নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বোকা মানুষের কথায় কিই বা আসে যায়

বোকা মানুষ বলতে চায়

আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১

বোকা মানুষ বলতে চায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাশ্মীরি মুঘল গার্ডেনস (প্রথম পত্র) - পরিমহল এবং চাশমেশাহী (মিশন কাশ্মীর এক্সটেন্ড টু দিল্লী-সিমলা-মানালিঃ ভারত ভ্রমণ ২০১৫)

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৯



আগের পর্বঃ শ্রীনগর শহর পরিভ্রমনঃ হযরতবাল মসজিদ এবং শঙ্কর আচার্য পাহাড় চূড়া-মন্দির (মিশন কাশ্মীর এক্সটেন্ড টু দিল্লী-সিমলা-মানালিঃ ভারত ভ্রমণ ২০১৫)

শঙ্করাচার্য হিল এবং টেম্পল দেখে আমরা রওনা হয়েছিলাম মুঘল গার্ডেন দেখতে। সমস্যা হয়েছিল আমার আর আমাদের ড্রাইভার এবং গাইড সাহিলের ভুল বুঝাবুঝি’তে। শঙ্করাচার্য মন্দিরের সাথে একই পাহাড়ের পাশেই রয়েছে পরিমহল নামক একটি মুঘল স্থাপনা কাম গার্ডেন, আমরা সেটা ভ্রমণ না করে এগিয়ে গিয়েছিলাম চাশমেশাহী, নিশাত আর শালিমার; এই তিন মুঘল গার্ডেনের দিকে। ফলে, শেষে যখন শালিমার গার্ডেন পৌঁছে সাহিলকে বলা হল এরপর যাব পরিমহল, ও বলল, ‘স্যার জী, উও তো বাহুত পিছে ছোর আয়ে, শাঙ্কারিয়া হিল কা নাজদিক। আপকো পাহেলে বোলনা চাহিয়েথা না’। আমি আর কি করি, আমি তাকে বলেছি মুঘলা গার্ডেন মে চালো, পরিমহল যে ঐ পথেই সে তো আর আমার জানা নেই। ফলে কি আর করা এই একটা মুঘল গার্ডেন দর্শন বাদ গিয়েছিল এবারের কাশ্মীর দর্শনের তালিকা থেকে। কিন্তু আপনাদের কি আর বঞ্চিত করতে পারি? চলুন এর ইতিহাস আর ছবি দেখে নেই প্রথমে, এরপরে না হয় করব ‘চাশমেশাহী’র গল্প।





পরীমহল অনিন্দ্য সুন্দর একটি মুঘল স্থাপনা। সাতটি ছাঁদের উপর সুসজ্জিত এই স্থাপনার পরতে পরতে রয়েছে মোঘল স্থাপত্যের ছোঁয়া। ‘জাবারওয়ান’ পর্বতশ্রেণীর কোলে অবস্থিত এই স্থাপনা ও বাগান ডাল লেকের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে অবস্থিত। এই বাগানের একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য হল, এখান থেকে পুরো শ্রীনগর শহর দেখা যায়। মুঘল সম্রাট শাহজাহানের সময়ের স্থাপত্যকলা এবং চিত্রকলার অনন্য নিদর্শন’র ছায়া এখানে দেখা যায়। মুঘল যুবরাজ দারাশিকো’র জন্য এটা নির্মাণ করা হয় ষোড়শ শতকের মাঝামাঝি সময়ে। এটা মূলত ছিল যুবরাজের পাঠাগার এবং তাকে ঘিরে সাজানো বাগান। ১৬৪০, ১৬৪৫ এবং ১৬৫৪ সালের দিকে যুবরাজ দারাশিকো এখানে বসবাস করেছিলেন বলে ইতিহাস হতে জানা যায়। পরবর্তীতে এই মহল আকাশ পর্যবেক্ষণে ব্যবহৃত হয়েছে, বিশেষ করে এস্ট্রোলজি এবং এস্ট্রনমি’তে এটার ব্যবহার উল্লেখযোগ্য। পরবর্তী সময়ে এই বাগান শ্রীনগর সরকারের অধীনে রয়েছে।





ভূস্বর্গ কাশ্মীরে পরীর নিবাসখ্যাত এক মুঘল স্থাপনা এবং তার সন্নিকটস্থ বাগান’কে কেন্দ্র করে এই জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র ‘পরীমহল’ অবস্থিত। শ্রীনগরের ডাল লেকের দক্ষিণ-পশ্চিম পাড়ের ‘জাবারওয়ান’ পর্বত শ্রেণীর এই মুঘল স্থাপনায় দেখা মেলে ষোড়শ শতকের মুঘল স্থাপত্য এবং চিত্রকলার অনন্য নিদর্শন। সুপ্রশস্ত বাগান ঘেরা এই স্থাপনায় একসময় বৌদ্ধ ভিক্ষুদের মঠ ছিল, পরবর্তীতে সম্রাট শাহজাহান এর পুত্র দারাশিকো’র পৃষ্ঠপোষকতায় এখানে এস্ট্রোলজিকাল স্কুল গড়ে তোলা হয়। শ্রীনগরের অন্যান্য মুঘল গার্ডেনগুলোর মত এখানে কৃত্রিম ঝর্ণা বা ফোয়ারা দেখা যায় না। এর মূল কারণ, এখানে বাগানে পানি প্রবাহিত হয় মাটির তলদেশে স্থাপিত পাইপ দিয়ে প্রবাহিত পানির ধারা হতে। এখানে মোট সাতটি চত্বর দেখা যায়, যার দৈর্ঘ্য প্রায় ৪০০ ফিট এর কাছাকাছি এবং প্রস্থ ১৭৯ ফিট থেকে ২০৫ ফিট পর্যন্ত বিস্তৃত।





উপরের দিকের চত্বরগুলো দুটি ভিন্ন স্থাপনায় বিভক্ত; ডাল লেকের দিকে মুখ করা ‘বারাহদ্বারি’ নামক কক্ষ এবং পাহাড়ের দিকে ছিল জলাধার যেগুলো পর্বতের উপর হতে প্রবাহিত ঝর্ণা হতে প্রবাহিত পানিতে পূর্ণ হত। আজ আর সেই জলধারা নেই, আছে শূন্য জলাধারগুলো। এগুলো পাথরচূর্ণ আর চুনা দিয়ে তৈরি মিশ্রন দ্বারা নির্মিত এবং দুটি ছোট খিলানযুক্ত। একটি চত্বর এর নীচে অন্য চত্বর, এমন করে তৈরি হয়েছে এগুলো। প্রতিটি হতে নিম্নের চত্বরে প্রবাহের জন্য নালা কাঁটা আছে। প্রতিটি স্তরের নির্মাণ কৌশল এবং স্থাপত্যকলা তৎকালীন অনন্য নির্মাণশৈলী’র সাক্ষী দেয়। স্থাপত্যকলা এবং তদসংলগ্ন বাগানের অপরূপ রূপে মুগ্ধ হয়ে আজও এই পরিমহলে ছুটে আসে হাজারো পর্যটক।







পরিমহল না দেখেই আমরা ছুটেছিলাম ‘চাশমেশাহী’র পাণে। ডাল লেক ঘেঁষে চলে যাওয়া পিচঢালা পথে, মেঘলা আকাশ আর ডাল লেকের জলে তার প্রতিচ্ছবি, সম্মুখে পাহাড়ের গায়ে মেঘেদের খেলা, অপরূপ ছিল সেই ছুটে চলা। শঙ্কর আচার্য হিল হতে অতি অল্প সময়েই আমরা পৌঁছে গেলাম মুঘল গার্ডেন ‘চাশমে শাহী’র প্রাঙ্গনে।











রাজকীয় বসন্তের আবেশে সাজানো মুঘল গার্ডেন ‘চাশমে শাহী’র স্থাপনাটি ১৬৩২ সাল নাগাদ সম্রাট শাহজাহানের তৎকালীন গভর্নর আলী মারদান খান নির্মাণ করেন। মূলত এটা নির্মাণের উদ্দেশ্য ছিল সম্রাট কর্তৃক তার প্রিয় জ্যেষ্ঠপুত্র দারাশিকো কে উপহার দেয়া। ডাল লেকের প্রান্ত ঘেঁষে ‘রাজ ভবন’ সংলগ্ন এই মোঘল বাগানটিও ‘জাবারওয়ান’ পর্বতশ্রেণীর পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত।





এই বাগানের নামকরণ নিয়ে যে ইতিহাস পাওয়া যায়, সেই মোতাবেক এই বাগানের নামকরণ করা হয় কাশ্মীরের বিখ্যাত মহিলা ধর্মীয় সাধক ‘রুপা ভবানী’র বংশীয় উপাধি ‘সাহিব’ থেকে। ‘চাশমে সাহিবি’ নামে খ্যাত এই বাগান যুগে যুগে পরিবর্তিত হয়ে আজ ‘চাশমেশাহী’ নামে পরিচিত। চাশমে শাহী বলতে মূলত বুঝায় রাজকীয় ঝর্ণাধারা। পাহাড়ের পাদদেশে ঝর্ণার প্রবাহিত জলধারাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা এই বাগানের ফুলের বাহার দেখলে আপনিও এর নামের সার্থকতা খুঁজে পাবেন। এই চাশমেশাহী’র পূর্ব দিকে গড়ে তোলা হয়েছিল পরিমহল, যা ছিল সম্রাট শাহজাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্র দারাশিকো’র এস্ট্রলজি শিক্ষার জন্য নির্মিত। চাশমেশাহী বাগানটি ১০৮ মিটার লম্বা এবং ৩৮ মিটার প্রশস্ত; এবং পূর্ণ বাগান এলাকা এক একরের বেশী জায়গা নিয়ে গড়ে উঠেছে; যা অন্য দুটি বাগানের চেয়ে অনেক ছোট আয়তনের।





অন্যান্য মোঘল বাগান স্থাপনাগুলোর মত এই বাগানের স্থাপনাশৈলীতেও ইরানীয় শৈল্পিক এবং স্থাপত্যকলার ছাপ সুস্পষ্ট, দেখতে পারস্যের বাগানগুলোর অনুরূপ। স্থাপনার মূল মধ্য অংশ দিয়ে প্রবাহিত জলধারা এই বাগানকে দিয়েছে অনন্য রূপ। পাহাড়ি ঝর্ণাধারাকে চতুরতার সাথে ব্যবহার করে তিনধাপে এই বাগানটি সাজানো হয়েছে। দ্বিতল একটি স্থাপনা রয়েছে প্রথম ধাপে, যা মূল ঝর্ণাধারার সাথে সংযুক্ত। একটি বিস্তৃত জল প্রবাহ পথে ঝর্ণাধারা হতে পানির ধারা পরের অংশে প্রবাহিত হয়। দ্বিতীয় ধাপে একটি কৃত্রিম জালাধার, যার মাঝে রয়েছে একটি কৃত্রিম ফোয়ারা, এখানে প্রথম অংশ হতে জল এসে জমা হয় এবং পরবর্তীতে একটি মসৃণ পথ বেয়ে শেষ ধাপে নেমে আসে ঝর্নার জল। শেষাংশ রয়েছে প্রবেশ পথের সম্মুখে, এর তলদেশ দিয়ে পানি গিয়ে মিশে বিখ্যাত ডাল লেকে। এই বাগানের মূল পাহাড়ি ঝর্ণার জলকে পবিত্র এবং রোগমুক্তি গুণ সম্পন্ন মনে করা হয়। ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু এই জলের গুণে মুগ্ধ হয়ে সাথে করে দিল্লী পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছিলেন।





চাশমেশাহী বাগানটি শ্রীনগর এয়ারপোর্ট হতে ১৪ কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে রাজভবনের সন্নিকটে অবস্থিত। ডাল লেকের তীর ঘেঁষে এই বাগান হতে ডাল লেকের অপূর্ব রূপ দেখা মেলে। এই বাগান মার্চ থেকে নভেম্বর পর্যন্ত খোলা থাকে। তবে ভ্রমণের সেরা সময় এপ্রিল থেকে অক্টোবর। আমরা গিয়েছিলাম অক্টোবর এর দ্বিতীয় সপ্তাহে। ফুলে ফুলে ছেয়ে ছিল পুরো বাগান। তাই তো দলের সবাই বাগানে ঢুঁকে যে যার মত ব্যস্ত হয়ে পড়ল ছবি তুলতে, সাথে রূপের সাগরে ডুব দিতে।

পরের পর্বঃ নিশাতবাগ - কাশ্মীরি মুঘল গার্ডেন (দ্বিতীয় পত্র) (কাশ্মীর এক্সটেন্ড টু দিল্লী-সিমলা-মানালিঃ ভারত ভ্রমণ ২০১৫)















মন্তব্য ৫২ টি রেটিং +১৮/-০

মন্তব্য (৫২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



আপনার পোষ্টগুলোতে কাশ্মিরের সৌন্দর্য উপভোগ করছি। এইটা একটা ভাল অভিজ্ঞতা।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আপনাদের ভ্রমণানন্দ দিতে পারছি বলে আমারও ভালো লাগছে। কাশ্মীর ভ্রমণ আর দু'তিনটি পোস্টে শেষ হয়ে যাবে আশা করি, এরপর একটু সময় নিয়ে সিমলা-মানালি-রোহটাং পাস ভ্রমণ কাহিনী'র গল্প শুরু করার ইচ্ছে আছে, সাথে তো থাকবেনই, তাই না?

ভালো থাকুন সবসময়।

২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: মন ভাল করা সব ছবি আর সাথে আপনার চমৎকার ইতিহাস সব বর্ণনা
পোস্ট এ অনেকগুলি ++++++

শুভ কামনা :)

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ আপু, ভালো থাকুন সবসময়। :)

৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪৪

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: +++++++++++++++++++++্ :) :) :)

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।

৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪৭

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট শুভকামনা রইল।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ মাহমুদুর রহমান সুজন, ভালো থাকুন সবসময়।

৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৩

ডি মুন বলেছেন: শাহজাদা দারা'কে শাহজাহান খুব ভালোবাসতেন। দারাকে নিয়ে পড়া উপন্যাসে পরীমহলের কথা চাশমেশাহীর কথা পড়েছি। আজ ছবিতে দেখলাম আপনার পোস্টে কল্যাণে। সত্যিই ভীষণ চমৎকার। মুঘলরা শুধু শাসন-শোষণ নয়, সৌন্দর্যবোধের দিক থেকেও অবিস্মরণীয়।
+++
খুব সুন্দর পোস্ট।
প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম প্রিয় বোকা মানুষ ভাই।
:) ভালো থাকুন।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আসলেই মোঘলদের স্থাপনাগুলো দেখলে অবাক হতে হয়। এই পোস্টের জন্য তথ্য খুঁজতে গিয়ে দেখি মধ্যপ্রাচ্য থেকে দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে এদের মোঘল গার্ডেনের ছড়াছড়ি। প্ল্যান আছে এই সকল মোঘল গার্ডেন নিয়ে একটা পরিচিতিমূলক পোস্ট দেয়ার।

অনেকদিন পর আপনাজনকে মিলল বোকা মানুষের ব্লগে। মানুষজন কেমন যেন, খুব দ্রুত ভুলে যায়। ;)

ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা রইল।

৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অসাধারন! দিনটাই ভালো হইয়া গেলো! পোস্ট একবার পড়ছি, মন ভরে নাই। আবার শুরু করতাছি।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আপনার মন্তব্য পেয়ে আমারও মন ভালো হয়ে গেছে প্রিয় কা_ভা। আগামী পর্বগুলো আরও ভালো করে উপহার দেয়ার চেষ্টা করব। ভালো থাকুন সবসময়। নতুন বছরের প্রতিটি দিন ভালো কাটুক।

৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ওয়াও! দারুণ, দারুণ লাগল ছবিগুলো!

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রোফেসর সাহবে, ভালো থাকুন সবসময়।

৮| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১৫

দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট , ছবি এবং বর্ণনা দুটোই খুব ভাল লাগল । ভাল থাকুন সব সময় ।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু, কেমন আছেন? ভালো থাকুন সবসময়, নতুন বছরটি ভালো কাটুক, খুব খুব ভালো। শুভকামনা রইল।

৯| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৮

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: নাহ, কাশ্মীর যাওয়ার সাধ আর নেই!
আপনার লেখা আর ছবি দেখে সে সাধ মিটে গেছে!!! :) :)
এখন অন্য কোথাও যাবার কথা ভাবতে হবে!!!

কিন্তু লোভ বড়ই খারাপ আইটেম, ছবি দেখে লোভ হয়,"জীবনে একবারও যদি যেতে পারতাম!!! "

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: না না, আপু অবশ্যই যাবেন; একবার না, দুইবার না, তিন তিন বার। বুঝলেন? সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে, ডিসেম্বরে, আর এপ্রিলে।

আমি তো আরও দু'বার যাব। :)

দোয়া রইল, খুব শীঘ্রই ভারত ভ্রমণের সুযোগ হোক, আপনার। ভালো থাকুন সবসময়। :)

১০| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৩

কল্লোল পথিক বলেছেন: আপনার চোখে কাশ্মির দেখলাম।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আপনাদের কাশ্মীর দেখাতে পেরে আমিও আনন্দিত। :)

১১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৩

আবু শাকিল বলেছেন: পোষ্ট খুব উপভোগ করলাম ভাই।
দারুন ভ্রমণ পোষ্ট।
অনেক শুভেচ্ছা জানবেন ।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ শাকিল ভাই, ভালো থাকুন সবসময়।

১২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: কল্লোল পথিক বলেছেন: আপনার চোখে কাশ্মির দেখলাম।
আমিও :)

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ লিটন ভাই। :)

১৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৩

নীলসাধু বলেছেন: কাশ্মীর ভ্রমণের ইচ্ছে বাড়ছে। বেশ ভালো লাগলো পোষ্ট। চমৎকার।
অনবদ্য একটি স্থান।

ধন্যবাদ জানবেন।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সাধু ভাই, আগামী এপ্রিলে বেড়িয়ে আসেন, পারফেক্ট টাইম। :)

১৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৯

তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: চমৎকার পোস্ট :) আপনার এমন পোস্ট গুলা দেখলে শুধু বেড়াতে যেতে ইচ্ছা করে।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: হা হা হা, আমারতো সারাক্ষণই শুধু বেড়াতে ইচ্ছে করে। :)

১৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৩২

প্রামানিক বলেছেন: কাশ্মীর আর যাওয়ার দরকার হবে না আপনার পোষ্ট পড়ে আর ছবি দেখে মন জুড়িয়ে গেল। ধন্যবাদ বোকা ভাই।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: না না ভাই, ভুলেও এই ভুল করবেন না। অতি অবশ্যই কাশ্মীর যাবেন এবং তা বেটার হয় এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে গেলে। সময় সুযোগ পেলে ভাবীকে নিয়ে একবার বেড়িয়ে আসবেন।

ভালো থাকুন সবসময়।

১৬| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:১৯

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: অসাধারন পোস্ট
চমৎকার সব ছবি আর সাথে শৈল্পিক সুন্দর বর্ণনা
বেশ উপভোগ্য সব পোস্ট।ভালোবাসা প্রিয় লেখক-ব্লগার
+++

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ রুদ্র জাহেদ, পাঠ এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা রইল।

ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা।

১৭| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩৪

সোহানী বলেছেন: দূর ছাই... কমেন্ট করি বাট লোড হয়না... যাহোক বহুত লোভ দেখাচ্ছেন, এবার সত্যি সত্যিই ইবনে বতুতা হয়ে যাবো ইনশাল্লাহ্।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:১৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ইবনে বতুতা হওয়ার আগে জুন আপু থেকে টিপস নিয়ে যেতে ভুলবেন না। আর সামু ব্লগের ইবনে বতুতা খেতাবের কপিরাইট কিন্তু জুন আপুর কাছেই। :)

অটঃ জুন আপু আবার না রাগ করে আমার উপর!

১৮| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অসাধারন বললেও কম বলা হবে।

অতুলনীয় ভ্রমনে সাথী হতে পেরে ভাগ্যবান অনুভব করছি। :)

+++++++++++++++++++++++

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: এমন মন্তব্য পেয়ে আমি আনন্দিত এবং আপ্লুত। অনেক ধন্যবাদ ভাই, ভালো থাকুন সবসময়।

১৯| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৪

জুন বলেছেন: আপনার চোখে আপনার ছবিতে এত ডিটেইলস কাশ্মীর দেখছি যা অনেক সময় সামনা সামনি দেখা হয়ে উঠেনা বোকামানুষ ।
সত্যি দারুন একটি ভ্রমন পোষ্ট হচ্ছে । আমার মত আধাখেচরা নয় :(
অনেক অনেক ভালোলাগা রইলো ।
+

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আপু, আপনার কাছ থেকে এমন মন্তব্য পেলে মনটা খুশীতে ভরে ওঠে। :)

আর আপনার পোস্ট মোটেও আধাখেচরা নয়, আপনার ভ্রমণ পোস্ট হয়ে টু ইন ওয়ান; ভ্রমণের সাথে ইতিহাস শিক্ষা।

ভালো থাকুন সবসময়, ঘুরতে থাকুন, আর আমাদের উপহার দিতে থাকুন ভ্রমণ কাহিনীর মোড়কে নতুন নতুন ইতিহাস এবং ঐতিহ্য।

২০| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০৫

ডি মুন বলেছেন: ভুলে আর গেলাম কোথায় !!! এইতো চলে আসলাম।

ব্লগে অনিয়মিত হয়েছিলাম, তাই আর কি ! এখন আবার চেষ্টায় আছি নিয়মিত হবার।
:)

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: শুভেচ্ছা স্বাগতম। আপনার নিয়মিত হবার কথা শুনে ভালো লাগলো। নিয়মিত হন, মাতিয়ে রাখুন ব্লগের আঙ্গিনা, আবার শুরু করুন গল্প সংকলন। আশায় রইলাম।

ভালো থাকুন সবসময়।

২১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০৭

ঘুড়তে থাকা চিল বলেছেন: +++++++++++++++++++++++

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, নতুন বছরে আরও বেশী ঘোরাঘুরি হোক, আর আমাদের উপহার দেন নতুন নতুন ভ্রমণ পোস্ট।

ভালো থাকুন সবসময়।

২২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৮

সারাফাত রাজ বলেছেন: আমার কাছে কিন্তু পরিমহল অতোটা ভালো লাগেনি। শ্রীনগরের সবচেয়ে অবহেলিত স্থাপনা এটি । এখানে এখনো সেনা ক্যাম্প আছে। তবে একটা জিনিস ভালো লাগে, পরিমহল থেকে পুরো শ্রীনগর দেখা যায়।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: পরিমহল আসলে অন্য তিনটা মুঘল গার্ডেনের চেয়ে একটু ভিন্নতর, তাই সাধারণত টুরিস্টরা এটা তেমন একটা পছন্দ করেন না। আর সিকিউরিটি'র জন্য শঙ্করাচার্য হিল এবং পরিমহলের এলাকায় সেনা পাহারা রয়েছে। অনেক আগে একটা হিন্দি সিনেমা, "পুকার" দেখলে দেখবেন প্রথম দৃশ্যেই এই জায়গা এবং এখানে উগ্রপন্থীদের হামলা নিয়ে শুরু হয়েছে।

ধন্যবাদ ভাই, পাঠ এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা রইল, ভালো থাকুন সবসময়।

২৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৮

অগ্নি সারথি বলেছেন: কয়ডা দিন বিনে পয়সায় কাশ্মীর ঘোরা হল।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: বিনে পয়সায়!!! উঁহু, খুব শীঘ্রই আপনার ঠিকানায় বিল পৌঁছে যাবে ;) :-P

২৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১৩

এহসান সাবির বলেছেন: ক্যালেন্ডারের ছবি সব........

+++

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ এহসান সাবির ভাই। :)

২৫| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৩৪

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ছবিগুলো একেবারে ছবির মতই ভাই ! :#)

১৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:১৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আসলে ছবিতে প্রকৃতির সেই রূপ তুলে আনা অসম্ভব, তাও আমাদের ছোটখাটো ক্যামেরায়। তারপরও সকলেররে ছবিগুলো ভালো লেগেছে দেখে নিজেরও মন ভাল হয়ে যায়। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই। :)

২৬| ০২ রা মে, ২০১৬ বিকাল ৫:০৪

রাঙা মীয়া বলেছেন: সরাসরি প্রিয় তালিকায় !:#P

০৩ রা মে, ২০১৬ দুপুর ১:১৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মিয়া ভাই, ভালো থাকুন সবসময়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.