![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি তোমার মনের ভেতর একবার ঘুরে আসতে চাই, আমায় কতটা ভালবাসো সেই কথাটা জানতে চাই...
আমার এক বায়ার এসেছে সাউথ কোরিয়া থেকে। তার সাথে ১০ দিন চট্টগ্রাম ও ঢাকা (ডিইপিজেড,গাজীপুর) বিভিন্ন কম্পোজিট গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীতে ভিজিট, মিটিং করতে হয়েছে। বাংলাদেশে প্রথম এবং এশিয়ার এই সাইডে সে কখনো আসেনি। ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, চায়নাতে তাদের ফ্যাক্টরী আছে। বর্তমানে ঐসব দেশে লেবার কসট্ বেড়ে যাওয়াতে সে বাংলাদেশকে গার্মেন্টস লাইনের উপযুক্ত বলে মনে করছে। মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে: এদেশের এনভায়্যারনমেন্ট, লিভিং কসট্, বিজনেস ফ্যাসিলিটিস সবকিছু নিজের চোখে দেখে কিছু টেস্ট অর্ডার লোকাল ফ্যাক্টরীতে প্লেস করে কোয়ালিটি, প্রাইস, লিড টাইম ইত্যাদি অন্যদেশের সাথে কম্পেয়ার করা...
থাই এয়ারে সে ব্যাংকক হয়ে চট্টগ্রাম আসে। এখানে ইপিজেডে কোরিয়ানদের পেয়ে তার তেমন কোন সমস্যা হলোনা। গলফ খেলে, চট্টগ্রামে বড়ো ৫ টা ফ্যাক্টরী ভিজিট করে ৫ দিনে আমরা চট্টগ্রাম মিশন শেষ করি।
আমার এক ফুফুর অপারেশনের জন্য আমি একদিন আগে ঢাকা পৌছি। পরদিন তাকে রিসিভ করতে ঢাকা এয়ারপোর্ট গিয়ে ডোমেস্টিক প্যাসেনজারদের অ্যারাইভাল এরিয়াতে আমি অপেক্ষা করতে থাকলাম। নিদ্রিষ্ট সময়ের ২০ মিনিট পর বিমান ল্যান্ডিং হলো। প্যাসেনজার আসতে শুরু করলো...
কন্ঠ শিল্পী রিজিয়া পারভিন, টিভি উপস্হাপক, একজন একস্ মিনিস্টার সহ আমার পরিচিত কয়েকজনের দেখা পেলাম। কিন্তু যার জন্যে অপেক্ষা সেই বায়ার লাপাত্তা।
সেল ফোনে কল দিলাম। সে বললো, এয়ারপোর্টেই আছে কিন্তু ব্যাগ খুঁজে পাচ্ছেনা। বুঝতে পারলাম কোথাও সমস্যা হয়েছে। ভিতরে ঢুকে অফিসারকে বললাম আমার বায়ারের ব্যাগ হারানোর কথা।
অ্যারাইভাল লাউনজে কোথাও কোন প্যাসেনজার নেই, শুধু বেল্টের কাছে একটা ব্যাগ আছে যাতে নাম লেখা: কিম হিউং কিউ। সাথে সাথে তাকে ফোনে বললাম তোমার লাগিজ আমার কাছে, তুমি কোথায়? সে তার গেট নাম্বার বললো। তাকে বুঝিয়ে বললাম: তুমি ইন্টারন্যাশনাল প্যাসেনজার এরিয়াতে চলে গেছো। ডোমেস্টিক ডিপারচ্যার আরেকটা। ভেতর দিয়েই আসার একটা রাস্তা আছে অথবা কাউকে জিজ্ঞেস করো...
সমস্যা হচ্ছে: ঐ বিমানে মিডলইস্টের প্যাসেনজার ছিল, কানেংটিং ফ্লাইটে যারা চট্টগ্রাম-ঢাকা হয়ে দুবাই যাচ্ছিলো। আমার কোরিয়ান ওসব যাত্রীদের অনুসরণ করতে গিয়ে ভুলে ইন্টারন্যাশনাল এরিয়াতে চলে গেছে। বিদেশে সাধারণত ডোমেস্টিক আর ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের দুরত্ব অনেক বেশী অথবা এয়ারপোর্ট আলাদা থাকে। কিন্তু আমাদের দুটো একসাথে হওয়াতে তার এই ভোগান্তি।
তারপর তাকে নিয়ে গুলশান কোরিয়ান রেষ্ট হাউসে হোটেলের গাড়িতে করে। দুজন কোরিয়ান ফুডে লাঞ্চ করলাম। ঐদিন অন্য কোন প্ল্যান না থাকায় সে ঢাকা শহর দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করলো। আমি তাকে বসুন্ধরা সিটি নেয়ার কথা ভাবলাম কিন্তু গাড়ি তো নেই আজ!! আমাদের গাড়ি আসবে পরদিন সকালে। সিদ্ধান্ত নিলাম ট্যাক্সি ক্যাব নিবো। মেইন রোডে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেও কোন এসি ক্যাব না পেয়ে নন এসিতে উঠলাম। একটু পরেই বুঝতে পারলাম ভুল করেছি। মিঃ কিম খুব অস্বস্হি বোধ করতে লাগলো, কারণ:
১: খোলা জানালা দিয়ে ধুলোবালির আগমন।
২: রাস্তায় একটু পর পর প্রচন্ড জ্যাম।
৩: উচ্চস্বরে গাড়ীর হর্ণের আওয়াজ।
৪: বিদেশী দেখলে ফকিরদের আরো বেশী উৎপাত।
৫: পানির বোতল, ম্যাপ, পপকর্ণ বিক্রেতাদের আগমন ইত্যাদি।
একপর্যায়ে সে আমাকে বললো: তার নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু আমার কিছুই করার নেই। খুব লজ্জিত বোধ করলাম। কারণ: আমি কখনো কোরিয়াতে ধুলা-বালি, হর্ণ, ফকির এসব দেখিনি।
বসুন্ধরা সিটিতে গিয়ে থাই ফেস্টিভ্যালে গেলাম, রিবক ও অন্যান্য ব্রান্ডেড শপে ঘুরলাম কিন্তু পিজা হাট, ম্যাকডোনাল্ড, কেএফসির মতো ব্রান্ডের কোন ফুড শপ ওখানে না পেয়ে ক্ষিধা থাকা স্বত্বেও সে কোথাও খেতে রাজি হলোনা।
পরদিন সকালে সে আমাকে ফোনে বললো: আজকে যে ফ্যাক্টরী ভিজিটের কথা ছিল সেটা বিকালে করতে কারণ সে নাকি সারারাত ঘুমাতে পারেনি। ব্যাপারটা বুঝতে পারলাম দুপুরে গেস্ট হাউসে গিয়ে। গতকাল সারারাত পাশের বাসায় গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান ছিল এবং ব্যান্ড পারফরমার ছিল: গায়ক জেমস্। আমাকে মিঃ কিম বললো: সে ইন্টারনেটে আরেকটা হোটেল সার্চ করেছে, সেখানে চলে যাবে। আমি যেনো তাকে ওখানে নিয়ে যাই।
তখন বায়ারকে বুঝিয়ে বললাম: আমাদের দেশে বিয়ের আগের রাত এরকম অনুষ্ঠান হয়, তুমি নিশ্চিত থাকো আজকে আর ব্যান্ড হবেনা। হোটেল চেন্জ করার দরকার নেই।
প্রতিদিন আমাদের ফ্যাক্টরি ভিজিট চলতে লাগলো। আরেকদিন তাকে নিয়ে গেলাম চিন মৈত্রী সন্মেলন কেন্দ্রে যেখানে কম্পিউটার মেলা চলছিল। মেলা এন্ট্রি ফি ২০ টাকা দিয়ে টিকেট নিলাম। মেলা ঘুরে সে আমাকে প্রশ্ন করলো, এখানে যারা স্টল করেছে সবাই নিজেদের প্রচার ও বিক্রির জন্যে, তাহলে কেন সাধারণ মানুষ ২০ টাকা খরচ করে ঢুকবে? কোরিয়া হলে কেউ টাকা খরচ করে এরকম আসবে না। কারণ এখানে সাধারণ মানুষের লাভ নেই। শুধু টিকেট বিক্রি করে এরা প্রতিদিন কতো টাকা ইনকাম করছে তার একটা হিসাব সে করে ফেললো...
আরেকদিন নিয়ে গেলাম: সংসদ ভবন দেখাতে। তখন প্রায় সন্ধা, তার কয়েকটা ছবি তুলে দুজন হাঁটছিলাম.. হঠাৎ লক্ষ্য করলাম গাছের নিচে একটা ছেলে তার গার্ল ফ্রেন্ডকে লিপ কিস করছে ব্যাপারটা দেখে সে খুব অবাক হয়ে আমাকে বললো: আমাদের দেশে ওপেন কিস করতে পারে সে জানতো না। তার ধারণা ছিলো বাংলাদেশ খুব কনজারভেটিভ কান্ট্রি।
প্রথম থেকেই নিজের দেশকে তার কাছে ভালো লাগানোর সব রকম চেষ্টা করেছিলাম।
কিন্তু কিছু ব্যাপার সে ভুলতে পারলোনা, যেমন:
১: বাংলাদেশ বিমানে মশার কামড়। প্লেনে মশা থাকবে সেটা মিঃ কিম ভাবতেই পারেনি।
২: বিমানে একস্ মিনিস্টারের সাথে থাকা চামচাদের হট্টগোল..
৩: কোরিয়াতে বাংলাদেশ বিমানের ডোমেস্টিক টিকিট করার সময় যে বাঙ্গালীর সাথে পরিচয় হয়েছিল তার বউ ঢাকায় বায়িং হাউসে জব করে। বউকে সে মিঃ কিমের ফোন নাম্বার জানিয়ে দিলে ঐ মহিলা বার বার ফোন করে কাজের অর্ডার পাওয়ার জন্যে। ব্যাপারটাতে সে খুব বিরক্ত হয়েছে।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:৩৪
হাশেম বলেছেন: বাহার ভাই, আপনি যদি কোরিয়াতে থাকেন তাহলে এটা কেমন মন্তব্য করলেন বুঝলামনা!!! কোরিয়ানরা মিথ্যাবাদী না, ওরা স্বীকার করে যে একসময় ওদের দেশ আমাদের মতো ছিল। আপনি ভালো করে জানেন কোরিয়ানরা বাংলা ফুড খেতে পারেনা। আর আমার তোষামোদি বলছেন শুনে হাসি পাচ্ছে। এরা এদেশে এসে ফ্যাক্টরী করাতে হাজার হাজার লোকের কর্মসংস্হান হচ্ছে সেটা মনে হয় ভূলে গেছেন।
২| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ ভোর ৬:৫০
জটিল বলেছেন: হা হা , বাংলাদেশ বিমানের সীট এ এখনো এসি এর পানি পড়ে কিনা জানা গেল না , আহা , ধুলা বালি আর হর্ণের শব্দে আমারো সমস্যা আছে বলে ঢাকায় খুব কম যাই , কাজ শেষে চলে আসি ।
কিছুই বলার নেই আর ।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:৪৫
হাশেম বলেছেন: বিমানের অবস্হা খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। কয়টার ফ্লাইট কয়টায় যাবে বা পৌছাবে তার কোন ঠিক থাকেনা। আমাকে এখনো বাংলাদেশ বিমানে চড়তে হয়নি। ধন্যবাদ আপনাকে।
৩| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ সকাল ৭:১৬
অচেনা সৈকত বলেছেন: যা লিখেছেন ঠিকই লিখেছেন। সমস্যা হল কিছু লোক আছে যারা বাংলাদেশের কোন নেগেটিভ খবর সহ্য করতে পারে না। দেশের সমস্যাগুলো খুঁজে বের করে সমাধানের পরিবর্তে মেকআপ দিয়ে খুঁতগুলো ঢেকে সাময়িক তৃপ্তি পাওয়া যায়, তবে তাতে কোন উন্নতির আশা থাকে না।দেশে যখন থাকি তখন সবকিছু মেনে নিই ঠিকই তবে কেন অবস্হার উন্নতি হচ্ছে না সেটা নিয়ে আপসোসও করি। সব দোষ যে রাজনীতিবিদদের তাও না, আমরা নিজেরাও দেশটার এ অবস্হার জন্য কম দায়ী নই। যদিও মরে গেলেও সেটা স্বীকার করতে চাই না। ভাল লেখার জন্য ধন্যবাদ।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:৩৬
হাশেম বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
৪| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ সকাল ৭:১৯
অচেনা সৈকত বলেছেন: আবুল বাহার @ ম্যাকডোনাল্ডস আর কেএফসি বাইরে গরীবের খাদ্য বলে বিবেচিত। এসব খাই আমরা কারণ হাতে টাকা থাকে না। এটাকে দামী ব্র্যান্ড বলছেন কেন? আপনি তো বাইরে ছিলেন, তাহলে?
৫| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ সকাল ৭:৩৩
আবুল বাহার বলেছেন: অচেনা সৈকত @
বক্তব্যটা লেখকের , আমি যা বলতে চেয়েছি আবার পড়ুন বুঝতে পারবেন ।
আমি বাইরে ছিলাম নয় এখনো আছি , এবং মিঃ কিমদের দেশেই, তাই জানি ওদের অনেক কিছুই ।
৬| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ সকাল ৭:৫৩
দেশী পোলা বলেছেন: এইসব কোরিয়ানদের সাথে এত খাতির করার কারন নাই, ব্যাটারা ব্যাবসা করতে আসছে, ব্যাবসা করে ভাগবে, খাতির বেশি করছেন তো ঘাড়ে চেপে বসবে।
ভাল কোরিয়ান দেখেছি, কিন্তু বেশিরভাগ কোরিয়ান দেখেছি প্রচন্ড বর্ণবাদী, কোরিয়ান সব ভাল, বাকি সব খারাপ, ইত্যাদি ব্যাপার নিয়ে বাংগালীদের অনেক ঝামেলা করে এরা। কোরিয়ান বাইং হাউস নিয়ে অনেক কাহিনী আছে, এরা উন্নত হয়েছে কিন্তু আচার-আচরন এখনো মধ্যযুগীয় বেনিয়াদের মত।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:৪৮
হাশেম বলেছেন: ভালো খারাপ সব দেশেই আছে, সেটা শুধু কোরিয়ান বলে কথা না....
৭| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ সকাল ৭:৫৮
নিবিড় বলেছেন: কোরিয়ানরা এমন কোন জাতে উঠে যায় নাই যে শ্য করতে পারবে না ..কোরিয়ান ইতিহাস তাই বলে ..এরা নিজেদের শ্র ম দিয়ে উঠে এসেছে ..আর সব নেভেটিভ ব্যপার একজনরেই ভর করল?
আর যদি হয়েই থাকে তাহলে সেটার দোষ আপনার কিছুটা ..ভাল জিনিস দেখানোর অনেক কিছু আছে ..।থিংক পজিটিভলি ।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:১৫
হাশেম বলেছেন: সত্যি কথা, কোরিয়ানরা শ্রম দিয়ে এতোদুর এসেছে, কিন্তু কতুদুর উঠে গেছে সেটাই ভাবনার বিষয়!!! নেগেটিভ বিষয়গুলো খুবই সত্যি কথা, এড়িয়ে যেতে পারবেননা। সেটা সব বিদেশীদের ক্ষেত্রেই শুধু কোরিয়ান বলে কথা না।
আমাকে দোষারূপ করছেন? আমার লেখায় বলেছি, তাকে সন্তুষ্ট করতে নিজের চেষ্টার ত্রুটি রাখিনি...
৮| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ সকাল ৮:৪৮
মুকুট বলেছেন: সহমত@নিবিড়!!!
৯| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ সকাল ৯:১৮
অচেনা সৈকত বলেছেন: নিবিড়@ভাল কথা, আজকের প্রথম আলোতেই কায়কোবাদ স্যারের একটা লেখা পড়লাম, কোরিয়ার উপর। স্যার তো মহামুগ্ধ।
১০| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ সকাল ১০:০১
অমাবশ্যার চাঁদ বলেছেন: আবুল বাহার বলেছেন: ঠিকাছে ।
কিন্তু ওনারা ৩০ বছর আগে আমাদের এখন কার চেয়েও খারাপ অবস্হানে ছিলেন ।
ওনি পিজা হাট, ম্যাকডোনাল্ড, কেএফসির মতো ব্রান্ডের কোন ফুড শপ ছাড়া খেতে চাননি ।@
এটা আপনাদের অতিরিক্ত তোষামোদির কারনে । ওনারা কি খান আর কি খান না দশ বছর যাবৎ ওনাদের দেশে থেক দেখছি।
সহমত।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:১৬
হাশেম বলেছেন: উত্তরটা উপরে দিয়েছি....
১১| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ সকাল ১১:৪১
আসিফ বলেছেন: বাইরে থেকে ঢাকায় আসলে করিয়ান কেন, বাংলাদেশীদেরও নিঃশ্বাস নিতে কষ্ঠ হয়।
এশিয়ার অনেক দেশে বাংলাদেশী গেলে তারাও খাবার সমস্যায় পরবে। আর লোকাল খাওয়া ট্রাই করাটাও একটা মজার ব্যাপার।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:২৩
হাশেম বলেছেন: এই কথাটা যারা বাইরে থাকেন শুধু তারাই বুঝতে পারবেন।
খাবারের সমস্যাটা দেশের বাইরে আমাকেও পড়তে হয়েছে।
লোকাল খাওয়ার সমস্যাটা: একেবারে নতুন মানুষের ক্ষেত্রে বেশি। যেসব কোরিয়ান এদেশেই থাকে তারা কিন্তু ঠিকই আমাদের সাথে মাঝে মধ্যে বাংলা ফুড টেষ্ট করে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।
১২| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ সকাল ১১:৪৩
নিবিড় বলেছেন: @সৈকত ভাই লিখাটা দেখছি ...
১৩| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ সকাল ১১:৫৩
নিবিড় বলেছেন: ওখানে লিখাটায় প্রথমেই কোরিয়ানদের স্ট্রাগলটাকে তুলে ধরা হয়েছে........ধীরে ধীরে তাদের উন্নতির পরিসংখ্যান দেখনো হয়েছে।
আমাদের দেশের বয়স অনেক কম।তাই আমারা একটা স্ট্টাগলের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি।এটা মাথায় রাখতে হবে। আমাদেরকে নিজেদের ভাবমূর্তি বাইরের দেশের মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে।আমাদের সমস্যা আর উপরে উল্লেখ করা ব্যপারগুলা থাকবেই কিন্তু সেগুলাকে পাশ কাটিয়ে নিজেদের গর্ব কারার বিষয়গুলা হাইলাইট করার সময় এখন.....।
তাই আন্ডার লাইন করে নিজেদরর ব্যথতাকে না তুলে ধরে গর্ব কারার বিষর গুলা লিখে ঐ কোরিয়ানের কাছে আন্ডারলাইন করে সেন্ড করুন
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৫:০৭
হাশেম বলেছেন: নিবিড় ভাই, ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আমি সমস্যাগুলো আন্ডারলাইন করেছি নিজেদের মধ্যে আলোচনার জন্য। আমাদের গর্ব করার বিষয়গুলো তাকে ঠিকই বুঝিয়েছি।
আমি কখনো চাইবো না আমার দেশকে কেউ খারাপ বলুক...
সেই কোরিয়ান আবার বাংলাদেশে আসছে।
১৪| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ সকাল ১১:৫৪
অচেনা সৈকত বলেছেন: ভাইআসিফ@আমার অনেক আগে থেকেই ঢাকায় নি:শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। এই শহরটাকে নরকের মত মনে হয়। এর চেয়ে আমার গ্রাম অনেক ভাল।
১৫| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ সকাল ১১:৫৫
অচেনা সৈকত বলেছেন: নিবিড়@ইদানিং গর্ব করার বিষয়গুলো কমে যাচ্ছে। সেটাই খারাপ লাগে।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৫:১১
হাশেম বলেছেন: নারে ভাই, হতাশ হবেননা। আমারতো মনে হয় সামনের দিনগুলো বাংলাদেশের জন্য খুবই সুন্দর হবে।
১৬| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৮:১৭
আরিয়ানা বলেছেন: এখানে কোরিয়ান বা অন্য যে কোন দেশি মানুষ যখন আমাদের দেশে যান তারা এক ধরনের মজা পায় প্রথমে নতুন অভিঙ্গতার কারনে তার পর কিছুদিন গেলে যখন প্রতিদিন অনিয়ম দেখেন তখন বিরক্ত হন। লজ্জা পেলেও বলতে বাদ্ধ হচ্ছি শুধু জ্যম এর কারনে গাত বার ঢাকা গিয়ে অসুথ হয়ে পরি প্রথম মাসে, পরের দুটো মাস ঢকার বাইরে ও গ্রামে গিয়ে কাটিয়েছি, খুবই ভাল লেগেছে।
ঐ কোরিয়ান ভদ্রলোক কে এফ সি খুজেছেন কারন তার কাছে ওটা সব চাইতে সস্তা খাবার বাংলাদেশের বাইরে এবং সেফ, মানে পেট খরাপের ভয় নেই। কেউ ই বিদেশ গিয়ে অসুস্থ হতে চান না যখন পয়সা খরচ করে কাজে যান। আমার যখন টাকা কম থাকে আমি শুধু তখনই ম্যক অথবা কে এফ সি খুজি।
ধরুন আমরা যদি এখন কোরিয়া যাই আমরা কি কুকুর রান্না খেতে পারব? তার বদলে কে এফ সি খুজব যাতে ৩/৪ দিনের জন্য গিয়ে খাবারের কারনে অসুস্থ হয়ে না পরি... ঠিক কিনা?
১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:০৪
হাশেম বলেছেন: আপনি একদম ঠিক কথাই বলেছেন। মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
তবে কোরিয়ানরা অকেশনে বা ইয়ারলি যে পিকনিক হয় সেখানে কুকুর খায়। সচরাচর কেউ কুকুরের মাংস খায়না। এটা একটা ভূল ধারণা।
১৭| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৮:১৭
আরিয়ানা বলেছেন: ধন্যবাদ লেখাটার জন্য। ভাল থাকুন।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:০৫
হাশেম বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনিও ভাল থাকুন...
১৮| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৮:০৩
আরিয়ানা বলেছেন: আমি সেটা জানি কুকুর ওরা রোজ খায়না, তবে শুধু উদাহরন দেবার জন্য বলেছি। যেমন প্রথম যখন আমি জাপানে যাই সুশি খেতে ভয় পেয়েছি কারন বেড়াতে গিয়ে ঝামেলায় পড়তে চাইনি, পরে সিংগাপুরে ব্যাক করে সুশি খেলাম সো যদি কিছু হবার তবে বাড়িতে বসেই হোক এই ভেবে।
ঝিনুক শামুখ সিংগাপুরেই খেয়া দেখেছি তাই কেম্বডিয়ায় গিয়ে খেতে ভয় পাইনি, আবার ঝি ঝি পোকা কখনো খাইনি তাই কেম্বডিয়া গিয়ে খতে একটু ভয় হলো যে যদি পেট খারাপ করে বেড়াতে গিয়ে আর ক্লিফ বলেছে ও বমি করে দেবে যদি আমি খাই হা হা । সো এই ব্যপার গুলো বোঝাতে চেয়েছিলাম।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ ভোর ৬:৪৭
আবুল বাহার বলেছেন: ঠিকাছে ।
কিন্তু ওনারা ৩০ বছর আগে আমাদের এখন কার চেয়েও খারাপ অবস্হানে ছিলেন ।
ওনি পিজা হাট, ম্যাকডোনাল্ড, কেএফসির মতো ব্রান্ডের কোন ফুড শপ ছাড়া খেতে চাননি ।@
এটা আপনাদের অতিরিক্ত তোষামোদির কারনে । ওনারা কি খান আর কি খান না দশ বছর যাবৎ ওনাদের দেশে থেক দেখছি।