নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বোকা মানুষের কথায় কিই বা আসে যায়

বোকা মানুষ বলতে চায়

আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১

বোকা মানুষ বলতে চায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

বারবিকিউ নাইট উইথ ভ্রমণ বাংলাদেশ

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৮



হাইওয়ের পাশে দুটি আধপাকা কামড়া, সামনে সরু কাঁচা রাস্তা গিয়ে মিশেছে গ্রামের ভেতরে দুই পাশে রেখে দিয়ে দুটি পুকুর। পুকুর পাড়ে দড়ির দোলনায় মাঝে মাঝে দোল খেয়েছি। কেউ কেউ পাড়ে ভেড়ানো ছোট্ট নৌকায় করে ঘুরে বেড়িয়েছে রাতের কুয়াশার আলো-আধারীতে। মুরগী ঝলসানো শেষ হলে গরম পরাটা আর ইয়াম্মী সালাদ এর সাথে চলল রসিয়ে রসিয়ে ঝলসানো মুরগী গলধঃকরণ। আকাশে আধটুকু ক্ষয়ে যাওয়া চাঁদ, কুয়াশার চাদর ভেদ করে মাঝে মাঝে উঁকি দিচ্ছিল।







গত মাস দুয়েক কোথাও যাওয়া হচ্ছিল না। রাজনৈতিক বিশৃংখলা আর টানা অবরোধের গ্যাড়াকলে পরে ছুটির দিনগুলো এমনি এমনি অতিবাহিত হচ্ছিল। আমরা ভ্রমণপ্রিয় বন্ধুরা প্রচন্ড হতাশ হচ্ছিলাম। ভ্রমণ বাংলাদেশ ভ্রমণ বাংলাদেশ এর বাৎসরিক মেগা ইভেন্ট “স্বপ্নের সৈকতে একেঁ যাই পদচিহ্ন: Hiking & Camping: World's longest Beach-2013” দুই মাস পিছিয়ে দিতে হয়েছে এই প্রতিকূল পরিবেশের জন্য। তো ভ্রমণপাগল বন্ধু মনা গত সপ্তাহে ফেবুতে স্ট্যাটাস দিল যে আগামী বড়দিনের ছুটিতে ভ্রমণ বাংলাদেশের উদ্যোগে সারারাত ব্যাপী আড্ডা সাথে বারি-বি-কিউ বড় ভাই পলাশ এর কেরানীগঞ্জস্থ খামারবাড়ীতে। পরদিন থাকবে তদসংলগ্ন এলাকা ঘুরে দেখা সাথে ফটোওয়াক। গত বছর বড়দিনে অফিস খোলা ছিল, তবে সৌভাগ্য আমার এবার অফিস ছুটি রয়েছে বড়দিনে।







তো মঙ্গলবার বিকেলে অফিস থেকে বের হয়ে বাসায় ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা। ফ্রেশ হয়ে স্লিপিং ব্যাগ, শীতের কাপড় ইত্যাদি গুছিয়ে নিতে নিতে ভ্রমণ বাংলাদেশ এর সভাপতি টুটুল ভাই ফোন দিলেন, তার সাথে মোটর বাইকে করে পলাশ ভাই এর কেরানীগঞ্জস্থ খামারবাড়ীতে রওনা হলাম। প্রচন্ড শীতে মোটরবাইকে করে জার্নি পুরো পথে খুব পেইন দিল। রাত আটটা নাগাদ আমরা পৌছে গেলাম আবদুল্লাহপুর বাজারে। এখানে মনা, পলাশ ভাইসহ আরও দুই নতুন ভ্রমণসাথী আগে থেকে অপেক্ষা করছিল। কিছুক্ষণের মধ্যে রনী, সুমন, শরীফ এরা তিনজন চলে আসলে আমরা সবাই রওনা দিলাম পলাশ ভাই এর খামারবাড়ীর দিকে যেখানে আগে থেকে চলে এসেছে আরও পাঁচজন আড্ডার সাথী। সেখানে পৌছে দেখি মুনিরুল আরও একজনকে সাথে নিয়ে মুরগীর মাংস কাটাকুটি নিয়ে ব্যাস্ত, তার সাথে মহিলা মহলের আপা আর ভাবীরা বার-বি-কিউ মসলা তৈরীতে ব্যাস্ত। একে একে সকল ভ্রমণসাথীই রাত দশটার মধ্যে এসে হাজির হল আড্ডাস্থলে। হালকা নাস্তা আর টুকটাক গল্পে এই সময়টুকু পার করে দিলেও দশটার পর সবাই ব্যাস্ত হয়ে পড়ল বার-বি-কিউ প্রস্তুতিতে। আগুণ জ্বালানো, কয়লা গরম করা, এরপর তাতে মুরগী ঝলসানো… … সাথে চলল গান আর আড্ডা।







রাত একটার উপরে বেজে গেল খাবার শেষ করতে করতে। খাবারের সাথে ছিল কোমল পানীয় আর কফি। রাত প্রায় তিনটা পর্যন্ত চলল আড্ডা। শেষে কেউ তাবুতে কেউবা ঘরে চলে গেলাম ঘুমোতে। আমি, সুমন, মুনিরুল, রনী আর শরীফ একটি বড় তাবুতে ঢুকলাম। একফাঁকে তলিয়ে গেলাম ঘুমের রাজ্যে।







সকাল ছয়টা নাগাদ ঘুম ভেঙ্গে গেল, তাবু হতে বেড়িয়ে দেখি চারদিকে কুয়াশার আঁধারীর মেলা জমেছে। কাঁচামাটির পথ ধরে হাটতে লাগলাম। গ্রামের পথ দিয়ে মিনিট বিশেক হেটে এসে যখন ভাবছি একটু ঘুমিয়ে নিব কি না, তখন শ্রদ্ধেয় সেলিনা আপা রুম হতে বেড়িয়ে এলেন হাটতে বের হবেন বলে। আমাকে দেখতে পেয়ে বললেন সাথী হতে। শুরু করলাম আবার হাটা। কুয়াশাময় শীতের সকাল দেখতে দেখতে এগিয়ে গেলাম নদীর ধারে। জমাট কুয়াশা দশ হাত সামনের জিনিশও চোখের আড়াল করে রাখছে। ঘন্টাখানেক ঘুরে ফিরে আসলাম নীড়ে।



একে একে সবাই ঘুম থেকে জেগে উঠতে লাগল, আমি পুকুরপাড়ে দোলনায় দোল খেতে খেতে দেখি পলাশ ভাই আমাদের দুপুরের ভূঁড়িভোজের জন্য মাছ ধরতে পুকুরে লোক নামিয়ে দিয়েছেন। জাল ফেলে মাছ ধরা দেখতে দেখতে কতটা সময় গড়িয়েছে জানিনা, একসময় দেখি সবাই রেডী, চললাম নাস্তা খেতে। নাস্তা শেষে শুরু হল আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা। পাশের বেদে পল্লী, প্রায় আট কিলোমিটার দূরে বড়দিনের সুসজ্জিত চার্চ পরিদর্শন, সরিষা ক্ষেতের আদিগন্ত ছড়ানো রূপ আর এরই মাঝে চলল আমাদের ফটোওয়াক।









মধ্যদুপুরে ফিরে এলাম পলাশ ভাই এর খামারবাড়ীতে। সবাই ফ্রেশ হয়ে বসে পড়লাম পলাশ ভাইয়ের স্ত্রী তথা ভাবীর হাতের রান্না করা সবজি, সকালবেলা পুকুর হতে ধরা তাজা মাছের তরকারী আর ডাল নিয়ে। খুব মজা করে খেলাম, এরপর কিছক্ষণ অলস আড্ডা দিয়ে বিকেল চারটার দিকে পলাশ ভাইদের কাছ হতে বিদায় নিয়ে সকলে রওনা হলাম বাসার দিকে। রেখে গেলাম চব্বিশ ঘন্টার মধুর স্মৃতিময় সময়। আর হ্যাঁ যে কথাটি বলা হয়নি, আমাদের এই আড্ডার ছোট্ট দুই সাথী ছিল পলাশ ভাইয়ের আট বছর বয়সী মেয়ে প্রভা আর মেহেদী ভাইয়ের দুই বছরের ছোট্ট ছেলে আবদুল্লাহ্। এ দুজন সাথী প্রায় রাত দু’টা পর্যন্ত আমাদের সঙ্গী হয়ে জেগেছিল। ধন্যবাদ ভ্রমণ বাংলাদেশ পরিবারকে এমন একটি চমৎকার আয়োজনের জন্য।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২১

মামুন রশিদ বলেছেন: দারুণ ব্যাপার!

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আসলেই দারুন :D

২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:১৮

ঢাকাবাসী বলেছেন: চমৎকার ভ্রমন আর ভারি মজার খাওয়া, ভাল লাগল।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আসলেই খুব চমৎকার ছিল সময়টুকু।

ধন্যবাদ ঢাকাবাসী।

৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫২

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
অহহো, সুইট !!

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ইয়েস মুন, আসলেই সুইট ছিল।

ও হ্যাঁ, চমৎকার মিষ্টিও সাথে ছিল উইথ পুরাতন ঢাকার 'রকজ' - বাকরখানি।

৪| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৮

মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: খাবারের ছবিগুলো তো রীতিমতো অ্যাপেটাইজিং!

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ঠিক বলেছেন মোঃ ইসহাক খান ভাই।

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৫| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩২

ময়নুল েহােসন বলেছেন: আমাকে বলেন নাই কেন?
[email protected]

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ ময়নুল েহােসন ভাই। আগামীতে দাওয়াত রইল। ইভেন্টের আপডেট জানতে গ্রুপে জয়েন করেতে পারেনঃ ভ্রমণ বাংলাদেশ - Click This Link

৬| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৪

সুমন কর বলেছেন: বেশ ভাল লাগল। যদি কাছে থাকতাম তাহলে যাবার চেষ্টা করতাম!!

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন কর ভাই। যখন সময় ও সুযোগ হবে তখন সঙ্গী হওয়ার দাওয়াত রইল।

৭| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৪

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: ঈর্ষা ! হিংসা !

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: হা...হা...হা... :P :P :P :P :P :P :P :P :P :P :P :P :P :P :P

৮| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৮

শুঁটকি মাছ বলেছেন: সব ঠিক ছিল,শুধু খাবারের ছবিটা দিয়া সমস্যা করলেন।খাবার দেখলেই খাইতে ইচ্ছা হয়। :( :( :(

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমারও একই কাহিনী। প্রতিবার রিপ্লাই দিতে পষ্টে ঢুকি আর ছবি দেইক্ষাই খাইতে মুঞ্চায়। :D :D :D

৯| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩০

কালীদাস বলেছেন: উলস :P

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: উফস... ;)

১০| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১০

এহসান সাবির বলেছেন: বেশ জমেছিল মনে হচ্ছে........

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: জি ভাই, ডবল জমেছিল আড্ডায় ও ঠাণ্ডায়। পুরো সময়টা খুনসুটি আর হাসাহাসিতে অস্থির ছিল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.