নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তোমার বিরহে আমি আর কাঁদি না আমার কষ্টগুলো পাথর হয়ে গেছে ভালবাসা কী জিনিস ভুলে গেছি এখন চোখে ভাল ঘুম আসে এখন খুব শান্তিতে আছি এখন আর প্রতি 24 ঘন্টা 22 ঘন্টা জাগতে হয় না আমি এখন গুড বয় তুমি আমায় পাগল বানিয়ে ছিলে এখন আর ফেসবুকে নির্ভরতা নাই তুমি আমার জীবনটাকেই বিনাশ করেছিলে কী যে কষ্ট আর যন্ত্রণায় ছিলাম আমি এখন সুস্থ আর খুব ভাল আছি আমি আমাকে আর পরিবার নিয়ে বেশ আছি আর কখনোও জানতেও চাইব না তুমি কেমন আছ? এখন আর এই দিকে পা দিতে চাই না আমি সুখী হতে চাই তোমাকে ছাড়া আমায় ঘুম ঘুম ঘুমরাণী প্রতি সন্ধ্যায় ডাকে ঐ যে আকাশ ওটাই আমার বউ ঐ যে চাঁদটা ওটাই আমার বউ তাদের নিয়ে স্বপ্ন দেখি আমি নিশ্চিত ওরা আমাকে দুঃখ দিবে না।
বদনজর বা চোখলাগা:
বদনজর কী?
নজর অর্থ চোখ বা দেখা বা দৃষ্টিপাত। যখন কেউ কোন ব্যক্তি বা জিনিসের প্রতি আশ্চর্য হয়ে কিংবা মজা করে অথবা হিংসা করে দৃষ্টি নিক্ষেপকরত: “বারাকাল্লাহ ফীকা” বা “বারাকাল্লাহ ফীহ্” বা “মা-শাআল্লাহ” দোয়া না বলে মনে মনে বা স্বশব্দে তার গুণাগুণ বর্ণনা করে, তখন শয়তান সে সময় বর্ণিত ব্যক্তি বা জিনিসের মঝে ঢুকে আল্লাহর কাওনী তথা সৃষ্টিগত অনুমতিক্রমেই ক্ষতি করে। চোখ বা দৃষ্টিশক্তি স্বয়ং নিজে কোন ক্ষতি করতে পারে না; তাইতো অন্ধ মানুষের দ্বারাও নজর লাগে। সাধারণত চোখ দ্বারা দেখার পরই দোয়া ছাড়া গুণাগুণ বর্ণনা করলে বর্ণিত ব্যক্তির সমস্যা হয় বলে বদনজর বা ইভিল আই বলা হয়।
বদনজর হলো আল্লাহ্র একটি সৃষ্টি। এটি একটি বিশেষ প্রভাব যা একজন মানুষ থেকে আরেকজন মানুষের ওপরে বিস্তার লাভ করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কারো চেহারা অত্যন্ত সুন্দর। কোন একজন লোক তার প্রশংসায় “সত্যিই তুমি কী দারুণ দেখতে!” বলে উঠল। পরদিন দেখা গেলো সুন্দর চেহারার ব্যক্তি কোন রোগে আক্রান্ত হয়ে গেছে।
বদনজর কি সত্যিই আছে নাকি স্রেফ কুসংস্কার?
বদনজর আছে। অবশ্যই আছে। কুরআনে এর দৃষ্টান্ত আছে, হাদীসে এর বিশদ বর্ণনা আছে। বদনজর বা আল ‘আইনে বিশ্বাস করা ঈমানের অংশ। যদিও এটি ঈমানের মৌলিক বিষয় নয়, তবে একে অস্বীকার করলে যে ঈমান ক্ষতিগ্রস্ত হবে তাতে সন্দেহ নেই।
কুরআন থেকে দৃষ্টান্তঃ
আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তাআলা সূরা ইউসুফে বলেন,
“তিনি (ইয়াকুব আলাইহিস সালাম) বললেন: হে আমার সন্তানেরা! (শহরে প্রবেশের সময়) তোমরা সবাই একই দরজা দিয়ে প্রবেশ করো না, বরং পৃথক পৃথক দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে। আল্লাহর কোন বিধান থেকে আমি তোমাদেরকে রক্ষা করতে পারি না, নির্দেশ আল্লাহরই চলে। তাঁরই উপর আমি ভরসা করি, আর ভরসাকারীদের উচিত তাঁর ওপরেই ভরসা করা”। [সুরা ইউসুফ আয়াত ৬৭]
ইবনে আব্বাস (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু), ইমাম মুজাহিদ (রহ), কাতাদাহ (রহ) সহ প্রথিতযশা মুফাসসিরীন এই আয়াত প্রসঙ্গে বলেন, ইয়াকুব (আলাইহিস সালাম) সন্তানদের ব্যাপারে লোকেদের বদনজর লাগার আশঙ্কা করেছিলেন, কারণ তারা স্বাস্থ্যবান ও সুন্দর চেহারার অধিকারী ছিলো। এজন্য সন্তানদের শহরে প্রবেশের সময় আলাদা আলাদাভাবে প্রবেশ করতে বলেছেন। পাশাপাশি এটাও উল্লেখ করে দিয়েছেন এসব (বদনজর) তো আসলে আল্লাহর তৈরী নিয়ম, এখানে তাঁর (ইয়াকুব আলাইহিস সালাম) কিছু করার নেই, আল্লাহর ওপর ভরসা ছাড়া। [তাফসীর ইবনে কাসীর]
আল্লাহ তা’য়ালা বলেন-
আর কাফিররা যখন উপদেশবাণী শুনে তখন তারা যেন তাদের দৃষ্টি দ্বারা তোমাকে আছড়ে ফেলবে, আর তারা বলে, ‘এ তো এক পাগল’। {সূরা আল-কলম ৫১}
হাফেজ ইবনে কাসীর রহ. ইবনে আব্বাস রাযি. এবং মুজাহিদ রহ. থেকে বর্ণনা করেন যে, (لَيُزْلِقُونَكَ) “তোমার প্রতি বদনজর দিবে।” অর্থাৎ তারা তোমাকে হিংসার প্রতিফলন ঘটিয়ে রুগী বানিয়ে দিবে যদি আল্লাহর তোমার প্রতি হেফাযত না থাকে। আয়াতটি প্রমাণ বহন করে যে, বদনজরের কুপ্রভাবের বাস্তবতা রয়েছে, আল্লাহর হুকুমে। যেমন এ ব্যাপারে হাদীসও রয়েছে। {তাফসীর ইবনে কাসীর ৪/৪১০}
হাদীসের আলোকে বদনজর:
আবূ হুরায়রাহ (রা.) হতে রাসূলুল্লাহ (সা.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি (সা.) বলেন: “বদনযর লাগা সত্য”। {সহীহুল বুখারী, সহীহ মুসলিম, হা/৫৫৯৪, ৫৫৯৫; সুনান আবু দাউদ হা/৩৮৭৯; সহীহ মুতাওয়াতির।}
মহানবী (সা.) বলেছেন, “আমার উম্মতের অধিকাংশ লোকের -আল্লাহর সিদ্ধান্ত ও ফায়সালার পরে -মৃত্যু হয় বদ-নজরে আক্রান্ত হয়ে”। {সহীহ আল জামে -৪০২২; সিলসিলা সহীহাহ্, হা/৭৪৭ ।}
আসমা বিনতে উসাইম (রাযিয়াল্লাহু আনহা) থেকে বর্ণিত যে, তিনি নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকট আবেদন করনে যে, জাফরের সন্তানদের নজর লাগে আমি কি তাদের জন্যে ঝাড়ফুঁক করব? উত্তর নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন: হ্যাঁ! কোন বস্তু যদি তাকদীরকে অতিক্রম করত তবে বদ নজর তা অতিক্রম করত। {তিরমিযী, হা/২০৫৯; সুনানে ইবনে মাজাহ, হা/৩৫০৮, সহীহ; মুসনাদে আহমদ: ৬/৪৩৮}।
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘ভাগ্যকে কোন জিনিস অতিক্রম করতে সমর্থ হলে কু-দৃষ্টিই তা অতিক্রম করতে পারত’। {সহীহ আত-তিরমিযী হা/২০৬২; সহীহহা হা/ ১২৫১-১২৫২।}
তাকদির আল্লাহ্ মানুষ সৃষ্টির পূর্বেই লিখে রেখেছেন। কিন্তু কিছু কিছু বিষয় আছে যা পরিবর্তনশীল তাকদিরের অন্তর্গত। যেমন কখন কার মৃত্যু হবে, এটা পরিবর্তনশীল।
কিন্তু প্রত্যেকেই মরবে এটা অপরিবর্তনীয় তাকদির। যাই হোক সেরকম পরিবর্তনশীল তাকদীরে কিছু কিছু জিনিস এমন আছে, যা বদল আনতে পারে। যেমন দোয়া, বদনযর, স্বপ্নের তাবীর।
বদনযর যেমন অসুস্থতার তৈরি করে সীমাহীন দুর্ভোগ আনতে পারে তেমনি মৃত্যুও ঘটতে পারে এর প্রভাবে। মৃত্যুর ব্যাপারে উম্মতের জন্য নির্ধারিত কারণের বাইরে বদনযরই সবচে বেশি কারণ হয়ে উঠবে।
যেমন: জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেন, “বদনজর মানুষকে কবরে নিয়ে যায়, আর উটকে নিয়ে যায় রান্নার পাত্রে”।
{আবু নাঈম, হিলিয়াতুল আওলিয়া; সহীহ আল জামে, হা/১২৪৯; সহীহহা হা/১২৫০; সানাদ হাসান।}
আয়েশা সিদীকা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বর্ণনা করেন, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন: “তোমরা বদ নজরের ক্রিয়া (খারাপ প্রভাব) থেকে রক্ষার জন্যে আল্লাহ তায়ালার সাহায্য প্রার্থনা কর। কেননা তা সত্য”। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হা/৩৫০৮, সহীহ}
ইমাম ইবনে তাইমিয়া বলেন, “কোন মানুষই হিংসা-বিদ্বেষ মুক্ত নয়, তবে দুষ্ট এবং মন্দ লোকেরটা প্রকাশ পায় এবং ভদ্র-ভাল মানুষেরটা প্রকাশ পায়না”। {ফাতওয়া ইবনে তাইমিয়া, কিতাবুস সুলুক ১০ম খন্ড, পৃষ্ঠা ১২২৫।}
আবু যর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বর্ণনা করেন যে, নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন: “কোন ব্যক্তির যখন নজর লাগে তখন এত বেশি প্রভাবিত হয় যে, সে যেন কোন উচু স্থানে চড়ল অতঃপর কোন নজর দ্বারা হঠাৎ করে নীচে পড়ে গেল”। {ইমাম আহমদ ও আবু ইয়ালা বর্ণনা করেছেন; শায়খ আলবানী সহীহ বলেছেন: ৮৮৯}
ইবনে আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) থেকে বর্ণিত যে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন: “বদ নজর সত্যি তা যেন মানুষকে উপর থেকে নীচে ফেলে দেয়”। {ইমাম আহমদ ও তাবরানী; আলবানী হাসান বলেছেন: ১২৫০}
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে বিশুদ্ধ সনদে এমন অনেক বর্ণনা পাওয়া যায়।
বদনজরের আলামত সমূহের অন্যতম:
বদনজর কখনো রোগের কারণ হয়, আবার কখনো সরাসরি ক্ষতি করে।
যেমন:
১। নজর লেগে কারো শরীরে জ্বর চলে আসতে পারে।
২। কোনো কারণ ছাড়াই কান্না আসা..
৩। প্রায়সময় কাজে মন না বসা, নামায যিকর ক্লাসে মন না বসা।
৪। প্রায়শই শরীর দুর্বল থাকা, ক্ষুধামন্দা, বমি বমি ভাব লাগা।
৫। চেহারা ধুসর/হলুদ হয়ে যাওয়া।
৬। বুক ধড়পড় করা, দমবন্ধ অস্বস্তি লাগা।
৭। অহেতুক মেজাজ বিগড়ে থাকা।
৮। আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধুদের সাথে দেখা হলেই ভালো না লাগা।
৯। মেয়েদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত চুল পড়া। শ্যাম্পুতে কাজ না করা।
১০। পেটে প্রচুর গ্যাস হওয়া।
১১। বিভিন্ন সব অসুখ লেগে থাকা যা দীর্ঘদিন চিকিৎসাতেও ভালো হয় না।
(সর্দিকাশি, মাথাব্যথা ইত্যাদি)
১২। হাত-পায়ে মাঝেমধ্যেই ব্যাথা করা, পুরো শরীরে ব্যাথা দৌড়ে বেড়ানো।
১৩। ব্যবসায় ঝামেলা লেগে থাকা।
১৪। আপনি যে কাজে অভিজ্ঞ সেটা করতে গেলেই অসুস্থ হয়ে যাওয়া।
১৫। ডাইরিয়া হওয়া।
১৬। নজর কখনো হৃদরোগের কারণও হতে পারে।
১৭। ফসল কিংবা গাছের ফলও নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এমনকি বাড়ী, গাড়ী, সম্পদ নষ্ট হতে পারে। ইত্যাদি ইত্যাদি!
উল্লেখিত বিষয়গুলো এমন না যে শুধু বদনজরের কারণেই এসব হয়, অন্য কারণেও হতে পারে। তবে এরমাঝে কয়েকটা থাকলে আপনি ধরে নিতে পারেন, আপনার কিছু না কিছু সমস্যা আছে। একজন মুসলিম হিসাবে আমরা রোগের অন্যান্য কারণ অনুসন্ধান করার পাশাপাশি রুকইয়ার চিকিৎসা গ্রহণ করতে সচেষ্ট হবো ইনশাআল্লাহ।
এবার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা- বদনজর থেকে বেঁচে থাকার জন্য কী করণীয়?
প্রবাদে আছে-Prevention is better than cure. অর্থাৎ রোগের প্রতিকার অপেক্ষা প্রতিরোধ উত্তম। বদনজর যদি লেগেই যায় তবে অবশ্যই রুকইয়া করতে হবে, কিন্তু লাগার আগেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা অবলম্বন করা সর্বোত্তম।
উল্লেখ্য, বদ নজর লাগার আগেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়াতে কোন দোষ নেই। এটা আল্লাহর উপর ভরসা করার পরিপন্থীও নয়। কারণ আল্লাহর উপর পরিপূর্ণভাবে ভরসার স্বরূপ হল বান্দা বৈধ উপকরণ অবলম্বন করে বদনজর ইত্যাদি থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করবে এবং সেই সাথে আল্লাহর উপর ভরসা করবে। রাসূলুল্লাহ (সা.) হাসান ও হুসাইন রাযি.-কে এই বাক্যগুলো দিয়ে ঝাড়-ফুঁক করতেন, أُعِيذُكُمَا بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لاَمَّةٍ অর্থাৎ, আমি তোমাদের উভয়কে আল্লাহ্র কালামের আশ্রয়ে রাখতে চাই সব ধরনের শয়তান হতে, কষ্টদায়ক বস্তু হতে এবং সব ধরনের বদ-নজর হতে।
(দোয়াটি এক সন্তানের জন্য পড়লে ‘উয়ীযুকা’, দুইজনের জন্য ‘উয়ীযুকুমা’ আর দুইয়ের অধিক হলে ‘উয়ীযুকুম’ বলতে হবে।) {সহীহুল বুখারী, হা/৩৩৭১ (তাপ্র)}
প্রথমত, আল্লাহ্র সৃষ্ট যেকোন অনিষ্ট এবং শাস্তি থেকে বাঁচার জন্য সাধারণ নিয়ম হচ্ছে, তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী জীবনযাপন করা, হারাম থেকে বেঁচে থাকা এবং আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা ও তাঁর পবিত্র কালাম কুরআন মাজীদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করা। বিশেষত, দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত সলাত আদায় এবং নাপাকী থেকে বেঁচে থাকা। যারা এ কাজগুলো করে থাকেন তাঁদের ওপর এমনিতেই জ্বিন, জাদু এবং বদনজরের প্রভাব অনেক কম হয়ে থাকে।
দ্বিতীয়ত, দু’আ ও যিকর। পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ সলাতের পর আয়াতুল কুরসী পাঠ, রাতে ঘুমাবার আগে আয়াতুল কুরসী ও সূরা বাক্বারার শেষ দুই আয়াত পাঠ এবং সকাল সন্ধ্যার নির্ধারিত বিশেষ যিকর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো আল্লাহ্র সৃষ্টির অকল্যাণ থেকে নানাভাবে প্রটেকশন দেয়।
এ ব্যাপারে দুটো গুরুত্বপূর্ণ হাদীস উল্লেখ করছি-
(ক) উসমান বিন আফফান (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায় তিনবার করে এই দু’আ পড়বে, কোন জিনিস তার ক্ষতি করতে পারবে না – “বিসমিল্লা-হিল্লাযী লা ইয়াদুররু মা‘আসমিহি শাইয়ূন ফিল আরদি, ওয়ালা ফিস সামায়ী, ওয়া হুয়াস সামীউল আলীম”।
[তিরমিযী, হা/৩৩৮৮, ইবনু মাজাহ, হা/৩৮৬৯, আলবানী (রহ) এর মতে হাসান]
(খ) আব্দুল্লাহ ইবনে খুবাইব (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “একদা রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাকে বললেন, ‘সকাল-সন্ধ্যায় ক্বুল হুওয়াল লাহু আহাদ (সূরা ইখলাস), ক্বুল আঊযু বিরাব্বিল ফালাক্ব (সূরা ফালাক্ব) ও ক্বুল আঊযু বিরাব্বিন নাস (সূরা নাস) তিনবার করে পড়। তাহলে প্রতিটি ক্ষতিকর জিনিস থেকে নিরাপত্তার জন্য তা যথেষ্ট হবে’।” [তিরমিযী, হা/৩৫৭৫, আবু দাঊদ, হা/৫০৮২, হাসান]
তৃতীয়ত, আমাদের দৈনন্দিন কাজকর্মে সতর্কতা অবলম্বন। এ ব্যাপারে সুন্নাহর আলোকে কতিপয় পরামর্শ উল্লেখ করা যাচ্ছে-
(i) আল্লাহ্র ইচ্ছায় ভালো কিছু লাভ করলে তা অতিরিক্ত প্রচার না করা।
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: “নিজের প্রয়োজন পূরণ হওয়া পর্যন্ত সেটা গোপন রাখার মাধ্যমে সাহায্য লাভ করো। কেননা, প্রতিটা নিয়ামত লাভকারীর সাথেই হিংসুক থাকে।” {তাবারানী}
আল্লাহ্ আমাদের যে নিয়ামতগুলো দিয়ে থাকেন, সেগুলোর ব্যাপারে তাঁর শুকরিয়া আদায় করা এবং মানুষের কাছে সেগুলো প্রচার করা থেকে বিরত থাকা। যেমন অহেতুক নিজের, নিজের সম্পদ, সন্তান, পরিবারের ব্যাপারে অন্যের কাছে প্রশংসা করা। ছেলেদের জন্য নিজের স্ত্রীর এবং মেয়েদের জন্য নিজের স্বামীর গুণকীর্তন অন্যদের সামনে করা। এগুলো বর্জন করা জরুরি।
(ii) নিজেদের ব্যক্তিগত অ্যাচিভমেন্টগুলো নিয়ে পাবলিকলি বেশি কথা না বলা। যেমন- ব্যবসায় অত টাকা লাভ হয়েছে, চাকরিতে বেতন বেড়েছে ইত্যাদি।
(iii) নিজের বা নিজের পরিবারের ভালো সংবাদ বলতে হলে তার মধ্যে যেন আল্লাহ্র যিকর থাকে সেদিকে খেয়াল করা। যেমন- “আলহামদুলিল্লাহ, পরীক্ষায় অনেক ভালো করেছি” কিংবা “আল্লাহ্র রহমতে এবছর ব্যবসায় লস হয় নি” ইত্যাদি।
এখন অন্য কেউ যদি আপনার কিছুর প্রশংসা করে, তাহলে উনি যিকর না করলে আপনার উচিত হবে যিকর করা। উদাহরণস্বরূপ কেউ বললো- ‘ভাই আপনার ছেলেটা তো অনেক কিউট!’ আপনি বলুন- “আলহামদুলিল্লাহ্” অথবা “মা-শা আল্লাহ”। মনে মনে বলুন- ‘আল্লাহ্র কাছে বদনজর থেকে আশ্রয় চাচ্ছি’।
রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেছেন: তোমাদের কেউ যখন নিজের মধ্যে অথবা তার সম্পদের মধ্যে অথবা তার ভাইয়ের মধ্যে আশ্চর্য কিছু দেখতে পায়, তখন সে যেন তার জন্য বরকতের দু’আ করে, কেননা নজর লাগা একটি বাস্তব সত্য। {সহীহুল জামে, হা/৫৫৬; সিলসিলা সহীহাহ্, হা/২৫৭২}
(iv) নিজের ছবি, ব্যক্তিগত মুহূর্ত, আনন্দের সময় ইত্যাদি ছবি তুলে বা পোস্ট করে ফেসবুকে আপলোড করার অভ্যাস ত্যাগ করা। ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রামের মতো পাবলিক জগতে এগুলোকে হাইলাইট না করা। এ পয়েন্টটাতেই সম্ভবত আমরা সবচেয়ে পিছিয়ে আছি।
বিশেষত, স্বামী-স্ত্রীর আনন্দময় মুহূর্ত, বাচ্চাদের ছবি এসব পাবলিকলি পোস্ট করলে ক্ষতির ঝুঁকি থাকে সবচেয়ে বেশি। কেবল বদনজরই না, এসব ছবির মাধ্যমে শত্রুতাবশত Black magic করার অনেকগুলো ঘটনা বিভিন্ন স্থানে ঘটেছে।
চতুর্থত, অন্যরা যাতে আমার নজর লাগা থেকে বেঁচে যায় সেজন্য করণীয়-
এ ব্যাপারে ইমাম বায়হাকী বর্ণনা করেন, আনাস (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন- "কোনো পছন্দনীয় বস্তু দেখার পর যদি কেউ বলে,
مَا شَاء اللَّهُ لَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّه
(আল্লাহ যা চেয়েছে তেমন হয়েছে, আল্লাহ ছাড়া কারো ক্ষমতা নেই) তাহলে কোনো (বদনজর ইত্যাদি) বস্তু সেটার ক্ষতি করতে পারবে না।"
অন্যের ভালো জিনিসের প্রশংসা করার সময় আল্লাহ্র যিকর রাখতে হবে। যেমন কারো ফুটফুটে সন্তান দেখে “ওয়াও! দারুণ!” জাতীয় কথা না বলে এভাবে বলা- “মাশা আল্লাহ্! আপনার সন্তানের হায়াতে আল্লাহ্ বারাকাহ দান করুন”।
সুন্দর বা মনোমুগ্ধকর কিছু দেখলে “কী সুন্দর!/হেব্বি!/অসাম!” জাতীয় এক্সপ্রেশান না দিয়ে আমরা আল্লাহ্র কাছে সেই জিনিসের বরকতের জন্য দু’আ করব। এতে করে আর নজর লাগার ভয় থাকবে না।
সোজা কথা আমাদের বর্ণনা ও প্রশংসাগুলো যেন আল্লাহমুখী হয়।
আমাদের অনেকের জীবনের অনেক সমস্যা, ছোটো থেকে শুরু করে বড়, জীবনকে একেবারে বিষিয়ে তোলার মতো অবস্থা সৃষ্টিকারী অনেককিছুই হয় যার পেছনে আমরা কোন কারণ বা যুক্তি দাঁড় করাতে পারি না। ঠিক কী কারণে আমরা এমন সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছি, ভেবে কূলকিনারা পাই না। খুঁজলে দেখা যাবে এসবের অনেককিছুই স্রেফ নজর লাগার মাধ্যমে শুরু হয়েছে। আর নজর লাগার সব রাস্তা খুলে রেখে আমরাই নিজেদের বিপদকে নিজেদের জীবনে টেনে আনছি।
এজন্য ভাই ও বোনেরা, একটু সতর্ক হোন। নিজের ভালো নিজে না বুঝলে আর কে বোঝাবে বলুন! কথাবার্তায় আল্লাহ্র যিকর বেশি বেশি করুন। তাঁর হুকুমের মধ্যে জীবন পরিচালনার চেষ্টা করুন।
আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা তাঁর সৃষ্টির সকল প্রকার অনিষ্ট থেকে আমাদের বেঁচে থাকার তৌফিক দান করুন। আমীন।
বদ নযর দু ধরণের। একটা হচ্ছে, জ্বীনের দ্বারা, আরেকটা হচ্ছে মানুষের দ্বারা। ইবনে হাজার আসকালানী বদনযরের সংজ্ঞায় বলেন, কোন উত্তম বস্তুর প্রতি যখন মন্দ স্বভাবের কেউ হিংসার চোখে তাকায় আর এর ফলে সেই মানুষ বা প্রাণী অথবা অন্য কিছুর ক্ষতি সাধিত হয়, তখন তা বদ নযর।
অর্থাৎ, হিংসা, বিদ্বেষ ও প্রবল লোভপূর্ণ দৃষ্টির মাঝে এক ধরণের অদৃশ্য বিষ রয়েছে। কোনও কোনও হাদীসে বদ নযরকে আল-হামার অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। যার অনুবাদ করলে দাঁড়ায় এমন কিছু যাতে ‘প্রাণঘাতী বিষ’ (Lethal poison) আছে।
ইবনুল কাইয়্যুম রহ. আরও চমৎকার আলোচনা করেছেন। বদনযর যে কারো দ্বারা হতে পারে, ইচ্ছেয় বা অনিচ্ছায়। তাছাড়া বদনযর মূলত অন্তরের প্রভাবে, তাই অন্ধ ব্যাক্তির দ্বারাও বদনযর হতে পারে।
উত্তম স্বভাবের কোনও ব্যাক্তির মুগ্ধতার নজরেও কখনো কখনো বদনজর পড়তে পারে। কিম্বা কিছু না দেখে কেবল বর্ণনা শোনার দ্বারা অনুপস্থিত ব্যাক্তি বা বস্তুর উপর বদনযরের প্রভাব পড়তে পারে। ফলত আমাদের সোশাল মিডিয়া বদনযরের আওতামুক্ত না।
কখনো সরাসরি দৃষ্টিপাতে, কখনো বদদোয়া বা তাবিজের মাধ্যমে, আবার কখনো ধ্যানের মাধ্যমেও হয়ে থাকে। কখনো মানুষের নিজের নজর নিজেকেই লাগে।
- নজর ইচ্ছাকৃত - অনিচ্ছাকৃত যেকোনোভাবে লাগতে পারে।
সূরা ইউসুফে দেখা যায় ইয়াকুব আ. তাঁর সন্তানদের ব্যাপারে বদনযর নিয়ে বিচলিত হচ্ছিলেন! আর আমাদের অবস্থা হচ্ছে এই যে, একটা বড়ো অংশই আমরা বদনযরের ব্যাপারে সচেতন নই। আর এই জন্য এই অদৃশ্য রোগে মৃত্যুহার বেশি।
হাদিসে স্পষ্ট ভাবে বলা আছে, বদ নযরের চিকিৎসা হচ্ছে ঝাড়ফুঁক।
আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, “কারো উপর বদনজর লাগলে নবী করীম (সা.) রুকিয়াহ (ঝাড়-ফুক) করার নির্দেশ দিতেন”। {সহীহুল বুখারী, সহীহ মুসলিম, হা/৫৬১৩ (হা.এ); মিশকাত (বাংলা, মিনা বুক হাউস), হা/৪৩২৮।}
উম্মে সালমা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার ঘরে এক মেয়ে শিশুর চেহারায় দাগ দেখে তিনি বলেছেন যে, তার চেহারায় বদ নজরের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। তাকে রুকিয়া করাও। {সহীহুল বুখারি, হা/৫৭৩৯ (তা.প্র); সহীহ মুসলিম, হা/৫৬১৮ (হা.এ)}
জিনের বদনজর মানুষকে লাগতে পারে:
আবু সাঈদ খুদরি রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আগে দু'আ করার সময় প্রথমে জিনের বদনজর থেকে পানাহ চাইতেন, তারপর মানুষের নজর থেকে পানাহ চাইতেন। পরে সুরা নাস ফালাক নাযিল হওয়ার পর এই দুটি দিয়ে দুয়া করতেন। {সুনান আত-তিরমিযী, হা/২০৫৮; সুনান ইবনে মাজাহ, হা/৩৫১১, সহীহ}
বদনজর লাগলে কী করণীয়?
চিকিৎসার প্রথম পদ্ধতি:
বদনজরের একটি চিকিৎসা পদ্ধতি হচ্ছে, কার নজর লেগেছে সেটা যদি জানা যায় তবে ঐ ব্যক্তির গোসল অথবা অযু করা পানি সংগ্রহ করে রোগীর পিঠে ঢেলে দেওয়া। এর ফলে আল্লাহ্র ইচ্ছায় রোগী আরোগ্য লাভ করবে।
বদ নজরের গোসলের পদ্ধতি
ইবনে শিহাব যুহরী বলেন, গোসলের পদ্ধতি যা আমরা আমাদের উলামাদের নিকট থেকে শিখেছি তা হলঃ যে ব্যক্তির পক্ষ হতে নজর লেগেছে তার সামনে এক পাত্র পানি দেয়া হবে। এরপর সেই ব্যক্তি পানি নিয়ে পাত্রে কুলি করবে। এরপর পাত্রে নিজের মুখ ধুবে। বাম হাতে ঢেলে ডান হাতের কজি ও ডান হাতে ঢেলে বাম হাতের কজি পর্যন্ত একবার করে ধৌত করবে, তারপর বাম হাত দিয়ে ডান কুনুই এবং ডান হাত দিয়ে বাম কনুইয়ে ঢালবে। এরপর বাম হাতে ডান পায়ে আর ডান হাতে বাম পায়ে ঢালবে। এরপর বাম হাতে ডান পায়ের হাঁটু আর ডান হাতে বাম পায়ের হাঁটুতে ঢালবে। আর সব যেন পাত্রে হয়। এরপর লুঙ্গী বা পায়জামার ভেতরের অংশ পাত্রে ধৌত করবে নিচে রাখবে না । অতঃপর সকল পানি রোগীর মাথায় একবারে ঢালবে। {ইমাম বায়হাকীর সুনানে কুবরাঃ ৯/২৫২}
এই গোসলের বিধিবদ্ধতার প্রমাণ
১।রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “নজর লাগা সত্য, যদি কোন কিছু তাক্বদীরকে অতিক্রম করতো তবে তা হতো বদ নজর। অতএব, তোমাদের মধ্যে কাউকে যখন (এর জন্য) গোসল করতে বলা হবে তখন সে যেন গোসল করে”। {সহীহ মুসলিম, হা/৫৫১৪; সুনান আত-তিরমিজী, হা/২০৬২, সহীহ]
২। আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেন যে, [নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর যুগে] নজর যে ব্যক্তি লাগিয়েছে তাকে ওযু করতে বলা হত। আর সেই ওযু করা পানি দিয়ে নজর লাগা ব্যক্তিকে গোসল দেয়া হত।" {সুনানে আবু দাউদঃ ৩৮৮০ সহীহ সূত্র}
উল্লেখিত হাদীসদ্বয় দ্বারা নজরকৃত ব্যক্তির জন্য বদ নজরকারীর ওযু ও গোসল সাব্যস্ত হয়।
চিকিৎসার দ্বিতীয় পদ্ধতি:
রোগীর মাথায় হাত রেখে নিম্নের দু'আ পড়ুনঃ
بسم الله أرقيك ولله يشفيك من كل داء يؤذيك ومن كل نفس أو عين حاسد الله يشفيك بسم الله أرقيك
অর্থঃ আল্লাহর নামে তোমায় ঝাড়-ফুক করছি। আর আল্লাহই তোমাকে কষ্টদায়ক রোগ থেকে মুক্তি দিবেন। আর সকলের অনিষ্ট ও হিংসুক বদ নজরকারীর অনিষ্ট থেকে তোমাকে আরোগ্য দিবেন। আল্লাহর নামে তোমাকে ঝাড়ছি। {সহীহ মুসলিম: ২১৮৬}
চিকিৎসার তৃতীয় পদ্ধতি:
রোগীর মাথায় হাত রেখে এই দু'আ পড়ুন:
بسم الله يبريك من كل داء يشفيك ومن شر حاسد اذا حسد ومن شر كل ذى عين
অর্থঃ আল্লাহর নামে ঝাড়ছি, তিনি তোমাকে মুক্ত করবেন এবং তিনিই প্রত্যেক রোগ থেকে তোমাকে আরোগ্য দিবেন এবং হিংসাকারীর হিংসার অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে এবং সকল বদ নজরের অনিষ্ট থেকে আল্লাহ তোমায় রক্ষা করুক। {সহীহ মুসলিম: ২১৮৬}
চিকিৎসার চতুর্থ পদ্ধতি:
রোগীর মাথায় হাত রেখে এই দু'আ পড়ুন:
اللهم رب الناس أذهب البأس واشف أنت الشافي لا شفاء إلا شفاؤك شفاء لا يغادر سقما
অর্থ: হে আল্লাহ! মানবজাতির প্রভু তার কষ্ট দূর করে দাও এবং সুস্থ করে দাও। কেবল তুমিই রোগমুক্তির মালিক তোমার চিকিৎসা ব্যতীত আর কোন চিকিৎসা নেই তুমি এমন সুস্থ করে দাও যেন কোন রোগ না থাকে। {সহীহুল বুখারী কিতাবুত ত্বিব}
চিকিৎসার পঞ্চম পদ্ধতি:
বদনজরের রোগীর ব্যথার স্থানে হাত রেখে নিম্নের সূরা গুলো পড়ে রুকিয়া করবে: সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস
এ ছাড়াও অনেকরকম দু’আ ও আমল আছে যেগুলো দ্বারা বদনজরের চিকিৎসা করা হয়ে থাকে। বদনজরের রুকইয়া সম্পর্কে জানতে নির্ভরযোগ্য রাক্বীর (যিনি রুকইয়া করেন) শরণাপন্ন হতে হবে।
©somewhere in net ltd.