নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খোয়াই পাড়ের রাজু ।

হাসান রাজু

ডুব দিয়ে দিয়ে স্বপ্ন তুলে আনি ।

হাসান রাজু › বিস্তারিত পোস্টঃ

"Life is beautiful" যে সিনেমা দেখতে হয় । (মুভি রিভিউ\'র চেষ্টা।)

২৮ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৮

আমার নাম উচ্চারন করলেই আমি আর থাকি না । আমি তবে কে?



কিছু মানুষ আছেন যারা এই পৃথিবীতে এসেছেন এর সৌন্দর্য উপভোগের জন্য । যুদ্ধ, ফ্যাসাদ, ঘৃণা, হিংসা তাদের সুন্দর একটা দুনিয়া দেখার পদ্ধতিটাকে বাধা দিতে পারেনা । সবাই যেখানে খারাপ কিছু দেখে, তারা সেখান থেকে ভালটাকে খুঁজে এনে উপস্থাপন করেন । এদের সান্নিধ্য একটা পজেটিভ আবাহ তৈরি করে ।অশান্তির এই ধরণীকে উপভোগ করার একটা বিশেষ ক্ষমতা তাদের আছে, তাই তাদের আরও কয়টা দিন বেশী বেচে থাকার আকাঙ্খাটা তীব্র ।



Life is beautiful
গুইডো জীবিকার তাগিদে শহরে আগমন ইতালিতে। ইচ্ছে বইয়ের দোকান দিয়ে বেকারত্বের অবসান করা । কিছু দাপ্তরিক ঝামেলা আছে । ততদিন চাচার রেস্টুরেন্টে ওয়েটারের চাকরি । চালচলন দেখে বুঝা যায় জীবনে কোন সমস্যাই সমস্যা না । হাতের কাছেই সব সমস্যার সমাধান রয়েছে তার । যদিও নিজের অজান্তেই তৈরি করে ফেলে কিছু হাস্যকর সমস্যা ।

ডোরা যে গুইডোর মতে শাহজাদী । আসলে তার মত চালচুলোহীনের তুলনায় শাহজাদীই । একজন শিক্ষিকা । সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে, একজন সিভিল সারভেন্টের স্ত্রী হতে যাচ্ছেন। প্রথম দেখার পর থেকে গুইডোতে মুগ্ধ ।

গুইডোর তীক্ষ্ণ বুদ্ধি, বিচক্ষণতা আর চটপটে স্বভাব ডোরাকে আচ্ছন্ন করে রাখে । সে তার বর্তমান সম্পর্কের ইতি টেনে গুইডোর সাথে ঘর বাঁধতে চায় । এই সমস্যার সমাধান ও একমাত্র গুইডোই করতে পারে বিশ্বাস ডোরার । তাই বিয়ের আসরে “আমাকে এখান থেকে দূরে নিয়ে চলো” ডোরার এমন হঠকরি আবদারে সাড়া দেয় গুইডো ।

Life is too beautiful
পাঁচ বছর পর । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এর অস্থিরতা চলছে । যোশয়া , গুইডো আর ডোরার ছেলে । ভালবাসা আর আদরে বেড়ে চলা আর দশটা বাচ্চার মত পশ্নবানে মাত করে চলে বাবা গুইডোকে । গুইডোর বুদ্ধিদীপ্ত উত্তর তাকে ইহুদী বিদ্বেষী অসুন্দর পৃথিবীটাকে সুন্দরভাবে দেখতে শেখায় ।

ছেলেখেলা শুরু, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে গুইডো আর যোশয়াকে নৎসি বাহিনী তাদের বন্দীশালায় বন্দী করা হলে ।

সবসময় শুনে আসা নৎসি বাহিনীর বন্দীশালার মত এটি নয় । যোশয়াকে এখানে একটা খেলায় অংশ গ্রহন করতে হবে । অনেক নিয়ম কানুনের মধ্যদিয়ে এ খেলা খেলতে হবে । যোশয়াকে তার বাবা সময় সময় নিয়ম গুলো বুঝিয়ে দেবেন । জিততে পারলে পুরস্কার হিসেবে থাকছে একটা ট্যাংক । একেবারে আসল ট্যাংক ।

যোশয়া অনেকদিন শুধু ভেবেছে এমন একটা ট্যাংকের কথা । সে খুবই উৎসুক আজ । যোশয়াকে এ খেলায় জিততেই হবে । খেলাটা খুব কঠিন নয় । লুকোচুরি খেলা । কয়টা চিৎকার করে কথা বলা ইউনিফর্ম পরা লোকদের থেকে নিজেকে লুকিয়ে রাখা । যোশয়া আগে এ ধরনের খেলা খেলেছে বাড়িতে । মা তাকে খুঁজে বের করতে পারতো না । সে জিতবেই ।

খেলাটা সময় সাপেক্ষ তাই বিরক্তিকর ও । অতিষ্ঠ হয়ে কয়েকবার খেলা ছেড়ে চলে যেতে চেয়ে ছিল । কিন্তু বাবার অনুরোধে আর জয়ের এত কাছে এসে ছেড়ে চলে যেতে পারেনি যোশয়া ।

তখন পর্যন্ত তার পয়েন্টই সব চেয়ে বেশী ছিল যে ।

ধর্য্য আর বুদ্ধিমান বাবার কৌশলে শেষ পর্যন্ত যোশয়া জিতে যায় খেলাটি সাথে সাধের ট্যাংকটা ।

পুরস্কারের সামনে দাঁড়িয়ে বিজয়ের আনন্দে উত্তেজিত যোশয়া ।

পুরস্কার হিসেবে পাওয়া নিজ ট্যাংকে বসা যোশয়া ।

মায়ের সাথে বিজয়ের আনন্দ ভাগ করছে যোশয়া ।

আমার রিভিউটা পড়ে মনে হতে পারে খুবই সাদাসিধে একটা গল্প । কিন্তু তার আগে কয়টা বিষয় জেনে নিন ।
যেকোন বেষ্ট সিনেমা লিস্টে যান । এই সিনেমা টপ ১০ টি সিনেমার মধ্যে পাবেন ।
চারটি ক্যাটাগরিতে অস্কার জেতে এই সিনেমা ।

তাই এটা সাধারন না অসাধারণ একটা সিনেমা ।

সিনেমার নায়ক, পরিচালক আর গল্পকার একই ব্যাক্তি, এটি আমার কখনই ভালো লাগে না । এমন মাল্টি - টাস্কার সব সময় কেমন জানি স্বার্থপর আর আত্ম অহংকারী টাইপের মনে হয় । কিন্তু রবার্টো বেঞ্জিনি লোকটাকে আমার ভালো লেগে গেছে । তার অভিনয় , পরিচালনা আর অসাধারন গল্প আমাকে মুগ্ধ করেছে ।

যারা এই সিনেমাটি দেখে ফেলেছেন জানি তারা বলবেন, অসাধারন সিনেমা । কিন্তু যারা দেখেননি । আর আমার রিভিউটি পড়েছেন , আর ভাবছেন খুবই সাধারন গল্প । তাদের আশ্বস্ত করছি ছবিটি দেখে ফেলুন । আমার মুভি রিভিউ লেখার হাত খুবই কাচা , মুভি দেখলেই তা বুঝতে পারবেন ।
টানা দুই ঘণ্টা সময় বের করে কোন বিরতি ছাড়া দেখবেন । এবং অন্তত আমাকে একটা ধন্যবাদ দিতে বাধ্য হবেন । চ্যালেঞ্জ থাকল । সবাইকে ধন্যবাদ ।

আরেকটা ব্যাপার । সিনেমাটি ১০০ ভাগ বিশুদ্ধ । কোন ধরনের নোডিটি কিংবা বীভৎস দৃশ্য নেই । তারপরও একা দেখাটাই ভালো ।
হ্যাঁ । প্রথমেই যে ধাঁধাটা দেয়া আছে, সেই ধাঁধার উত্তরটা সিনেমাতে আছে ।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: অসাধারন মুভি।

২৮ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৮

হাসান রাজু বলেছেন: ঠিক । ধন্যবাদ ।

২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৩১

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: দেখার ইচ্ছে রইল।

২৮ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০২

হাসান রাজু বলেছেন: দেখে ফেলুন । ভালো লাগবেই । ধন্যবাদ ।

৩| ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:১২

বার্ণিক বলেছেন: অবাস্তব কাহিনীর ছবি।

২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৫৩

হাসান রাজু বলেছেন: সত্যি বলতে আপনার এমন মন্তব্যের জন্যই অপেক্ষা করছি।
আমার রি। উয়ে না যাওয়াই ভালো। বরং ডাইরেক্টরের হাতের ট্রফিটা দেখুন।অস্কারের সেরা বিদেশী সিনেমার পুরস্কার হাতে।কান পুরস্কার ও হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি এই সিনেমা দিয়ে। আর সর্বকালের সেরা ছবির লিস্টে এই সিনেমা না থাকলে লিষ্টটা নিয়েই প্রশ্ন জাগবে।
অবাস্তব তো দূর, সিনেমা দেখে বাকরুদ্ধ হয়ে যাবেন। দেখে ফেলুন ।
অশেষ ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৪| ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:১৮

সিনবাদ জাহাজি বলেছেন: ভালো রিভিউ।
ইচ্ছে জাগছে দেখার

২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৩৮

হাসান রাজু বলেছেন: দেখে ফেলুন। অনুরোধ, দেখে আাবার ফিরবেন। রিভিউ'র ব্যাপারে একটা মন্তব্য করে যাবেন। ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।

৫| ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৫৪

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

ভালো চেষ্টা করেছেন। অনেক আগের দেখা। ছবি আর আলোচনা দেখে মনে করা চেষ্টা করলাম। সুন্দর একটি মুভি!

২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:০৪

হাসান রাজু বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ। মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। আসলেই খুব ভালো সিনেমা। আবারো ধন্যবাদ।

৬| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৪৩

দারাশিকো বলেছেন: এই সিনেমাটা মজায় ভর্তি। মেরি'র নাম ধরে ডাকা আর চাবি পাওয়ার দৃশ্যটা এই মুহুর্তে চোখে ভাসছে। আর দুজনে মিলে একটি ঘরের মধ্যে ঢুকে তিনজন হয়ে বের হয়ে আসাটা। মনে করিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

ইয়ে, বাংলাদেশী সিনেমা নিয়ে যদি কখনো লিখেন, তাহলে বিএমডিবি-তে আমন্ত্রন রইল।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:২৫

হাসান রাজু বলেছেন: দুঃখিত, দেরী করে উত্তর দেয়ার জন্য ।
ঘুরে আসলাম আপনার সাইট । খুবই সুন্দর সাজিয়েছেন।
অনেক বাংলা সিনেমা দেখেছি জীবনে, ভালো-মন্দ, শ্লীল-অশ্লীল, মৌলিক কিংবা নকল। দেখি লেখা সাজাতে পারি কি না।
বিভিন্ন সময় আপনার ব্লগ, আপনার নামে সাইটে ঢুঁ দিয়েছি । তাতে আপনাকে যতটুকু জেনেছি তাতে আপনার আমন্ত্রন কিভাবে উপেক্ষা করি।

৭| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:০৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
২য় বিশ্বযুদ্ধের যে ভীবিষীখা তার থেকে অনেক সুন্দর ছবি এটি।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:১৯

হাসান রাজু বলেছেন: হয়ত । প্রথম দেখার পর মনটা ভেঙে গিয়েছিল । আমার দেখা সবচেয়ে হৃদয় ভেঙে দেয়া সিনেমা এটা। খুব কষ্ট পেয়েছিলাম এটা দেখে।

৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: মুভিটা খুব কঠিন হ্রদয় মানুষের চোখেও পানি এনে দিবে।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩২

হাসান রাজু বলেছেন: এতো যত্ন করে গুছিয়ে বানানো খুব কম সিনেমাই আছে। সিনেমাটা দেখার পর ঘোর কাটাতে ও প্রচুর সময় লাগে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.