নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বোকা মানুষের কথায় কিই বা আসে যায়

বোকা মানুষ বলতে চায়

আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১

বোকা মানুষ বলতে চায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

খাদ্য পাত্র, ফুড গ্রেড প্লাস্টিক এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি - কতটুকু সচেতন আমরা?

০৮ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:১৪



আদিকাল থেকে মানুষ খাদ্য অন্বেষণে ছুটেছে এবং সেই খাদ্য সংগ্রহ করে রাখতে উদ্যোগী হয়েছে। আর এই খাদ্য সংরক্ষনে যুগে যুগে মানুষ ধাতব পাত্র ব্যবহার করে এসেছে। পাথরের জামবাটি থেকে শুরু করে অধুনা লুপ্তপ্রায় মাটির মালসা। অনেক দীর্ঘকাল ব্যাপী এইসব প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি পাত্রে খাদ্য সংরক্ষিত এবং পরিবেশিত হয়ে এসেছে। কিন্তু শিল্প বিপ্লবের পর হতে ধীরে ধীরে এইসব প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি পাত্র দৃশ্যপট হতে প্রস্থান করা শুরু করেছিল। আজকের এই বিশ্বায়নের যুগে খাদ্য পরিবহন, সংরক্ষন থেকে শুরু করে পরিবেশনের পুরোটাই জুড়ে আধিপত্য প্লাস্টিকের। আমাদের ঘরের চারিপাশে একটু লক্ষ্য করি অথবা কোন খাদ্য বিক্রেতার দোকানে, যেখানে খাবার, সেখানেই থাকবে প্লাস্টিকের ব্যবহার। এইতো কিছুদিন আগেও যেসব খাদ্যদ্রব্য কাঁচের বোয়ামে পাওয়া যেত, আজ সে সকলের স্থানও প্লাস্টিকের কৌটা দখল করে নিয়েছে। আর শুধু এখানেই নয়, আগে যেসব তৈজসপত্র ব্যবহৃত হত পিতল, কাসা, এলুমিনিয়াম বা মাটির, সেসকলের জায়গা দখল করেছে প্লাস্টিকের বিকল্প পাত্র। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় এই প্লাস্টিকের পাত্র কতটা স্বাস্থ্যসম্মত? আর কতটা স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়ে যায় এই প্লাস্টিক পাত্র ব্যবহারে?


প্লাস্টিক কি?
“প্লাস্টিক” শব্দটি এসেছে গ্রীক শব্দ “প্লাস্টিকস” থেকে যার অর্থ স্বচ্ছন্দে যে কোন আঁকার দেয়া যায় এমন কিছু। ১৮৪৫ সালে ব্রিটিশ বিজ্ঞানী আলেকজান্ডার পার্কস নাইট্রো-সেলুলোজ, প্লাস্টিসাইজার ও অন্য দ্রাবক পদার্থের মিশ্রণে তৈরি করেন আজকের এই প্লাস্টিক। প্লাস্টিক মূলত কার্বন যৌগের একটি চলমান শিকলের জটিল গঠন যার মূল উপাদানে রয়েছে কার্বনের সাথে অক্সিজেন, নাইট্রোজেন এবং সালফারের জটিল রাসায়নিক বন্ধন। এই প্লাস্টিক তার প্রতুলতা, সহজলভ্যতা, তুলনামূলক ব্যয়সাশ্রয়ী এবং পরিবহন, ভঙ্গুরতা সহনশীল সহ আরও অনেক কারণে প্রচলিত অন্যান্য সকল উপাদান টপকে আজকের বহুল ব্যবহৃত উপাদানের স্থানে অধিষ্ঠিত হয়েছে।

প্লাস্টিকের প্রকারভেদ
আমাদের চারপাশে আমরা নানান রকম প্লাস্টিক দেখতে পাই। এগুলোর মধ্যে রয়েছে এক্রেলিক্স, পলিসটার, সিলিকন, পলিউইরেথিন, হ্যালোজেনেটেড প্লাস্টিক ইত্যাদি। মূলত প্লাস্টিকের মূল প্রকারভেদ হয় দুটি বিভাগেঃ থার্মোপ্লাস্টিক (যে প্লাস্টিক একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় তার আকৃতি পরিবর্তন করে এবং শীতল হয়ে সেই আকারের কঠিন আকৃতি ধারন করে) এবং থার্মোসেটিং প্লাস্টিক (এটা মূলত পেট্রো ক্যামিক্যাল যা ২০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা বা তার উপরে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় নির্দিষ্ট রূপে প্লাস্টিক যৌগ গঠন করে)।

ফুড গ্রেডেড প্লাস্টিক
আমাদের চারিপাশের দৃশ্যমান প্লাস্টিক পণ্যের সবগুলোই কিন্তু পেট্রোলিয়াম বা প্রাকৃতিক গ্যাস হতে সৃষ্ট। তাই বলে সকল প্লাস্টিক সমগোত্রীয়? আপনার পানীয় বোতল আর গাড়ির টায়ার? আসলে না, মূল গঠন উপাদান কার্বন যৌগ হলেও বিস্তর ফারাক রয়েছে উপরোক্ত দুটি পণ্যে। আজকের দিনে “ফুড গ্রেড প্লাস্টিক” শব্দটির সাথে আমরা সবাই কমবেশী পরিচিত, তাই না? আসলে ফুড গ্রেড প্লাস্টিক কি? ফুড গ্রেড প্লাস্টিক মূলত এইচডিপিই (উচ্চ ঘনত্বের পলি ইথিলিন) যা দীর্ঘ সময়ব্যাপী ১১০ ডিগ্রী তাপমাত্রা পর্যন্ত রাসায়নিক বিক্রিয়া প্রতিরোধ করতে সক্ষম। আরেক ধরণের ফুড গ্রেড প্লাস্টিক আছে যার নামের সাথে আমরা অধিক পরিচিত, তা হল পেট (পিইটি), পলি ইথিলিন টেরিফেলেট, সাধারন পানীয় যে বোতলে থাকে। এই পেট প্লাস্টিক হল বহুল ব্যবহৃত প্লাস্টিক যা খাদ্য সংরক্ষন এবং পরিবেশনে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

ফুড গ্রেড প্লাস্টিকের প্রকারভেদ
ফুড গ্রেড প্লাস্টিক তিন ধরণের হয়ে থাকে। এগুলো একটু দেখে নেয়া যাকঃ

১) HDPE (হাই ডেনসিটি পলিইথিলিন) :
- তাপমাত্রা সহনশীলতা সীমা ২৩০ ডিগ্রী ফারেনহাইট
- রিসাইক্লিং নাম্বার ২
- পাঁচ লিটারের তরলের কৌটা বা গ্যালনগুলো এই শ্রেনীভুক্ত। (আমাদের দেশেরগুলো কতটুকু এই আওতায় পড়ে তা জানিনা। কিন্তু আন্তর্জাতিক ষ্ট্যাণ্ডার্ড তাই বলে)

২) LDPE (লো ডেনসিটি পলিইথিলিন):
- তাপমাত্রা সহনশীলতা সীমা ১৭৬ ডিগ্রী ফারেনহাইট
- রিসাইক্লিং নাম্বার ৪
- ১৮ লিটারের জার (আমাদের দেশে কোনগুলো এই শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত হতে পারে আমার জানা নেই)

৩) Polyporpelene (পলি প্রোপেলিন):
- তাপমাত্রা সহনশীলতা সীমা ২৭৫ ডিগ্রী ফারেনহাইট
- রিসাইক্লিং নাম্বার ৫
- দইয়ের কৌটা, আইস্ক্রিমের লিটারবক্স এগুলো এই শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত।


ফুড গ্রেড প্লাস্টিক ষ্ট্যাণ্ডার্ড
উন্নত বিশ্বে ফুড গ্রেড প্লাস্টিকের জন্য নির্দিষ্ট নিয়মনীতি রয়েছে। কোন ধরণের খাদ্যপণ্য কোন ধরণের প্লাস্টিক পাত্রে বাজারজাত করা যাবে তার একটি নির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে। আমাদের দেশে এই ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট আইনের সল্পতা প্রকটভাবে লক্ষণীয়।

মানব স্বাস্থ্যের ঝুঁকি এবং প্লাস্টিক
ফুড গ্রেড প্লাস্টিক মানেই কি স্বাস্থ্য নিরাপদ? আমরা সচরাচর যে প্লাস্টিক পণ্য খাদ্য পরিবহন, সংরক্ষণ এবং বাজারজাতকরণের জন্য ব্যবহার করে থাকি তার একটি ব্যবহার মেয়াদ এবং রিসাইক্লিং মেয়াদ থাকে, যা সম্পর্কে আমরা বেশীরভাগ মানুষই অজ্ঞ। সাধারণ কোমল পানীয় এবং মিনারেল ওয়াটারের বোতল আজকেরি দিনে বাংলাদেশে বহুল ব্যবহৃত পানির পাত্র। এর সাথে রয়েছে নানান প্লাস্টিকের পাত্র যেগুলোর উৎপাদন পর্যালোচনা করলে দেখা যায় রিসাইক্লিং প্লাস্টিক হতে এগুলো তৈরি।

কিন্তু কোন কোন পণ্য রিসাইক্লিং হচ্ছে? ঔষধের সিরিঞ্জ থেকে শুরু করে ক্যামিকেলের পাত্র, সব রিসাইক্লিং হচ্ছে। কিন্তু তাও কোন বৈজ্ঞানিক উপায়ে নয়। পুরাতন ঢাকার ইসলামবাগ, কামরাঙ্গিচর, চকবাজার এলাকার আশেপাশের প্লাস্টিক রিসাইক্লিং কারখানা ঘুরে দেখা যায়, সাধারণভাবে পানি দিয়ে দৃশ্যমান ময়লা অপসারন করে প্লাস্টিক পণ্যগুলো মেশিন্যে ভেঙ্গে দানা বা পাউডার করে সেগুলো মল্ডিং মেশিনে গলিয়ে নানান পণ্য তৈরি হচ্ছে যা ব্যবহৃত হচ্ছে খাদ্য সংরক্ষণ এবং পরিবেশনে। এতে করে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে আমাদের জনগণ। কিন্তু কারো কোন খেয়াল কি আছে? মাসের পর মাস আমরা পানীয়ের প্লাস্টিক বোতলে পানির সাথে ক্যামিকাল কম্পাউন্ড নামক বিষ শরীরে প্রবেশ করাচ্ছি।


কি করনীয়
প্রথমত প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার কম করে ধাতব তৈজসপত্র ব্যবহারে মনোযোগী হন। এলুমিনিয়াম, স্টিল, কাসা, পিতলের সাথে আমাদের ঐতিহ্যবাহী মাটির তৈজসপত্র ব্যবহার করা যেতে পারে। প্লাস্টিকের পাত্রের ক্ষেত্রে দেখে নিন এটা ফুড গ্রেড কি না? পানির বোতল প্লাস্টিকের না হয়ে কাঁচের হতে পারে। প্লাস্টিকের তৈজসপত্র কিনতে হলে ভালো ব্র্যান্ডের এবং ফুড গ্রেড নিশ্চয়তা পেলে তবেই কিনুন।


কিভাবে জানবেন প্লাস্টিকটি ফুড গ্রেড কি না?
সত্যিকার অর্থে আজকের দিনে প্লাস্টিক পাত্রকে উপেক্ষা করা এতো সহজ নয়। আর তাই খাদ্য কৌটা বা পাত্রের ফুড গ্রেড নিশ্চিত হওয়া খুবই জরুরী। আসুন দেখি কীভাবে নিশ্চিত হবেন পাত্রটি ফুড গ্রেড কি নাঃ

* সবচেয়ে সহজ উপায় হল পণ্যের রিসাইক্লিং নাম্বার দেখা। এই নাম্বার ১ থেকে ৭ পর্যন্ত হয়ে থাকে। সবচেয়ে ভালো প্লাস্টিক পাত্র যা খাদ্যের জন্য উপযুক্ত তা হল HDPE, যার রিসাইক্লিং নাম্বার হল ২। এছাড়া রয়েছে PETE, LDPE এবং PP এদের রিসাইক্লিং নাম্বার যথাক্রমে ১, ৪ এবং ৫।


* পণ্যের গায়ে কিছু চিহ্ন থাকে, যেমনঃ “কাঁটা-চামচ এবং কাপ” যা দ্বারা বুঝায় পণ্যটি খাদ্য সংরক্ষণের উপযুক্ত; বিকিরণ চিহ্নযুক্ত ঢেউ যা বুঝায় পণ্যটি মাইক্রোওয়েভে নিরাপদ, এছাড়া রয়েছে ফ্রিজার সেইফ, ডিশওয়াশার সেইফ ইত্যাদি চিহ্ন। এইসব চিহ্ন অনেকটাই পণ্যের ফুড গ্রেড নিশ্চয়তা প্রদান করে। কিন্তু একটা কথা, যদি এগুলো যথাযথ নিয়ম মেনে ব্যবহৃত হয়। আমাদের দেশে যে কেউ ইচ্ছা করলেই যে কোন চিহ্ন ব্যবহার করতে পারে, ফলে? সাধু সাবধান।

* পণ্যের গায়ে যদি সিল করা সটীকার বা লেবেল থাকে, তবে তা চেক করুন। কারণ, কৌটা যদি ফুড গ্রেড হয়ে থাকে তাহলে লেবেলে এসব চিহ্ন দেয়া থাকবে অথবা লিখিত আকারে উল্লেখ করা থাকবে।


* কোন পাত্রে খাবার সংরক্ষণের পূর্বে যাচাই করে নিন এটা খাবার বা পানীয় সংরক্ষণের জন্য প্রস্তুত করা কি না? যদি নিশ্চিত না হন, তবে তা পরিহার করাই বুদ্ধিমানের কাজ।

* সকল ধরণের খাদ্যর একটি নিজস্ব ধরন আছে, সেই জন্য ভিন্ন ভিন্ন খাবারের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ধরনের পাত্র প্রয়োজন। যেমন, উচ্চ অম্লজাতীয় পণ্যগুলো প্লাস্টিক পাত্রে না রাখাই ভালো, কারণ এখানে রাসায়নিক বিক্রিয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। যেমনঃ টমেটো, লেবুর রস ইত্যাদি।

* জেনে রাখুন রিসাইক্লিং নাম্বার ১ হল একবার ব্যবহারের জন্য তৈরি প্লাস্টিক পণ্য। রিসাইক্লিং নাম্বার ২, ৪, ৫ হল ফুড গ্রেড নাম্বার। আর ৩, ৬, ৭ মোটেও খাদ্যের জন্য উপযুক্ত প্লাস্টিক নয়।

* দীর্ঘ সময় ধরে একই প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার না করা ভাল। প্রতিটি প্লাস্টিক পণ্যের একটি নির্দিষ্ট ব্যবহার মেয়াদ থাকে, এরপর তা ব্যবহার না করাই ভালো। এতে করে প্লাস্টিক কেমিক্যাল রিএকশন এড়ানো সম্ভব।

* নিয়মিত প্লাস্টিকের কৌটো ভালোভাবে পরিস্কার করুন এবং ধোয়া শেষে ভালোভাবে বাতাসে শুকিয়ে নিন।

এইতো, আর কি? আমি নিজে ফুড গ্রেড প্লাস্টিকের অভাব বোধ করি প্রতিনিয়ত। প্লাস্টিকের বোতলে পানি পান করি, নিজেই নিজের শরীরে বিষ ঢুকিয়ে দিচ্ছি। আসুন প্লাস্টিক পণ্য যতটা পারা যায় উপেক্ষা করি, প্রাকৃতিক মৌলের তৈরি পণ্য ব্যবহার করি। সবচেয়ে ভালো হয় মাটির পাত্র ব্যবহার করতে পারলে।

সবশেষে একটাই কামনা, আসুন সচেতন হই, নিজের স্বাস্থ্যের জন্য, নিজের ভবিষ্যতের জন্য। সামান্য অবহেলা ডেকে আনে মারাত্মক ক্ষতি। দোয়া করি, সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

তথ্য কৃতজ্ঞতাঃ
http://en.wikipedia.org/wiki/Plastic
http://www.wikihow.com/Identify-Food-Grade-Buckets
http://gwcontainers.com/food-grade-plastic-what-is-it/
http://fivegallonideas.com/plastic-types-old/
http://modernsurvivalblog.com/preps/food-and-water-survival-storage/
http://ec.europa.eu/food/food/chemicalsafety/foodcontact/legisl_list_en.htm

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৪

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: স্বাস্থ্য সচেতনতার ওপর চমৎকার পোস্ট। আমাদের দেশে এগুলো কতটা মেনে চলে নিজেও জানি না। আর আমরা নিজেরাও যেহেতু প্ল্যাস্টিক ব্যবহারে সচেতন নই, তাই অসাধু ব্যবসায়ীরা আমাদের এই দুর্বলতার সুযোগ সহজেই নিয়ে নিতে পারে।
আপনার এইপোস্ট পড়ে আশা করছি অনেকেই সচেতন হয়ে উঠবে। বেশ তথ্যবহুল পোস্ট এবং অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ একটা পোস্ট। অনেক ভালো লাগা রইলো বোকা মানুষ। ভালো থাকবেন।

০৮ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৫৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ বিদ্রোহী বাঙালী ভাই। আসলে আমরা কোন বিষয়েই সচেতন হই না, যে পর্যন্ত আমরা বিপদে না পড়ি। নানান অপ্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে আমরা মহা ব্যস্ত থাকি, অথচ এসব বিষয়ে ভাবার বা দেখার কেউ নেই। প্লাস্টিকজাত ওয়ান টাইম উইজেবল পাত্রগুলো আরেক ক্ষতিকর বস্তু। শাহ আজিজ ভাইও নীচে কয়েকটির কথা বললেন। আমার পোস্ট পড়ে যদি একজন মানুষও সচেতন হয় তবে আমার এই পোস্ট সার্থক হবে।

সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন... প্রতিদিন, প্রতিক্ষণ।

২| ০৮ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হুম
পলিথিন ব্যাগের মত এর দিকে ও নজর দেয়ার সময় এসেছে ।।
চমৎকার তথ্যবহুল পোষ্ট ...

০৯ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:২৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: পলিথিন ব্যাগের দিকে হুট করে একবার খুব মনোযোগ দেয়া হল, অনেক ধরপাকড় হল, অনেক কারখানা বন্ধ হল। কিন্তু কিছুদিন যেতেই আগের চেয়ে দ্বিগুণ পরিমাণে প্লাস্টিক উৎপাদন শুরু হয়েছে। পুরাতন ঢাকার বিভিন্ন প্লাস্টিক কারখানা ঘুরে দেখলে বোঝা যায়। যাই হোক, পলিথিন ব্যাগ থেকে শুরু করে সকল ধরণের পলি-ইথিলিন এবং এই কার্বন যৌগ ভিত্তিক সকল পদার্থের তৈরি পণ্য ব্যবহারে আরও বেশী সতর্ক হওয়া জরুরী।

নীরব ঘাতকের বিরুদ্ধে সরব হওয়া এখনই দরকার।

ধন্যবাদ মনিরা সুলতানা আপু। ভালো থাকা হোক সবসময়।

৩| ০৮ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৪

শাহ আজিজ বলেছেন: মিষ্টির দোকানে এই হাল্কা ময়লা রঙের রিসাইকেল করা পাত্র বেশ সমারোহে ব্যাবহার হয়। এছাড়াও নানাবিধ দৈনন্দিন ব্যাবহার সামগ্রীতে এই মারাত্মক দূষণীয় নন ফুড গ্রেডেবল / রিসাইকেল প্লাস্টিক ব্যাবহার হয় । খাদ্য মোড়ানোর পলিথিন আরেকটি দুর্ভাবনার বিষয়।

০৯ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:২১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ঠিক বলেছেন আজিজ ভাই। অধুনা বাংলাদেশে বেশ পপুলার হয়েছে ওয়ান টাইম গ্লাস, প্লেট এগুলো। এসব ডিসপোজেবল পাত্রগুলো যে ধরণের উপাদান দিয়ে তৈরি হয়ে তা মোটেও ফুডগ্রেড বা হাইজেনিক নয়। যে কেউ এগুলোর উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কারখানা ভিজিট করলেই দেখতে পাবেন। তারপরও এগুলোর ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। আসলে এসব জিনিষ দেখার কেউ নেই আমাদের দেশে, আর না থাকারই কথা। এর চাইতে গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় বিষয়গুলো যেখানে উপেক্ষিত থাকে, সেখানে এসব নিয়ে কথা বলা আসলেই হাস্যকর হয়ে যায়।

দোয়া করি আল্লাহ সবাইকে সুস্থ রাখুন, ভালো রাখুন। শুভকামনা জানবেন।

৪| ০৯ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:২৮

দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: দারুণ তথ্যবহুল একটি পোস্ট। অনেক কিছু জানলাম। নিজেদেরকেই সচেতন হতে হবে। পোস্টে +

০৯ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:০২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ দি ফ্লাইং ডাচম্যান। ঠিক বলেছেন, "নিজেদেরকেই সচেতন হতে হবে"।

ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

৫| ০৯ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৮:০২

জাফরুল মবীন বলেছেন: পোস্টটি দেখেতো আমি পুরাই টাসকি খেয়ে গেছিলাম!উপস্থাপনা দেখে মনে হলো আমার আর্টিকেল কেমনে বোমা ভাইয়ের হাতে গেল!!! হাঃ হাঃ হাঃ.... জাস্ট একটু ফান করলাম (আশা করি কিছু মনে করবেন না) ;)

অসাধারণ লিখেছেন ভাই।এ ধরনের স্বাস্থ্য ও সমাজ সচেতনতামূলক পোস্ট খুব প্রয়োজন।

পোস্টটিকে জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় স্টিকি করা যায় কিনা তা ভেবে দেখার জন্য মডারেশন প্যানেলের প্রতি অনুরোধ রইলো।

অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা জানবেন ভাই।

০৯ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৫৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

ঘটনা কিন্তু সত্য। আপনার পিসি যে হ্যাক করেছিলাম আপনি তাহলে তা টের পান নাই ;) :P

জাম ভাই, আপনার পিসি সামলান....

৬| ০৯ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৮:৩৬

সুফিয়া বলেছেন: স্বাস্থ্য সচেতনতার জন্য অত্যন্ত জরুরী একটা পোস্ট। শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

সত্যি কথা বলতে কি ঘর-গৃহস্থলির কাজে আমরা প্রতি মুহূর্তে প্লাস্টিকজাত পণ্যের উপর নির্ভর করে থাকি। সেখানে এতসব দেখে-শুনে কেনা হয়না এসব প্লাস্টিক পণ্য। এটার প্রধান দু'টো কারণ হলো ; স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাব ও এ সম্পর্কে উদাসীন মনোভাব। অথচ কত জরুরী এ ব্যাপারে সচেতন হওয়া!

আপনার লেখাটা পড়ে অনেক উপকৃত হলাম। এ প্রসঙ্গে একটা বিষয় জানতে ইচ্ছে করছে। আমরা প্রায়ই প্লাস্টিকের বাটি বা এই জাতীয় কিছু কিনতে গেলে ওভেন প্রুফ শব্দটা শুনতে পাই এবং নিজেরাও ব্যবহার করি। জানতে ইচ্ছে করছে কত ডিগ্রী তাপমাত্রা সহনশীল প্লাস্টিককে ওভেন প্রুফ বলা হয়।

ধন্যবাদ আপনাকে।

১৫ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৫০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুফিয়া আপা। আসলে নীরব ঘাতক ক্ষতিকর উপাদান সমূহ এভাবেই আমাদের জীবনে প্রবেশ করে। ক্ষুদ্র, কিন্তু বড়ই ক্ষতিকর। তাই, সকলের সচেতনতা খুবই দরকারি।

আমার জানামতে, সাধারণত ওভেনে ১৮০ ডিগ্রী সেলসিয়াস পর্যন্ত উত্তাপে রান্না করা হয়ে থাকে। তাই এই তাপমাত্রা সহনশীল পাত্র ওভেন প্রুফ।

ভালো থাকুন সবসময়, সুস্থ থাকুন।

৭| ০৯ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:২০

সোহানী বলেছেন: অসাধারন অসাধারন দোস্ত ব্লগার.... ভ্রমণ এর সাথে যে এধরনের পোস্ট নিয়ে এসেছেন এক কথায় অসাধারন......... যাক্ দোস্ত হিসেবে কলারটা নাড়তেই পারি ;) ;) ;) ;) ;)

এবার আসি আসল কথায়, আমাদের দেশে যেখানে কোন কিছুরই বিচার নেই... নগদ বিষ কিনে খাচ্ছি প্রতিদিন সেখানে প্লাস্টিক নিয়ে চিন্তা করার সময় আছে সরকার বাহাদুরের !!!!!!!!!!

আমাদের গরীব মায়েরা বাচ্চাদের স্কুলে ওয়াটার পট থেকে প্লাস্টিকের বোতলে আর আইসক্রিমের কৈাটায় টিফিন দেয়..... নিজের অন্ন সংস্থানের চিন্তা যেখানে প্রধান প্লাস্টিকের বিষক্রিয়ার চিন্তা করার সময় কোথায়.......

শিক্ষিত সমাজই প্রথকে এগিয়ে আসতে হবে......... অনেক ভালোলাগা সহ ++++++ তথ্য বহুল পোস্টের জন্য।

১৫ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: এতো সুন্দর মন্তব্যের প্রতিত্তর কিভাবে লিখব বুঝতে পারছি না দোস্ত ব্লগার। :)

আপনার কমেন্টের কথাগুলোই আবার বলি, আমাদের দেশে যেখানে কোন কিছুরই বিচার নেই... নগদ বিষ কিনে খাচ্ছি প্রতিদিন সেখানে প্লাস্টিক নিয়ে চিন্তা করার সময় আছে সরকার বাহাদুরের !!!!!!!!!!

আমাদের গরীব মায়েরা বাচ্চাদের স্কুলে ওয়াটার পট থেকে প্লাস্টিকের বোতলে আর আইসক্রিমের কৈাটায় টিফিন দেয়..... নিজের অন্ন সংস্থানের চিন্তা যেখানে প্রধান প্লাস্টিকের বিষক্রিয়ার চিন্তা করার সময় কোথায়.......

শিক্ষিত সমাজই প্রথকে এগিয়ে আসতে হবে.........

৮| ০৯ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৩০

ঢাকাবাসী বলেছেন: দারুণ তথ্যবহুল একটা দরকারী পোস্ট।

১৭ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৪১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ঢাকাবাসী। ভালো থাকুন সবসময়। :)

৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৬

অরনপ বলেছেন: খুব কাজের টপিক। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য। ।আপনার এই পোস্ট অনেক উপকারে আসবে আমার বিশ্বাস । এর আগেও একটা নিউজ পেয়েছিলা এই নিউজ ও অনেক উপকারী। যার দরকার হবে দেখতে পারেন। তবে আপানার এটা বাশি ভাল হইছে তাই আবারো লেখককে ধন্যবাদ না দিয়ে পারছি না। তবে এরকম আরো একটি লেখা পড়েছিলাম এখানে< http://muktomoncho.com/archives/2780

২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ অরনপ, ভালো থাকুন সবসময়।

১০| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪০

এই মুহূর্ত বলেছেন: সরকারী হস্তক্ষেপ দরকার ... আমরা এমন একটা জাতি বাধ্য না করলে শোধরানো সম্ভব না

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আসলে প্রয়োজনের জিনিষেই আমাদের যত অবহেলা। :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.