নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বোকা মানুষের কথায় কিই বা আসে যায়

বোকা মানুষ বলতে চায়

আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১

বোকা মানুষ বলতে চায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবে যাচ্ছেন লোভাছড়া?

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫৫

[



বছর দুয়েক আগে কোন এক সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা ছবি দেখি। দুই পাশে পাহাড়ের সারি রেখে নীলাকাশের নীচে গাঢ় নীলাভ সর্পিল নদী বয়ে চলেছে। ছবি দেখে তন্ময় হয়েছিলাম অনেকটা সময়। নদীর নাম “লোভা”, লোকেশন সিলেটের কানাইঘাট উপজেলা। বসে পড়লাম নেটে, সারাদিন গুগল মামাকে বিরক্ত করেও কোন লাভ হল না। না কোন তথ্য, না কোন বিবরন; শুধু বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে একটি নদী ইংরেজিতে লোভা নামে চিহ্নিত করা আছে। তখন থেকে প্ল্যান কবে যাব লোভা নদীতে নৌ-বিহারে? অবশেষে গেল এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে সৌভাগ্য হল লোভা নদী তথা লোভাছড়া ভ্রমণের। তবে ইতোমধ্যে লোভাছড়া’র নাম চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে, স্থানীয় পত্র-পত্রিকায় এ নিয়ে রিপোর্ট শুরু হয়েছে। আর এখনতো জাতীয় পত্রিকায়, টেলিভিশনে পর্যন্ত লোভাছড়া’র উপর রিপোর্ট হচ্ছে।সিলেট থেকে জাফলং-তামাবিল সড়কের সারিঘাটের কাছাকাছি এসে একটা রাস্তা বামদিকে গোয়াইনঘাটের দিকে গেছে যে পথে আছে আলোচিত পর্যটন কেন্দ্র “বিছানাকান্দি”, “পান্তুমাই”, “লক্ষনছড়া”। আর হাতের ডানদিকে সারি নদীর শাখা ধরে আপনি চলে যেতে পারবেন লালাখালের অপার সৌন্দর্যের ভুবনে। এই লালাখালস্থ চা বাগানের পেছন দিয়ে সংযোগ রয়েছে “লোভাছড়া চা বাগান” এর। তবে তার আগেই ডানের পিচঢালা রাস্তা চলে গেছে কানাইঘাটের দিকে। এবড়ো-থেবড়ো, ভাঙ্গা এই সড়ক ধরে ঘণ্টা দেড়েক গেলে আপনি পৌঁছে যাবেন কানাইঘাটে। তবে এই যাত্রাপথে আপনি দেখতে পাবেন সীমান্তের সারি সারি পাহাড়ের সুন্দর পটে আঁকা ছবি যা হয়তো আপনাকে এই যাত্রা পথের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব করতে সহায়তা করবে।







কানাইঘাট হতে নৌকা চলে সীমান্তবর্তী গ্রাম “মুলাদি” বাজার পর্যন্ত। জনপ্রতি ভাড়া ৫০ টাকা। অপূর্ব এই নৌভ্রমণ আপনি আজীবন মনে রাখবেন। তবে অবশ্যই বর্ষার মৌসুমে যেতে হবে আপনাকে। শুকনো মৌসুমে হলে হাঁটু পানিতে মাঝিদের ঠেলে ঠেলে নৌকা বয়ে যেতে দেখবেন। মুলাদি বাজার যাওয়ার পথেই পড়বে “লোভাছড়া চা বাগান”, মাঝিকে বললেই ঘাটে নৌকা ভিড়িয়ে আপনাকে নামিয়ে দেবে। এরপর হারিয়ে যান সবুজের গভীর মায়ায়।







কানাইঘাট উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ ইউনিয়নের অর্ন্তভূক্ত এই সীমান্তবর্তী লোভাছড়া নদীর পাশেই ব্রিটিশ আমলে প্রায় ১৮৩৯ একর জমির উপর ইংরেজ মালিকানায় গড়ে ওঠে লোভাছড়া চা-বাগান। বাগানের উত্তরে ভারতের মেঘালয় রাজ্য এবং পশ্চিমে বাংলাদেশের একটি সুন্দর পিকনিক স্পট ও লালাখাল চা-বাগান অবস্থিত। পাহাড়ের কোল জুড়ে গাছপালার সবুজ বর্ণিল রঙয়ে আচ্ছাদিত হয়ে আছে লোভাছড়া চা-বাগান। বাগানের শুরু থেকে মাটির রাস্তা ধরে যতদূর এগুনো যায় চোখে পড়ে ছোট-বড় নানা ধরনের গাছপালা। চা-বাগানের মাঝে গাছগুলো সারি-সারিভাবে সাজানো। এই চা-বাগানের সৌন্দর্য্যের প্রতি মুগ্ধতা অন্যদিকে রয়েছে তার প্রাকৃতিক ঐশ্বর্যের প্রতি লালসা। লোভাছড়ার পাশ দিয়ে ভারত সীমান্তে হারিয়ে গেছে ‘নুনগাঙ’। ‘নুনগাঙ’ প্রায় নদীর মত হলেও এটি আসলে ঘোলা পানির একটি খাল যা লোভাছড়া নদী থেকে উৎপন্ন হয়েছে। খালের উপর বেশ পুরনো তবে এখনো মজবুত স্টীলের তৈরী একটি ব্রীজ রয়েছে, যার উপরে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ-ভারত উভয় সীমান্তের পাহাড়ঘেরা আবছা ছবি চমৎকারভাবে ভেসে ওঠে। বাগানের সবচাইতে উঁচু বাংলো থেকে শীতের দিনে দেখা যাবে স্বচ্ছ জলের লোভাছড়া নদী। এই বাগানেই কিছুদিন ২০১২ সালে একটি ব্ল্যাক প্যানথার ধরা পড়ে, যেটি শুধুমাত্র আফ্রিকা মহাদেশে পাওয়া যায়। এছাড়াও খুব সকালে হরিণ, খরগোশ, আর বন মোরগ চোখে পড়ে। আর রাতের আঁধারে শোনা যায় বাঘের গর্জন। বলা চলে- লোভাছড়া চা-বাগান বন্যপ্রাণীদেরও অভয়াশ্রম। বাগান কর্তৃপক্ষের একটি বিশাল আকৃতির পোষা হাতি রয়েছে, যেটি সবসময় বাগানে অবাধ চলাফেরা করে। লোভাছড়ায় পর্যটকের জন্য থাকার কোন সু-ব্যবস্থা না থাকলেও বাগান মালিক কর্তৃপক্ষের জন্য রয়েছে ৪টি বাংলো। বাংলোগুলোর বাহ্যিক দৃশ্যগুলোও বেশ নান্দনিক। বাংলোর কাছাকাছি জায়গায় রয়েছে কয়েকটি কফি গাছ। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকবাহিনীর তান্ডবে এই বাগানের নিজস্ব ফ্যাক্টরী ধ্বংস হয়ে যায়। তাই এখানে গেলে কোন চা প্রক্রিয়াজাতকরণ পদ্ধতি দেখা যাবে না।







সত্যিই অপূর্ব লোভাছড়ার পরিবেশ ও প্রাকৃতিক দৃশ্য অনেকটা জৈন্তাপুরের জাফলং এর মত। এখানেও নদীতে প্রচুর পাথর দেখা যায়। এছাড়া আরো রয়েছে স্বচ্ছ পরিস্কার পানির ঝর্না। ঝর্নার পানিতে ছোট ছোট সুন্দর মাছগুলোর খেলা সত্যিই দৃষ্টিনন্দন। এই লোভাছড়ার যে দিকেই তাকানো যায় দেখা যায় শুধু সবুজ পাহাড়। বর্ষাকালে পাহাড়গুলো আরো সবুজ দেখায়। এখাকার যে কোন উঁচু পাহাড়ে উঠলে দূরের ঐ মেঘালয়ের খাসিয়া জৈন্তিয়া পাহাড় খুব কাছে থেকে দেখা যায়। লোভাছড়ায় বাড়তি আকর্ষন হিসেবে খাসিয়া পুঞ্জি তো আছেই । এখানকার খাসিয়াদেরও আদি নিবাস ছিল খাসিয়া জৈন্তা পাহাড়। বহু বছর পুর্ব থেকে এদের লোভাছড়ায় বসবাস। লোভাছড়া থেকে ৫ কি. মি উত্তরে গভীর জঙ্গলের ভিতরে কয়েকটি বিশাল আকৃতি পাথর রয়েছে। এক একটি পাথরের উচ্চতা হবে প্রায় ৩০ ফুট। প্রতিটি পাথর গোলাকার। চওড়া হবে প্রায় ৫০ ফুট। যদিও এই তথ্য নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে, আমি প্রথমদিন এই পাথরের খোঁজে স্থানীয় মানুষদের সাথে কথা বলে ব্যাপক অনুসন্ধান করেছি। যারা বনে বিভিন কাজে যাতায়াত করে তাদের ভাষ্য মতে এই উচ্চতা ১৫ মিটারের বেশী নয়, এই পাথরগুলোর অবস্থান পাহাড়ের নিচে। লোভা নদী থেকে বারকি শ্রমিকরা প্রচুর পাথর উত্তোলন করে। সেই পাথর তোলার দৃশ্যও খুব সুন্দর। শহরের বানিজ্যিক এলাকায় বড় বড় ভবন এবং দেশের বড় বড় সড়কগুলোর বেশির ভাগই তৈরি এ লোভা নদীর পাথর দিয়ে। লোভাছড়া এলাকার জনসাধারন চাষাবাদ এবং পাথর উত্তোলন করে জীবিকা নির্বাহ করেন। এলাকার মানুষগুলো খুবই সহজ সরল। লোভাছড়ায় টিলার উপর একটি প্রচীন জমিদার বাড়ী রয়েছে। ১৯০৯ সালে একজন সমাজ সেবক ইংরেজ মেজর লোছড়ায় এসে জমিদারীর গোড়া পত্তন করেন। বর্তমানে তাঁর নাতী জেমস লিও ফাগুশন তাঁর দাদার সম্পত্তিগুলো দেখাশুনা করছেন। এক সময় এই এলাকা হিংস্র বণ্য প্রানীর অভয়ারণ্য ছিল।







সেদিন বেড়িয়ে দুদিন পর আবার ভ্রমণ বাংলাদেশের ৩২জনের দল নিয়ে আবার যাই লোভাছড়া। আসলে লোভাছড়া’র প্রেমে পড়ে গেছি। আসছে শীতে আবার যাবো লোভাছড়া, আর অবশ্যই আগামী বছর বর্ষায়। এই লোভাছড়া কেন্দ্র করে একটি প্রেমের গল্প আগামীতে লেখার ইচ্ছা আছে। তো? কবে যাচ্ছেন লোভাছড়া?







তথ্যসুত্রঃ

http://www.bdnationalnews.com/tourism/

http://www.sylhetview.com/



প্রথম ছবি চারটি সংগৃহীত। এর মধ্যে প্রথমটি সেই ছবি যা দেখে লোভাছড়া'র প্রেমে পড়েছিলাম। :)

মন্তব্য ৫৭ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৫৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৪

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি সিলেট।

পোস্টে প্রথম লাইক।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:২০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: পুরো বৃহত্তর সিলেট জেলাই যেন অপার সৌন্দর্যের ডালি মেলে বসে আছে সুন্দরের পূজারীদের জন্য।

অশেষ ধন্যবাদ প্রিয় প্রবাসী পাঠক। ভালো থাকুন সবসময়।

২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৭

মামুন রশিদ বলেছেন: গত রাতে টিভিতে লোভাছড়া নিয়ে একটা রিপোর্ট দেখলাম । আর আজকে পড়লাম আপনার চমৎকার এই পোস্ট । আমি ন্যাচারাল আইলসা মানুষ । কতবার কানাইঘাট গেছি, ওখানে গিয়ে লোভাছড়ার রুপের কথা শুনেছি । কিন্তু কখনো দেখার লোভ হয়নি । এখন ব্লগে আপনাদের ভ্রমন পোস্ট পড়ে পড়ে ক্রমশ লোভী হয়ে উঠছি । মাঝে মাঝে মনে হয় রাহুল সাংকৃত্যায়নের মত ভবঘুরে হয়ে বেরিয়ে পড়ি দুনিয়ার রুপ দর্শনে ।


পোস্টে ভালোলাগা++

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৫৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: লোভাছড়া আসলেই লোভ ধরিয়ে দেয়। বর্ষা আর শীতে লোভাছড়া'র অপরুপ রূপ সত্যিই মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখবে আপনাকে। সময় করে দেখে আসবনে এক সময়। আপনিতো মহা সৌভাগ্যবান, থাকেন সিলেটে।

"ভ্রমণ সাহিত্যে চোখ বুলাই" সিরিজে আগামী পর্বে থাকছে সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় এর "পালামৌ"; তার পরের পর্বেই লিখব রাহুল সাংকৃত্যায়নের "লাদাখ" ভ্রমণ নিয়ে। ভালো সময়েই রাহুল সাংকৃত্যায়নের কথা বলেছেন।

আর, ভ্রমণ পোস্ট পড়ে পড়ে ক্রমশ লোভী হয়ে উঠছি । মাঝে মাঝে মনে হয় রাহুল সাংকৃত্যায়নের মত ভবঘুরে হয়ে বেরিয়ে পড়ি দুনিয়ার রুপ দর্শনে। ভাবী জানে তো? ;) :P

৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৯

জাফরুল মবীন বলেছেন: লোভাছড়া’র লোভ দেখানোর জন্য ধন্যবাদ :)

দ্বিতীয় লাইকটা আমার!

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৩৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: লোভ দেখায়া লোভী মানুষকে বশ করে ফেলল এই বোকা মানুষটা!!! হুররে... :-B :-B :-B

৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০১

ঢাকাবাসী বলেছেন: চমৎকার সব ছবি সহ সুন্দর বর্ণনা, ভ্রমনে উৎসাহ দেয়। ভাল লাগল।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: চমৎকার সব ছবি সহ সুন্দর বর্ণনা, ভ্রমনে উৎসাহ দেয়... ভালো বলেছেন। ভ্রমণের নেশা, বড় কঠিন নেশা!!!

ভালো থাকুন সবসময়।

৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১৮

আবু শাকিল বলেছেন: সৌন্দর্য দেখতে যাইতে হপে :)

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: সৌন্দর্য দেখতে যাইতে হপে কিন্তু কপে কপে কপে???

=p~ =p~ =p~

৬| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৪০

টানিম বলেছেন: হুম সুন্দর জায়গা। সিলেটের ভালো একটা স্পট । এদানিং এখানকার চা বাগান পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত মালিকানা নিয়ে । সাবধানে যাবেন । ধন্যবাদ

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ তথ্যটি শেয়ার করার জন্য। কোন এক চ্যানেল বা পত্রিকায় নিউজটি দেখেছিলাম বোধহয়।

পাঠ এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৭| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৪৩

রন৬৬৬ বলেছেন: @Tanim: Are you from Sylhet?

৮| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫৬

 বলেছেন: অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি সিলেট :D

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: হুমম... ঠিক বলেছেন, আমার মতে বাংলাদেশের সেরা পর্যটন জোন হল বৃহত্তর সিলেট।

সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

৯| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:০৩

কলমের কালি শেষ বলেছেন: মন্ত্রীর কাজ দেখি ভালোই পালন করছেন ! আমরা মন্ত্রী পেয়ে গর্বিত !

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: কথা ভুল, আমি মন্ত্রী হওয়ার আগে থেকেই কাজ ভালো করছিলাম। ভালো কাজের জন্য মন্ত্রীত্ব পেয়েছি। আপনারা চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র বন্ধ করুন। আমার সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে কিছু বিরোধী লোকজন এইসব অপপ্রচার করছে। তাদের কথায় আপনারা কান দিবেন না। ;) :P

=p~ =p~ =p~ =p~ =p~

১০| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪৯

সুমন কর বলেছেন: অাপনি মানুষটা পচা ! B-) খালি মানুষদের লোভ দেখান ! :(

এত সুন্দর জায়গার কথা জানতাম না। লোভাছড়া দেখার ইচ্ছে থাকলো।

কিছু ছবি ঘোলা এসেছে।

চমৎকার পোস্ট !! বাংলার রূপের শেষ নাই।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় সুমন কর। আসলে সপ্তাহব্যাপী সেই ট্যুর শেষে ঢাকায় ফিরে আসার পর আমি আমার ছবিগুলো কোথায় যেন হারিয়ে ফেলি। ফলে অনেক ছবিই শেয়ার করতে পারলাম না। ঘোলা ছবিগুলো সব সংগৃহীত।

বর্ষায় চলে যান লোভাছড়া দেখতে যখন নদীতে পর্যাপ্ত পানি থাকবে।

আপনার জন্য আমার মোবাইলে তোলা লোভাছড়া নদীর নীচের ছবিটি উৎসর্গ করা হলঃ


ভালো থাকা হোক সবসময়।

১১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫৪

টানিম বলেছেন: রন৬৬৬৬৬ ... হুম আমি সিলেট থেকে । কিন্তু এখনতো সিলেটে নেই ... কেনো ???

১২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০৮

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:


সুন্দর !!!

শুধু লিস্ট ভরছে তবে যাচ্ছি না :(

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ স্নিগ্ধ শোভন। হবে... হবে। একসময় দেখবেন চরকির মত ঘুরে বেড়াচ্ছেন। :)

ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা রইল।

১৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২৪

মুহিব জিহাদ বলেছেন: লোভা ছড়ার প্রেমে পড়ে গেলাম, ছবিগুল দেখে এখন ই যাইতে মঞ্চায়

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: খেলতাম না... খেলতাম না... খেলতাম না...
লোভাছড়া আমার প্রেম, তাকে নিয়ে অন্য কারো টানাহেঁচড়া চইলতো না X(( X(( X((

;) :P
=p~ =p~ =p~

১৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৩৮

সোজা কথা বলেছেন: খুবই সুন্দর বর্ণনা। ভাল লাগলো। আমি সিলেটে থেকেও এতো কিছু জানতাম না পোস্ট থেকে অনেক কিছু জানা হলো। এজন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

আর, আপনার সাথে লোভাচড়া যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করি বোকা ভাইটি! :)

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৫৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ সোজা কথা। পাঠ এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন।

যদি ভাগ্যে থাকে তবে কোন একদিন দেখা হবে, একসাথে বেড়ানোও হবে।

ভালো থাকুন সবসময়। :)

১৫| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ২:৪৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেক সুন্দর ...

আহা খালি ঘুরাঘুরি করতে পারতাম

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আহা খালি ঘুরাঘুরি করতে পারতাম.... ইহা কি সহজে সম্ভব? সারা সপ্তাহ অফিস করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে ব্যাগ গুছিয়ে রাতের গাড়ি ধরতে দৌড় দেই, আবার রবিবার ভোরবেলা ঢাকায় ফিরে ক্লান্ত দেহ, ঘুমে ঢুলু ঢুলু চোখে অফিসে যাওয়া.... কখনো কখনো বাস হতে নেমে ব্যাগ নিয়েই অফিসে চলে যাওয়া!!! :( :((

এভাবেই চলছে ঘোরাঘুরি'র অধ্যায়।

আশা করি আপনিও ঘুরে বেড়াবেন মনের আনন্দে।

শুভকামনা রইল, ভালো থাকুন সবসময়। :)

১৬| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:৩৫

ভিটামিন সি বলেছেন: আামার আর কোথাও যাওয়া হলো না। নিজের দেশটাকেই দেখলাম না। মাঝে মাঝে ইচ্ছা করে সবকিছু ছেড়ে-ছুড়ে শালা বাউল হয়ে যাই। তবেই দেশটাকে দেখা যাবে নিজ চোখ দিয়ে।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আামার আর কোথাও যাওয়া হলো না। নিজের দেশটাকেই দেখলাম না। মাঝে মাঝে ইচ্ছা করে সবকিছু ছেড়ে-ছুড়ে শালা বাউল হয়ে যাই। তবেই দেশটাকে দেখা যাবে নিজ চোখ দিয়ে। =p~ =p~ =p~ ভালো বলেছেন। তবে ১৫ নম্বর মন্তব্যের প্রতিত্তরে বর্ণিত পন্থাও অবলম্বন করে দেখতে পারেন।

অটঃ শালা বাউল কেম্নে হয় ;) :P

১৭| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:২৯

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ৯ম ভালোলাগা ভ্রাতা +++++++++

চমৎকার ভ্রমণ পোস্ট । নতুন একটা সুন্দরতম জায়গা সম্পর্কে জানলাম :)

ভালো থাকবেন সবসময় :)

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভ্রাতা। আপনিও ভালো থাকুন এই দোয়া করি।

১৮| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৭

সোহানী বলেছেন: জি দোস্ত মন্ত্রী সাব, বহুততো লোভ দিলেন এবার অাপনি অামাদের নেবার ব্যবস্থা করবেন......+++++

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:০৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমার কাজই ছিল লোভাছড়া'র লোভ ধরিয়ে দেয়া। এবার লোভ সংবরণ করুন অথবা বেড়িয়ে পরুন লোভাছড়া'র উদ্দেশ্যে। আর হ্যাঁ, লোভাছড়া যাওয়ার ভিসা নিয়ে কোন সমস্যা হবে না। সামুর পর্যটন মন্ত্রণালয় ২৪/৭ সার্ভিস প্রোভাইড করছে লোভাছড়া'র ভিসা ইস্যু প্রসঙ্গে।

ধন্যবাদ, দোস্ত ব্লগার। আপনার জন্য অবশ্যই স্পেশাল সার্ভিস থাকবে, কেননা মন্ত্রী'র দোস্ত বলে কথা :P

ভালো থাকুন সবসময়।

১৯| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪১

সোহানী বলেছেন: জি দোস্ত মন্ত্রী সাব, বহুততো লোভ দিলেন এবার অাপনি অামাদের নেবার ব্যবস্থা করবেন......+++++

২০| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৬

অদৃশ্য বলেছেন:





আহ্‌, দারুন জায়গা... দারুন পোষ্ট...


শুভকামনা...

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আসলেই দারুন জায়গা...
অনেক ধন্যবাদ, ভালো থাকুন সবসময়।

২১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫১

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: অপূর্ব সুন্দর !

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় অভি, ভালো থাকা হোক সর্বদা।

২২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৮

পার্সিয়াস রিবর্ণ বলেছেন: সিলেট যাবার জন্য মুখিয়ে আছি । প্রায় বছর দুয়েক আগে একবার গিয়েছিলাম তবে সেভাবে ঘোরা হয়নি । এবার মোটামুটি সব দেখার ইচ্ছে ।

লেখাটা কাজে দেবে আশা করি ।

ভালোলাগা রইলো । :)

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ পার্সিয়াস রিবর্ণ। তবে সিলেট বিভাগ বর্ষায় বেড়ালে বেশী ভালো লাগে। শীতে টাঙ্গুয়ার আর হাকালুকি হাওরে অতিথি পাখী অনেক আসে, যা খুবই উপভোগ্য। কেলেঙ্গা-সাতছড়ি-খাদিমনগর এই বনাঞ্চলগুলোতে ঘুরে বেড়াতে পারেন। আর বিখ্যাত অনেক পর্যটন স্পটতো রয়েছেই। তবে লালাখালের নীল জলের সৌন্দর্য যা শুধুমাত্রই শীতে দেখা যায়, তা কিন্তু মিস করবেন না।

আশা করি সুন্দর একটি ট্যুর শেষে সুন্দর কিছু পোস্ট পাবো যা ভ্রমণ সমগ্র'কে সমৃদ্ধ করবে। :)

২৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫২

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: বর্ষাকাল আস্তে তো এখনো অনেক দেরী। এত আগে লোভ দেখালেন ক্যা???

কিছুদিন আগে লাফাঙ্গা দলের একজন হয়ে বিছানাকান্দি ঘুরে আসলাম, পানির অভাবে অনেক নিষ্প্রাণ লাগছে জায়গাগুলো।

পোষ্টে ভালোলাগা।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: বর্ষাকাল আস্তে তো এখনো অনেক দেরী। এত আগে লোভ দেখালাম কারণ লাফাঙ্গা দলকে রেডি করা, প্ল্যান করা, স্বপ্ন দেখা ;) আরও কত কাজ আছে না? আর হ্যাঁ, পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে ভিসা নিতে হবে কিন্তু :P

=p~ =p~ =p~

আসলে সিলেট বেড়ানোর উপযুক্ত সময় হল বর্ষাকাল। বর্ষায় সিলেট অপরূপ, অপার্থিব....

ভালো থাকুন সবসময় প্রিয় নাবিক ভাই। শুভকামনা রইল।

২৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১২

জুন বলেছেন: লোভনীয় জায়গার অসাধারন ছবিগুলো দেখে মনটা লোভাতুর হয়ে উঠলো , কিন্ত হাটার কথা ভেবেই দমে গেলাম বোকামানুষ। সেখানে যাবার জন্য হাটা ছাড়া উপায় আছে কি আর ?

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। হাঁটা পথ কিন্তু বাগানের মধ্যে। সিলেট শহর হতে সরাসরি কানাইঘাটগামী বাস আছে, সেই পথে প্রাইভেট গাড়ী নিয়ে যেতে পারবেন। কানাইঘাট থেকে মুলাদি বাজারগামী ইঞ্জিন নৌকোয় করে একেবারে লোভাছড়া বাগানের ঘাটে নেমে পড়ুন। এরপর বাগান ঘুরে বেড়ান হেঁটে হেঁটে। আর স্পেশাল কোন এরঞ্জমেণ্ট করে যদি বাগানের কোন বাহন ম্যানেজ করে যায়, তবে বাগান ঘুরতেও হাঁটার কষ্ট এভয়ড করতে পারেন।

তবে, শীতকালে লালাখাল হতে চা বাগানের ভেতর দিয়ে কাঁচা মাটির পথে লোভাছড়া চা বাগান যেতে পারবেন সিএনজি, টেম্পু, জীপ এগুলো নিয়ে। প্রাইভেট কার নিয়েও যেতে পারেন, তবে কতটা উপযুক্ত আমার জানা নেই। এইতো... হাঁটা ছাড়া যাবার উপায়। :)

ভালো থাকুন সবসময়।

২৫| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:১৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: জি আপনার দোয়া কবুল হোক, আজ সকাল থেকেই বেড়িয়ে পরার আকুলতা টের পাচ্ছি, কিন্তু তারপর????? হয়ত জখন পাহাড়ে উঠার, শক্তি থাকবে না, হেটে জেতে পারব না বহুদুর তখন মিলবে অফুরন্মত সময়. আপ্নার ভ্রমন আনন্দময় হোক. লেখা পড়ে আমাদের ভ্রমন শখ পুরন হোক শুভ কামনা

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:০১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: হুমম... শীতের আগমন বার্তা বাঙ্গালী জীবনে ভ্রমণের আকুলতা বাড়ায়। দোয়া করি সকল ব্যস্ততা, সীমাবদ্ধতা লাঘব করে মনের ইচ্ছা পূরণে বেরুনোর সময় সুযোগ আল্লাহ একদিন করে দিবেন, আর তা অবশ্যই শক্তি, সামর্থ্য থাকাকালীন সময়েই।

আসলে আমি ভ্রমণে সুখ খুঁজে পাই, তাই দুঃখ ভুলতে ঘুরে বেড়াই...

আপনার শুভকামনায় কৃতজ্ঞতা জানবেন।

২৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:২২

তুষার কাব্য বলেছেন: চমৎকার সব ছবি সহ সুন্দর বর্ণনা ...

আমি গেছি :P
ভাই কি ভ্রমন বাংলাদেশের সাথে ইনভলভ?

শুভকামনা সবসময়...

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তুষার কাব্য। আপনি গিয়েছেন মানে আপনি লাকি ম্যান। আমি মূলত ভ্রমণ বাংলাদেশের সাথে ট্যুরে যাই, এই হল তাদের সাথে আমার সম্পর্ক। আমি ভ্রমণ বাংলাদেশের একজন সাধারন সদস্য। দিন দুয়েক আগে টিওবি'র পেইজ হতে আপনার ফেবু প্রোফাইল ঢুঁ মেরে এলাম ;) :P

ভালো থাকুন সবসময়।

২৭| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৮

এহসান সাবির বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।


বেরিয়ে পড়ব একদিন।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ এহসান সাবির ভাই। হ্যাঁ, সময় করে একদিন বেড়িয়ে পড়ুন। শুভকামনা রইল।

২৮| ২৭ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৬

rasel246 বলেছেন: কত সময় লাগে ঘুরে আসতে? ভাই খাওয়া দাওয়ার কি বেবস্থা আছে?? “মুলাদি” বাজার পর্যন্ত নৌকা রিজারব ভাড়া কত হতে পাড়ে? “মুলাদি” বাজার কি দুপুর এর লাঞ্ছ এ বেবস্থা করা যাবে??

২৭ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: সিলেট শহর থেকে খুব সকালে (৬/৭টা'র দিকে রওনা দিলে ভাল হয়) রওনা দিবেন, সোবহানী ঘাট থেকে কানাইঘাটের উদ্দেশ্যে। নয়টা দশটা'র মধ্যে পৌঁছে যাবেন। নৌকা ভাড়া নিবে ১৫০০-২৫০০ টাকার মধ্যে রিজার্ভ ভাড়া নিলে। এখন পানি বেশী আছে বলে নৌকা চলাচল সহজ হবে, ফলে অনেক বেশী ঘুরে দেখতে পারবেন। পথে লোভাছড়া চা বাগান পড়বে, ঘুরে দেখতে সময় লাগবে বিধায় নৌকা রিজার্ভের সময় সবকিছু বলে নিবেন। কানাইঘাটে অনেকগুলো খাবার দোকান আছে। নৌকায় ওঠার আগে শুকনো খাবার আর পানি সাথে নিয়ে নিবেন। মুলাদি বাজারে একটা খাবার দোকান আছে, সেখানে বুট-মুড়ি, চা, বিস্কুট টাইপের খাবার পাওয়া যায়। ঘুরে এসে বিকেলের দিকে লেট লাঞ্চ কানাইঘাটে সেরে নিবেন। আরকেটা কথা, কানাইঘাটে নেমে জেনে নিবেন শেষ বাস কয়টায় ছাড়ে। অন্যথায় সিএনজি করে ফিরতে হবে সিলেটে যা একটু ব্যয়বহুল হয়ে যায়। এই তো? আর কিছু জানার থাকলে নির্দ্বিধায় জানাতে পারেন।

ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা রইল।

২৯| ০৩ রা জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৭

rasel246 বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আমরা ৩০ জন আগস্ট মাসে ইনশাআল্লাহ্‌ যাব। ভাই আরেকটু তথ্য দরকার। ১৫০০-২৫০০ টাকার ভাড়ার নৌকাতে অনায়েশে কত জন নৌকাতে উঠতে পারে? ভাই, কোন নৌকা ওয়ালার ফোন নাম্বার আছে আপনার কাছে?? কানাইঘাটে কোন ভাল খাবার দোকান নাম ও ফোন নাম্বার আছে? আবারও ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন সবসময়।

০৩ রা জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৩৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ওখানে দুইধরণের নৌকা চলাচল করে। বর্ষার আগে যখন পানি খুব কম থাকে, হাঁটু সমান হয়ে যায় তখন কোষা নৌকা টাইপের নৌকাগুলো চলাচল করে, ওগুলোতে পাঁচ থেকে ছয় জনের বেশী মানুষ নেয় না, নইলে নৌকা বালিতে আটকে যায়। তবে এখন বর্ষা, বড় ইঞ্চিন নৌকা চলাচল করছে। আশা করি দুই নৌকায় ৩০ জনের হয়ে যাবে। এমনিতে কানাইঘাট থেকে মুলাদি বাজারের ভাড়া ৩০-৫০ টাকা প্রতিজন। আমার কাছে কোন নৌকার মাঝির ফোন নাম্বার নেই, ওখানে গেলে অনেক নৌকা দেখতে পাবেন। ভাল হয় দুজন আগে ঘাটে গিয়ে কয়েকজনের সাথে দরদাম করে নৌকা ঠিক করে আসলে, নইলে সবাই একসাথে ঘাটে গেলে ভাড়া বেশী চাইবে। আর কানাইঘাটে পানশি বা পাকশী নামে খাবার হোটেল আছে, যদিও সিলেট শহরেরগুলোর মত না, তবে চলে। আমরা ওখানেই দুপুরের লাঞ্চ করেছিলাম।

ভাল থাকুন, উইশ ফর এ হ্যাপী জার্নি।

৩০| ০৩ রা জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩০

rasel246 বলেছেন: আপনার ভ্রমন বন্ধু হাসিব সুলতান ভাই আমাকে চিনেন। আমার নাম বললেই চিনবে।

০৩ রা জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৩৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ও আচ্ছা তাই নাকি? চমৎকার। ঠিক আছে হাসিবের সাথে দেখা হলে বলবো। ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.