![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মার্টিন
রাম বামের সুশীল দালালেরা সমস্বরে এখন চেঁচাচ্ছে, রাজনৈতিক ইস্যুতে ধর্মের ব্যবহার ও প্রভাব দেশে ভয়ানক দূর্যোগ ডেকে আনবে।
শাপলা চত্বরে হেফাজতিরা সেদিন সরকার পতনের ডাক দিয়ে জড়ো হয়নি। তারা জড়ো হয়েছিল মূলত ধর্মদ্রোহীদের বিচারের দাবিতে। যারা আল্লাহ, রাসূল ও ইসলামকে অবমাননা করেছে তাদের বিচারের দাবিতে।
সেদিন তাদের দাবিকে দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর দাবি হিসেবে না দেখে, সরকার রাজনৈতিকভাবে মূল্যায়ন করেছিল। সংখ্যাগুরুদের সংখ্যালঘু বানানোর অপচেষ্টা করা হয়েছিল। গভীর রাতে তাদের কেউ কেউ ঘুমন্ত, কেউ কেউ ছিল ইবাদতরত। তাদের উপর গণহত্যা চালানো হল শুধুমাত্র রাজনৈতিক বিবেচনায়।
গ্রাম বাংলার সাধারণ মানুষদের যে দুই-চারজন কমিউনিস্টদের নাম শুনছে তারা কমিউনিস্ট মানে একটাই বুঝে "নাস্তিক" কমিউনিস্টরা এই কারণে কখনোই বাংলার সাধারণ মানূষের মধ্যে ঘুরে দাড়াতে পারবেনা কারণ সাধারন মানুষ প্রথমেই বলে উঠবে "তুই নাস্তিক"।।
হেফাজত যেভাবে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে , যদি আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে গো হারা হারানো যায় এরপর হয়তো আওয়ামীলীগ কোনদিনই মাথা তুলে দাড়াতে পারবেনা। এদেরকেও কমিউনিস্টদের অবস্থা বরণ করতে হবে।। আওয়ামীলীগ শুনলেই মানুষ বলে উঠবে "তুই নাস্তিক' ।।
ভোটে জেতার পর ধর্ম অবমাননা করে বক্তব্য, ধর্মীয় নেতাদের হত্যা, ধর্ম পালনে বাধা দেয়া, মসজিদে গুলি চালানো সব করবে আবার নির্বাচনের ঠিক আগে তসবী হাতে, মাথায় হিজাব পড়ে সাধারণ মানুষের সহানুভূতি আদায় এসব আর পাত্তা পাবেনা।।
যাই হোক, সেদিনের আশায় আছি যেদিন আওয়ামীলীগার নামের কাউরে দেখলে অবাক হয়ে এমনভাবে তাকাবো যে, "বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া ডাইনোসোর যুগের কোন একটা অদ্ভুত জীব দেখছি"
©somewhere in net ltd.