নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সংগীত মানুষকে পরম সূখী করতে পারে

হাসানমনজু

পৃথিবীতে ভাল গান শুনার জন্য বেঁচে আছি।স্রষ্টা যদি কান আর চোখ এ দুটির যে কনো এক জোড়া ফেরত চায় আমি চোখ জোড়া ফেরত দেবো। হাসান মাহমুদ মনজু

হাসানমনজু › বিস্তারিত পোস্টঃ

পর্ব:তিন:একবিংশের কথোপকথন

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:০৩

পর্ব : তিন~~~~
একবিংশের কথোপকথন
হাসান মনজু~~~~
নন্দিনীর ভাব থমকানো মুখে দু' টি ভাসাভাসা চোখ উদাস যেন কোনো আকাশের লগ্ন।ঝোপ ঝাড় গাছ পালা মিলিয়ে একটা প্রকৃতির বাগান।দুপুরের পাখির ডাকে একটা ক্লান্তির সুর।পাতার ফাঁকে কাপ্তাই লেকের জল চিকচিক করছে।চিকন ডালের ডগায় নিঃশ্বাসের মত প্রকৃতির ফিকে বাতাসে দুলছে একটি গোলাপ।
=নন্দিনী,অক্ষমের লিখা উপন্যাসের মত আমার কবিতা কি এতোটাই অপাঠ্য ? এতোটাই অশ্রাব্য ?
-কেন,কি হলো আবার ?
=কবিতা শোনবে বলেছিলে ?
আজ এতো সেজেগুজে এলে ?
- দেখতে পেলে তাহলে ?
=মুখ ভার করেছে গোলাপও
যাবে বললে যেন কোথাও?
-যদি বলি একটি ছেলের আমন্ত্রণে
তাহলে কাঁদবে অভিমানে ?
কিংবা মুর্ছা অপমানে ?
=এয়ার্কি হচ্ছে ?
নন্দিনী,আমার ভেতরটা কুঁকড়ে যাচ্ছে
-যদি বলি সেই ছেলেটি তুমি
=ভয় হয় হিচককের ছবির নায়িকা না হয়ে যাও
কিছু বুঝে ওঠার আগে ঝুপ করে বুকে ছুরি বসিয়ে দাও
-ভীরু কোথাকার !
তোমার চিকিৎসা দরকার
কখনো ভাবিনি শুভঙ্কর সময় এভাবে নীল নক্ষত্রে বয়ে যাবে
গভীর রাত্তিরে ঘুম ভেঙ্গে আকাশ তারাদের মেলা সাজাবে
কারো সাথে কল্পনায় একাএকা কোনোদিন কথা বলিনি
প্রতিদিন আকাশ দেখেও আকাশ এতো সুন্দর বুঝিনি
নির্জনতা অনুভব করিনি অশরিরীর সুরে
শুনিনি কারো বাঁশী মনের নিঃসঙ্গ ঘরে
বাজেনি মনের বীণা ভৈরবী রাগীনির সুরে
অচ্ছুত ভালবাসা ছিল আলোক বর্ষ দূরে
হঠাৎ তুমি এলে ঝড়ের পাখির ব্যকুলতায়
আমার নিস্তরঙ্গ দিঘীর জলে ঢিল ছুঁড়েছো ডাকাতের নির্মমতায়
তুমি আমার সর্বনাশ করেছো শভঙ্কর
=ছিলাম অনেক দূরে
আলো,বাতাস,অন্ধকারে
একছত্র অধিকার নিলো তোমার
আর সব দোষ দিলে আমার
শুভঙ্কর ইদানিং প্রতিরাতে এক ভয়ঙ্কর দুঃস্বপ্ন আমাকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়
গভীর অন্ধকার কালো এক অশ্বারোহী আমাকে ছিনিয়ে নিতে চায়
ঘুম ভেঙ্গে কেবলই মনে হয় এই বুঝি তার হীমশীতল হাত রাখলো আমার গায়
কখনো দেখি একটা কালো ঈগল আমাকে ছোঁ মেরে উড়িয়ে নিয়ে যায়
কিছুতেই নিজেকে ছাড়াতে পারিনা
সুদূর কোনো নদীর পারে
গহীন কোনো বনের ধারে
কী গভীর নেশায় দাঁড়িয়ে থাকে এক কালোছায়া
তুমিই কি সেই অশ্বারোহী শুভঙ্কর ?
কী কথার জবাব নেই কেন ?
কথারা সব কোনো কাল বৈশাখীতে হারিয়ে গেছে যেন
=প্রগলভ আমি তোমার সামনে এলে শব্দজব্দ নন্দিনী
যুতসই পরের শব্দটা কোনোদিন খুঁজে পাইনি
-এই নাও শুভঙ্কর তোমার বিশ্বাস
স্বাক্ষী থাকুক আজ শরতের আকাশ বাতাস
=হায় হায় প্লেটে থরে থরে সাজানো এসব কী ?
-আমার রক্ত ঝড়া হৃদয়,ফুসফুস
লাগলে আরো আছে,পাবে সবই
প্লিজ এসব নিয়ে যাও
নন্দিনী, আমাকে বাঁচাও
এভাবে কেউ খাতির করলে আমি ভীষণ কুঁকড়ে যাই
দুঃখ বেদনা,মনস্তাপ,বঞ্চনা আজকাল চলে যায় আমার এসবেই
যেখানে যা পাই
-তুমি কি সেই কালোছায়া শুভঙ্কর ?
মাথাটা এবার সত্যি গেছে তোমার
স্বপ্ন কখনো সত্যি হয় ?
নন্দিনী,এ তোমার হেলুসিনেশন নিশ্চয়
না না শুভঙ্কর,এ আমার ভালবাসার স্কাল্পচার
=নন্দিনী, এ তোমার ডাঁহা মিথ্যাচার
তুমি ভালবাসা বোঝো ?
স্বপ্নে কখনো আমাকে খোঁজো ?
-ভালবাসা শব্দটাই শত্রু ভালবাসার
=ওটা বলার নয় বোধের ব্যপার
ভালবাসা অবিমিশ্র সুখ,দুঃখ,সেবা,সহচর্য আর ভক্তি
ভালবাসা আজীবন নীরবে হাত ধরে চলার সহ্যশক্তি
চলবে~~~~~~~~

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.