নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বোকা মানুষের কথায় কিই বা আসে যায়

বোকা মানুষ বলতে চায়

আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১

বোকা মানুষ বলতে চায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

আয়কর এবং এই সম্পর্কিত জানা কিছু বিষয় শখের বশে শেয়ার করা

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০৬

আজ ৩০শে সেপ্টেম্বর, প্রচলিত আয়কর আইন অনুযায়ী আজ ব্যাক্তি পর্যায়ে আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার শেষ দিন। গতকাল রাতে আমার ছোট ভাই অফিস থেকে এসে আমাকে জিজ্ঞাসা করল, ‘যে ন্যূনতম কর এর আওতায় আসেনা, তার কি আয়কর প্রত্যায়ন পত্র দরকার আছে?’। আমাদের দেশে প্রচলিত আইন সম্পর্কে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের স্বচ্ছ কোন ধারনা নাই। কিন্তু, একাডেমীক সিলেবাসের অধীনেই সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট এক্সামের সিলেবাসে মৌলিক এবং প্রয়োজনীয় কিছু আইন সংক্ষিপ্ত আকারে একত্রীভূত করে একটি বাধ্যতামূলক সাবজেক্ট চালু করা উচিত। ফলে একদিকে যেমন সাধারণ জনগণ হয়রানী থেকে বাঁচবে, অন্যদিকে আইন জানা থাকায় সদা সচেষ্ট থাকবে যাতে আইন ভঙ্গ করে সাজা’র ভাগীদার নাহ হতে হয়।

তো যেখানে ছিলাম, কথায় কথায় জানলাম, তার অফিসের এক কলিগ ক্রেডিট কার্ড করবে, তাই ব্যাংক তার কাছে টিআইএন (ট্যাক্স আইডেনণ্টিফিকেশন নাম্বার) সার্টিফিকেট চেয়েছে। কিন্তু তার বেতন এর হিসেবে সে আয়করে’র আওতায় পরে না। এখন সে টিআইএন সার্টিফিকেট কেন দিবে? ভালো কথা, আমার ভাইকে আমি বুঝিয়ে বললাম কেন দিতে হবে? অনেক জায়গায় কোন ডকুমেন্টেশন প্রক্রিয়ায় সাপোর্টিং কিছু ডকুমেন্ট দেয়া বাধ্যতামূলক থাকে। যেমন, বিদ্যুৎ-গ্যাস-পানি’র সংযোগের ক্ষেত্রে হতে পারে জমি সংক্রান্ত কোন কাগজ, পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট। একইভাবে ব্যাংক তার ক্রেডিট কার্ড করারা জন্য রিকয়ারমেণ্ট রেখেছে টিআইএন সার্টিফিকেটের ফটোকপি দেয়া। এখন প্রশ্ন সে কি টিআইএন সার্টিফিকেট পেতে পারে? অবশ্যই পারে, এক্ষেত্রে তার কোন আয়কর দিতে হবে না, তবে এক্ষেত্রে তাকে ন্যূনতম ফি এক হাজার টাকা দিতে হবে তা অবশ্যই কিছু ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। তবে ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের মার্কেটিং এ যারা কাজ করে, তারা প্রায়ই নকল একটা টিআইএন সার্টিফিকেট টাকার বিনিময়ে করে ডকুমেন্টেশন এর ঝামেলা চুকিয়ে দেয়। এটা বেশীরভাগ তখন হয়, যখন কোন ক্লায়েন্ট, যার ক্রেডিট কার্ড করা হচ্ছে, নির্ধারিত আয়ের চেয়ে কম আয় করে থাকেন। কিন্তু এই নকল টিআইএন সার্টিফিকেট এর জন্য জরিমানা কিন্তু কঠিন। আয়কর আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ ২০,০০০ টাকা আর ধারাবাহিক ব্যাবহারে তিন বছরের কারাদণ্ডসহ সর্বোচ্চ ৫০,০০০ টাকা অথবা উভয়ের যে কোন একটি হতে পারে।

যাই হোক, কাজের কথায় আসি। আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে এবং স্টাডি’র দরুন জানা আয়কর নিয়ে কিছু মৌলিক তথ্য সামু বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে চাই। আসুন শুরু করা যাক (আমি কোন আয়কর এক্সপার্ট নই, জাস্ট কিছু জানা তথ্য শেয়ার করা)

• আমাদের রাজস্ব আয়ের একটা মূল খাত হল আয়কর।

• আয়কর জমা দেয়ার প্রথম ধাপ হল আপনার একটা আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হবে। “আয়কর রিটার্ন” হল আপনার আয়-ব্যয় এর একটি বার্ষিক প্রতিবেদন যা আপনাকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এর নির্দিষ্ট একটি ছকে পূরণ করে জমা দিতে হয়। আপনি ইচ্ছা করলে অনলাইনেও এই আয়কর রিটার্ন জমা দিতে পারেন। এই লিংক হতে Click This Link আয়কর রিটার্ন ফিলআপের নিয়মাবলী জানতে পারবেন। আর হ্যাঁ, আপনি এই লিংক Click This Link এই লিংক হতে টিআইএন ফরম ফিলআপের গাইডলাইন পেয়ে যাবেন। কতিপয় ব্যাক্তির জন্য আয়কর রিটার্ন জমা দেয়া বাধ্যতামূলক, এ সম্পর্কিত বিশদ পাবেন এই লিংকেঃ Income Tax at a Glance এখানে আয়কর সংক্রান্ত মোটামুটি প্রয়োজনীয় সব তথ্যই পাওয়া যাবে। আর এই ফাইলটি রাজস্ব বোর্ড এর নিজস্ব ওয়েবসাইটের।



• এখন আপনাকে একবারে প্রথমবার আপনার মোট সম্পদের একটা হিসেব দিতে হবে। পরবর্তী বছরগুলোতে আপনার মোট আয় হতে মোট ব্যয় বাদ দিয়ে যে সঞ্চয় থাকবে তা আগের সম্পদের সাথে জমা হবে। তাই প্রথমবার আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার সময় অবশ্যই অভিজ্ঞ আয়কর আইনজীবী (ইনকাম ট্যাক্স প্র্যাকটিসনার)’র সাথে পরামর্শ করে আপনার বর্তমান সবধরনের সম্পদ আয়কর রিটার্নে প্রদর্শন করে নিন। নইলে পরবর্তীতে আপনাকে মহা হ্যাপা পোহাতে হবে এই সম্পদ অন্তর্ভুক্তির জন্য।

• আসুন আয় নিয়ে কথা বলি, হাজার হলেও আয়কর! আমাদের আয়কর আইনে আয়ের সাতটি খাত উল্লেখ রয়েছে। এগুলো হলঃ
* বেতন খাতে আয়
* সিকিউরিটির সুদ থেকে আয়
* গৃহসম্পত্তি খাতে আয়
* কৃষি খাতে আয়
* ব্যবসায় বা পেশা খাতে আয়
* মূলধনি লাভ
* অন্যান্য উৎস খাতে আয়

• আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার ফরম এনবিআর (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) এর ওয়েবসাইটে http://www.nbr-bd.org/incometax.html পাওয়া যাবে। আর গাইড লাইনতো আগেই লিংক দিলাম, সেটাও এই ওয়েব সাইটেই পাবেন।

• এখন আসেন আয়ের হিসেব করা নিয়ে কথা বলি। আপনি উপরের সাতটা খাত হতে প্রতি বছর কত টাকা আয় করলেন তার একটা হিসেব করতে হবে আপনাকে। বর্তমানে এটা আরও সহজ করে দিয়েছে রাজস্ব বোর্ড, অনলাইন ট্যাক্স ক্যালকুলেটর চালু করে। এই লিংক হতে Click This Link আপনি আপনার আয়ের তথ্য ইনপুট দিয়ে দিয়ে আপনার মোট আয়, করের আওতাধীন আয় (ট্যাক্সেবল ইনকাম) এবং প্রদেয় কর সম্পর্কে জেনে যাবেন নিমিষেই।

• আমাদের আয়কর হার কিন্তু বিশ্বের অনেক দেশের চাইতে নমনীয়, বিশ্বাস না হলে খুঁজে দেখুন, এই অন্তঃজালে। তো বর্তমানে আমাদের আয়কর আইন অনুযায়ী আয়করের যে হার তা এরকম (ইংরেজিটাই তুলে দিলাম) উপরে দেয়া Income Tax at a Glance এই লিংকে পাবেন। উল্লেখ্য থাকে যে, প্রতি বছর বাজেটের সময় আয়কর আইনে কিছু পরিবর্তন, পরিমার্জন এবং সংশোধন হয়ে থাকে। ফলে আয়করের হার সহ আরও অনেক নিউমেরিক্যাল ফিগারে পরিবর্তন আসে। তাই, ফি বছর রাজস্ব বোর্ড পরিপত্র ইস্যু করে যা সেগুনবাগিচাস্থ রাজস্ব বোর্ড বা নীলক্ষেতে বইয়ের দোকানে কিতে পাওয়া যায়। আর এখন তো তাদের ওয়েবসাইটেই http://www.nbr-bd.org/IncomeTax/ সব তথ্য পেয়ে যাচ্ছেন।

মহিলা এবং ৬৫ বছরের উপরের সিনিয়র সিটিজেন ব্যাতিত ব্যাক্তি পর্যায়ে কর হারঃ

First 2,20,000/- Nil
Next 3,00,000/- 10%
Next 4,00,000/- 15%
Next 5,00,000/- 20%
Next 30,00,000/- 25%
Rest Amount 30%


মহিলা এবং ৬৫ বছরের উপরের সিনিয়র সিটিজেনদের জন্যঃ

First 2,75,000/- Nil
Next 3,00,000/- 10%
Next 4,00,000/- 15%
Next 5,00,000/- 20%
Next 30,00,000/- 25%
Rest Amount 30%

এছাড়া অবসরপ্রাপ্তদের জন্য কর শুন্য হবে ৩,৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৪,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত। ও হ্যাঁ যারা বাংলাদেশের নাগরিক নয়, তাদের জন্য কিন্তু ৩০% হারে কর প্রযোজ্য।

• এখন একটা মজার বিষয়ে আসা যাক, তা হল আপনি যদি দেখেন আপনার প্রদেয় কর ২০০ টাকা বা এরকম বের হয়েছে, তখন কিন্তু আপনাকে একটা ন্যূনতম কর দিতে হবে। তার হার হলঃ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৩,০০০ টাকা, জেলা সদরে ২,০০০ টাকা এবং বাকী এলাকায় ১,০০০ টাকা। এলাকা বলতে আপনার টিআইএন যে এলাকার আওতায় নিবন্ধিত হয়েছে।

• এখন ব্যায়ের কথা বলা হয় নাই, আপনার আয় হতে আপনি ইচ্ছা মত ব্যয় করতে পারেন, কিন্তু রাজস্ব বোর্ড সব ব্যয় মেনে নিবে না। তাদের একটি গাইড লাইন আছে এই ব্যয় জন্য। আপনি যখন অনলাইন ক্যালকুলেটরে আপনার আয় ইনপুট করবেন সাথে সাথে ব্যয় বাবদ কতটাকা সেই খাত হতে মওকুফ পাবেন তা জেনে যাবেন।

• এখন আসুন কর দেয়ার উপায়। আমরা অনেক সময় “উৎসে কর কর্তন” এবং “অগ্রিম কর” এই দুটি শব্দ শুনে থাকি। এই দুটোই কিন্তু কর প্রদানের একটা মাধ্যম। আপনি যে যে ক্ষেত্রে উৎসে কর (টিডিএস) দিয়ে এসেছেন তা রিটার্নে উল্লেখ করে অবশিষ্ট টাকা পে-অর্ডার করে রাজস্ব বোর্ড বরাবর জমা দিবেন। আর অগ্রিম করের ব্যাপার হল, ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে আগের বছরের প্রদেয় করের হিসেব অনুযায়ী অথবা সম্ভাব্য একটা আয়ের হিসেব মোতাবেক অগ্রিম কর প্রদান করা। বছর শেষে তা এডজাস্ট হবে রিটার্ন জমা দেয়ার সময়।

• এখন কিন্তু অনলাইনেই আপনি রিটার্ন জমা দেয়া থেকে শুরু করে ই-টিআইএন সার্টিফিকেট পর্যন্ত পেয়ে যাচ্ছেন। আমি আর না প্যাচাই, একবার এনবিআর এর ওয়েবসাইটে ঢু মারুন, দেখবেন অনেক কিছুই বুঝতে পারছেন। এছাড়া নীলক্ষেত বা এরকম বইয়ের দোকানগুলোতে খোঁজ করলে আয়কর আইন ছাড়াও সহজ করে লেখা বিভিন্ন বই পাবেন যা হতে আপনি আয়কর সম্পর্কে একটা প্রাথমিক কিন্তু কার্যকর ধারনা পাবেন। আপনার প্রয়োজনেই আপনার আইন জানা দরকার।

এই বিষয়ে একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। আমার প্রথম চাকুরী’তে আমি কোম্পানির ভ্যাট এবং ট্যাক্স এর ব্যাপারগুলো দেখতাম। জয়েন করার পর ফাইল ঘেঁটে দেখি, আমাদের ইনকাম ট্যাক্স লইয়ার চার্জ নেয় বছরে এক লাখ টাকা, অথচ ঐ কোম্পানি ছিল ফুল এন্ড ফাইনাল সেটেলমেন্ট অফ ট্যাক্স এর আওতাধীন কোম্পানি। ও হ্যাঁ, ফুল এন্ড ফাইনাল সেটেলমেন্ট অফ ট্যাক্স হল রাজস্ব বোর্ড নির্ধারিত কিছু সেক্টরের কোম্পানির জন্য নির্ধারিত কিছু হারে কর প্রদান করা, যার পর তারা আর কোম্পানি’র প্রফিট/লস নিয়ে দেখবে না। এমনিতে কোম্পানির ক্ষেত্রে প্রফিট/লস এর উপর ভিত্তি করে কর নির্ধারিত হয় বেশীরভাগ ক্ষেত্রে। তো আমি জয়েন করার পর এইটা জেনে, ঐ লইয়ারের সাথে দেখা করে বললাম এতো চার্জ করছেন কেন আপনার ফার্ম হতে আমাদের এই কোম্পানির জন্য? বলে, এটা আমাদের রেট, আর ট্যাক্স অনেক ঝামেলার ব্যাপার আপনি বুঝবেন না। আমি প্রথমে তাকে বললাম, বুঝিয়ে বলেন, বুঝবো না কেন? সে নানান প্যাঁচাল শুরু করলে যখন তাকে আয়কর আইনের নির্দিষ্ট ধারা বলে বলে জানালাম যে, এই কোম্পানির রিটার্ন সাবমিট থেকে শুরু করে টিআইএন সার্টিফিকেট পাওয়া পর্যন্ত কোন হ্যাপাতো নাইই, বরং একেবারে ছেলেখেলা। তো তুমি লাখ টাকা কেন নিচ্ছ? পরবর্তীতে আমার পরিচিত এক ফার্মে মাত্র ৩০,০০০ টাকা বার্ষিক রেটে ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করি। কোম্পানির বাঁচল ৭০,০০০ টাকা, আমি কি পেলাম? টাই টাই ফিশ... ;)

কারো কোন সাধারণ জিজ্ঞাসা থাকলে কমেন্টে জিজ্ঞাসা করতে পারেন, চেষ্টা করবো উত্তর দিতে। আমি কোন ইনকাম ট্যাক্স প্র্যাকটিসনার নই, তারপরও যতটুকু জানি শেয়ার করব। ভালো থাকবনে।

মন্তব্য ৬১ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৬১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০৮

নিকষ বলেছেন: শোকেসড। +++

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:১০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় নিকষ।

২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২৬

ঢাকাবাসী বলেছেন: ভাল জিনিস শেয়ার করলেন। কথা তাকে এই করের অধিকাংশটাই খরচ হবে জনকল্যানে বা দেশের উন্নয়নে, আদতে খরচ হয় তবে দেশের উন্নয়ন না হয়ে উন্নয়ন হয় কিছু মানুষের পকেটের!

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:২৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ঢাকাবাসী। আইনগত কারনেই কর দিতে হবে আর তাই এই আইনও জানতে হবে। শুধুমাত্র আইন না জানার কারনে পুরাতন ঢাকার চকবাজারের অনেক ব্যাবসায়ি 'স্পট এসেসমেণ্ট' এর আওতায় কর দিচ্ছে, ফলে তাদের বৈধ উপায়ে অর্জিত সম্পদের বেশীরভাগ অপ্রদর্শিত থেকে যাচ্ছে, যাকে আইনি ভাষায় বলে 'কালো টাকা'।

ভালো থাকবেন।

৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩০

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: বেশ তথ্য সমৃদ্ধ

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:২৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ বন্ধু। আপনিতো ঈদের এক সপ্তাহ আগেই ঈদ উদযাপন শুরু করে দিলেন, শেষ হবে কি ঈদের একমাস পরে? ;)

৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:২৫

বদরুল১০০ বলেছেন: আমি একটি বিদেশি কোমপানিতে চাকরী করি আমার বেতন আসে দেশের বাইরে থেকে রেমিটেনস আকারে আমাকে কি আ্য়কর দিতে হবে |

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: পাঠ এবং মন্তব্য'র জন্য অনেক ধন্যবাদ।

আপনার কোম্পানি বিদেশী, বেতন বাইরে থেকে আসে। এখানে যে বিষয়গুলো দেখতে হবে-

১) আপনার নিয়োগপত্র কোথা হতে ইস্যু হয়েছে?
২) আপনার সেলারি কি আপনার একাউণ্টে বিদেশ হতে ট্রান্সফার হচ্ছে কি না?
৩) আপনার মূল কোম্পানি যে দেশে অবস্থিত, সেখানে আপনার বেতন হতে কর কাটা হচ্ছে কি না? এবং ঐ দেশের সাথে আমাদের দেশে'র দ্বৈত করচুক্তি আছে কি না?
৪) আপনার বাংলাদেশী কোম্পানি শাখা আপনার সেলারি তাদের হিসেবে শো করছে অবশ্যই, সেখানে কর কর্তন দেখানো হচ্ছে কি না?

আপনি আপনার অফিসের একাউণ্টস সেকশনের 'ভ্যাট এন্ড ট্যাক্স' ডিপার্টমেন্টের সাথে এই ব্যাপারগুলো নিয়ে কথা বলেন। তারা নিশ্চয়ই ভালো বলতে পারবেন। অথবা কোন আইটিপি (ইনকাম ট্যাক্স প্রাকটিসনার)'র সাথে ডিটেইল আলোচনা করুন। এখানে অনেকগুলো ফ্যাক্টর জড়িত রয়েছে।

ভালো থাকবেন।

৫| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৫৭

সোহানী বলেছেন: প্রতি বছর আয়কর জমা দেয়ার সময় আসলেই ভাবি একটা রিটার্ন জমা দেয়ার সহজ প্রসেস নিয়ে ব্লগ লিখবো বাট লিখা হয়ে উঠে না। আপনার লিখা দেখে ভালো লাগলো। তাই একসাথে স্বাগত ও ধন্যবাদ জানাই।

শুধু একটু যোগ করতে চাই কারন সাধারন মানুয়ের কাছে আয়কর রিটার্ন একটা বিভীষিকা।

১। আপনি ইনভেস্টমেন্ট নিয়ে কিছু বলেননি। এটা একটা বড় ইস্যু.... যাদের আয়কর বেশী তারা মোট আয়ের ৩০% পর্যন্ত ইনভেস্ট করতে পারেন। এবং তার ১৫% পর্যন্ত রিবেট পাবেন।

২।আপনার যা আয় তা থেকে একটা অংশ সম্পত্তি ক্রয় দেখান কারন ভষ্যিতে কাজে লাগবে।

৩। রিটার্ন ফর্ম পূরন করার সময় খেয়াল রাখবেন অর্জিত তহবিল ও সম্পদ পরিবৃদ্ধি সমান হবে। অর্থাৎ কলাম ১৬ ও ১৭ এর বিয়োগফল ০ হবে ১৮ নং কলামে।

৪। রিটার্ন ফর্ম পূরন করার সবচেয়ে সহজ উপায় আগে খরচের কলাম পূরন করেন তারপর সম্পদের কলাম দেন বাকিগুলো।

আমি একটা সহজ এক্সেল সিট তৈরী করেছি ট্যাক্স ক্যালকুলেশানের জন্য কিন্তু কিভাবে এটা আপনাকে দিব???? এটার সাহায্যে সহজে ট্যাক্স ক্যালকুলেট করতে পারবেন !!!!!!

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ দোস্ত ব্লগার। আসলে আয়কর নিয়ে অনেক প্রয়োজনীয় বিষয় লেখার ছিল, আর তাই এতো বড় না করে এনবিআর এর Income Tax at a Glance লিঙ্কটি দিয়ে দিছি, সেখানে আনুসাঙ্গিক সব তথ্যই পেয়ে যাবে।

আপনার ফাইলট ড্রপবক্স বা এরূপ কোথাও আপলোড করে লিংক দিয়ে দিলে সেখান থেকে ডাউনলোড করে নেয়া যাবে।

সবশেষে, আপনার যা আয় তা থেকে একটা অংশ সম্পত্তি ক্রয় দেখান কারন ভষ্যিতে কাজে লাগবে। এইখানটায় একটু প্রবলেম আছে, ফেইক এসেট পারচেস দেখাতে হলে আপনাকে ডকুমেণ্টস'তো সাপোর্টিং হিসেবে লাগবে?

গুরুত্বপূর্ণ কিছু পয়েন্ট তুলে ধরার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। :)

৬| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৬

আমিনুর রহমান বলেছেন:



প্লাসসহ প্রিয়তে +
অতি দরকারী পোষ্ট।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় আমিনুর রহমান ভাই। আপনাকে পোষ্টে পেলে খুব ভালো লাগে।

৭| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৯

প্রেমিক চিরন্তন বলেছেন: অসাধারন পোস্ট +++
http://bdnewseveryday.com/

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ।

৮| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৪

ডি মুন বলেছেন: প্লাসসহ প্রিয়তে ++++

কৃতজ্ঞতা

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ সুপ্রিয় ডি। ট্যাক্স দিচ্ছে্ন তো? ;) :P

৯| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:২১

ডি মুন বলেছেন: জি দিচ্ছি :)

জীবনডাই তো ট্যাক্স হইয়া গেছে। আসলের চেয়ে ট্যাক্স বেশি B:-) :-B

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ইহাকে বলে চক্রবৃদ্ধি ট্যাক্স ;)

১০| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১৩

সুমন কর বলেছেন: এ বিষয়গুলো অামার কাছে খুব প‌্যাচানো মনে হয়। :-< :-< তাই এড়িয়ে চলি। অাপনার পোস্ট অাংশিক পড়ে, প্রিয়তে রেখে দিলাম। অাজ সারাদিন বাহিরে ছিলাম। প‌্যাচানো জিনিস পড়ে পড়ব।

পোস্টে ৭ম লাইক।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৪৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: চেষ্টা করেছি প্যাঁচানো জিনিষ সহজ করে তুলে ধরতে, হয়ত পারি নাই... :(

লাইক এবং শোকেসড করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। :)

১১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২১

কলমের কালি শেষ বলেছেন: সুন্দর সচেতনতামূলক পোষ্ট । ছডো মানুষ এখনো কাজে লাগার সময় আসে নি :( । তবে ভবিষ্যতের জন্য বাক্সে ভরেে রাখলাম । B-)

আপনার জন্য একটা সাইন করা ব্লাংক এমাউন্টের চেক পাঠাইলাম । ইচ্ছেমত পিলাচ সংখ্যা লিখে তুলে নিয়েন । :)

০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: একদিন খোকা বড় হবে
বড় হয়ে খোকা ট্যাক্স দিবে
এখন হতে সে কত সচেতন
সময় হলে দেখবে কত সেরে কত মণ ;) :P

আমি চেক নেই না, কারবার করি নগদে। একঘরা নগদান বহি।
=p~ =p~ =p~ =p~

১২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:১৩

আবু শাকিল বলেছেন: আয়কর ভাল করে জানতে হবে।

পোষ্টে +

প্রিয়তে নিলাম।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৫৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় আবু শাকিল। অনেক ভালোলাগা জানবেন। :)

১৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:১১

মুহিব জিহাদ বলেছেন: খুব দরকারি পোষ্ট, আহ! যদি সবাই সুন্দর ভাবে ট্যাক্স দিতো!! এই পোষ্ট সম্পদ হিসেবে প্রিয়তে নিলাম আর ট্যাক্স হিসেবে +++ দিয়ে গেলাম ;) ;)

০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:০৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুপ্রিয় ব্লগার, মুহিব জিহাদ। কারো কাজে লাগলে পরেই না একজন ব্লগারের এরকম একটা লেখা সার্থক মনে হয়। ভালো থাকবেন।

১৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৮

জাফরুল মবীন বলেছেন: সোজা প্রিয়তে... :)

আপনি যে বোকা নন,একটা আস্ত বোমা (ব্লগিংয়ের ক্ষেত্রে) সেটা অনেকবারই বলেছি;সেই সাথে ব্লগার সোহানীর পান্ডিত্য ও ব্লগিং চেতনা আমাকে বিশেষভাবে মুগ্ধ করেছে।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:২২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমিতো বোমা'ই। বোমা = বোকা মানুষ ;) :)

আর ব্লগার সোহানী কিন্তু অনেক বড় ছুপা রুস্তম :P

তবে, আপনি কিন্তু আমাদের সবার গুরু, বস মানুষ। যাকে বলে ওস্তাদ! তবে,

'ওস্তাদ একটু ডাইনে, বাঁয়ে প্লাস্টিক' =p~ =p~ =p~

১৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:০২

এহসান সাবির বলেছেন: কাজের পোস্ট। ভালো লাগা।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৩৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় এহসান সাবির। ভালো থাকবেন সতত।

১৬| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:১০

আমি তুমি আমরা বলেছেন: কাজের পোস্ট।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:১৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: :) ধন্যবাদ আমি তুমি আমরা।

আসন্ন ঈদের শুভেচ্ছা রইল। ঈদের সময়টুকু আনন্দময় হোক, ভালো থাকবেন।

১৭| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৫

কাফি বিডি বলেছেন: ভাইয়া, আপনি কি নিশ্চিত যে ২০১৫ সালের জন্য অবসরপ্রাপ্তদের জন্য ৩,৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত কর শূন্য? মানে কোন কর দেয়া লাগবে না।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: বর্তমানে এটা ৩,৭৫,০০০ টাকা পর্যন্ত। এই লিঙ্ক হতে এনবিআর কর্তৃক প্রকাশিত আয়কর ম্যানুয়াল (এই লিঙ্ক থেকেঃ Income Tax at a Glance (FY:2015-2016) ) ডাউনলোড করে দ্বিতীয় পাতায় দেখুন। মহিলা এবং ৬৫ ঊর্ধ্ব বয়সের সিনিয়র সিটিজেনদের করশুন্য আয় ৩,০০,০০০ টাকা। আর অবসরপ্রাপ্ত হলে তা, ৩,৭৫,০০০ টাকা। আরও কিছু জানার থাকলে ম্যানুয়ালে পেয়ে যাবেন। প্রয়োজনে এই পোস্টের কমেন্টে জিজ্ঞাসা করতে পারেন। ধন্যবাদ।

১৮| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১২

কাফি বিডি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া। আমার বাবা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। তাহলে, তাকে আয়কর দিতে হবে না। আমি কি তাহলে এই মর্মে
কোন প্রত্যায়ন পত্র পেতে পারি যে, আমার বাবাকে আয়কর দিতে হবে না। তার আয়কর দেয়ার প্রয়োজন নেই।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: বাংলাদেশের আয়কর আইন অনুযায়ী, প্রত্যেক আয়কর দাতা (যিনি ইতিপূর্বে আয়কর দিয়েছেন অর্থাৎ টিআইএন নাম্বারধারী) প্রতি বছর আয়কর রিটার্ন জমা দিবেন। এক্ষেত্রে আয় শূন্য হলে, অথবা কর যোগ্য আয় শূন্য হলেও উনাকে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হবে; আয়কর দিতে না হলেও। আপনি এই ব্যাপারে কোন অভিজ্ঞ আয়কর আইনজীবী'র পরামর্শ নিতে পারেন। অথবা সরাসরি, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অফিসে গিয়ে খোঁজ নিতে পারেন। কিন্তু ভবিষ্যৎ যেহেতু অনিশ্চিত, তাই কেউ হরফ করে বলতে পারে না যে, তার ভবিষ্যৎ আয়ও আয়কর সীমার নিচেই থাকবে। তাই, আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে যা বুঝি, তা হল, প্রতি বছর নিয়মিত আয়কর রিটার্ন জমা দেয়া।

১৯| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৬

কাফি বিডি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া ব্যাপারটা জানানোর জন্য।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ, ভালো থাকুন সবসময়।

২০| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩০

কাফি বিডি বলেছেন: retarded মানে কি অবসরপ্রাপ্ত? আমি মিনিংটা খুঁজেও পাই নাই। :(

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: জ্বী হ্যাঁ। :)

২১| ১৬ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৪

েছাটন বলেছেন: অংশীদারি ফার্ম যার সিংহভাগের মালিক মহিলা অংশীদার এরধরনের ব্যবসায়ের করমুক্ত সর্বনিন্ম আয় কত হবে? জানালে উপকৃত হই।

১৯ শে মে, ২০১৬ রাত ১১:৫৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: মাস খানেক পরে সামুতে ঢুকলাম। ব্রডব্যান্ড আইএসপি ব্যান হওয়ার কারণে এই দুরাবস্থা, নোটিশবোর্ড এর পোস্ট দেখেছেন নিশ্চয়ই। বিষয় প্রেক্ষাপট বিবেচনায়, মোবাইল হতে লগইন করে আপনার জিজ্ঞাসার উত্তর দিলাম:

From a tax perspective, partnerships
in Bangladesh are not taxed at the
entity level and profits are treated as
part of each partners’ personal
income and are taxed at personal
income tax rates.

অর্থাৎ মহিলা পার্টনার হলে পার্টনারশিপ ফার্ম এর আয় উনার পার্টনারশিপ অংশীদার শতাংশের ভিত্তিতে ব্যাক্তিগত আয়ের সাথে যোগ হবে। এবং মহিলা করদাতা হিসেবে অন্যান্য সকলের করমুক্ত আয় এর সীমা'র বিধান প্রযোজ্য হবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

আর কোন প্রশ্ন থাকলে নির্দ্বিধায় করতে পারেন।

ভালো থাকুন সবসময়।

২২| ১৬ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:১৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: এটা একটা উপকারী পোস্ট, অনেকের কাজে লাগতে পারে। ধন্যবাদ, আপনার এ প্রচেষ্টার জন্য।
প্রিয়তে রাখলাম।

১২ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:০৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া। বিলম্ব প্রতিত্তরের জন্য ক্ষমা প্রার্থী, মাস দুয়েক ধরে সামুতে ঢুকতে পারছিলাম না।

পবিত্র রমজানের শুভেচ্ছা রইল। ভাল থাকুন সবসময়।

২৩| ১৬ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৫:২০

Dr.Shafiqul Haque বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার পোস্টের জন্য। আমার বাৎসরিক বেতন আয়করের নুন্যতম লিমিটের নিচে। গাড়ী কিনতে যে অগ্রীম আয়কর দিতে হয় আমার ক্ষেত্রে কি তা প্রযোজ্য হবে? না কি তা মওকুফ হবে?

১২ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:১৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আপনার বেতন নুন্যতম আয়করের নিচে হলে আপনার সঞ্চয় এবং সম্পদের পরিবৃদ্ধি গাড়ি কেনাকে সাপোর্ট করবে না। আর গাড়ী কিনলে যে কর দেন, তা অগ্রীম কর নয়, উৎসে কর প্রদান। এটা বাধ্যতামূলক। তাই এই কর মওকুফ হবে না। বরং আপনি কিভাবে সম্পদে গাড়ী যোগ করবেন সেটা একটা বিরাট প্রশ্ন। অভিজ্ঞ আয়কর আইনজীবীর পরামর্শ নিন।

ধন্যবাদ, ভাল থাকুন সবসময়। অনিচ্ছাকৃত বিলম্ব প্রতিত্তরের জন্য দুঃখিত।

২৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:১৩

পারাবত বলেছেন: দিই নাই কোনদিন।
আসলে বুঝতেছিনা কিছুই।
একজন প্রবাসীর কি ইনকাম ট্যাক্স দেয়া উচিত?
দিলে নাগরিক দায়ীত্ব আদায় ছাড়া আর কি লাভ? না দিলে কি কি অসুবিধা?
টিন নম্বর কি কি কাজে আসে?
শুনলাম একবার টিন নিলে মানে রেজি করলে আর বের হওয়া যায়না? এনবিআর হারিকেন দিয়া খুজে।
সময় হলে বলবেন।
ওহ অনলাইনে এনবিআর এ রেজিষ্ট্রেশন করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু ন্যাশনাল আইডি নম্বর ভুল দেখায়।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আপনি যদি মোটামুটি স্থায়ীভাবে বিদেশে থেকে থাকেন, বাংলাদেশে ট্যাক্স ফাইল ওপেন না করাই ভাল। তবে আপনি যদি দেশে টাকা পাঠান নিজের একাউন্টে এবং তা সঞ্চয়ের জন্য, যা দিয়ে ভবিষ্যতে দেশে সম্পদ ক্রয়ের ইচ্ছে আছে, তাহলে অবশ্যই নিজের একাউন্টে টাকা পাঠাবেন। আর একটা ভাল এবং পরিচিত ইনকাম ট্যাক্স লইয়ার ধরে ট্যাক্স ফাইল ওপেন করিয়ে রাখেন। আমার পরিচিত একজন ভাগ্নের একাউন্টে রেগুলার টাকা পাঠাত, পরে দেশে এসে সেই টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট কিনতে গিয়ে বিশাল ঝামেলা পোহাতে হয়েছে। তাই পরিচিত কোন ভাল সোর্সের মাধ্যমে ইনকাম টাক্স লইয়ার খোঁজ করুন, যে ধান্দাবাজ টাইপের হবে না। বাংলাদেশে এখন প্রায় সকল সরকারী কাগজপত্র করতে গেলে, ইভেন ব্যাঙ্ক একাউন্ট ওপেন করতেও অনেক সময় টিআইএন সার্টিফিকেট চাচ্ছে।

ভাল থাকুন সবসময়, অনেক শুভকামন রইল।

অফ টপিকঃ আমি অনেকদিন ব্লগে অনিয়মিত, তাই উত্তর দিতে এত দেরী করে ফেললাম, আশা করি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। :)

২৫| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৫২

এএসপি সাহেব বলেছেন: ভাইয়া, আমার সঞ্চয়পত্র কেনা আছে যা থেকে লভ্যাংশ পাই, সেই টাকা ব্যাংকে জমা রাখি। কোনো চাকুরী পাই নাই এখনো। কোনো ব্যবসায় টাকা লগ্নি করা নাই। ব্যাংকে চলতি হিসাব, তাই কোনো লভ্যাংশ দেয় না।
আমার কি আয়কর দিতে হবে ?

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আপনার সঞ্চয়পত্র হতে প্রাপ্ত সুদ যখন ব্যাংকে জমা হয়, তখন তার উপর হতে ব্যাংক কি ট্যাক্স বাবদ টাকা কেটে রাখে, ব্যাংক স্টেটমেন্ট চেক করে দেখে নিবেন। আর আয়কর দেয়া এবং আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার মাঝে পার্থক্য কিন্তু আছে। যেহেতু, আপনার কোন আয়ের উৎস বর্তমানে নাই, তাই আয়কর রিটার্ন জমা না দেয়াই উত্তম। আর আয়কর দেয়ার তো প্রশ্নই আসে না। তবে ব্যাংকিং রুলস অনুযায়ী যদি সঞ্চয়পত্রের উপর সুদ কেটে রাখা হয়, রাখুক, সেটা নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নাই। কিন্তু জব হওয়ার পর অবশ্যই আয়কর রিটার্ন জমা দিবেন এবং সঞ্চয়পত্রের উপর রিবেট পাবেন, সেটা নিবেন, আর সুদের উপর অগ্রিম কেটে নেয়া কর আয়কর রিটার্নে প্রদেয় কর হতে বাদ দিবেন। এ ব্যাপারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওয়েব সাইটে আয়কর নির্দেশিকা আছে, পিডিএফ ফাইল আকারে ডাউনলোড করে নিয়ে পড়ে দেখতে পারেন। আর অভিজ্ঞ পরিচিত কেউ থাকলে তার সাথেও আয়কর নিয়ে কথা বলে দেখতে পারেন।

ধন্যবাদ, ভাল থাকুন সবসময়। :)

২৬| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৪

গণ সচেতনতা বলেছেন: আমি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করি পাশাপাশি ইকমার্স সাইটের মাধ্যমে জামা কাপড় বিক্রয় করে থাকি। পাইকারী দামে ক্রয় করে খুচরা দামে ক্রেতার নিকট বিক্রয় করি। প্রতি মাসে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকার মতো লাভ থাকে। নিজের বেতন হিসেবে ২০ হাজার টাকা খরচ দেখালে ব্যবসায় লস দেখাবে। এখন আমি কি প্রতি বছর মোট বিক্রয় এর উপর ট্যাক্স দিব না কি আয় ব্যয়ের উপর। দয়া করে জানালে উপকৃত হবো

২৭| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৪

গণ সচেতনতা বলেছেন: আমি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করি পাশাপাশি ইকমার্স সাইটের মাধ্যমে জামা কাপড় বিক্রয় করে থাকি। পাইকারী দামে ক্রয় করে খুচরা দামে ক্রেতার নিকট বিক্রয় করি। প্রতি মাসে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকার মতো লাভ থাকে। নিজের বেতন হিসেবে ২০ হাজার টাকা খরচ দেখালে ব্যবসায় লস দেখাবে। এখন আমি কি প্রতি বছর মোট বিক্রয় এর উপর ট্যাক্স দিব না কি আয় ব্যয়ের উপর। দয়া করে জানালে উপকৃত হবো

২৮| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৪

গণ সচেতনতা বলেছেন: আমি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করি পাশাপাশি ইকমার্স সাইটের মাধ্যমে জামা কাপড় বিক্রয় করে থাকি। পাইকারী দামে ক্রয় করে খুচরা দামে ক্রেতার নিকট বিক্রয় করি। প্রতি মাসে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকার মতো লাভ থাকে। নিজের বেতন হিসেবে ২০ হাজার টাকা খরচ দেখালে ব্যবসায় লস দেখাবে। এখন আমি কি প্রতি বছর মোট বিক্রয় এর উপর ট্যাক্স দিব না কি আয় ব্যয়ের উপর। দয়া করে জানালে উপকৃত হবো

২৯| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৪

গণ সচেতনতা বলেছেন: আমি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করি পাশাপাশি ইকমার্স সাইটের মাধ্যমে জামা কাপড় বিক্রয় করে থাকি। পাইকারী দামে ক্রয় করে খুচরা দামে ক্রেতার নিকট বিক্রয় করি। প্রতি মাসে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকার মতো লাভ থাকে। নিজের বেতন হিসেবে ২০ হাজার টাকা খরচ দেখালে ব্যবসায় লস দেখাবে। এখন আমি কি প্রতি বছর মোট বিক্রয় এর উপর ট্যাক্স দিব না কি আয় ব্যয়ের উপর। দয়া করে জানালে উপকৃত হবো

৩০| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৪

গণ সচেতনতা বলেছেন: আমি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করি পাশাপাশি ইকমার্স সাইটের মাধ্যমে জামা কাপড় বিক্রয় করে থাকি। পাইকারী দামে ক্রয় করে খুচরা দামে ক্রেতার নিকট বিক্রয় করি। প্রতি মাসে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকার মতো লাভ থাকে। নিজের বেতন হিসেবে ২০ হাজার টাকা খরচ দেখালে ব্যবসায় লস দেখাবে। এখন আমি কি প্রতি বছর মোট বিক্রয় এর উপর ট্যাক্স দিব না কি আয় ব্যয়ের উপর। দয়া করে জানালে উপকৃত হবো

৩১| ০৬ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:০১

মো:ফখরুদ্দীন বলেছেন: ভাইয়া আমি যে প্রতিষ্ঠানে চাকরী করি ঐ প্রতিষ্ঠানের মালিক আমাকে বিশ্বাস করে (আমার রিলেটিভ হয়) বলে আমার নামে ট্রেড লাইসেন্স, টিন এবং আনু্ষাঙ্গিক ডকুমেন্ট তৈরি করে তা দিয়ে (প্রোপাইটর আমি) একটি কোম্পানি খুলতে চাচ্ছেন।এমতবস্থায় আমার যদি অন্য কোন জায়গায় চাকরী হয়(এর চেয়ে ভাল) এবং আমি যদি এখান থেকে চল যায় এবং আমার মালিক আমার নামে কোম্পানি টা চালায়,এবং
যদি কখনও ট্যাক্সের মারপ্যাছে কোম্পানিটি পড়ে তখন কি কোম্পানির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ ছাড়া আমার ব্যাক্তিগত জীবনে এর কোন প্রভাব পড়বে কিনা জানালে উপকৃত হবো।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:২৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: জী পড়বে। আপনার ইনকাম ট্যাক্স রিটার্নে সাতটি আয়ের খাতের মধ্যে ব্যাবসা খাত হতে আয়ের ঘরে আপনার আত্মীয়'র প্রতিষ্ঠানের আয় যোগ হবে, আর আপনার অফিসের বেতন যাবে বেতন খাতে। তাই সাবধান, অতি সত্ত্বর অভিজ্ঞ আয়কর আইনজীবী'র পরামর্শ নিন। ধন্যবাদ।

৩২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৫৯

মানুষ নই বলেছেন: আমার মায়ের নামে ঢাকায় এ্যাপার্টমেন্ট, বয়স ষাটোর্ধ। তিনি যদি তাঁর এ্যাপার্টমেন্টটি বিক্রি করে দেন সেখেত্রে বিক্রয়লব্ধ টাকায় কি ভ্যাট ট্যাক্স প্রযোজ্য? উত্তর দিলে বাধিত হব, দরকারি পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: হ্যাঁ প্রযোজ্য।

পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন। ভাল থাকুন সবসময়। :)

৩৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৬

আবুল বিড়ি বলেছেন: আমি প্রথম বারের মতো আয়কর রিটার্ন করেছি. কিন্তু কোনো সম্পদের হিসাব দেখায়নি. আমার কি কোনো সমস্যা হবে? হলে পরিত্রান কিভাবে পাবো?

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: যদি সত্যিকার অর্থে আপনি কোন সম্পদের মালিক না হয়ে থাকেন এবং ভবিষ্যতে কর ফাঁকি দেয়ার প্ল্যান না থাকে, তাহলে কোন চিন্তা নাই। কারন প্রতি বছরের সম্পদের পরিবৃদ্ধি আয়কর রিটার্নে চলে আসবে। তবে সম্পদের মালিকানা থাকা স্বত্বেও যদি প্রথমবারের রিটার্নে না দেখান, তাহলে ভবিষ্যতে সমস্যায় পড়বেন।

অনেক ধন্যবাদ পোস্টটি পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য। ভাল থাকুন সবসময়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.