নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বোকা মানুষের কথায় কিই বা আসে যায়

বোকা মানুষ বলতে চায়

আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১

বোকা মানুষ বলতে চায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

"দ্যা ব্যাড বেঞ্চারস" (ছোটগল্প)

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৫



ঠিক কবে থেকে আমাদের মাঝে ভাব হয়েছিল, হয়েছিল বন্ধুত্ব তা আজ মনে নেই। আদৌ তেমন কোন অফিসিয়ালি ফ্রেন্ডশিপ হয়েছিল কি না তাও মনে নেই। যতদূর মনে পরে আমরা চারজন ক্লাস ফাইভ অথবা সিক্স হতে একসাথে হয়েছিলাম, স্থান ক্লাসের একেবারে শেষ বেঞ্চটা। স্যারেরা বলত, ‘ব্যাক বেঞ্চার’ আর আমরা গর্ব ভরে বলতাম ‘ব্যাড বেঞ্চার’। প্রতি বছর ক্লাস চেঞ্জ হত অথবা হত না, কিন্তু আমাদের চারজনের ঠিকানা ছিল ঐ একটাই, ক্লাসের সবচেয়ে পেছনের বেঞ্চটা। অলিখিত কোন এক দলিল বলে ওটা যেন আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি ছিল, ছিল আমাদের সাম্রাজ্য, আমাদের ‘ব্যাড বেঞ্চার’দের জগত।

সুবল, মিজান, জাহিদ আর আমি, দিদার; এই চারজনের দল ছিলাম আমরা। ক্লাসের বাকী সব ছেলেদের চাইতে আমাদের জগত, আমাদের চিন্তা ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। আমাদের জগতে পড়ালেখা’র কোন স্থান ছিল বলে মনে পরে না। রাজ্যের যত দুষ্টুমি আর বদমায়েশি ছিল আমাদের সিলেবাস। সিক্সে থাকতেই শুরু হয়েচ্ছিল সিগারেট ফুঁকার হাতেখড়ি; আর এগুলোর লিডার ছিল মিজান, আমরা ডাকতাম মিজাইন্যা বলে। রাজ্যের যত নিষিদ্ধ কাজে ছিল মিজাইন্যার আগ্রহ, তার হাত ধরেই আমাদের ব্যাড বেঞ্চারদের ব্যাড হয়ে ওঠা। প্রথম সিগারেট, প্রথম বড়দের নিষিদ্ধ গল্প-ছবি, প্রথম নীল ছবির সন্ধান সবই ছিল মিজানের আবিষ্কার। আমরা বাকী তিনজন ছিলাম তার ফলোয়ার।

তখন ক্লাস নাইনে পড়ি আমরা, আমাদের প্রাইমারীর ক্লাসমেটরা ততদিনে কলেজে পা রেখেছে, জাহিদ ছাড়া আমরা তিনজনই বুঝি নাপিতের হাতে গালের শোভা বাড়িয়ে ফেলেছি ততদিনে। একদিন স্কুল ফাঁকি দিয়ে সবাই মাধববাবু’র জমিদার বাড়ীর দীঘি’র পাড়ে আড্ডা দিচ্ছি, মিজান বলল, ‘দোস্ত চল, আমার এক মামার বাসায় যেতে হবে, জরুরী কাজ আছে। ফেরার পথে স্পেশাল খাওয়াব’। স্পেশাল কি তা নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন। যাই হোক, বদের হাড্ডি আমাদের যেখানে নিয়ে গেল তা আমরা কল্পনাও করতে পারি নাই। জায়গাটা ছিল আমাদের পাশের ইউনিয়নের নিষিদ্ধ পল্লী। সেখানে গিয়ে এই কথা শোনার পর সুবলের কি কান্না, ওর কোন কাকা নাকি এই এলাকাতেই থাকে। সুবলের কান্না দেখে আমরা হাসতে হাসতে শেষ। একি আমাদের সেই সুবল, আমরা যাকে গুণ্ডা সুবল বলি। ডানপিটে সুবলের মারামারি খ্যাতি আমাদের স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে আশেপাশের পাঁচদশটা স্কুল অবধি পৌঁছেছিল। শেষের দিকে তো, কোথাও কোন গণ্ডগোল বাঁধলে সুবলকে হায়ার করে নিয়ে যেত। সেই সুবলের কান্না দেখে হাসি আসাটাই স্বাভাবিক ছিল, তাই না। আসলে সুবলের আত্মসম্মানবোধ তখনও মরে যায় নাই, আর আমাদের আদৌ কখনো ছিল কিনা তা এক বিশাল প্রশ্ন।

জাহিদ ছিল সবচেয়ে মিচকা শয়তান, ওর মাথায় ভর করত রাজ্যের সব দুষ্টবুদ্ধি। টাইগার রফিক স্যার ছিল স্কুলের সবচেয়ে রাগী স্যার, তাকে দেখলে পুরো স্কুল কাঁপত। সেই স্যারকে টয়লেটে একবার তালা মেরে দিল! পাক্কা আধঘণ্টা টয়লেটে বন্দী ছিলেন টাইগার রফিক স্যার। হাজারো এমন কাজ নিত্যকার রুটিনে ছিল আমাদের জাহিদের, আমরা তাকে ডাকতাম জ্যাডহ্যাড। যুগে যুগে সকল ক্লাসেই কিছু স্টুডেন্ট থাকে যাদের কাজ হয় ক্লাসে সবসময় ফার্স্ট হওয়া, যেমন আমাদের কাজ ছিল প্রতি এক্সামে সবচেয়ে খারাপ রেজাল্ট করা। তো, তখন আমাদের ক্লাসে ফার্স্টবয় অজিত, তার জন্মদিনে সবাইকে বাসায় দাওয়াত দিল, আমরাও বাদ গেলাম না। পরেরদিন স্কুলে যেতে হেডমাস্টার আমাদের চার পাণ্ডবকে তলব করলেন, তারপর আচ্ছামত ধোলাই। সবচেয়ে বেশী ধোলাই খেয়েছিল মিজান, মজার ব্যাপার ও অজিতের জন্মদিনেই যায় নাই। স্কুল শেষে ঘটনা জানা গেল, গিফটে কে যেন অজিতকে র্যা্পিং করে প্রাপ্ত বয়স্কদের চটি বই গিফট করেছিল। গিফট খোলার সময় সরাসরি তা অজিতের বাবার হাতে! আমরা হাসতে হাসতে শেষ, এটা ছিল জাহিদের কাজ। ও আগেই বলেছিল অজিতের জন্য স্পেশাল গিফট নিয়ে যাবে, তাই বলে এমন গিফট তা আমাদের মাথায় আসে নাই। মজার উপর আরও মজা ছিল, দোষ করল জাহিদ, ধোলাই খেলাম সবাই, আর সবচেয়ে বেশী ধোলাই খেল মিজান। মজার ব্যাপার এই অজিতই কিন্তু মেট্রিক পরীক্ষার পর মাস তিনেক সারাদিন আমাদের সাথে ঘুরেছে, আড্ডাবাজী করেছে, আর বাকীটুকু নাই বা বললাম।

মনে আছে, টেস্ট পরীক্ষার পর, একদিন স্কুলে অজিতসহ আরও কিছু গুডু বয়ের সাথে দেখা, জিজ্ঞাসা করল, প্রিপারেশন কেমন? আমার উত্তর শুনে সবকয়টা হ্যাবলার মত চেয়ে রইল। উত্তরটা মজার ছিল, ‘ফটোকপি সব শেষ, কাইট্যা সাইজ করা বাকী আছে’। আসলে আমাদের কাছে পড়ালেখাটা ছিল ভয়াবহ টর্চার, কেন যে ‘পড়ালেখা’ নামক জিনিষটা দুনিয়াতে আছে খোদাই জানে। স্কুলের শেষের দিকে সুবলের পকেটে সবসময় একটা লাল রঙা বাটের ক্ষুর থাকত। এই প্রসঙ্গ উঠলে সুবল ক্ষুরটা হাতে ঘষে ঘষে বলত, ‘যে ব্যাডায় পড়ালেখা আবিষ্কার করছে, হালারে পাইলে একটানে ভুঁড়ি নামায়া দিতাম।’

স্কুলে মোটামুটি সকল টিচার আমাদের দুচক্ষে দেখতে পারতেন না, সুযোগ পেলেই বেতের মাধ্যমে মনের ঝাল মেটাতেন। সবচেয়ে বেশী খ্যাপা ছিলেন বাংলা ব্যাকরন স্যার, জয়নাল স্যার। জয়নাল স্যারকে নিয়ে এতো মজার ঘটনা আছে যে বলে শেষ করা যাবে না। স্যার তখন নতুন বিয়ে করেছেন, থাকেন স্কুলের লাগোয়া কোয়ার্টারে। টিফিনের পরের পিরিয়ড ছিল জয়নাল স্যারের। ক্লাস শুরু হয়েছে সবেমাত্র, আমরা গল্পে তখনো মশগুল। দেখি ক্লাসে পোলাপাইনসব ফিসফাস করে আরে ঠোঁট টিপে হাসে। ঘটনা অনুসন্ধানে জানা গেল, জয়নাল স্যারের প্যান্টের চেইন খোলা। ধীরে সংক্রামক ব্যাধির মত পুরো ক্লাসে হাসি ছড়িয়ে পড়তেই স্যার টেবিলে ডাস্টার দিয়ে শব্দ করে চিৎকার করলেন, ‘সাইলেন্ট, চুপ সব। এতো হাসি কিসের? মনে রঙ লাগছে?’
মিজাইন্যা হুট করে দাঁড়িয়ে বলে উঠল, ‘স্যার আপনার পোস্ট অফিসের দরজা খোলা’ :P
মিজান আর জয়নাল স্যারের আরেকটা মজার ঘটনা ছিল, ক্লাস টেনে, প্রিটেস্ট পরীক্ষা খাতা দেখানো হচ্ছে। ক্লাসে ভালো ছাত্র যারা, সবার খাতা মোটামুটি দেয়া হয়েছে, কিন্তু কেউই ভালো মার্ক পায় নাই। সবার শেষে স্যার মিজানের নাম বললেন, মিজান হাইয়েস্ট নাম্বার পেয়েছে, পঞ্চাশে উনপঞ্চাশ। স্যার মিজানকে বললেন টিচার্স কমনরুম থেকে বেত আনতে, গুডু গুডু স্টুডেন্ট সবার চেহারা শুকিয়ে কাঠ, আর আমরা খুশীতে ডগমগ করছি। কিন্তু মিজান বেত নিয়ে ফেরার পর সবার আক্কেলগুড়ুম! স্যার সমানে মিজানকে পেটাতে শুরু করে দিলেন! এতো ভালো নাম্বার পেয়ে রাম ধোলাই! সবশেষে যা জানা গেল, মিজান যে প্রশ্ন’র ভুল উত্ত দিয়েছিল তা ছিল, ‘দুই বর্ণের মিলনকে কি বলে?’। মিজান যে উত্তরে টিক দিয়েছিল, তা হল, ‘কারক বিভক্তি’!!!

যেদিন মেট্রিক পরীক্ষার রেজাল্ট দিল, আমাদের চারজনের যেন চাঁদরাত ছিল। মাঞ্জা মেরে সবার আগে আগে স্কুলে গেলাম, যথারীতি রেজাল্ট হল। রেজাল্ট দেয়া শেষে আমরা রওনা হলাম স্কুল থেকে সিনেমা হলের উদ্দেশ্যে, এমন দিনটা সেলিব্রেট না করে পারা যায়? স্কুল গেট থেকে বের হবার সময় অজিতের সাথে দেখা। ও এগিয়ে এসে জিজ্ঞাসা করল, ‘কিরে তোরা কোথায় যাচ্ছিস?’ জেলা মেধা তালিকায় ও দ্বিতীয় হয়েছে, চোখেমুখে খুশী ঝরে পড়ছে। জাহিদ বলল, ‘সিনেমা দেখতে। যাবি?’ ও মাথা নেড়ে না বলল, সাথে প্রশ্ন, ‘তোদের রেজাল্ট কি?’ সমস্বরে আমাদের উত্তর ছিল, ‘আবার জিগায়... ফেইইইইলল।’

মেট্রিকের পরে মিজান ছাড়া আমাদের সবার স্কুলের পাঠ চুকিয়ে নানান পথে যাত্রা করতে হল। আমি জয়েন করলাম সুপার মার্কেটের এক দোকানে, ঝাড়ামোছা’র কাজে। জাহিদ একটা লেদমেশিনের ফ্যাক্টরিতে। আর সুবল এলাকার দাদাগিরিতে। মিজান পরেরবছর মেট্রিক পাশ করে কলেজে ভর্তি হয়ে গেল। পেছনে পড়ে রইল ‘ব্যাড বেঞ্চার’দের সেই ‘ব্যাক বেঞ্চ’গুলো।

দুই যুগ আগের কথা, আজো চোখে ভাসে সব। গতকাল রাতে টিভি নিউজে দেখলাম সুবল ক্রসফায়ারে মারা গেছে। বুকের খুব গভীরে কোথায় যেন প্রচণ্ড একটা কষ্ট অনুভূত হল। এ কিসের অনুভূতি আমি জানি না। আমার মত সুপারমার্কেটের সেলসম্যানদের অনুভূতি নামক শব্দ’র সাথে কোন পরিচয় নাই। মাস তিনেক আগে মিজানের সাথে দেখা হয়েছিল, মতিঝিলে। স্যুটটাই পড়ে পুরোপুরি অফিসার, আমাকে দেখে ঘাড় ঘুরিয়ে নিয়েছিল, চিনেও না চেনার ভান। নাম ধরে ডাকতে গিয়েও থেমে গেছি, যে পরিচয়কে ও অস্বীকার করতে চাচ্ছে, সেই পরিচয়ের সুত্র ধরে ডাক দেয়ার কোন মানে হয় না। জাহিদ নিজের লেদমেশিনের ফ্যাক্টরি দিয়ে সুখেই আছে, কখনো দেখা হলে হই হই করে জড়িয়ে ধরবে; শুরু হবে গল্প। জোর করে ধরে নিয়ে যাবে তার কারখানায়। এরপর সেইরকম খানাপিনার আয়োজন। বোঝা যায় ব্যবসা ভালোই জমিয়েছে শালার ব্যাটায়। আমি অস্বস্তি বোধ করলে জোরে হাসতে হাসতে বলবে, ‘শোন মামা, সবার উপর সইত্য হইল, উই আর ব্যাক বেঞ্চারস। না না না, ‘ব্যাড বেঞ্চারস’।’

উৎসর্গঃ জীবন চলার পথে ফেলে আসা সকল ব্যাক বেঞ্চার তথা ব্যাড বেঞ্চার বন্ধুদের, "দোস্ত তোরা ভালো থাকিস"।

মন্তব্য ৯২ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৯২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আমি ইস্কুল, কলেজ, ভার্সিটি কোথাও ব্যাক বেঞ্চার ছিলাম না। কখনও স্যার বোর্ডে ফিরলেই দলবল নিয়ে ক্লাস থেকে বের হয়ে যেতাম না, আমি কোনদিন ক্লাস ফাঁকি দিয়ে হলে সিনেমা দেখি নাই, আমি কোনদিন শুধু ক্লাস কেন পরীক্ষা মিস দিয়ে কার্ড খেলিনি, পেছনের বেঞ্চে বসে কখনও কলম খেলি নাই, কারও জামায় কলম দিয়ে দাগাই নাই, কোন দিন পড়ার বইয়ের ভেতরে গল্পের বই রেখে পড়ি নাই, কোন দিন স্যারের টুপি, প্যান্টের জিপার কোমরের ঢিলা বেল্ট নিয়ে দুষ্টামি করি নাই, কোন দিন কোন সুন্দরী ম্যাডামের দিকে তাকাই নাই।

আমি খুব ভালু পুলা ছিলাম।

;)

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: কথা সইত্য, কথা সইত্য। আপনার ভালোত্বের সার্টিফিকেট আমরা দিবাম। একাউণ্টে টাকা জমা দিয়ে লাইনে দাঁড়ান ;)

=p~ =p~ =p~

২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৫

কাবিল বলেছেন: ফেলে আসা সকল ব্যাক বেঞ্চার তথা ব্যাড বেঞ্চার বন্ধুদের গল্প খুবই ভাল লাগলো। কিন্তু শেষে মিজানের ব্যাবহারে হতাশ হলাম। তার পরেও বলব যে যেখানে থাক সবাই ভাল থাকুক।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: তার পরেও বলব যে যেখানে থাক সবাই ভাল থাকুক। কথা সেটাই।

ধন্যবাদ কাবিল, ভালো থাকুন সবসময়।

৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৬

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: যেদিন মেট্রিক পরীক্ষার রেজাল্ট দিল, আমাদের চারজনের যেন চাঁদরাত ছিল। মাঞ্জা মেরে সবার আগে আগে স্কুলে গেলাম, যথারীতি রেজাল্ট হল। রেজাল্ট দেয়া শেষে আমরা রওনা হলাম স্কুল থেকে সিনেমা হলের উদ্দেশ্যে, এমন দিনটা সেলিব্রেট না করে পারা যায়? স্কুল গেট থেকে বের হবার সময় অজিতের সাথে দেখা। ও এগিয়ে এসে জিজ্ঞাসা করল, ‘কিরে তোরা কোথায় যাচ্ছিস?’ জেলা মেধা তালিকায় ও দ্বিতীয় হয়েছে, চোখেমুখে খুশী ঝরে পড়ছে। জাহিদ বলল, ‘সিনেমা দেখতে। যাবি?’ ও মাথা নেড়ে না বলল, সাথে প্রশ্ন, ‘তোদের রেজাল্ট কি?’ সমস্বরে আমাদের উত্তর ছিল, ‘আবার জিগায়... ফেইইইইলল।’ B:-/

ফেল করেও এত্ত খুশি

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: বুঝিবে সে কিসে?... .... ... ...

ফেল করাও কারো কারো কাছে এত্ত আনন্দদায়ক হয়। বোঝে না সে বোঝে না ;)

৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৭

সুলতানা রহমান বলেছেন: এরকমটি পড়তে ভাল লাগে। কিন্তু বাস্তবে এরা থাকে স্কুল কলেজের আগাছা। কিন্তু বাস্তবতা যে ওদের কোথায় নিয়ে যায় সেটা সত্যি খারাপ লাগে।
ভাল লাগলো। খুব সুন্দর করে উঠে এসেছে।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আগাছা থাকে না বলে বলুন তথাকথিত গুডু গুডু স্টুডেন্টরা এদের আগাছা ভাবে। কত আগাছাদের পরবর্তী জীবনে মহীরুহ হতে দেখলাম আর গুডু গুডু'দের সমাজের কীট। জীবনে অনেক কিছুই আপেক্ষিক, আর স্কুল লাইফে সবাই থাকে কৈশোর বয়সে, আইনি ভাষায় শিশু।

হয়ত আমার দেখা বাস্তবতা আপনার অদেখা, আর আপনার দেখা বাস্তবতা আমার অজানা। তবে, বাস্তবতা বড়ই নির্মম।

৫| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন| মজা পেয়েছি পড়ে| শেষটায় এসে মন খারাপের অনুভূতি হল| কিন্তু পুরো পোস্টটাই মজাদার

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ আরণ্যক রাখাল, ব্যাক বেঞ্চারদের কথা স্মরণ করিয়ে দিতে এই আয়োজন। ভালো থাকুন সবসময়।

৬| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: কান্ডারী ভাই বড়ই সইত্যবাদী মানুষ!! ;) ;)

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: এই জন্যই সার্টিফিকেট নিতে লাইন দিতে বলছি ;)

৭| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৪

কাজী! বলেছেন: কঠিন অনুভূতি আপনার।কিন্তু নিষিদ্ধ পল্লিতে আপনারা কি করলেন তা পাশ কাটিয়ে চলে গেলেন।ওখানে কি পর্যবেক্ষন করছেন নাকি প্রতিবাদ করছেন নাকি........?

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ঐ বয়সে আর কি করার ছিল? বোকা মানুষ জানতে চায় ;)

লেখাটি প্রথম পুরুষে লেখা একটি ছোটগল্প। পাঠ এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন, ভালো থাকুন সবসময়।

৮| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৯

প্রামানিক বলেছেন: ভাই, পুরাটাই এক চুমুকে পড়লাম। পড়তে গিয়া আমিও আমার হাইস্কুলের বারান্দা ঘুইরা আইলাম। খুবই ভাল লাগল। ধন্যবাদ

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই, গল্প পুরোটাই আমার স্কুল লাইফের ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রের বিভিন্ন ঘটনা জোড়া দিয়ে লেখা। লেখার সময় আমি নিজেও বারবার স্কুলবেলায় ফিরে যাচ্ছিলাম।

৯| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: "মেট্রিকের পরে মিজান ছাড়া আমাদের সবার স্কুলের পাঠ চুকিয়ে নানান পথে যাত্রা করতে হল। আমি জয়েন করলাম সুপার মার্কেটের এক দোকানে, ঝাড়ামোছা’র কাজে। জাহিদ একটা লেদমেশিনের ফ্যাক্টরিতে। আর সুবল এলাকার দাদাগিরিতে। মিজান পরেরবছর মেট্রিক পাশ করে কলেজে ভর্তি হয়ে গেল। পেছনে পড়ে রইল ‘ব্যাড বেঞ্চার’দের সেই ‘ব্যাক বেঞ্চ’গুলো।"
"দুই যুগ আগের কথা, আজো চোখে ভাসে সব। গতকাল রাতে টিভি নিউজে দেখলাম সুবল ক্রসফায়ারে মারা গেছে। বুকের খুব গভীরে কোথায় যেন প্রচণ্ড একটা কষ্ট অনুভূত হল। এ কিসের অনুভূতি আমি জানি না। আমার মত সুপারমার্কেটের সেলসম্যানদের অনুভূতি নামক শব্দ’র সাথে কোন পরিচয় নাই। মাস তিনেক আগে মিজানের সাথে দেখা হয়েছিল, মতিঝিলে। স্যুটটাই পড়ে পুরোপুরি অফিসার, আমাকে দেখে ঘাড় ঘুরিয়ে নিয়েছিল, চিনেও না চেনার ভান। নাম ধরে ডাকতে গিয়েও থেমে গেছি, যে পরিচয়কে ও অস্বীকার করতে চাচ্ছে, সেই পরিচয়ের সুত্র ধরে ডাক দেয়ার কোন মানে হয় না। জাহিদ নিজের লেদমেশিনের ফ্যাক্টরি দিয়ে সুখেই আছে, কখনো দেখা হলে হই হই করে জড়িয়ে ধরবে; শুরু হবে গল্প। জোর করে ধরে নিয়ে যাবে তার কারখানায়। এরপর সেইরকম খানাপিনার আয়োজন। বোঝা যায় ব্যবসা ভালোই জমিয়েছে শালার ব্যাটায়। আমি অস্বস্তি বোধ করলে জোরে হাসতে হাসতে বলবে, ‘শোন মামা, সবার উপর সইত্য হইল, উই আর ব্যাক বেঞ্চারস। না না না, ‘ব্যাড বেঞ্চারস’।" খারাপ লাগলো ।

অামি কখনো ব্যাক ব্যঞ্চার ছিলাম না । মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম বেঞ্চিতে বসতাম । বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে মাঝামাঝি বসতে শুরু করেছিলাম । শেষ দিকে অবশ্য পেছনে বসা শুরু করেছিলাম । ছাত্র হিসেবে খারাপ ছিলাম না, মাঝারি মানের ছিলাম ।
ভদ্রগোছের ছিলাম বলে দুষ্টুমিও তেমন করা হয়নি । অাপনার শৈশব তো ভালোই বৈচিত্র্যময় ছিলো ।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমার শৈশব বড়ই বৈচিত্র্যময় ছিল নিঃসন্দেহে, তবে স্কুল লাইফ তেমনটা ছিল না। আমিও আপনার মতই ভদ্রগোছের ছিলাম, শুধু এইট-নাইনের দিকে টিফিন পিরিয়ডে স্কুল পালাতাম ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশনের ফুটবল লীগের খেলা দেখতে (তখন ফুটবলের একটা ক্রেজ ছিল দেখার মত)।

ধন্যবাদ, ভালো থাকুন সবসময়।

১০| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৮

জহিরুল হক টিপু বলেছেন: আসলেই খুব ভাল লিখেছেন!!!

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ টিপু ভাই, ভালো থাকা হোক সবসময়।

১১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৭

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: অনেক ভাল লাগল,, তবে আপনার গল্পের মর্ম বুজতে পারব না হয়তো কারন আমি এখন মাধ্যমিক এ

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: সময়গুলো উপভোগ করুন, কয়দিন পর এই সময়গুলোকেই খুব মিস করবেন।

১২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১০

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: আপনার স্মৃতিচারণ প্রথম থেকেই খুব উপভোগ করছিলাম।
কিন্তু শেষে এসে মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল, একজন অফিসার হয়ে প্রিয় বন্ধুকে চিনলই না, আরেকজন মাস্তান হয়ে মারা পড়ল!!
বন্ধুত্বকে যারা অস্বীকার করে, ব্যক্তি আমি তাকে পছন্দ করি না।

আমার হাসবেন্ডের ব্যাচের সবাই মিলে, স্কুলে পূণর্মিলন অনুষ্ঠান করে প্রতি বছর।
গরীব বন্ধুদের অর্থ সাহায্য করে, যার সামর্থ যেমন।
অকালমৃত বন্ধুর বউকে সেলাই মেশিন কিনে দিল একবার।
এক বন্ধুর এনজিওতে চাকরী দিল ছেলেকে।
এ ভাবে এরা প্রতি বছরই মিলিত হয় একসাথে।
ভাল লাগে আমাদেরও ( বন্ধুদের বউদের)।














২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: বাস্তবতা বড়ই নির্মম, যদিও এই বাস্তব পৃথিবীতেই আপনার স্বামী এবং উনার বন্ধুদের মত মানুষও রয়েছে। ধন্যবাদ বীথি আপু চমৎকার মন্তব্যের জন্য, ভালো থাকুন সবসময়।

১৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমিও ব্যাকবেঞ্চার ছিলাম। তবে এত পাজী ছিলাম না! তবে বয়সের তুলনায় ডেঁপো ছিলাম নিঃসন্দেহে। আমাদের ব্যাডবেঞ্চিং ছিলো ব্যাগের মধ্যে চটি নিয়ে আসা, ভিসিপি ভাড়া কইরা পর্ন দেখা এই পর্যন্তই। ব্লেড, চাকু, ক্ষুর এইসব ভায়োলেন্সে ছিলাম না। মজা লাগলো পোস্ট।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আপনাকে দিয়ে উত্তর দেয়া শুরু করি। লিখতে চেয়েছি গল্প, প্রথম পুরুষে; হয়ে গেছে স্মৃতিচারণ। আমি না ছিলাম ব্যাকবেঞ্চার, না ব্যাডবেঞ্চার, না ফ্রন্ট লাইনার; মাঝামাঝি... আঁতেল টাইপের কিছু ছিলাম :(( কিন্তু জীবনের এই প্রান্তে এসে সেইসব ব্যাডবেঞ্চার ফ্রেন্ডদের কথা খুব মনে পড়ে। ব্যাডবেঞ্চার মানেই স্পয়েলড লাইফ নয়। সময়ের পরিক্রমায় অনেক ফ্রন্টলাইনা আজ আস্তাকুরে নিক্ষিপ্ত হয়েছে, অন্যদিকে ব্যাডবেঞ্চার অনেকেই আজ সমাজে প্রতিষ্ঠিত, শুধু অর্থের বিবেচনায় নয়, একজন মানুষ হিসেবেও। কিন্তু স্কুল লাইফে এই ব্যাকবেঞ্চার আর ব্যাডবেঞ্চারদের সবাই বাঁকা চোখে দেখে, এড়িয়ে চলে। আমার কাছে কিন্তু আজ মনে হয়, ঐটাই ছিল শৈশবের স্বাভাবিক দুরন্তপনা, যা আমি মনে করি আমার মত গুডি বয় হতে সচেষ্টরা মিস করেছে। জীবনে প্রতিটি অভিজ্ঞতারই মূল্য আছে। তবে কৈশোরের এই অপূর্ণতা পরবর্তী জীবনে সুদে-আসলে উশুল করেছি বলেই হয়ত তথাকথিত প্রতিষ্ঠা আজো পাই নাই। বাট স্টিল আই ক্যান সে, আই এম হ্যাপি উইথ মাই লাইফ। জীবনে এটাই অনেক বড় প্রাপ্তি।

অনেক কথা বললাম, হামা ভাই শুধু বলেন, এটা কেন গল্প হল না, কেন সবাই স্মৃতিচারণ মনে করছে? শিরোনামে 'ছোটগল্প' লেখার পরেও। :(( :((

১৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: কেলাস নাইন পর্যন্ত ফার্স্ট বেঞ্চার ছিলাম। এরপর আমরা ১-৫ রোলের সবাই মিডল আর লাস্টু বেঞ্চগুলো দখল করে নিতাম। লাস্টুদের ফার্স্টবেঞ্চে পাঠায়া দিতাম। ঐটাও আমাদের ভাব নেয়ার একটা উপায় ছিল। ;) ;) ;)


শেষেরদিকে এসে খুব খারাপ লাগলো। আসলে বাস্তবতাও যে এমনি........ :(

আমি নিজেও আমার বাল্যকালের বন্ধুদের কমবেশি এড়িয়ে চলি। অবশ্য ওরাও তেমনএকটা কাছে আসতএ স্বাচ্ছন্দবোধ করে না। তবে স্বার্থপর নই। এতোটা খারাপ নই যে, ওদের সাথে দেখা হলে- কথাই বলি না।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: বর্তমান দেখেই বোঝা যায় অতীত কেমন ছিল ;) ভাইজান যে বস মানুষ ছিলেন (এখনও আছেন) তা বেশ বুঝতে পারছি। (বোকা না হইলে আরেকটু বেশী বুঝতাম :P )। ধন্যবাদ গেম চেঞ্জার ভাই, ভালো থাকা হোক সবসময়।

অটঃ আচ্ছা আপনি কি যে কোন গেম চেঞ্জ করতে পারেন? ;)

১৫| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৫

ক্যপ্রিসিয়াস বলেছেন: ব্যাক বেঞ্চারদের সুবিধা কি জানেন পেছন থেকে কে কি করছে তা জায়গায় বসে উপভোগ করা যায়। সে জন্যই এখন ব্যাক বেঞ্চার আমার পছন্দের জায়গা।
‘শোন মামা, সবার উপর সইত্য হইল, উই আর ব্যাক বেঞ্চারস।

ভাল থাকবেন। শুভ কামন থাকল।ধন্যবাদ

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ ক্যপ্রিসিয়াস, প্রফেশনাল কোর্সগুলোতে আমি নিজেও ছিলাম অলওয়েজ ব্যাক বেঞ্চার। এই বয়সে ব্যাক বেঞ্চে বসে পেছন থেকে কে কি করছে তা উপভোগ করা আসলেই মজার অভিজ্ঞতা ছিল। :)

১৬| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৫

ঈশান আহম্মেদ বলেছেন: কি বলব ভাই?গল্পটা অসাধারন।আমি এখন মাধ্যমিকে।আর কয়েকমাস পরেই মাধ্যমিক ছেড়ে চলে যাবো।আমরাও চারজন বন্ধু আছি।আমাদের গ্রুপের নাম হিটস গ্রুপ।সবার নামের প্রথম অক্ষর দিয়ে।আমার ব্যাক বেন্চার ,ফাস্ট বেন্চার উভয়েই।আমরাই ফাস্টে বসি,আমরাই লাস্টে বসি।তবে ওদের সবার থেকে আমি একটু আলাদা।ওরা দুষ্টুমি করে আর আমি করি না। চুপচাপ থাকি সবসময়।তবে বন্ধুত্ত একদম খাটি।জানি ভবিষতে কি হবে।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আপনাকেও একই কথা বলব, সময়গুলো উপভোগ করুন, কয়দিন পর এই সময়গুলোকেই খুব মিস করবেন। :)

১৭| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমি তো স্মৃতিচারণ মনে করেছি প্রথমে। পরে মনে হলো বোকা মানুষ ছেলেটা এতো দুরন্ত ছিল নাকি স্কুল থেকে, পরে স্ক্রল করে দেখি এটা গল্প। গল্প হোক বা স্মৃতিচারণ হোক, আমার পড়তে খুব ভালো লাগছে।

আমার স্টুডেন্ট লাইফ অনেক ম্যারম্যারা ছিল। খুবই ভালো স্টুডেন্ট ছিলাম বলে অপেক্ষায় থাকতাম কখন পরীক্ষা আসবে আর আমি পরীক্ষার হলে যাবো। আমি সেকেন্ড বেঞ্চে বসতাম সবসময়। তবে ক্লাস টেনে উঠে একটু উড়ু উড়ু হলে ফোর্থ বেঞ্চ দখল করেছিলাম। আর নিষিদ্ধ কিছুর মজাই পাইলাম না স্টুডেন্ট লাইফে। তাই অন্যদের বা যারা হোস্টেল, ক্যাডেট এ থাকছে ওদের খুব হিংসা করতাম। মানুষের স্টুডেন্ট লাইফ এমন ম্যারম্যারা থাকে এইটার উদাহরণ আমি :(

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমার নিজেরও শিক্ষাজীবনটা খুব বেশী মজাদার ছিল না, আরেকটু চার্মিং হলে ভালো হত। আপনার শেষ লাইনটা জটিল ছিল, মানুষের স্টুডেন্ট লাইফ এমন ম্যারম্যারা থাকে এইটার উদাহরণ আমি :( +++

১৮| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: বোকা মানুষ বলতে চায় ,




গল্পই হোক আর অজান্তে স্মৃতিচারনই হোক ,মান্না দে'র " কফি হাইসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই ..." এর সুরটাই যেন শুনতে পেলুম ।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: এই গল্পের মূল লক্ষ্য ছিল ব্যাড বেঞ্চারদের গল্প শোনানো, তার সাথে আগত দিনে তাদের জীবনধারা। কিন্তু গল্প না হয়ে বুঝি স্মৃতিচারণ হয়ে গেছে। যদিও আমি ব্যাড বেঞ্চার ছিলাম না, তবু বলি না থাকার জন্য একটু হলেও খারাপ লাগে। আর হলে গর্ব করে স্মৃতিকথা লিখতাম। লেখা পোস্ট করে পড়ার পর আমারও কিন্তু কফি হাউসের আড্ডা'র কথা মনে হয়েছিল। :)

১৯| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৭

চিলেকোঠার চঁড়ুই বলেছেন: আমিও তথাকথিত ব্যাকবেঞ্চারদের মধ্যে একজন।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ব্যাকবেঞ্চারের সংখ্যাই দেখি বেশী। :)

২০| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৩

রাশেদুল বিজয় বলেছেন: ভালোই ছিল, সত্য কিছু উঠে এসেছে

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ রাশেদুল বিজয়, বোকা মানুষের ব্লগে স্বাগতম।

২১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ''গল্প'' জেনে হতাশ !

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: কিনু?

২২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১২

দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ভালো লাগলো ভাই।

কথা একটাই, যে যেখানে থাক সবাই ভাল থাকুক

অনিঃশেষ শুভকামনা।

অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনিও ভালো থাকুন সবসময়। :)

২৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনার গল্পটা পড়ে হঠাৎ করে 'আদুভাই' গল্পটার কথা মনে পড়ে গেল! আমার কাছে কেন জানি মনে হচ্ছে আদুভাই গল্পের লিরিক এবং আপনার গল্পের লিরিকটা খুবই কাছাকাছি অবস্থান করছে! তবে গল্পের মূল প্রতিপাদ্য সম্পূর্ন ভিন্ন। আর সেজন্যই পড়তে অনেক ভাল লাগছে........!!


চমৎকার গল্প উপহার দেওয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ! আপনার মাধ্যমে আবারও কৈশরের সেইসব ফেলে আসা দিন গুলোর কথা মনে পড়ে গেল!

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সাহসী সন্তান, ভালো থাকুন সবসময়।

২৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৬

জে.এস. সাব্বির বলেছেন: প্রথম পুরুষে লেখা গল্পটা স্বার্থক বলব ।এতটাই স্বার্থক যে ,মেক্সিমাম(amio) স্মৃতিচারণ ভেবে ভুল করেছে এবং এখানেই স্বার্থকতা ।

গল্পটা খুব ভাল লেগেছে ।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আপনার কথা পছন্দ হয়েছে, আসলেই তো! সবাই স্মৃতিচারণ ভেবে ভুল করেছে এবং এখানেই স্বার্থকতা ।

ধন্যবাদ জে.এস. সাব্বির, ভালো থাকুন সবসময়।

২৫| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৬

ধমনী বলেছেন: অনেকেই এটাকে স্মৃতিকথা ভেবে নিয়েছেন। তাই স্বাদে বিভ্রম হয়েছে।
আমিও ব্যাকবেঞ্চার ছিলাম। তবে ভালোদের ক্লাসে। আমার থিম হলো ব্যাকবেঞ্চাররা গ্যালারির দর্শকের মত। পুরো ক্লাসের খেলা দেখতে পারে।
গল্প দারুণ লেগেছে।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আপনার থিম আমি নিজেও উপভোগ করেছি পরবর্তী জীবনে। ধন্যবাদ ধমনী, ভালো থাকুন সবসময়।

২৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৪

সুমন কর বলেছেন: গল্পে বাস্তবতার ছোঁয়া আছে। ভালো লাগা রইলো।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ বন্ধুবর :)

২৭| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪০

আমিই মিসির আলী বলেছেন: অসাধারণ হইয়াছে!!!

আপনি এত ভালো পারেন কেন!!!

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমি এত ভালো পারলাম কই? পারছিলো তো মুরগী বেডায়... থুক্কু বেডিতে ;) :P

২৮| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৩২

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: থিমটি আগে আমাকে দিলে সামান্য রদবদল করেই নিজের গল্প বলে চালিয়ে দিতে পারতাম।। আমার নামের পাশে যোগ হতো ২৯০ বার পঠিত আর পাচটা লাইকও :P ।। গল্পটিকে আমি কিন্তু আমার কথাই ভাবছি।।
আমাদের সময় একধরনের চাকু ছিল,একটু বাকানো।। খোলার সময় কট কট করে ৭বার শব্দ করার কারনে সাতঘাট বা মাইছ্যা (আকৃতির কারনে) ড্যাগারও বলা হতো।।
আর আছে মিজানের মতই কয়েকজন!! জীবনের অর্থই যারা পাল্টে দিয়েছে!!
ভাল থাকুন প্রিয় ব্লগার।।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: লেখাটি লেখার সময় বারবার আপনার কথা মনে হচ্ছিল, অপেক্ষায় ছিলাম আপনার মন্তব্যের :)

আমাদের এলাকায় আপনার উল্লেখিত চাকুকে বলত 'সেভেন গিয়ার'; আরেকটা চাকু জনপ্রিয় ছিল, সুইচ টিপলে চাকু বের হয়ে আসত, ফের টিপলে ভেতরে লুকিয়ে যেত, 'সুইচ গিয়ার' বলে পরিচিত ছিল। যদিও আমার ছিল না, তবে মাঝে মাঝে লোভ হত :P

আপনার জীবনের কাহিনী নিয়ে ডায়েরী টাইপের কিছু লেখা শুরু করে দেন না কেন? শুরু করলেই দেখবেন সুন্দর লেখা বের হচ্ছে, শুধু শুরু করাটা জরুরী। অপেক্ষার রইলাম...

২৯| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৪৫

আধারে আমি৪২০ বলেছেন: ভাই, আমিও ব্যাক ও ব্যাড বেঞ্চার ছিলাম, এখনও আছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় ফেল করতে পারি নি। স্কুল জীবনের অনেক কিছুই মিলে যায়। মিস করি সেই সব বন্ধুদের, যাদের জন্য জীবনের সংজ্ঞাটাই বদলে গেছে।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ আধারে আমি৪২০, ভালো থাকুন সবসময়।

৩০| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:১৪

বাংলার ফেসবুক বলেছেন: জীবন চলার পথে ফেলে আসা সকল ব্যাক বেঞ্চার তথা ব্যাড বেঞ্চার বন্ধুদের, "দোস্ত তোরা ভালো থাকিস"।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৫

তাহসিনুল ইসলাম বলেছেন: স্মৃতিকথা ভালো লাগলো। বেশ লিখেছেন :)

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ তাহসিনুল ইসলাম। :)

৩২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৫

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: ব্যাক বেঞ্চার অথবা ব্যাড বেঞ্চার নিয়ে দারূন গল্প । মজা পেয়েছি অনেক । তবে শেষটুকু বেদনার্থ ।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ কথাকথিকেথিকথন, তো বলে গেলেন না, আপনি কোন দলে ছিলেন?

৩৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৬

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: গল্পের মত লাগেনাই। স্মৃতিচারনের মতই মনে হচ্ছিলো। আমিও আজীবন ব্যাক বেঞ্চার ছিলাম। তবে ভদ্রটাইপ ব্যাকবেঞ্চার। সাথের বন্ধুদের ইবলিশগিরি উপভোগ করলেও নিজে ওদের লেভেলে যাইতে পারিনাই। আবার ওইসব দিন পাইলে নিশ্চিতভাবেই ওই ব্যর্থতা থেকে বের হয়ে আসতে চাইতাম।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমিও আজীবন ব্যাক বেঞ্চার ছিলাম। তবে ভদ্রটাইপ ব্যাকবেঞ্চার। সাথের বন্ধুদের ইবলিশগিরি উপভোগ করলেও নিজে ওদের লেভেলে যাইতে পারিনাই। আবার ওইসব দিন পাইলে নিশ্চিতভাবেই ওই ব্যর্থতা থেকে বের হয়ে আসতে চাইতাম। ;)

আমারও এইরকম কিছু একটা মুঞ্চায় ভ্রাতা :P

৩৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২৬

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: লেখক বলেছেন: বুঝিবে সে কিসে?... .... ... ...
ফেল করাও কারো কারো কাছে এত্ত আনন্দদায়ক হয়। বোঝে না সে বোঝে না
---------

কিইই---!!! বোঝে নে সে বোঝে না !!! বোমা ভাই ই ই ই ই ------------!!! :-< :-< :-B

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: জ্বী আপুমনি, যারা কখনো ফেলের স্বাদ গ্রহণ করে নাই, তারা আসলে বোঝে না, এক্কেবারেই বোঝে না, কি মজা আছে ফেল করায় ;) :P

৩৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫০

দর্পণ বলেছেন: আপনি ব্যাক বেঞ্চারও না ব্যাড বেঞ্চারও না কিন্তু ব্যাক বেঞ্চারদের গল্প বড় ভালো লাগলো।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই দর্পণ, কিন্তু কথা যে বাকী রয়ে গেল... আপনি কোন বেঞ্চার ছিলেন তা জাতীকে বলে গেলেন না যে? ;)

৩৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৫

অগ্নি সারথি বলেছেন: স্মৃতি কথনে ভাললাগা।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অগ্নি সারথি।

৩৭| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫২

গেম চেঞ্জার বলেছেন: অটঃ আচ্ছা আপনি কি যে কোন গেম চেঞ্জ করতে পারেন? ;)


না-রে ভাই!! আমি নির্দিষ্ট কয়েকটা গেম চেঞ্জ করসি। :P

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: এইটা কিছু হইল? ভাবছিলাম আপ্নেরে দিয়া বিপিএল এর কয়েকটা গেম চেঞ্জ করাইতাম ;)

৩৮| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৯

গেম চেঞ্জার বলেছেন: হাঃ হাঃ সমিস্যা হইলো বিপিএলে অরুচি। :-<

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: টেনশন নিয়েন না, রুচি চানাচুর খাওামুনে। "টারজান, টারজান, এক প্যাকেট রুচি চানাচুর রেডি কর।" :P

৩৯| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৩

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
স্মূতিকাতর, বিভ্রম, স্বীকারোক্তি, উপলব্দি ৷

কিয়ৎ দ্রুত টেনেছেন ৷ পঠন গভীরতার খাটতিতে পাঠকের হিউমারটুকু আস্বাদন হয়ত অতৃপ্তি রইল ৷

পাঠককূল বোধহয় কিছুক্ষণের জন্য পিছনে ফিরিয়ে গেল ৷

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ জাহাঙ্গীর.আলম ভাই, আসলে আমি যেমন যতটুকু লিখতে চেয়েছিলাম ঠিক তেমনি ততটুকু ব্যপ্তিতে লিখেছি। হয়ত পাঠক হিসেবে আপনার দাবী আরও বেশী ছিল। :)

ভালো থাকুন সবসময়।

৪০| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২১

হামিদ আহসান বলেছেন: জীবনের গল্প ৷ ভাল লাগল খুব৷ ব্যাক ব্যাঞ্চাররা অনেকেই কিন্তু বাস্তব জীবনে অর্থে বিত্তে এগিয়ে যায়৷ শেষে িাই হোক সেই সময়টা খুবই মধুর হয় ৷ দারুন লিখেছেন গল্প

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ হামিদ ভাই। কথা কিন্তু সইত্য, অনেক সময়ই দেখা যায়, ব্যাক ব্যাঞ্চাররা অনেকেই কিন্তু বাস্তব জীবনে অর্থে বিত্তে এগিয়ে যায়৷

৪১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৮

মশিকুর বলেছেন:

আমি বসতাম সেকেন্ড লাস্ট বেঞ্চে ;) কারন লাস্ট বেঞ্চে সারেরা পড়া ধরতো বেশি :)



বন্ধু যাবে বন্ধু আসবে এটাই জীবনের নিয়ম.. :( ভাল থাকুক সকল বন্ধুরা।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: বন্ধু যাবে বন্ধু আসবে এটাই জীবনের নিয়ম.. :(

কিন্তু কিছু কিছু বোকা মানুষ বড়ই স্মৃতিকাতর হয়ে থাকে।

৪২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৬

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: সেকেন্ড বেঞ্চে সবসময় !!

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমারও পছন্দের ছিল সেকেন্ড বেঞ্চ। :)

৪৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৯

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: নষ্টালজিক বানায়া দিলেন ভাই। আমরাও ব্যাড বেঞ্চারস আছিলাম। তবে আমরা ব্যাক বেঞ্চার না - অল বেঞ্চারই। খালি আমরা যেই বেঞ্চটাতে বসতাম সেইখান শয়তানের আখড়া ছিল।

আমাদের শেষদিনটা অত্যন্তই দুঃখের ছিল। রেজাল্ট যে খারাপ হইছিল। :(

ভাল্লাগছে লেখাটা। :)

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ রক্তিম দিগন্ত, ভালো থাকুন সবসময়।

৪৪| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৩

জেন রসি বলেছেন: পড়তে ভালোই লাগছিল। আমার আবার সবদিকেই আনাগোনা ছিল। স্কুলে ব্যাক বেঞ্চার হওয়ার চেষ্টা নিলেও খুব একটা সুবিধা করতে পারিনাই। তবে কলেজে সেই স্বপ্ন পূরণ করেছিলাম। :)

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: যাক, জুনিয়রে না হোক, সিনিয়র হয়ে তো সাধ-আহ্লাদ পূরণ করতে পেরেছিলেন। ;)

৪৫| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০৬

এহসান সাবির বলেছেন: ভালো থাকুক প্রিয় বন্ধুরা।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ভালো থাকুক সকলে... তো এতদিন ছিলেন কনে? ভ্রমণ পোস্ট কোণ্ঠে? ;)

৪৬| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৬

কম্পমান বলেছেন: +++++++++++++++++++++

কিন্তু মিজান এমন না করলে ও পারত।

স্কুল এর অনেক কথা মনে পড়ে গেল।।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: মিজান এমন না করলে যে সমাজের বাস্তব চিত্র প্রতিফলিত হত না। :)

লেখার সময় আমারও খুব স্কুল জীবনের কথা মনে হয়েছিল।

ধন্যবাদ কম্পমান, নিয়মিত হবেন কবে থেকে? ব্লগে নিয়মিত হওয়ার বিশেষ অনুরোধ রইল। ভালো থাকা হোক প্রতিক্ষণ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.