নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি- হাসান জাকির। অজ পাড়াগাঁয়ে বড় হয়েছি। কিন্তু জীবিকার তাগিদে শহুরে জীবনে আটকা পড়ে আছি। কাজ করছি- স্বাস্থ্য সেবা খাতে। ভালবাসি নিজেকে- নিজের পরিবারকে, দেশকে- দেশের মানুষকে। সারাদেশে ঘুরে বেড়ানো আমার নেশা।

হাসান জাকির ৭১৭১

জীবনের জন্য কাজ, জীবের জন্য ভালবাসা।

হাসান জাকির ৭১৭১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর টর্চার সেলে ধর্ষণ ও নির্মম নির্যাতন......(আজকের দৈনিক সমকাল থেকে সংগৃহিত)

১৬ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:২০

একাত্তরের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ঢাকা শহরে হত্যাযজ্ঞ ও নির্যাতনের মধ্য দিয়ে বর্বরতার যে দৃষ্টান্ত তৈরি করেছিল, পরে যুদ্ধের নয় মাসে তা বিস্তৃত হয় সারা বাংলায়। সেই সময়কার প্রতিটি জেলা ও মহকুমা শহরে একের অধিক নির্যাতন কেন্দ্র (টর্চার সেল) তৈরি করা হয়েছিল। তখন জেলা ছিল ১৯টি, মহকুমা ৬২টি এবং থানা ৪৮০টি। এই সব জেলা, মহকুমা ও থানা যুদ্ধের ২৭০ দিন পাকিস্তানিদের দখলে ছিল। দখলকৃত থানাগুলোরও প্রতিটিতে কম করে একটি করে চিহ্নিত টর্চার সেল ছিল বলে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন দলিলপত্র থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়। ইউনিয়ন থেকে গ্রাম-গঞ্জেও হামলা চালাত সেনারা। সেনাদের তত্ত্বাবধানে রাজাকার বাহিনী গড়ে তোলা হয় গ্রাম-গ্রামান্তরে এবং রাজাকাররা গ্রামের স্কুল-মাদ্রাসাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্প স্থাপন করে। রাজাকার ক্যাম্পগুলোও ছিল একেকটি নির্যাতন কেন্দ্র। সর্বত্র ব্যাপক লুটপাট, হত্যা ও নির্যাতন চালানো হতো। পাকিস্তানি সেনাদের মদদে তাদের এ দেশীয় দোসররা প্রভাবশালী বাঙালিদের বাড়ি-ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল করে নেয়। সাধারণ মানুষদের টর্চার সেলে এনে নির্মম নির্যাতন চালানো হয়। নারীদের দিনের পর দিন বন্দি করে রাখে এবং ধর্ষণ ও নির্যাতন চালায়।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বিভিন্ন বইপত্র এবং মুক্তিযুদ্ধোত্তর সময়ে প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদপত্রে সেই সব টর্চার সেলের কিছু বর্ণনা রয়েছে। পাওয়া যায় টর্চার সেলে নির্যাতিতদের স্মৃতিচারণও। তবে টর্চার সেলের সংখ্যাটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির সমকালকে বলেন, যেখানেই পাকিস্তানিরা ক্যাম্প করেছিল, সেখানেই টর্চার সেল ছিল। পাকিস্তানি সেনারা মূলত সার্কিট হাউস ও ডাকবাংলোতেই ক্যাম্প করত। সব সেনানিবাস ছিল টর্চার সেল। সেনানিবাসগুলোতে ধরে আনা নারী-পুরুষ সবাইকে অমানুষিক নির্যাতন করা হতো। নারীদের আটকে রেখে দিনের পর দিন ধর্ষণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর সারাদেশে বধ্যভূমির তালিকা তৈরি করা হলেও টর্চার সেলের তালিকা হয়নি। তবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হচ্ছে। বিচার প্রক্রিয়া শেষ হলে অনেক অজানা তথ্য ও টর্চার সেলের সংখ্যা বের হয়ে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। তিনি বলেন, বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে গবেষকরা ধারণা করছেন, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের দীর্ঘ নয় মাসে কমপক্ষে ২০-২৫ লাখ মানুষকে টর্চার সেলে ধরে এনে নির্যাতন করা হয়েছিল।

একাত্তরে যেসব স্থানে বাঙালিদের ধরে এনে নির্যাতন করা হতো, স্বাধীনতার পর বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতাকারীরা ওই দুঃসহ নির্যাতনের কেন্দ্রগুলোর চিহ্ন মুছে দিয়েছে। কতগুলো নির্যাতন কেন্দ্র ছিল তার কোনো হিসাব

নেই মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কাছেও। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, টর্চার সেলের সংখ্যা জানা নেই এবং এগুলো সংরক্ষণের কোনো উদ্যোগও নেওয়া হয়নি। তবে ভবিষ্যতে এ নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার জ্যেষ্ঠ সমন্বয়ক সানাউল হকের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ওই সব টর্চার সেলের সংখ্যা কত ছিল তদন্ত সংস্থা এখনও নিশ্চিত করতে পারবে না। তবে ৬২টি মহকুমার প্রায় সবক'টিতেই টর্চার সেল ছিল। শুধু তাই নয়, যুদ্ধের সময় বাংলাদেশের অধিকাংশ এলাকাতেই পাকিস্তানি সেনারা ক্যাম্প বানিয়েছিল। কোথাও কোথাও হয়তো যুদ্ধের পুরো সময় ক্যাম্প ছিল না। সেখানকার ডাকবাংলো, সার্কিট হাউস, টাউন হল, স্কুলঘরসহ বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নিয়ে পাকিস্তানি সেনারা স্বেচ্ছায় টর্চার সেল করেছিল।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গবেষক ও যুদ্ধকালীন খুলনার সাব-সেক্টর কমান্ডার এএসএম সামসুল আরেফিন সমকালকে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষকে শারীরিক, মানসিক ও অর্থনৈতিকভাবে নির্যাতন করা হতো। যেখানে পাকিস্তানি সৈন্য, আল-বদর ও রাজাকারদের ক্যাম্প ছিল, সেখানেই টর্চার করা হতো। তিনি বলেন, তখন দেশটাই ছিল বন্দিশালা। শহর ও গ্রামে-গঞ্জের প্রত্যন্ত এলাকায় বাঙালিরা নির্যাতনের শিকার হয়েছে।

এ নির্যাতনের মাত্রা ছিল ব্যাপক ও ভয়াবহ। নির্যাতনের ধরন ছিল বিভিন্ন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্রের অষ্টম খণ্ডে পাকিস্তানি সৈন্যদের নির্যাতনের বেশ কিছু বিবরণ নথিবদ্ধ করা হয়েছে প্রত্যক্ষদর্শী ও নির্যাতনের শিকারদের জবানিতে। নির্যাতনের জন্য অধিকাংশ ক্ষেত্রে যে পদ্ধতি পাকিস্তানি সামরিক কর্মকর্তা ও সাধারণ সৈন্যরা গ্রহণ করত তা হচ্ছে-১. অশ্লীল ভাষায় গালাগালি, সেই সঙ্গে চামড়া ফেটে রক্ত না বেরুনো পর্যন্ত শারীরিক প্রহার ২. পায়ের সঙ্গে দড়ি বেঁধে ঝুলিয়ে রাখা, বেয়নেট দিয়ে খোঁচানো ও রাইফেলের বাঁট দিয়ে প্রহার ৩. উলঙ্গ করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা উন্মুক্ত স্থানে দাঁড় করিয়ে রাখা ৪. সিগারেটের আগুন দিয়ে সারা শরীরে ছ্যাঁকা দেওয়া ৫. হাত ও পায়ের নখ এবং মাথার ভেতরে মোটা সুচ ঢুকিয়ে দেওয়া ৬. মলদ্বারের ভেতরে সিগারেটের আগুনে ছ্যাঁকা দেওয়া, বরফ খণ্ড ঢুকিয়ে দেওয়া ৭. চিমটি দিয়ে হাত ও পায়ের নখ উপড়ে ফেলা ৮. দড়িতে পা বেঁধে ঝুলিয়ে মাথা গরম পানিতে বার বার ডোবানো ৯. হাত-পা বেঁধে বস্তায় পুরে উত্তপ্ত রোদে ফেলে রাখা ১০. রক্তাক্ত ক্ষতে লবণ ও মরিচের গুঁড়া ছড়িয়ে দেওয়া ১১. নগ্ন ক্ষতবিক্ষত শরীর বরফের স্লাবের ওপর ফেলে রাখা ১২. মলদ্বারে লোহার রড ঢুকিয়ে বৈদ্যুতিক শক দেওয়া ১৩. পানি চাইলে মুখে প্রস্রাব করে দেওয়া ১৪. অন্ধকার ঘরে দিনের পর দিন চোখের ওপর তীব্র আলোর বাল্ব জ্বালিয়ে রেখে ঘুমোতে না দেওয়া ১৫. শরীরের স্পর্শকাতর অংশে বৈদ্যুতিক শক প্রয়োগ প্রভৃতি। এ ছাড়া যৌন নির্যাতনের ক্ষেত্রেও ভয়ঙ্কর নৃশংসতার পরিচয় দিয়েছে পাকিস্তানি সৈন্যরা।

বাড়ির পুরুষ সদস্যদের নির্যাতন বা হত্যার পর নারীদের তুলে নিয়ে বন্দি করা হতো অস্থায়ী সেনা ক্যাম্পে। সেখানে তাদের ওপর দিনের পর দিন পাশবিক নির্যাতন চালাত সেনা কর্মকর্তারা। নারী নির্যাতনের সঙ্গে যুক্ত হয় পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগী স্থানীয় দালাল রাজাকার, শান্তি কমিটি, আলবদর ও আলশামস বাহিনীর সদস্যরা। সম্ভ্রমহানির পর নারীদের অনেককেই হত্যা করা হয়েছে। নির্যাতন ও ধর্ষণজনিত কারণে অনেকেই মারা যান। বিজয়ের পর ডিসেম্বরের শেষ দিকে বিভিন্ন পরিত্যক্ত সেনা ক্যাম্প ও বাঙ্কার থেকে অসংখ্য নির্যাতিত নারীকে উদ্ধার করা হয়েছিল। শুধু বীভৎস যৌন নির্যাতন চালিয়ে ওরা ক্ষান্ত হয়নি, ছুরি দিয়ে ধর্ষিতার স্তন কেটে নেওয়া হতো। শরীরের পেছনের মাংস কাটত। গোপনাঙ্গ ও গুহ্যদ্বারে ছুরি চালিয়ে অট্টহাসিতে ফেটে পড়ত। স্বাধীনতার পর বিদেশি লেখক সুসান ব্রাউন মিলার তার বইয়ে উল্লেখ করেন, কোনো কোনো নারীকে পাকিস্তানি সেনারা এক রাতে অগনিত বার ধর্ষণ করেছে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গবেষক ডা. এম এ হাসানের বইয়ে উল্লেখ আছে, একেকটি গণধর্ষণে ৮-১০ জন পর্যন্ত অংশ নিত। সে সময় রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে কাজ করা সুইপার ধর্ষিতা রাবেয়া খাতুনের বর্ণনা মতে, প্রতিদিন পুলিশ লাইন্সের ব্যারাক এবং হেডকোয়ার্টারের অফিসের ওপরতলা থেকে বহু ধর্ষিত মেয়ের ক্ষতবিক্ষত লাশ ওরা পায়ে রশি দিয়ে বেঁধে নিয়ে যেত। সেখানে আবার নতুন ধরে আনা মেয়েদের চুল জানালার সঙ্গে বেঁধে ধর্ষণ করত। রশীদ হায়দার সম্পাদিত '১৯৭১ :ভয়াবহ অভিজ্ঞতা' বইয়ের এক জায়গার বর্ণনায় পাওয়া যায়, ভুরুঙ্গামারী হাই স্কুলের একটি রুম থেকে একসঙ্গে ১৬ নির্যাতিত নারীকে উদ্ধার করা হয়েছিল। আশপাশের গ্রাম থেকে তাদের ধরে নিয়ে আসা হয়েছিল। সেখানে জানালার সঙ্গে নারীদের চুল বেঁধে ধর্ষণ করা হয়েছিল। পুরো মেঝেতে রক্তের ছোপ ছোপ দাগের সঙ্গে ছিল লম্বা চুল আর ভেজা কাপড়। প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা মতে ওই বইয়ে, একাত্তরের ১০ ডিসেম্বর যশোরের মাহমুদপুর গ্রামের একটি মসজিদ থেকে ১১ নারীকে উলঙ্গ অবস্থায় উদ্ধারের লেখা হয়েছে। এই ১১ নারীকে মুক্তিযুদ্ধের সাত মাস মসজিদের ভেতরই ধর্ষণ ও নানাভাবে নির্যাতন করা হতো। ২৫ মার্চের পর বিভিন্ন এলাকা থেকে ধরে এনে সিলেট বিমানবন্দরে তিনশ' নারীকে বিবস্ত্র রাখা হয়েছিল।

মুক্তিযুদ্ধে ধর্ষিত নারীর সংখ্যা কত? সরকারি হিসেবে বলা হয়, দুই লাখ। তবে ধর্ষিতার সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে মনে করেন ১৯৭২ সালে অস্ট্রেলিয়া থেকে বাংলাদেশে আসা ডা. জিওফ্রে ডেভিস। ডেভিসকে উদ্ধৃত করে ১৯৭২ সালে 'বাংলার বাণী'তে প্রকাশিত প্রতিবেদনে লেখা হয়েছিল, 'সিডনির শল্যচিকিৎসক ড. জিওফ্রে ডেভিস সম্প্রতি লন্ডনে বলেন যে, নয় মাসে পাক বাহিনীদের দ্বারা ধর্ষিত ৪ লাখ মহিলার বেশির ভাগই সিফিলিস অথবা গনোরিয়া কিংবা উভয় ধরনের রোগের শিকার হয়েছেন।' নির্যাতিতাদের চিকিৎসা সেবাদানের জন্য রেড ক্রসের সঙ্গে বাংলাদেশে এসেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার সিডনির জিওফ্রে ডেভিস। সরকারি কর্মকর্তারা বাংলাদেশের জেলাওয়ারী হিসাব করেছিলেন। সারাদেশের ৪৮০টি থানা ২৭০ দিন পাকিস্তানি সেনাদের দখলে ছিল। প্রতিদিন গড়ে দুই জন নিখোঁজ হয়ে থাকলে সংখ্যাটা দুই লাখের বেশি দাঁড়ায়। তবে ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির তথ্য মতে, ধর্ষণ, গণধর্ষণ ও বন্দি নির্যাতিতের সংখ্যা ৪ লাখ ৬৮ হাজার। অন্তঃসত্ত্বা নারীর সংখ্যা ১ লাখ ৮ হাজার। নির্যাতিত নারীর মধ্যে ৫৬.৫০ শতাংশ ছিলেন মুসলিম, হিন্দু ৪১.৪৪ এবং খ্রিস্টান ও অন্যান্য ২.০৬ শতাংশ। গবেষণায় স্পট ধর্ষণ ও গণধর্ষণের হার ৭০ শতাংশ এবং ক্যাম্পে রেখে নির্যাতনের ১৮ শতাংশ বলা হয়েছে।

একাত্তরে হত্যা, গণহত্যার দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ পর্যন্ত যে ২৬ জনের বিচার শেষ হয়েছে, তাদের সবার বিরুদ্ধেই টর্চার সেলে নিরীহ মানুষকে ধরে এনে নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কুখ্যাত রাজাকার গোলাম আযম, মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, আবদুল আলিম, আবদুল কাদের মোল্লা, মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, চৌধুরী মাঈনদ্দিন, আশরাফুজ্জামান খান, আবুল কালাম আযাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকার, জাহিদ হোসেন খোকন, মীর কাসেম আলী, সৈয়দ মুহম্মদ কায়সার, এটিএম আজহারুল ইসলাম, আবদুস সুবহান, আবদুল জব্বার ইঞ্জিনিয়ার, মোবারক হোসেন, আফসার হোসেন চুটু, মাহিদুর রহমান, সৈয়দ মো. হাসান আলী, ফোরকান মলি্লক, সিরাজুল হক, খান আকরাম হোসেন ও আতাউর রহমান ননী, ওবায়দুল হক তাহের। এদের বিরুদ্ধে ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালস আইনের ৩ (২) (এ) ধারায় নির্যাতনের অপরাধ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় টর্চার সেলে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ বিচারে প্রমাণিত হয়েছে। সাজা হয়েছে বিভিন্ন মেয়াদে। চূড়ান্তভাবে পাঁচজনের দণ্ড কার্যকর হয়েছে।
- See more at: Click This Link

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২৪

দূর আকাশের নীল তারা বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধে ধর্ষিত নারীর সংখ্যা কত? সরকারি হিসেবে বলা হয়, দুই লাখ।
সাবধান!!! খালেদা জিয়া এই সংখ্যা নিয়েও সন্দেহ পোষণ করবেন।

২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:১৫

হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, অনেকের মতেই ৪-৫ লাখ।
খালেদা জিয়ার তার নিজের জন্ম ও তার সন্তানদের জন্মের ব্যাপারেও সন্দেহ আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.