নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১
আগের পর্বঃ মুঘল রোড ধরে কাশ্মীরের পথে (মিশন কাশ্মীর এক্সটেন্ড টু দিল্লী-সিমলা-মানালিঃ ভারত ভ্রমণ ২০১৫)
মুঘল রোড ধরে গাড়ী যত এগিয়ে যাচ্ছিল, ততই আমরা বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যাচ্ছিলাম। অবিশ্বাস্য সব রাস্তা, সুউচ্চ সব পাহাড়ের গাঁ কেটে কেটে তৈরি, একদিকে সুবিশাল পাহাড় খাড়া উপরে উঠে গেছে, আরেক প্রান্তে অনেক অনেক নীচে পাথুরে নদী বয়ে চলেছে। সেই অপার্থিব দৃশ্য দেখতে দেখতে যখন ঘোর লাগা মোহে আচ্ছন্ন সবাই, তখন হয়ত এক ভয়াল বাঁক ঘুরে আমাদের গাড়ী সবাইকে বাস্তবে ফিরিয়ে আনে। ভয়ে কলজে শুকিয়ে যায়, দোয়া দুরুদ পড়ে নেই মনে মনে। কিন্তু প্রকৃতির এই অবিশ্বাস্য রূপের জাদু হতে কতক্ষণ মনকে ভুলিয়ে রাখবেন?
গতকাল বেশ কিছু এলাকার নাম দিয়ে জম্মু থেকে কাশ্মীর যাওয়ার পথ বাতলে ছিলাম। কাশ্মীর থেকে ফেরার আগের দিন আমাদের ড্রাইভার সাহিলের কাছ থেকে জম্মু-কাশ্মীর ফোর লেন হাইওয়ে ধরে যে রুট, সেটার এবং মুঘল রোড ধরে যে রুট সেটা, দুটোরই সংক্ষিপ্ত রুট ম্যাপ লিখে এনেছিলাম আমার পরবর্তী ভ্রমণ সাথীদের জন্য। রুট দুটি এমনঃ
হাইওয়ে রুটঃ জম্মু (তাওয়াই) রেল ষ্টেশন > উদামপুর > পাতনিটপ > বাতুতথ > রামবান্ধ > বানিহালদধ > কাজিগুনদধ > আনানতনাগ > শ্রীনগর।
মুঘল রোডঃ জম্মু (তাওয়াই) রেল ষ্টেশন > আখনুর > রাজৌরি > সারদাহ (দরগা) > বাফলিয়ায > সিপিয়াহন > আনানতনাগ/শ্রীনগর > শ্রীনগর।
দুপুরের লাঞ্চ করার জন্য আমরা যাত্রা বিরতি করলাম একটা লোকালয়ে, বেশ বড় বাজার এলাকা, হাইওয়ে ওখান থেকে দুইভাগে ভাগ হয়ে গেছে। নামটা মনে পড়ছে না, তবে তা রাজৌরি হওয়ার সম্ভাবনা বেশী। তখন দুপুর একটা হবে, আমাদের গাড়ী থামল রাস্তার পাশের বেশ কিছু লাগোয়া ধাবা’র নিকট। এই দুইদিনের ভেজ খাবারের এলাকা পেড়িয়ে আমরা এখন মুসলিম প্রধান এলাকায় চলে এসেছি, তাই ননভেজ আইটেম পাওয়া গেল। মুরগীর ঝোল, বাঁধাকপির একটা সবজি, ডাল সাথে টমেটো’র সালাদ। আমি ফ্রেশ হওয়ার জন্য খুঁজে পেতে মসজিদে চলে এলাম একা একা, ভোরবেলা সেই ‘মানিব্যাগ হারানো’ আর ‘হাওয়া গারাম’ এর টেনশনে নিজের শরীরের কথা ভুলেই গিয়েছিলাম।
মসজিদ মুল রাস্তা হতে পেছনের দিকে ঢালু হয়ে নেমে যাওয়া পথের মাঝামাঝি, রাস্তার ডান পাশে। বছর বিশেকের এক ছেলেকে জিজ্ঞাসা করতেই সে পথ দেখিয়ে নিয়ে যেতে লাগলো। ‘কোথা থেকে এসেছি?’ এই প্রশ্নের উত্তরে ‘বাংলাদেশ’ বলতেই মুখে একটা স্মিত হাসি খেলে গেল। সারা কাশ্মীরের জনগণ কি পরিমান বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ফ্যান চিন্তা করতে পারবেন না। আর সাকিব আল হাসান, সেখানকার মহাতারকা। সাকিব নিজে কখনো গিয়েছেন কি না জানি না, কিন্তু উনি ওখানে গেলে বিশাল হুলুস্থুল পড়ে যাবে, যেমনটা আগে শাহরুখ খান এদেশে এলে হত। এতটুকু বাড়িয়ে বলছি না, যা দেখে এসেছি, তাই বলছি। আর হ্যাঁ, বাংলাদেশকে তারা নিজের বন্ধু বলে মনে করে।
‘আরে ইয়ার, তুম মেরে ভাই হো’ এই কথা বলা হাস্যমুখ কত কাশ্মীরি ছেলে-যুবা এগিয়ে এসেছে কথা বলতে... সহজ সরল কাশ্মীরিদের জন্য দুঃখ হয়, একটা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র এদের প্রাপ্য ছিল। এরা না ভারতের সাথে সুখে আছে, না পাকিস্তানের সাথে মিশে স্বস্তি পেত। ধর্মের নামে এদের ব্যবহার করে কিছু কট্টরপন্থী, উগ্রবাদী। সাথে রয়েছে প্রকৃতির নির্মমতা, গেল এপ্রিলের বন্যায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পরেছিল এই পাহাড়ি জনপদ। শীতে প্রায় চারমাস থাকে জনজীবন থমকে, এর সাথে রয়েছে গোঁদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে জম্মুর সাথে একই প্রদেশের অংশীদার হওয়া। সম্পূর্ণ বৈপিরত্যের দুটি জনগোষ্ঠী যারা একে অপরকে দুচোখে দেখতে পারে না, অথচ প্রতিবেশী একই প্রদেশের। এই কিছুদিন আগেই এক গরু খাওয়াকে কেন্দ্র করে কত ঘটনা ঘটে গেল, কত মারামারি খুনাখুনি। বেতাবভ্যালী’তে আমাদের এক গাইড সুন্দর বলেছিল, ‘খোদা কি কিতনা নিয়ামাত হামলোগ কি পাস হ্যাঁয়। জাফরান, আপেল, আখরোট, আঞ্জীর, পাশমিনা... উসকে সাথ ধারতি কা খুবসুরাত নাজারা... লেকিন এক তারাফ ঠাণ্ড অর বারিশ ক্যা ঢল আর দুসরী তারাফ ইয়ে পলিটিক্যাল ইস্যুস... কাভি হামলোগ কো শের উঠাকে জিনে নাহি দেতা’।
জম্মু-কাশ্মিরের বিদ্বেষ প্রথম টের পাই এদিন লাঞ্চের সময়, স্থানীয় এক বয়স্ক ভদ্রলোকের সাথে কথা বলার সময়। আমরা কীভাবে বাংলাদেশ থেকে এসেছি সেটা জানতে চাইলে আমি বিস্তারিত বলতে বলতে যখনই বললাম ‘জম্মু হতে...’; আমার কথা শেষ হতে না দিয়ে বলল, ‘খবরদার এখানে জম্মুর নাম মুখে এনো না’। আরও বেশ কয়েকবার আমি বিভিন্নজনের মুখ থেকে এমন কথাই শুনেছি। আমার তখন ব্রিটিশ আর তৎকালীন এদেশীয় রাজনীতিবিদদের গালি দিতে মন চাচ্ছিল। তাদের কল্যাণে আজ সারা উপমহাদেশ জুড়ে এমন অসন্তোষ ডুকরে মরে। বাংলা, পাঞ্জাব, কাশ্মীর এমন আরও বহু জনপদ।
যাই হোক ভ্রমণের গল্পে ফেরত যাই। দুপুরের লাঞ্চ সেরে আমরা রওনা হলাম ফের ঐ মায়াবী পথসকল ধরে পাহেলগাও এর পথে। চারিধারের এই অপার্থিব দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করতে ফুডুগিরাপারেদের কি দৌড়ঝাঁপ। জ্বী হ্যাঁ, গাড়ীর মাঝেই দৌড়ঝাঁপ, তাও মূলত মিতা রয়ের। বেচারা এই ট্যুরে একটা ডিএসএলআর সাথে দুটো পুঁচকে ক্যামেরা নিয়ে এসেছে কি না । অন্যদিকে গ্রুপের দুই প্রতিষ্ঠিত ফটোগ্রাফার কামাল ভাই আর মুক্তার ভাই নীরবেই কাজ সারছেন; মুক্তারকে দেয়া হয়েছে ড্রাইভারের পাশের সামনের আসনটি, সে মহাসুখে ছবি তুলছে, কখনো ক্যামেরায়, কখনো মোবাইলে, কখনো সেলফি স্টীক দিয়ে। কামাল ভাই চুপচাপ জানালার কাঁচ একটু সরিয়ে ক্যামেরার লেন্স বাইরে বের করে দিয়ে ছবি তুলে নিচ্ছেন। পাহাড়ের উপরে তাপমাত্রা ছিল খুব কম, আর চলন্ত গাড়ীতে ঠাণ্ডা বাতাস, জানালা খুললেই ঠাণ্ডায় জমে যাওয়ার মত অবস্থা।
যেহেতু আমাদের গাড়ী পাহাড়ি রাস্তা ধরে ঘুরে ঘুরে উঠছিল, কখনো নামছিল, ফলে জানালার এপাশে সব চমৎকার ভিউ তো অন্য পাশে খাড়া পাহাড়ের জমাট দেয়াল। এই নিয়ে চলছিল ফটোগ্রাফারদের দৌড়ঝাঁপ। আমি একসময় বিরক্ত হয়ে বললাম, ‘গাড়ীতে মোট নয়টা উইন্ডো সাইড আসন আছে, আপনার সেগুলো হতে আসন পছন্দ করে আমাকে যে কোন একটা সিট দিলেই হয়’ , খালি গাড়ী থেকে নামায়া দিয়েন না। তাহলে এই পাহাড়ের দেশ হতে বাংলাদেশ যেতে যেতে বুড়ো হয়ে যাব। ইয়ে, এইটুকু মনে মনে বলছি
বিকেল নাগাদ শেষ হল সেই পাহাড়ি রাস্তা ধরে ছুটে চলা, একটা গ্রামে যাত্রা বিরতি হল। দলের সবাই হালকা-ভারী যা হওয়ার দরকার হয়ে নিলেন। সাহিলের কাছ থেকে জানা গেল আরও ঘণ্টা চারেক লাগবে! তাই বেশকিছু ড্রাইফুড, চকলেট আর পানি নিয়ে রওনা হলাম পাহেলগাও’র দিকে। যে জায়গা হতে শ্রীনগর আর পাহেলগাও যাওয়ার রাস্তা আলাদা হয়ে গেছে, সেখানে পৌঁছানোর পর পড়লাম জ্যামে। সাহিল নানান পথ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে আমাদের রাত নয়টার কাছাকাছি নিয়ে পৌঁছল স্বপ্নের শহর পাহেলগাও। সরাসরি হোটেল ‘আবসার’ এর কম্পাউন্ডে গাড়ী হতে নামতেই হোটেলের ম্যানেজার এগিয়ে এল, পরিচয় দিতেই বলল, আমাদের দুজন গেস্ট ইতিমধ্যে সেখানে পৌঁছে গেছেন।
বুঝলাম জুবায়ের ভাই আর ইয়াসমিন আপা, উনাদের তো বিকেলের আগেই পৌঁছানোর কথাই ছিল। আমি সবাইকে রুম বুঝিয়ে দিতে না দিতেই রুম সার্ভিস হতে প্রত্যেক রুমে কল চলে এল, ডিনারের জন্য ডাকছে, পুরো ট্যুর হোটেলের রেস্টুরেন্টেই আমাদের বুফে ব্রেকফাস্ট আর ডিনার বুকিং দেয়া ছিল। জুবায়ের ভাই আর ইয়াসমিন আপা স্টার্টার শেষ করে আমাদের জন্য বসে আছেন। তাই সবাই কোনমত তৈরি হয়ে নীচে নেমে এলাম। খাওয়া পর্বের শেষে বোনাস ছিল ইয়াসমিন আপার কলকাতা হতে আনা বেশ কয়েকপদের মিষ্টি। এর মাঝে চলল গল্প এই কয়দিনের। আপনাদের সাথে একটা শেয়ার করি।
রওশন আপা শ্রীনগর এয়ারপোর্টে নেমে এজেন্টের কাউকে দেখতে পেলেন না, ইতিউতি খুঁজে কোথাও উনার নেমপ্লেটযুক্ত প্ল্যাকার্ড খুঁজে পেলেন না। এদিকে আমার এজেন্টের ‘হলিডে কনসালটেন্ট’ সুমায়রা জারগার আমায় ফোন দিয়ে দুপুরের পরপর বলেছে, ‘স্যার আপ কি ওয়াইফ হোটেল মে পৌঁছ গায়ি’। আমি আঁতকে উঠে বললাম, ‘নো ম্যাম, শি ইজ নট মাই ওয়াইফ, মেরা বাড়ি বাহেন হ্যাঁয়’। তো একই ভুল ছিল এয়ারপোর্টেও, বেশ কিছু সময় পর ইয়াসমিন আপা একটি প্ল্যাকার্ড দেখতে পান আমার মিসেস টাইটেল যুক্ত। উনিও হাসতে হাসতে শেষ...
ও হ্যাঁ, সুমায়রা জারগার সম্পর্কে এখন একটু বলি। সেলস পারসন হিসেবে তাকে শতভাগ মার্কস দিতে হবে। টানা দুই মাস বেচারাকে প্রচুর যন্ত্রণা দিয়েছি, এমন কি ঈদের (কুরবানি ঈদ) ছুটিতেও তাকে বিরক্ত করেছি। সে না থাকলে এই ট্যুর হয়ত হতই না। কম করে হলেও দশ বারো বার ট্যুর প্ল্যান এন্ড প্যাকেজ বদলেছি, একেবারে কাশ্মীর পৌঁছেও নাম্বার অফ পারসন চেঞ্জ করেছি। প্রাইস নিয়ে সারাদিন মেইলে বারগেইনিং করেছি, এতটুকু বিরক্ত হয় নাই। ফোনে তার কথা শুনে ভালো লেগেছে, আর সামনা সামনি দেখে পুরাই ফিদা! সেই গল্প যথাসময়ে বলা হবে।
তো আর কি? ০৭ অক্টোবর রাতে ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে অবশেষে ১০ অক্টোবর রাতে পৌঁছলাম স্বপ্নের কাশ্মীরে। টানা তিনদিন ট্রান্সপোর্টে রাত্রি যাপনের সাথে টানা ভ্রমণে সবাই ক্লান্ত ছিলাম, রাতের তাপমাত্রাও ঠাণ্ডা ছিল, ১২ ডিগ্রী। কম্বলের পুরু আস্তরণে মুড়ে দিয়ে ঘুমের রাজ্যে তলিয়ে যেতে সময় লাগে নাই। সাথে স্বপ্নে ছিল আগামীকালের দ্রষ্টব্য স্পটগুলোর রুপের হাতছানি... চান্দানওয়ারি, বেতাবভ্যালী, আরু ভ্যালী... (চলবে)
পরের পর্বঃ পাথুরে নদী আর উপত্যকার শহর "পাহেলগাঁও" (মিশন কাশ্মীর এক্সটেন্ড টু দিল্লী-সিমলা-মানালিঃ ভারত ভ্রমণ ২০১৫)
এই পর্বের ছবি সকল: গুগল দ্বারা চুরি করা
ছবিতে আমাদের টেম্পো-ট্রাভেলার এবং ড্রাইভার সাহিল
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৫
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ গেম চেঞ্জার ভাই, প্রিয়তে যায় নাই, কানেকশন এরর হইছে মনে হয়।
২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৬
প্রামানিক বলেছেন: আমি দ্বিতীয় হইছি। চা দেন
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৮
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই, বড় যন্ত্রণায় আছি, বিপদের পর বিপদ লেগেই আছে। তিনদিন পর এইমাত্র নেটে ঢুকলাম
৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১১
প্রামানিক বলেছেন: কামাল ভাই চুপচাপ জানালার কাঁচ একটু সরিয়ে ক্যামেরার লেন্স বাইরে বের করে দিয়ে ছবি তুলে নিচ্ছেন। পাহাড়ের উপরে তাপমাত্রা ছিল খুব কম, আর চলন্ত গাড়ীতে ঠাণ্ডা বাতাস, জানালা খুললেই ঠাণ্ডায় জমে যাওয়ার মত অবস্থা।
রাস্তা বিপদসংকুল হলেও ভ্রমণ মজার। ভ্রমণ কাহিনী পড়ে এখনই যেতে ইচ্ছে করছে।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২২
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আসলেই সেইরকম অভিজ্ঞতা, লিখে বুঝানো সম্ভব নয়।
৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
এইটা কি ভ্রাতা আপনি ?
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩০
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: শেষের ছবিটার কথা নিশ্চয়ই জিজ্ঞাসা করেছেন? ওটা সাহিলের, আমাদের ড্রাইভার কাম গাইড ছিল ঐ ট্যুরের।
৫| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৭
আবু শাকিল বলেছেন: বোমা ভাই আজকে যাইগা -দেরি হয়ে গেছে।
কাল আসব।
পোষ্ট ফলো আপে আছে ।মিছড হবে না।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৫
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: হা হা হা, ধন্যবাদ শাকিল ভাই
৬| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৬
মু, আমজাদ হোসেন বলেছেন: ঈর্ষনীয় ভ্রমন অভিজ্ঞতা । কোত্থেকে কীভাবে যেতে হয়, কত খরচ, কত সময় প্রয়োজন এ সব নিয়ে আরেকটু বিশদভাবে লিখলে আমরাও না হয় একটু ট্রাই করতাম ।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৪
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ভারত ভ্রমণ এর এই সিরিজ ভ্রমণ কাহিনী'র শেষে পৃথক একটা পোস্ট দিব কাশ্মীর এবং সিমলা-মানালি ট্যুর প্ল্যানিং নিয়ে। সেখানে কোত্থেকে কীভাবে যেতে হয়, কত খরচ, কত সময় প্রয়োজন এ সব নিয়ে আরেকটু বিশদভাবে তথ্য থাকবে। সিরিজের সাথেই থাকুন, দাওয়াত রইল। অথবা মাসখানেক পর এই বোকা মানুষের ব্লগে ঢুঁ মেরে যাবেন একবার, হয়ত ততদিনে পোস্ট পেয়ে যাবেন।
৭| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৪
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: এরা না ভারতের সাথে সুখে আছে, না পাকিস্তানের সাথে মিশে স্বস্তি তে ।। আসলে যারা স্বাধীনতার জন্য ক্ষুধার্ত তারাই পরাধীনতায়।।
ভাইটি বিভিন্ন কারনে ব্লগে অনিয়মিত।। পড়া হয় নি মাঝের লেখাগুলিও।। ক্ষমা্প্রার্থী।।
তবে মিষ্টির কথা ভুলি নাই।। এখন খেলে খেয়ে নিন, তা না হলে আমি দেশে গেলে যদি দেখা হয় তখন পাবেন।।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৩
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: খাব, খাব, সময় হলেই খেয়ে নিব
আশা করি আগের মত সবাই নিয়মিত হতে পারব ব্লগে, খুব শীঘ্রই। ভালো থাকুন সবসময়।
৮| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:২৬
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আগের মতই ভ্রমণের বর্ণনা আর ছবি মিলে চমৎকার পোস্ট
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৬
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ ফেরদৌসা রুহী আপু, ভালো থাকুন সবসময়।
৯| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৩৪
উল্টা দূরবীন বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৩
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ, ভালো থাকুন সবসময়।
১০| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৫২
সারাফাত রাজ বলেছেন: আমি একটা মজার বিষয় দেখেছি, যারা বুড়োধারা কাশ্মিরি তারা পাকিস্তানকে খুব পছন্দ করে। তদের পেয়ারা পাকিস্তান।
আর যারা শিক্ষিত তরুণ যুবক তাদের পাকিস্তান সম্পরকে কোন মোহ নেই। তারা চাই কাশ্মির যেন আলাদা এক স্বাধীন দেশ হোক। বাংলাদেশ সম্পর্কে এদের ধারণা খুব উচু। তবে তরুণ আর বুড়ো দুপক্ষই বাংলাদেশকে খুব পছন্দ করে। যদিও বুড়োদের মনে একটু খেদ আছে যে বাংলাদেশ কেন পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে গেল। কিন্তু হায় আফসোস বুড়োগুলো যদি সত্যি বুঝতে পারতো যে বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে এখন কতো ভালো আছে, আসলে এই বুড়োগুলো পাকিস্তান সম্পর্কে এতো মোহগ্রস্থ যে এরা পাকিস্তানের বিপক্ষের কোন কিছুই বিশ্বাস করতে চায়না।
তবে সমগ্র কাশ্মিরিরা ক্রীকেট পাগল। তারা ইন্ডিয়ান টিমকে একেবারেই সহ্য করতে পারে না। এমনকি পাকিস্তানকে ডিঙ্গিয়ে তাদের প্রিয় দল হচ্ছে বাংলাদেশ। তাদের কাছে সাকিব আল হাসান এক মহা তারকা। কোন বাংলাদেশি যদি কাশ্মিরে গিয়ে বলে যে সে সাকিব আল হাসানের দেশের লোক, তার জন্য সে মহাঅতিরিক্ত খাতির পাবে।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৬
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: একেবারে ঠিক কথা বলেছেন। আমরা জম্মু থেকে কাশ্মীর যাওয়ার পথে একটা রেস্টুরেন্ট খাবার খাওার জন্য থেমেছিলাম। তখন চলছিল দক্ষিন আফ্রিকা বনাআম ভারতের ক্রিকেট সিরিজ। ওমা! ভারতের উইকেট পড়লে সবার সেই কি হাততালি! উল্লাস! পুরাই বোকা বনে গেলাম...
১১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩২
অগ্নি সারথি বলেছেন: চমৎকার। ড্রাইভার সাহিল স্মার্ট আছে!
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০২
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ড্যাম স্মার্ট ম্যান... ব্যাটা আবার কাশ্মীরী, উর্দু, হিন্দি, ইংলিশের সাথে বাংলাও বুঝে, 'থোরা থোরা'। অলরাউন্ডার
১২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০১
রিকি বলেছেন: আমাগো জন্য কাশ্মীর থেকে আপনি আর সাদা মনের মানুষ ভাই তো কেজি খানেক আপেল আনতে পারতেন, খেতাম আর ফটো দেখতাম।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৫
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আপেল আনি নাই, তবে ড্রাইফ্রুট আনছিলাম কেজি পাঁচেক
১৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৯
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
//রিকি বলেছেন: আমাগো জন্য কাশ্মীর থেকে আপনি আর সাদা মনের মানুষ ভাই তো কেজি খানেক আপেল আনতে পারতেন, খেতাম আর ফটো দেখতাম।//
রিকি'র যুক্তিটুকু কিন্তু ফেলে দেবার নয়
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০৭
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: রিকি'র মন্তব্যের উত্তর দ্রষ্টব্য
১৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২০
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
অনেক সুন্দর ছবি। অনেক সুন্দর বর্ণনা। ভ্রমণপোস্ট আমি সর্বাঙ্গে পড়ি!
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০৯
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ মাঈনউদ্দিন মইনুল ভাই, সিরিজের বাকী পর্বগুলোতে দাওয়াত রইল।
১৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪০
জুন বলেছেন: মানালীতে এক কাশ্মীরি যুবকের সাথে পরিচয় হয়েছিল । ভ্রাম্যমান ফেরিওয়ালা । দুঃখ করে বলছিল সারা ভারতে তাদের এক টুকরো জমি কেনার অধিকার নেই । তারপর কাশ্মীর তাদের অংগ রাজ্য ।
খুব ভালোলাগছে আপনার ভ্রমন কাহিনী বোকা মানুষ । সাথে আছি ।
+
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৪০
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আসলেই কাশ্মীরী'রা বড় দুঃখী জাতী, সব থাকা সত্ত্বেও ভীষণ নিঃস্ব।
ধন্যবাদ আপু সাথে থাকার জন্য, ভালো থাকুন সবসময়।
১৬| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২৩
ঢাকাবাসী বলেছেন: দারুণ সুন্দল লিখছেন। অপুর্ব সব ছবি আর লেখা, প্রান্জল বর্ণনা, খুব ভাল লাগল।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৫৪
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ ঢাকাবাসী ভাইয়া, মন্তব্যে ভালোলাগা রইল।
১৭| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৯
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: অনবদ্য ভ্রমন ব্লগ বোকা ভাই। অনেক ভালোলাগা রইলো।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:০০
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ শতদ্রু ভাই, আপনার ভ্রমণ কাহিনী বন্ধ কেন?
১৮| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৪
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: ছবি আর চমৎকার বর্ণনা - যতই পড়ছিলাম ততই মুগ্ধ হচ্ছিলাম --- অসাধারণ
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:১০
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ আপু... কেমন আছেন? ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা রইল।
১৯| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৭
নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: গত কয়েকদিন ধরে বেশ কয়েকজনের ভ্রমণের ছবি দেখলাম , আর একটা কথা বারবার মনে হচ্ছে যে বাংলা চলচ্চিত্র করার জন্যে কেন পরিচালকরা লোকেশন খুঁজে পায় না !!
নিজের দেশে ভালো জায়গা আছে পাশাপাশি পাশের দেশেও আছে
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৩১
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আসলে প্রতিটি নির্মাতার উচিত কমপক্ষে দেশে ৫০টি এবং ভারত-নেপাল-ভুটান-শ্রীলঙ্কা-মালদ্বীপ এ আর ৫০টি ট্যুর দেয়া। দেখ ব্যাটা লোকেশন কারে কয়
২০| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪১
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: মেঘের ছবিগুলো সুন্দর !
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৪৪
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ আপু
২১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৩
সুমন কর বলেছেন: এবার কিন্তু পুরো পেড়েছি.. বর্ণনা পড়ে আর ছবি দেখে সুন্দর না বলে, উপায় নাই !!
++।
ফিদার কাহিনী জাতি জানতে চায়..
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৯
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ বন্ধুবর, সুমন কর।
ফিদা একটি হিন্দি মুভির নাম যথাসময়ে সামুর পর্দায় প্রদর্শিত হবে।
২২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪১
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: সুমায়রাকে সামনা সামনি দেখে পুরাই ফিদা ...........পুলার মনে লয় বয়স হইছে
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫১
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: দিনে দিনে কাটল বেলা, পোলার বয়স হইল ম্যালা
ভুল করছি, আপনাদের সবার সাথে সুমায়রা'র পরিচয় করিয়ে দেয়ার দরকার ছিল
২৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫০
রুদ্র জাহেদ বলেছেন: বলেছেন:
আমি একটা মজার বিষয়
দেখেছি, যারা বুড়োধারা
কাশ্মিরি তারা পাকিস্তানকে
খুব পছন্দ করে। তদের পেয়ারা
পাকিস্তান।
আর যারা শিক্ষিত তরুণ যুবক তাদের
পাকিস্তান সম্পরকে কোন মোহ নেই। তারা
চাই কাশ্মির যেন আলাদা এক স্বাধীন দেশ
হোক। বাংলাদেশ সম্পর্কে এদের ধারণা খুব
উচু। তবে তরুণ আর বুড়ো দুপক্ষই বাংলাদেশকে
খুব পছন্দ করে। যদিও বুড়োদের মনে একটু খেদ
আছে যে বাংলাদেশ কেন পাকিস্তান থেকে
আলাদা হয়ে গেল। কিন্তু হায় আফসোস
বুড়োগুলো যদি সত্যি বুঝতে পারতো যে
বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে এখন কতো
ভালো আছে, আসলে এই বুড়োগুলো পাকিস্তান
সম্পর্কে এতো মোহগ্রস্থ যে এরা
পাকিস্তানের বিপক্ষের কোন কিছুই বিশ্বাস
করতে চায়না।
তবে সমগ্র কাশ্মিরিরা ক্রীকেট পাগল। তারা
ইন্ডিয়ান টিমকে একেবারেই সহ্য করতে পারে
না। এমনকি পাকিস্তানকে ডিঙ্গিয়ে তাদের
প্রিয় দল হচ্ছে বাংলাদেশ। তাদের কাছে
সাকিব আল হাসান এক মহা তারকা। কোন
বাংলাদেশি যদি কাশ্মিরে গিয়ে বলে যে
সে সাকিব আল হাসানের দেশের লোক, তার
জন্য সে মহাঅতিরিক্ত খাতির পাবে।
পোস্টে দারুণ ভালো লাগা+++
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৯
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: কথাগুলো কিন্তু শতভাগ সত্য।
ধন্যবাদ ভাই, পাঠ এবং মন্তব্যে ভালোলাগা জানবেন।
২৪| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০০
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: দারুণ ভ্রমন কাহিনী । ছবিগুলো চমৎকার ।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৫
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, ভালো থাকুন সবসময়।
২৫| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৪৯
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: আমি, আমার কর্তা মশাই-এর কাছে গল্প শুনেছি, আফগানিস্তানের উত্তর সীমানা জুড়ে কাশ্মীরের সাথে সীমানা।
ওখানকার (আফগান) গ্রামের লোকারা সাকিবের ভক্ত, বাংলাদেশের ভক্ত।
আফগানিস্তানের ওই এলাকা কাশ্মীরী গ্রাম বলে পরিচিত।
আপনার ভ্রমণ কাহিনী, উফফ--- অসহ্য ভাললাগা!!!! (বিশেষণ দিলাম একটা )
ভাললাগা, ভাললাগা আর ভাললাগা!!!
এই ভূস্বর্গ দেখছি আপনার চোখে, আপনার চমৎকার বর্ণনায় !!!
ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন!!!!
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৪
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: এমন করে প্রশংসা করলে বোকা মানুষটা বড্ড লজ্জা পায়
২৬| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৬
সোহানী বলেছেন: অসাধারন... ছবিগুলো দেখে মনে হয় কাশ্মীর না সুইজারল্যান্ডের ছবি। সত্যিই তাই। খুব যাবার ইচ্ছে, আপনার ছবিগুলো দেখে আরো লোভ বাড়িয়ে দিলেন।
আর ব্রিটিশ পলিটিক্স এর কথা কি বলবো... আমরা যাতে উঠে দাড়াঁতে না পারি, নিজেদের মধ্যে মারামারি করে ওদের দু'শ বছরের শোষনের প্রতিশোধ নিতে না পারি তাই - জম্মু/কাশ্মীর, ভারত/পাকিস্তান সহ অনেক কিছুতে ঝামেলা পাকিয়ে রেখেছে। ভারত/পাকিস্তান ভাগ করার আগে তারা বছরের পর বছর গবেষনা করেছে কিভাবে এ এলাকায় চির অশান্তি তৈরী করা যায়। এর নাম ব্রিটিশ পলিটিক্স।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৫
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আরে দোস্ত সাহেবান, আপনি সুইজারল্যান্ড-ইউরোপ-আমেরিকা ঘুরছেন, তবু লোভ লাগে? লোভ লাগার জন্য আপনাকে এত্তগুলান মাইনাচ, ও না না, সরি, পিলাচ
২৭| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪০
রাজীব বলেছেন: আপনার সাথে আমারও বেড়ানো হয়ে যাচ্ছে।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৫
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব সাথে থাকার জন্য।
২৮| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২১
কাবিল বলেছেন: কাশ্মীরের জনগণ বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ফ্যান, সাকিব আল হাসান, সেখানকার মহাতারকা। বাংলাদেশকে তারা নিজের বন্ধু বলে মনে করে। এটা শুনে ভালই লাগছে।
ছবি ও বর্ণনায় চমৎকার লাগলো।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৭
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমিও এটা জেনে যারপরনাই অবাক হয়েছিলাম।
ধন্যবাদ কাবিল, ভালো থাকুন সবসময়।
২৯| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৩
নতুন বলেছেন: প্রিয়তে রাইখা দিলাম... যখন কাশ্মীরটুরে যাবো তখন কাজে লাগবে।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৯
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, আপনাকে এই সিরিজে দেখে ভালো লাগলো।
৩০| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৭
শামছুল ইসলাম বলেছেন: আপনার চমৎকার ভ্রমণ কাহিনীতে আমার বিশেষ ভাল লাগার কিছু অংশ তুলে ধরলামঃ
//মুঘল রোড ধরে গাড়ী যত এগিয়ে যাচ্ছিল, ততই আমরা বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যাচ্ছিলাম। অবিশ্বাস্য সব রাস্তা, সুউচ্চ সব পাহাড়ের গাঁ কেটে কেটে তৈরি, একদিকে সুবিশাল পাহাড় খাড়া উপরে উঠে গেছে, আরেক প্রান্তে অনেক অনেক নীচে পাথুরে নদী বয়ে চলেছে। সেই অপার্থিব দৃশ্য দেখতে দেখতে যখন ঘোর লাগা মোহে আচ্ছন্ন সবাই, তখন হয়ত এক ভয়াল বাঁক ঘুরে আমাদের গাড়ী সবাইকে বাস্তবে ফিরিয়ে আনে। ভয়ে কলজে শুকিয়ে যায়, দোয়া দুরুদ পড়ে নেই মনে মনে। কিন্তু প্রকৃতির এই অবিশ্বাস্য রূপের জাদু হতে কতক্ষণ মনকে ভুলিয়ে রাখবেন?//
//আর সাকিব আল হাসান, সেখানকার মহাতারকা। সাকিব নিজে কখনো গিয়েছেন কি না জানি না, কিন্তু উনি ওখানে গেলে বিশাল হুলুস্থুল পড়ে যাবে, যেমনটা আগে শাহরুখ খান এদেশে এলে হত। এতটুকু বাড়িয়ে বলছি না, যা দেখে এসেছি, তাই বলছি। আর হ্যাঁ, বাংলাদেশকে তারা নিজের বন্ধু বলে মনে করে।//
//সহজ সরল কাশ্মীরিদের জন্য দুঃখ হয়, একটা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র এদের প্রাপ্য ছিল। এরা না ভারতের সাথে সুখে আছে, না পাকিস্তানের সাথে মিশে স্বস্তি পেত।//
//‘খবরদার এখানে জম্মুর নাম মুখে এনো না’। আরও বেশ কয়েকবার আমি বিভিন্নজনের মুখ থেকে এমন কথাই শুনেছি। আমার তখন ব্রিটিশ আর তৎকালীন এদেশীয় রাজনীতিবিদদের গালি দিতে মন চাচ্ছিল। তাদের কল্যাণে আজ সারা উপমহাদেশ জুড়ে এমন অসন্তোষ ডুকরে মরে। বাংলা, পাঞ্জাব, কাশ্মীর এমন আরও বহু জনপদ।//
//খালি গাড়ী থেকে নামায়া দিয়েন না। তাহলে এই পাহাড়ের দেশ হতে বাংলাদেশ যেতে যেতে বুড়ো হয়ে যাব। ইয়ে, এইটুকু মনে মনে বলছি ://
//এদিকে আমার এজেন্টের ‘হলিডে কনসালটেন্ট’ সুমায়রা জারগার আমায় ফোন দিয়ে দুপুরের পরপর বলেছে, ‘স্যার আপ কি ওয়াইফ হোটেল মে পৌঁছ গায়ি’।//
আগামী পর্বের আগে একটা কাব্যিক সমাপ্তি, পুরো বর্ণনাটা পূর্ণতা দিয়েছেঃ
//টানা তিনদিন ট্রান্সপোর্টে রাত্রি যাপনের সাথে টানা ভ্রমণে সবাই ক্লান্ত ছিলাম, রাতের তাপমাত্রাও ঠাণ্ডা ছিল, ১২ ডিগ্রী। কম্বলের পুরু আস্তরণে মুড়ে দিয়ে ঘুমের রাজ্যে তলিয়ে যেতে সময় লাগে নাই। সাথে স্বপ্নে ছিল আগামীকালের দ্রষ্টব্য স্পটগুলোর রুপের হাতছানি... চান্দানওয়ারি, বেতাবভ্যালী, আরু ভ্যালী...//
বিজয়ের শুভেচ্ছা।
ভাল থাকুন। সবসময়।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৩
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আপনার মন্তব্য মানেই বিশেষ কিছু! অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই, ভালো থাকুন সবসময়। শুভকামনা নিরন্তর।
৩১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৩
গেম চেঞ্জার বলেছেন: সেদিন পড়তে পারিনি, আজ পুরোটা পড়লাম। মিসেস আর ওয়াইফ কাহিনীটা বেশ মজার।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫৯
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আরও বেশী মজার ঘটনা ঘটেছিল মানালি'তে, যথা সময়ে সেই গল্প বলব ভাই
৩২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৪
এহসান সাবির বলেছেন: আমি আছি................!!
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪২
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমিও অপেক্ষাতেই থাকি, প্রিয় ব্লগারদের দেখা পাবার জন্য।
৩৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৩৬
শিস্তালি বলেছেন: ভাই আগামী সপ্তাহে বউ আর আড়াই বছরের বাচ্চা নিয়ে কাশ্মীর যাচ্ছি ইনশাআল্লাহ। টিপস দেন আর গাইডের নাম্বার দেন
১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৫৮
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: চেক দিস লিংকঃ http://www.somewhereinblog.net/blog/hasras80/30109034
কমেন্টে এজেন্টের নাম্বার আছে। ওদেরকে বলবেন গত বছর অক্টোবরে বাংলাদেশ থেকে যে গেস্ট আসছিল, তাদের আত্মীয়। ড্রাইভারের নাম ছিল সাহিল।
আশা করি ভাল একটা ট্রিপ দিবেন। শুভকামনা রইল।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৪
গেম চেঞ্জার বলেছেন: কোন কথা নাই। ডাইরেক্ট প্রিয়তে...... ১ম প্লাস++