নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১
গতকাল রাতে বাসায় ফিরে টেলিভিশন অন করতেই নিউজ চ্যানেলের স্ক্রলে চোখ আটকে গেল। পলমল গ্রুপের গার্মেন্টসে আগুন, তখন পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু। রাগে গা কাঁপতে লাগল। প্রতিবার গার্মেন্টসে আগুন লাগলে অনেক তথাকথিত বুদ্ধিজীবীর দল গলা তুলে কোরাস ধরে, আলোচনার টেবিলে ঝড় তোলে। কিন্তু হায়রে আমার গরীব দেশের গরীব পোশাক শিল্পী ভাইবোনেরা, তোমাদেরই কেন প্রতিবার মরতে হবে। কেন মরেনা সেই রক্তখেকো হায়েনাগুলো যারা তোমাদের ঘাম-রক্ত চুষে আজ কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। কেউ কি দয়া করে বলবেন আমাদের দেশের কয়জন পোশাক শ্রমিক গত তিন দশকে তাদের ভাগ্য বদলে অর্থবিত্তের মালিক হয়েছে। কিন্তু অসংখ্য হায়েনার দল (নাম বলতে চাই না, আপনারা আপনাদের চারিপাশ হতে খুঁজে দেখুন, পেয়ে যাবেন) এই গরীব পোশাক শিল্পীদের জীবনের বলিদানের কল্যাণে, তাদের রক্ত-ঘামের সাগরে পাল তুলে অর্থ-বিত্তের মালিক হয়েছেন। আরে অমানুষের দল তাদের জন্য কোন বেশী কিছুতো আমরা চাই না, শুধু একটু নিরাপত্তাইতো চেয়েছিলাম। তাজ্রিন, রানা প্লাজার করুণ রাগিণীর সুর এখনো মুছে যায়নি হৃদয়ের কর্ণকুহর হতে, আবার ঘটলো .......। আসুন আমরা সোচ্চার হই অন্যায়ের বিরুদ্ধে, আসুন আওয়াজ তূলি সকল সোশ্যাল মিডিয়াতে।
আমাদের দেশে অবৈধ কোন কিছুকে বৈধতা দিতে compliance এর গল্প ফাঁদা হয়, compliance এর গল্প ফাঁদা হয় দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার জন্য। প্রতিবার গার্মেন্টসে আগুন লাগলে compliance এর ধুঁয়া তোলা হল। কষ্টের মাঝেও আপনাদের compliance এর একটি ছোট গল্প বলে যাই-
এক বিপত্নিক ভদ্রলোক শহর হতে একটু বাইরের দিকে বাগান-পুকুর ঘেরা এক বাংলো বাড়ি কিনে নিজের একমাত্র পাঁচ বছরের ছেলেকে নিয়ে বাস করতেন। পেশায় তিনি ছিলেন এক মালটিন্যাশনাল কোম্পানির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। ফলে তিনি বাধ্য ছিলেন পাঁচ বছরের ছোট ছেলেটিকে একজন কাজের লোকের কাছে রেখে যেতে। কিন্ত প্রতিদিন বাসায় এসে তিনি দেখতেন যে কাজের লোকটি কোন কাজই ঠিকমতোতো করেইনি; বরং আরও উলটা-পাল্টা কাজ করে কাজ বাড়ীয়ে রেখেছে। উপরন্তু ছেলেটির ঠিক মত যত্ন নিচ্ছে না। এভাবে কিছুদিন যাওয়ার পর তিনি একদিন বিরক্ত হয়ে কাজের লোককে একটি কাজের লিস্ট ধরিয়ে দিলেন। এবং আদেশ করলেন এই বলে যে, সে যেন এই লিস্টের বাইরে কোন কাজ না করে। লিস্টে দৈনন্দিন সকল কাজের সাথে ছোট ছেলেটির সেবা যত্নের সব নির্দেশাবলী দিয়ে দিয়েছিলেন। এরপর থেকে মোটামুটি সব ঠিক চলছিল। কিছুদিন পর একদিন সন্ধায় বাড়ি ফিরে ভদ্রলোক ছেলেকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে চাকরকে জিজ্ঞ্যাসা করলেন ছেলে কোথায়? চাকর জানাল ছেলে পুকুরে! ভদ্রলোক এই শুনে পড়িমরি করে ছুটলেন পুকুর পারে......... গিয়ে দেখেন ছেলেটি মরে পুকুরে ভাসছে...... ততক্ষনে চাকরও পুকুর পারে এসে উপস্থিত। ভদ্রলোক কান্না জড়ানো কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করলেন, “বাবু যখন পুকুরে এলো তুমি দেখনি?” চাকর বলল,”দেখেছি স্যার। “লোকটি বলল, তাহলে আটকালে না কেন?” “এটা স্যার আমার লিস্টে লেখা ছিল না.........” চাকরের প্রতিত্তর। what a compliance...!!!
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:০৬
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: এ জন্য দরকার আমাদের সকলের এগিয়ে আসা। আসুন সকল সোশ্যাল নেটওয়ার্ক এবং ভার্চুয়াল মিডিয়াতে এর জোরালো প্রতিবাদ করি, জনমত গড়ে তূলি, সরকার এবং মালিকদের বাধ্য করি নিরাপদ কর্মসংস্থানের পরিবেশ নিশ্চিত করতে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: এ ব্যাপারটি নিয়ে দারুণ উদ্বিগ্ন আমি। এত এত প্রাণ হানি সম্পদ হানি।কত স্বজনের কান্না। এর কি কোন শেষ নেই।এর কোন সমাধান নেই।