নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯০১০ । ব্রাজিলের একটি গ্রাম । অনাবৃষ্টিতে খড়খড়ে জীবন স্থবির প্রায়। চাষবাস বলতে আখের চাষ । প্রায় জনমানব শূন্য জনপদ। একটি পরিবারের সবাই মিলে আখের রস থেকে গুঁড় তৈরি করছে । এ করেই কাটছে দিনমান।
শুধু বিঘে দুই ......
জমি । এক টুকরো জমি তাই নিয়ে চলছে জন্ম জন্মান্তরের রক্তের হলি খেলা দুই পরিবারের । অভাবনীয় এক ফয়সলা হয়েছে এই দুই পরিবারের মাঝে । জমি ভাগাভাগি নিয়ে নয়, বরং কিভাবে খুনাখুনি হবে তা নিয়ে । খুন করা হবে নিয়ম মেনে। আর এই নিয়মের ব্যাপারে তারা বেশ শ্রদ্ধাশীল । পরিবারের শেষ খুনি পরবর্তীতে খুন হবে, শুধু ঈশ্বরই তাকে বাচাতে পারেন । আর অপর পক্ষ শুধু তাকেই খুন করবে অন্য কাউকে নয়। সবচেয়ে আশ্চর্য, ভুক্তভুগি পরিবার ও খুনি পরিবার একসাথে সদ্য খুন হওয়া ব্যাক্তির শেষকৃত্যে ও অংশগ্রহন করে !!!
রক্তের রঙে রাঙা শার্ট ।
শার্টটা তারে ঝুলছে । লাল রক্ত শুকিয়ে হলুধ হয়ে যাচ্ছে । রক্তের রঙ যত ধূসর হচ্ছে, কারো ঘড়ির কাঁটা ততই মৃত্যুর দিকে এগুচ্ছে ।
দুই ভাই ।
বয়স ১২ কি ১৩ । পড়তে জানে না । কিন্তু সপ্নের রাজকুমারী যে বইটা উপহার দিয়েছে সেটা সহজেই পড়তে পারছে । বইয়ে অনেক ছবি । সমুদ্রের রঙিন মাছ, মৎস্যকন্যা আরও কত কি। ওয়ান্ডারল্যান্ডে কল্পনার জগত ধরে হেঁটে চলছে আর ফ্যান্টাসি সব গল্প বুনে চলছে অবিরত ।
বাস্তবে ফিরলেই হারাতে চলা প্রিয় মানুষটির মুখ সামনে চলে আসে । তাকে বাঁচানোর কোন গল্প বুনতে পারেনা। কিন্তু একদিন ঠিকই একটা উপায় খুজে পায় । বিশ্বাস, ঠিকই বাঁচিয়ে দিবে প্রিয় মুখটি । ফ্যান্টাসি গল্পের মতো, কিন্তু বাস্তব এবং সত্যি সত্যি ।
বড় ভাই । বয়স ২০ । সাহসী, পরিবারের প্রতি দায়িত্ববান । এই বিড়ান ভূমিতে ভালবাসা খুজে পায় নি এখনো ।
হাতে সময়ও নেই অতটা । এক পা দু পা করে হেঠে চলছে মৃত্যুর খুব কাছাকাছি । হটাৎ দেখা সার্কাসের মেয়েটার সাথে ।
সে বাঁচতে চায়, কিন্তু মৃত্যুর পরওয়ানা তার হাতে । কিন্তু বিধাতা এখনো লিখে চলেছেন তার জীবন কাহিনি । সে জানেনা, মৃত্যু দেবতা কাছেই, কিন্তু অন্য কোথাও ব্যাস্ত ।
কারিগর
ওয়াল্টার সালেস । ব্রাজিলের সিনেমার জীবন্ত কংবাদন্তি । মটরসাইকেল ডায়েরী, অন দ্য রোড, সেন্ট্রাল স্টেশন এর মত সিনেমার নির্মাতা ।
গল্প বলেন না সেলুলয়েডে কাব্য রচনা করেন। “ Behind the Sun” এটা তার অনবদ্য কাব্য । উপরের দৃশ্যপট গুলোকে ঐ কাব্যে বুনেছেন তিনি অনেক যত্ন সহকারে।
টোরেন্ট ডাউনলোড
২২ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:২২
হাসান রাজু বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ । সাহস পেলাম । আর অবশ্যই দেখবেন । আশা রাখি ভালো লাগবে ।
২| ২২ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:০২
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: দেখে নেব সময় করে।
আপনি রিভিউ ভাল লিখেছেন
২২ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:২৩
হাসান রাজু বলেছেন: অবশ্যই দেখবেন । ভালো লাগবে নিশ্চয়ই।
খুব ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য । সাহস বাড়ছে আমার।
অশেষ ধন্যবাদ ।
৩| ২২ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:০৪
মাঝিবাড়ি বলেছেন: আগামী কাল বৃহস্পতিবার রাতে দেখবো!
২২ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:২৬
হাসান রাজু বলেছেন: ওরে বাপ । একেবারে দিন তারিখ ঠিক করে ফেলেছেন । গর্ববোধ করছি ।
শুভেচ্ছা রইলো । ভালো থাকবেন । আর জানিয়ে যাবেন কেমন লাগলো মুভিটা ।
৪| ২২ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৪
জাহিদ হাসান বলেছেন: ++++++++++
না দিয়ে পারলাম না।
২২ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪০
হাসান রাজু বলেছেন: খুব ভালো লাগলো । মুভি দেখেছেন কি? না দেখে থাকলে দেখে ফেলুন।
ভালো ভালো ভালো থাকুন । সব সময় । অশেষ ধন্যবাদ + এর জন্য।
৫| ২৩ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৫৪
অগ্নিবেশ বলেছেন: জাহিদ ভাই, আপ্নে না শরীর দুলানো নাচ পছন্দ করেন না। এর সব ভাজ দেখানো চিনেমা কেন দেখপেন?
২৩ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৬
হাসান রাজু বলেছেন: জাহিদ ভাই, সামলান।
৬| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:২৯
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
শেষের লাইনের আগের লাইনে অনবদ্য হবে শব্দটা।
ছবিটা একদিন দেখবো।
কেমন আছেন ?
০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৪৯
হাসান রাজু বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন। বানান ভুল করায় আমার তুলনা হয় না।
ছবিটা দেখতে পারেন। আমার অনেক প্রিয় একটা মুভি।
ভাল আছি। ভাল থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৪
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: মুভি রিভিউ ভাল লাগল। ছবিটি দেখার আশা রইল।