্তর ভেসে যাওয়া জোৎস্ন্যা
আমার অজা্ন্তেই পালিয়ে যেতো
একটি একটি শব্দবাণে ভেসে যাই সাহারার ধু ধু প্রান্তরে
ডুবে যাই অথৈ অতলান্তিক সাগরে
পুড়ে খাক হয়ে যাই হঠাৎ জেগে ওঠা
মৃত ভিসুবিয়াসের ফুটন্ত লাভায়
এটা ক্ষমাহীন অবিচার
কবি আত্নস্ত হতে নাহতেই নূতন শব্দের অর্ডার কাঁড়ি কাঁড়ি
এটা ভীষণ পেল্লয় বাড়াবাড়ি
তবে কী চাও জন্মের আড়ি ?
না না প্লিজ কান মলছি বাবা, সরী
আচ্ছা ঠিক আছে তুমি থেকো আল্পসে আমি হিমালয়
মুহূর্ত অযুতাংশের পথ খুব বেশী দূরেতো নয়
আচ্ছা তিন সত্যি বাবা এই রাখলাম বাড়াবাড়ি
তবুও চিরদিন যেন নাহয় ছাড়াছাড়ি
সন্ধ্যা,গধুলী,আকাশ,মেঘ,বিজলী বজ্রবৃষ্টি
রাত,ঘুম,রিমঝিম কী অনাসৃষ্টি
চাঁদ,ফুল,জোৎস্ন্যা,নদী প্রজাপতি
মৃত জোনাকী,রংধণু প্রহর প্রহর প্রকৃতি
কী যে তোমার উদ্ভট কল্পনা
আবদার নাকি? কৃষ্ণ গহবরে আতশ বাজীর আল্পনা !
ছাড়োতো এসব আহ্লাদিপনা
ভ্রোমর পরিবার,জারুল পোকা,ঈলশে পোনা
কিছুই দেখছি রেহাই পাবেনা
©somewhere in net ltd.