নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১
আজ শবে কদর, তাহের খুব মনোযোগ দিয়ে আজকের তারাবীর নামাজটুকু পড়ছে, তিলাওয়াতের মধুর সুরটুকু অন্তরের মাঝে গেঁথে নিতে চায় যেন। সারা বছর নামাজ পড়া হয়ই, তবে মাঝে মাঝেই যে ছাড় যায় না, তেমন নয়। আজ খতম তারাবীহ, আবার একবছর পর এই খতম তারাবীহর নামাজ পড়ার সুযোগ আসবে, তাই খুব একাগ্রতার সাথে নামাজে মত্ত ছিল তাহের। হঠাৎ করেই তার পকেটে থাকা মোবাইলটা কাপাকাপি শুরু করে দিল। তাহেরের এই এক বদভ্যাস, ও কখনোই মোবাইল সুইচ অফ করে না। যেখানে একান্তই বাধ্য হয়, সেখানে মোবাইল সেটটাকে সাইলেন্ট উইথ ভাইব্রেশন মোডে দিয়ে রাখে। এখন যুগটাই হল যোগাযোগের, একদিন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকলেই দেখা যায় অনেককিছু ঘটে গেছে চোখের আড়ালে। তাই একান্ত বাধ্য না হলে তাহেরের মোবাইল সুইচ অফ হয় না বললেই চলে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, সারাদিনে কোন কল বা মেসেজ কিছুই আসেনি এমন দিনেও হঠাৎ মোবাইল বন্ধ করে কোথাও গেল অথবা সুইচ অফ করে বসার ঘরে টেলিভিশন দেখতে বসল, ঘণ্টাখানেক পরে সেট অন করে বা হাতে নিয়ে দেখবে মিসকল এলার্ট এসে ভরে গেছে।
ঐ রাকাতের সালাম ফেরানো হলে মোবাইল বের করে দেখে ছোট বোনের কয়েকটা মিসকল। মেজাজটা খারাপ হল, আজকের রাতে কি এমন জরুরী কাজ পরে গেল যে, হুট করে এতবার কল দিতে হবে। বদ মেয়েটা জানে যে, তাহের এখন মসজিদে আছে, বাসা থেকে আসার সময় দেখে এসেছে ছোট বোনটা নিজেও নামাজের প্রস্তুতি নিচ্ছে, এই ইবাদত বন্দেগীর মাঝে মোবাইলে কল করার কি দরকার পড়ল খোদা জানে। তাহের একবার ভাবল নিচু স্বরে একটা কল ব্যাক করে দেয় একটা ঝাড়ি, পরে আবার ভাবল, না থাক, বাসায় গিয়ে ধরতে হবে ফাজিলটাকে।
নামাজ শেষ করে বাসার কাছে আসতেই পাশের বাসার কামাল ভাই তাহেরকে জিজ্ঞাসা করল, “তোমার আম্মা এখন কেমন আছেন?”। তাহের কিছুটা অবাক হল, হঠাৎ করে আম্মার খবর নিচ্ছেন তাহের ভাই! “ভালো” বলে তাহের পা বাড়াতে উদ্যত হলে কামাল ভাই আবার জিজ্ঞাসা করলেন, “ডাক্তার কি বললেন? কোন হসপিটালে নিলে?” তাহেরের মনে হল সে হঠাৎ করে কোন অভেদ্য গোলক ধাঁধার মাঝে পড়েছে। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যে বুঝতে পারলো কেন তার ছোটবোন নামাজের মাঝে বারবার তাকে ফোন দিচ্ছিল। দ্রুত বাসায় ঢুঁকে প্রয়োজনীয় কিছু জিনিষপত্র আর টাকা সাথে নিয়ে রওনা হল হাসপাতালের দিকে। বুক দুরুদুরু করছে, ফোন করে কিছু জিজ্ঞাসা করতেও ভয় করছে, না জানি কোন খারাপ কিছু শুনতে হয়।
রাত বারোটা, জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালের বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে, মায়ের হার্ট এটাক হয়েছে, অবস্থা খুবই খারাপ। অথচ, মায়ের কোন সমস্যা ছিল না, মাঝে মধ্যে যে বলে নাই, বুকে ব্যাথা করে তেমন না, তবে সেটা দৈবাৎ দু’একবার। তারপরও তাহের কত পীড়াপীড়ি করেছে, ‘চল তোমাকে একটা ফুল চেকআপ করিয়ে নিয়ে আসি।” কিন্তু কে শোনে কার কথা, মা মুখে ঠাট্টা মিশ্রিত হাসি দিয়ে বলত, ‘ইদানীং তোর বুঝি ইনকাম খুব বেড়েছে? টাকাগুলো জমিয়ে রাখ, কয়দিন পর ঘরে বউ আনবো, তখন কাজে লাগবে।’ অথচ, তাহেরের সেই অজানা শঙ্কাই আজ বাস্তব হল, মায়ের অবস্থা খুব খারাপ। রক্তচাপ ত্রিশের নীচে নেমে গেছে সাথে হাই সুগার। অথচ ব্লাড প্রেশার বা ডায়বেটিকস জাতীয় কোন সমস্যা কখনো মায়ের ছিল না, সুস্থ সবল মা কখন ভেতরে ভেতরে ক্ষয়ে গেল কিছুই বুঝতে পারলো না।
সারারাত নির্ঘুম কাটিয়ে ফজরের নামাজ পড়ার পর আইসিইউ’র বারান্দার বেঞ্চিতে একটু শুয়েছিল। কোনফাঁকে সকাল হয়ে গেল, লোকজনের আনাগোনা বেড়েছে টের পায় নাই। হঠাৎ কারো হাতের ধাক্কায় ঘুম ভেঙ্গে গেল তাহেরের, তার মেজ খালা, তাহেরকে ধাক্কা দিয়ে জাগিয়ে, তাহেরের বুকে চাপর মেরে কাঁদতে লাগলো বিলাপ করে, ‘তোর মা এখানে মরে মরে অবস্থা, আর তুই নাক ডেকে ঘুমাচ্ছিস। সারাবছর নামাজ পড়িস না ঠিকমত, কাল যখন বুবলি এতবার তোকে ফোন করল তুই একবারও ফোনটা ধরলি না। সময়মত আমার বোনটাকে হাসপাতালে আনতে পারলে বাঁচাতে পারতাম...’ তাহের হতভম্ব হয়ে প্রাথমিক ধাক্কাটা সামলে নিয়ে বেঞ্চ হতে উঠে দাঁড়িয়ে নিজের জামাটা টেনে ঠিক করল। রাতজাগা চোখের নীচে কালি জমা আর উস্কখুস্ক চুলের দিশহারা বছর সাতাশের এক যুবক, রক্তলাল চোখ নিয়ে মাথা নিচু করে অবুঝ আত্মীয়ার প্রলাপ শুনতে লাগলো। একটু পর একজন নার্স এসে সবাইকে আইসিইউ এর কম্পাউন্ডের বাইরে বের করে দিলেন।
কাল রাতে মায়ের অবস্থা দেখে তাহেরের আর সেহেরী খাবার কথা মনে ছিল না। এখন পেটে ক্ষুধার চাপ অনুভব করতে পারছে। একবার ভাবল রোজা ভেঙ্গে ফেলা যাক, পরে মনে হল না খেয়ে তো কতদিন রোজা রেখেছে বাসায়। মা ফজরের আজানের ঠিক আগে আগে বা পরে ঘুম থেকে ডেকে তুলে বলতেন, ‘ওঠ ওঠ, মুখে একটু পানি দিয়ে নে, আজান পরে গেছে’। তাহের তখন বলত, ‘মা, আজান দেয়ার আগেই সেহেরী খাওয়ার সময় শেষ হয়ে যায়, কিচ্ছু খেতে হবে না, না খেয়েই রোজা রাখবো আজ’। মায়ের কথা মনে হতেই চোখ ভিজে উঠলো। ডাক্তার বলেছে দুপুর বারোটায় ফাইনাল রিপোর্ট করবেন, উনারা উনাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন। প্রেশার আর সুগার কন্ট্রোলে এলেই হার্টের চিকিৎসা শুরু করতে পারবেন, অন্যথায় উপায় নেই। ঘড়িতে সময় দেখল, বারোটা প্রায় বাজে। তাহের ধীর পায়ে ডাক্তারদের রুমের দিকে হাঁটা শুরু করল।
ডাক্তার তাহেরকে দেখে হাসিমুখে এগিয়ে এলেন, ‘এই যে ইয়ং ম্যান, এতো মুখ কালো করে রাখার কিছু নেই। গুড নিউজ, তোমার মায়ের ব্লাড প্রেশার এবং সুগার লেভেল দুটোই প্রায় স্বাভাবিক হয়ে এসেছে, হার্টের ট্রিটমেন্ট অলরেডি শুরু হয়ে গেছে’। আনন্দে মনে হয় তাহের কেঁদে দিবে, চোখের পানি আর বাঁধ মানছেনা। দ্রুত সে সরে গেল ডাক্তারের কাছ থেকে।
এরপরের দুইদিনে তাহের দেখল আল্লাহ্র অশেষ রহমতে তার মা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠলেন। যেনতেন সুস্থ নয়, ডাক্তার উনাকে বাসায় নিয়ে যেতে বললেন। কারণ বাসায় প্রপার টেক কেয়ার করা যাবে। কারণ তারপর দিন ঈদ, ঈদের ছুটিতে হাসপাতাল জরুরী ভিত্তিতে খোলা থাকলেও লোকবল থাকে কম, তাই রোগীদের তেমন টেককেয়ার করা সম্ভব হয় না। তারচেয়ে বাসায় থাকুক, সবার সাথে ঈদ করুক, সবার মাঝে থাকুক। শুধু দুটো কথা, উনার রুমে যেন বেশী কথাবার্তা না করা হয় আর সাথে যেন একজন সার্বক্ষণিক আয়া থাকে। তাহেরের মনে হয়েছিল, এই ঈদের চেয়ে ভাল ঈদ তার জীবনে আর কখনো আসেনি, আর কখনো আসবে না। ডাক্তারকে বুকে জড়িয়ে ধরে অনেকক্ষণ কেঁদেছিল সে।
ঠিক তার পরের বছর ঈদের দিন বিকেল বেলায় আকস্মিক স্ট্রোক করে মারা যান তাহেরের মা, তাহের তখন বন্ধুদের সাথে শহরেরে কোন এক ক্যাফেতে আড্ডা দিচ্ছে। সামনের মাসেই তার বিয়ে, মায়ের পছন্দের পাত্রীর সাথে। তাই এই ঈদে বন্ধুদের সাথে সপ্তাহভর সময় কাটানোর প্ল্যান। তাই সকালবেলা ঈদের নামাজ পড়ে, মাকে সালাম করে সেমাই-জরদা-পায়েস খেয়ে বেলা এগারোটা নাগাদ বাসা থেকে বের হয়েছে। বিকেল পাঁচটার দিকে ছোট বোন বুবলির ফোন, কোন কথা বলতে পারছে না, শুধু চিৎকার করে “ভাইয়া...” বলে কাঁদছে। দ্রুত বাসার দিকে ছুটে যায় তাহের, সাথে বন্ধুরাও, অজানা কোন আশঙ্কায়। বাসায় এসে দেখে পাড়া-প্রতিবেশীদের সাথে কিছু আত্মীয়স্বজনও এরই মধ্যে চলে এসেছে। বাসায় ঢুঁকে মায়ের লাশের কাছে লুটিয়ে পরে তাহের। আকাশে বাতাসে ধ্বনিত হয়ে শুধু একটি শব্দ, “মা গো... মা...”
আজও তাহেরে জীবনে ঈদ আসে। স্ত্রী ছেলে মেয়ে সবাইকে নিয়ে তার পরিবারে ঈদ আসে, শুধু তার মনের আঙিনায় ঈদ আর কখনো আসেনি, কখনোই না। কারণ ঈদ মানে তার কাছে বেদনাময় স্মৃতি, নীল বেদনার নীল ঈদ।
১৬ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:১৪
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ঈদ মোবারক কাবিল ভাই। কষ্টের উপাখ্যান এই গল্পটা পড়ে থাকলে গল্প সম্পর্কে কিছু কথা বলে গেলে ভালো লাগবে।
ভালো থাকুন, ঈদ মোবারক।
২| ১৭ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ২:০১
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: নামটা নিয়ে ভাবছি।। আসলেই কি আমরা সবাই এই নীলব্যাথায় আক্রান্ত?? যা শুধু দ্বগ্ধে মারে নিজেকেই।। কেউ বুঝে না।।
যখন কেহই থাকে না তখন শুধু মা-ই থাকে সন্তানকে আগলে রাখার জন্য।। আর যখন তার জীবন পরিপূর্ন হয়ে উঠে,সব পাওয়াকে নিয়ে তখন সেই মাই টুপ করে হারিয়ে যায়!!
সময়ে বুঝি নি মা কি,আজ যখন বুঝছি তখন তার মায়া-মমতা ঘেরা স্নেহটুকুই বুঝতে পারছি।। কি হতভাগা আমি!!
ঈদ-শুভেচ্ছা রইলো।।
১৭ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৮
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আসলেই আমরা সবাই নীল ব্যথায় আক্রান্ত, কেউ গাঢ় নীল, কেউ আকাশী নীল, কারও নীল ফ্যাকাশে, কারও আবার অনেক গভীর। যার যার নীল ব্যথা, তাকে দগ্ধ করে নিজের মত করে। আসলেই সত্য কথা, সময় থাকতে প্রিয় মানুষগুলোর কথা কেউ মনে রাখে না, খেয়ার করে না, কিন্তু হারিয়ে গেলে বুঝতে পারি কি ছিল প্রিয় মানুষটি। সেটি বাবা-মা হোক, চাই স্বামী-স্ত্রী, পুত্র-কন্যা যেই হোক না কেন।
অনেক ভালো থাকুন হ্যাপী ভাই, শুভকামনা রইল। অনেক অনেক ভালো কাটুক ঈদের আনন্দঘন সময়গুলো। ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা।
৩| ১৭ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:৩০
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: শুধু মাই না, পরিবারের একজন হারাইয়া গেলেও সেইটা আর ঈদ হয়না ভাই। যদিও মায়ের ব্যাপারটা ভীষনভাবেই অন্যরকম।
মন ছোয়া গল্প। ভালোলাগা রইলো। ঈদমুবারাক!
১৭ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৭
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: পরিবারের একজন হারাইয়া গেলেও সেইটা আর ঈদ হয়না ভাই। কথা সইত্য। শুধু ঈদ না, যে কোন উৎসব বা বিশেষ দিনে কারো প্রয়াণ কিন্তু সেইদিনটিকে আজীবনের জন্য শোকাবহ করে দেয়।
পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ শতদ্রু, ভালো থাকুন সবসময়। ঈদের উৎসবমুখর সময়গুলো আনন্দময় হয়ে উঠুক এই দোয়া রইল।
৪| ১৭ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:০৮
রিকি বলেছেন: গল্প ভালো লেগেছে ভাইয়া। ঈদ মোবারক
১৭ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:২৯
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ রিকিমনি। ঈদের উৎসবমুখর সময়গুলো কাটুক আনন্দ আর হাসিখুশীতে, এই কামনা করছি। ঈদ মোবারক।
৫| ১৭ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৩৫
কাবিল বলেছেন: আপনার পোষ্টটি পাওয়া মাত্রই অনেক আগ্রহ নিয়ে পাঠ শুরু করব ঠিক তখনই বিদ্যুৎ চলে গেল। আমার ইউ পি এস বর্তমান ব্যাকআপ থাকে এক দু-মিনিট, তাই আপাতত ঈদ শুভেচ্ছাটা জানিয়ে গিয়েছিলাম। (দুঃখিত)
এখন পড়লাম।
মনের কোনায় এক টুকরো বেদনার স্মৃতির সহিত গল্প চমৎকার লাগল।
মা, ত্রিভুবনের সবচেয়ে মধুরতম শব্দ।
সবার মা’ই যাবে, সবাই কষ্ট পাবে কিন্তু কোনও একটা বিশেষ দিনে যদি মাকে হারায় সেটা হবে নীল কষ্ট।
নামকরনে গল্পে স্বার্থক হয়েছে।
একান্ত মতামত।
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, বাবা-মা অসুস্থ হয়েছেন অথবা মৃত্যু পথ যাত্রী আমরা তখন যত সহানুভুতি দেখায়, ভাল কিছু খাওয়ানোর চেষ্টা করি। যেন বিদায় দিতে এসেছি। সময় থাকতে করিনা। আমি নিষেধও করছি না। আমি বলতে চাচ্ছি, যাদের বাবা-মা এখনও সুস্থ আছেন এখনই মনে করতে হবে বাবা-মা আজ আছেন তো কালকে নেই।
নইলে হারানোর বেদনার সাথে আর একটা নীল বেদনা যোগ হবে।
আপনার পরিবারের সকলকে ঈদ শুভেচ্ছা।
১৮ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:১৬
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: নারে ভাই কাবিল, দুঃখিত হওয়ার কিছু নেই। লেখাটা সম্পর্কে নিজেই কনফিউজড ছিলাম। আসলে এরকম আবেগি লেখাকে গুছাতে যেটুকু সময় লাগে তা দিতে পারি নাই, একটানে লিখে পোস্ট করা। তাই মন্তব্য সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলাম।
সত্যি কথা, যে কোন আপনজনকে ছাড়া ঈদই কষ্টের। আর তা যদি বাবা-মা হারা হয়ে করতে হয় তাহলে আরও খারাপ লাগে। গতকাল ভোররাতে এক বন্ধু প্লাস আত্মীয় রাতে স্ট্যাটাস দিল, বাবা-মা কেউ নেই, ভোর হলেই ঈদ, ঈদ কেমন পানসে লাগছে। তার মা গত হয়েছে এক যুগেরও বেশী সময় আগে। কিন্তু মাস চারেক আগে বাবাও মারা গেছে।
আর আমরা মানুষ মাত্রই যে কোন জিনিস থাকতে তার মূল্য বুঝি না, বুঝি হারানোর পর।
ভালো থাকুন সুপ্রিয় কাবিল, শুভকামনা। ঈদের উৎসবমুখর সময়গুলো আনন্দময় হয়ে উঠুক এই কামনা। ঈদ শুভেচ্ছা।
৬| ১৭ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫১
সুমন কর বলেছেন: গল্পের পল্টটি খুব ভালো লাগল। অনুভূতি চমৎকারভাবে ফুঁটিয়ে তোলা হয়েছে।
পরিবারের কোন সদস্য ছাড়া কোন উৎসবই প্রাণ পায় না। যেটা আমি বুঝি ! যা করা হয় সেটা লৌকিকতার খাতিরে।
হৃদয়ভারী করা গল্পে ভালো লাগা।
১৯ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৬
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: প্লটটা ভালো ছিল, কিন্তু এমন আবেগী লেখা আরও গুছিয়ে আরও সুন্দর করে লেখা যেত। আমার নিজেরই খুব একটা ভালো লাগছে না, পছন্দ হচ্ছে না।
আসলেই পরিবারের কোন সদস্য ছাড়া কোন উৎসবই প্রাণ পায় না।
ধন্যবাদ বন্ধু, ঈদের শুভেচ্ছা রইল।
৭| ১৭ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৩৮
দীপংকর চন্দ বলেছেন: বেদনাগাঁঁথা!!
বাস্তব আমাদের নানা ধরনের বেদনার মুখোমুখি করলেও প্রত্যাশা করি, ঈদ সকলের জন্য আনন্দময় হোক।
শুভকামনা।
অনেক শুভেচ্ছা ঈদের।
১৯ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৩
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ দীপংকর ভাই, ঈদের শুভেচ্ছা রইল। ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা।
৮| ১৮ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:২৪
জুন বলেছেন: আমার মা কে হারানোর কথা মনে পড়ে গেল এই কষ্টের গল্পটি পড়ে বোকা মানুষ ।
ভালোলাগলো অনেক অনেক
+
১৯ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৪
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: কষ্টকর স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়ার জন্য সরি, কিন্তু এমন কষ্টের গল্পগুলোই আমাদের বারবার মনে পরে যায়।
ঈদের শুভেচ্ছা রইল জুন আপু, ভালো থাকুন সবসময়। অনেক অনেক শুভকামনা।
৯| ১৮ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪২
এহসান সাবির বলেছেন: ঈদের শুভেচ্ছা রইল। ভালো থাকুন সব সময়।
শুভ কামনা।
১৯ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৪৫
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ঈদ মোবারক এহসান ভাই,
দিবেন নাকি একটু সেমাই
সাথে একটু সেলামী
করে একটু বোকামি
ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা রইল।
১০| ১৯ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: বোকা মানুষ বলতে চায় ,
গল্পে ঘটনার ঘনঘটা হয়তো নেই তবে একটা কষ্টকর অনুভূতির কথা আছে ।
ভালো লাগলো ।
১৯ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:০৭
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ আহমেদ জী এস ভাই, অনেক অনেক ভালোলাগা রইল মন্তব্যে। আমি দ্বিধায় ছিলাম গল্পটি নিয়ে।
ঈদের শুভেচ্ছা জানবেন, ভালো থাকুন সবসময়। কালো কাটুক পবিত্র ঈদের এই আনন্দঘন উৎসবমুখর সময়গুলো।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:১৩
কাবিল বলেছেন: