নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বোকা মানুষের কথায় কিই বা আসে যায়

বোকা মানুষ বলতে চায়

আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১

বোকা মানুষ বলতে চায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

সিমলা - ফ্রম শ্রীনগর ভায়া দিল্লী (সিমলা-মানালি-রোহটাং পাস ভ্রমণ ২০১৫)

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৩৮



কাশ্মীর ভ্রমণ শেষ হয়ে গেলেও কেমন একটা অদ্ভুত ঘোরলাগা কাজ করছিল সবার মধ্যে। কাশ্মীরের রূপের জাদুতে মুগ্ধ যেমন সবাই, তেমনি শীতে শুভ্র বরফের চাদরে মোড়া কাশ্মীরের রূপ নিকট ভবিষ্যতে কোন একদিন দেখার প্ল্যানিং। এসব করতে করতে আমাদের টেম্পু ট্র্যাভেলার এগিয়ে চলল হোটেল রয়েল বাট্টু থেকে শ্রীনগর এয়ারপোর্টের দিকে। সপ্তাহখানেকের একটা ট্যুরে সবাই একটা পরিবারের মত ছিলাম, এবার বিচ্ছদের পালা। সময় সল্পতা এবং ব্যক্তিগত জীবনে কর্মব্যস্ততা’র দরুন দলের অর্ধেকের বেশী সদস্য শ্রীনগর থেকে কলকাতার বিমান ধরবে। আমরা চারজনের দল চলে যাব দিল্লী, সেখান থেকে আগামী একসপ্তাহের আমাদের গন্তব্য সিমলা-মানালি-রোহটাং পাস।



কলকাতাগামী দলের ফ্লাইট দুপুর তিনটায়, আর আমাদের ফ্লাইট ছিল দুপুর দুইটায়। ফলে বিমানবন্দর পৌঁছে উভয় গ্রুপের সদস্যরা পরস্পর বিদায় জানিয়ে আলাদা হয়ে গেলাম। যথাসময়ে বোর্ডিং পাস নিয়ে অপেক্ষার পালা, এবং বেলা দুইটা নাগাদ প্লেন আমাদের নিয়ে উড়াল দিল কাশ্মীরের আকাশে। মধ্য দুপুরে বিমান আকাশের বেশ কিছুটা উপরে উঠার পর জানালা দিয়ে বাহিরে দৃষ্টি দিতেই চোখ থমকে গেল। সারি সারি পাহাড় চুড়ো, ঠিক চুড়োর মাথাগুলো সফেদ বরফের চাদরে ঢেকে আছে, সূর্যের আলো সেখানে প্রতিফলিত হয়ে যেন ঠিকরে বের হচ্ছে। দুঃখ, ছবি তুলেছিলাম, মোবাইলে। সেই মোবাইল, যা পকেটমার হয়েছিল ঢাকা ফেরার পর। সাথে হারিয়ে গিয়েছে ভারত ভ্রমণের বেশীরভাগ ছবি এবং ভিডিও। বর্তমানে যা ছবি দেয়া হচ্ছে, বেশীরভাগই ভ্রমণ সাথীদের কল্যাণে। আদিগন্ত পাহাড় চুড়ো আর তার হীরক খণ্ড ন্যায় উজ্জলতর রূপ দেখে মুখ দিয়ে একটা শব্দই বের হয়ে এল, “ওয়াও”। কাশ্মীর ভ্রমণে কেউ যদি শ্রীনগর থেকে দিল্লী বা অন্য কোন রুটে বিমান যাত্রা করেন, তবে অবশ্যই দুপুরের ফ্লাইটে যাবেন, জানালার পাশের সিটে বসবেন, ক্যামেরা সাথে রাখবেন এবং... দেশে ফিরে আগেই ব্যাকআপ নিয়ে নিবেন। নইলে, আমার মত সব হারালে, থাকবে শুধু দুঃখ আর দুঃখ। :(





দিল্লী পৌঁছে লাগেজ ফেরত নিয়ে বিমান বন্দর থেকে বের হতে হতে বিকেল চারটা পার হয়ে গেল। আগে থেকেই আমাদের আগামী আট দিনের সাথী, ড্রাইভার কাম গাইড “মি. বিপিন কুমার রাজপুত” বিমানবন্দরে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন তার সুইফট ডিজেয়ার গাড়ীটি নিয়ে। বের হতেই আমার নামের প্ল্যাকার্ড নিয়ে তাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলাম। সর্বোচ্চ সাড়ে পাঁচ ফুট উচ্চতার গোলগাল মানুষটি, গায়ের রঙ ফর্সা। ডার্ক নেভি ব্লু প্যান্টের সাথে হালকা স্কাই ব্লু শার্ট, কোম্পানির ইউনিফর্ম পরিহিত। মাথায় একটা গোল হ্যাট, কপালে সিঁদুরের লম্বাটে ফোঁটা দেয়া। চেহারায় কেমন একটা বোকা বোকা ভাব। সব মিলিয়ে আমি তাকে দেখে একটু ভড়কে গেলাম, খোদাই জানে কেমন হবে এই লোক। চিন্তিত হওয়ার অন্যতম কারণ, একে নিয়ে আগামী আটদিন সব জায়গায় ঘুরতে হবে। তাই কাশ্মীরের ড্রাইভার কাম গাইড মি. সাহিলের মত যদি বন্ধুবৎসল আর হাস্যমুখ না হয়, তবে আনন্দ অনেকটাই ফিকে হয়ে যাবে। তার উপর আমাদের দল এখন মাত্র চারজনের কিনা!







গাড়ী বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে দিল্লীর রাজপথে নামতে ড্রাইভার’কে বললাম আমাদের লাঞ্চ করতে হবে কোথাও। ও ব্যাটা গম্ভীর মুখে বলল, ‘আভি নাহি, থোরা বাদ’! আমি কিছু না বলে সম্মুখের বিকেল বেলার ব্যস্ত দিল্লী’র রাজপথ দেখতে লাগলাম। উত্তাপের কারণে ড্রাইভার এসি চালু করে দিল, সাথে হিন্দি এফ এম রেডিও। কি একটা হাস্যরসাত্মক টক’শো হচ্ছিল, ড্রাইভার হালকা চালের সেইসব উদ্ভট কৌতুক শুনে মুচকি মুচকি হাসছে আর গাড়ী চালাচ্ছে। কিছুক্ষণ পর তাকে বললাম, তোমার গাড়ীতে গান শুনবো, মোবাইল থেকে, জ্যাক কোথায়। ও মা! সে বলে জ্যাক নাই, গান শোনা যাবে না। বলেই গম্ভীরভাবে গাড়ী চালাতে লাগল। আমার তখন মেজাজ গরম হয়ে গেল, ভাবছি গাড়ী কোন এক জায়গায় থামলেই এজেন্ট’কে ফোন দিব, বলব, ড্রাইভার চেঞ্জ করতে। ততক্ষণে বেশ ভালোই ক্ষুধা পেয়েছে, তাকে আবার জিজ্ঞাসা করলাম, এখন থামানো যাবে কি না? এবার সে একটু বাক্য ব্যয় করতে যেন রাজী হল। তার কথায় বুঝলাম, সে চাচ্ছে দ্রুত দিল্লীর ব্যস্ত সড়ক পাড়ি দিয়ে হাইওয়ে ধরতে। তখন কোন একটা পাঞ্জাবী ধাবায় থামাবে আমাদের খাওয়ার জন্য। কি আর করা, গাড়ী এগিয়ে চলল, আর আমরা অপেক্ষায়।







সন্ধ্যের পরপর গাড়ী একটি বড়সড় পাঞ্জাবী ধাবায় থামানো হল। আমরা নেমে নিজ নিজ পছন্দ মত খাবারের অর্ডার করলাম। ড্রাইভারকে অফার করলে জানাল, সে ব্রত পালন করছে, পানীয় আর ফলা’র ছাড়া কিছু খায় না। সে এককাপ চা নিল। খাওয়া শেষে আবার যাত্রা শুরু হল, কিছুক্ষণ গাড়ী চলার পর সে প্লেয়ারে হিন্দি গান চালিয়ে দিল। ব্যাকভিউ মিররে দেখি, মুচকি মুচকি হাসছে। ফানি ক্যারেকটার! তারও কিছুক্ষণ পর সে ৩.৫ এমএম একটা জ্যাক আমার দিকে এগিয়ে দিল, মোবাইল থেকে গান শোনার জন্য। আসলে বিপিন ছিল আমার দেখা সবচেয়ে মজার ড্রাইভার, তার কল্যাণে পরের কয়েকটা দিন কেটেছে দারুণ।





একসময় দিনের আলো মুছে গিয়ে চারিধারে বিদ্যুৎ এর বাতির ঝলকানি দেখা যেতে লাগল। আমাদের গাড়ী দিল্লী হতে সোনিপাত, পানিপাত, কারনাল, কুরুশক্ষেত্র, আম্বালা, পাঞ্চকুলা হয়ে চলল কলকা পাশে রেখে সিমলা’র দিকে। একসময় দেখতে দেখতে রাত বাড়তে লাগল, গাড়ীর এসি অনেক আগেই বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। প্রায়ই ঝিমুনি ধরছিল, কেউ কেউ ঘুমিয়ে পড়েছে গাড়ীর মধ্যেই। রাত দশটা নাগাদ বেশ শীত লাগছিল। ড্রাইভারকে জিজ্ঞাসা করতে জানা গেল, আমরা সিমলা’র কাছাকাছি আছি। রাত এগারোটা নাগাদ একটা পাঞ্চাবী রেস্টুরেন্ট গাড়ী থামাল। জনমানবহীন এলাকায় দুই ভাই মিলে রেস্টুরেন্টটি চালায়। ভেজ রেস্টুরেন্টে ভেজিটেবল বিরিয়ানি অর্ডার করলাম, কিন্তু সার্ভ করার পর মন হল দুপ্লেট অর্ডার করলেই চারজনের জন্য যথেষ্ট ছিল।





তো খাওয়া শেষে শুরু হল ফের পথচলা। রাতের আঁধারে পাহাড়ি রাস্তা, হেডলাইটের আলোয় সেই আঁধার ভেদ করে সত্তর কিলোমিটার স্পীডে আমাদের গাড়ী ছুটে চলল, বাকের পর বাক, সর্পিল পথ। পথ যেমন মসৃণ ছিল, তেমনি সুদক্ষ ছিল ড্রাইভার বিপিনের গাড়ী চালনা। আটদিনের ট্যুরে একবারের জন্য কোন ভুল করতে দেখি নাই তাকে, এমন কি হার্ড ব্রেক করতে। কিন্তু গাড়ী চলেছে তুমুল গতিতে। আমি একেবারে সামনের সিটে বসে উপভোগ করছিলাম এই যাত্রা, আরে পেছনে বসা আমার সাথী'ত্রয়ের অবস্থা...বুঝে নেন। একসময় পাহাড়ের গায়ে হাজারো তারার মেলা’র মত বাতি চোখে এল। সিমলা শহরটা হল পাহাড়ের গায়ে গড়ে ওঠা একটা শহর। মনে হয় এতোটুকু জায়গা বাদ দেয় নাই, পুরো পাহাড় জুড়ে সারিসারি বাড়িঘর, তাই বলে সবুজেরও কমতি কিন্তু ছিল না, যা পরের দিন দিনের আলোয় দেখেছি। এমন অপরূপ শোভা গাড়ী থেকে কতক্ষণ আর ভাল লাগে? বিপিন’কে বলতেই বলল, অপেক্ষা কর, সামনে একটা ভাল ভিউ পয়েন্ট মত জায়গা আছে, সেখানে থামাব। মিনিট দশেক পরেই গাড়ী সাবধানে সুবিধামত জায়গায় পার্ক করা হল। নেমে এলাম গাড়ী হতে, বাহিরে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা আবহাওয়া। জ্যাকেট গাড়ীতে ছিল, নিয়ে গায়ে চাপিয়ে দিলাম। এবার মন ভরে মধ্য রাতের সিমলা’র অপরূপ রূপ দেখতে লাগলাম।







রাত তখন সাড়ে বারোটা'র বেশী। ড্রাইভার তাড়া দিতে ফের গাড়ীতে উঠে বসলাম, ভাল ক্যামেরা না থাকায় তেমন ছবি নেয়া গেল না। প্রায় রাত দেড়টার দিকে আমরা পৌঁছলাম সিমলা মলের নীচে পার্কিং এরিয়ায়। এরপর আর গাড়ী যাবে না, হোটেল সেখান থেকে প্রায় ৫০০ মিটার উপরে। হোটেলের নাম্বারে ফোন দিলাম, ধরল হোটেলের একজন সার্ভিস বয়। আমাদের পরিচয় দিয়ে তাকে বলতেই, সে যা বলল, শুনলে যে কারো মাথা খারাপ হয়ে যাবে। তার প্রথম বাক্যই ছিল, ‘নীচে আকার তুম লোগ কো লে আনে কে লিয়ে শা'ও রূপিয়া লাগে গা’!

রাত এগারোটার দিকেও আমার এজেন্ট এবং হোটেলের মালিকের সাথে কথা হয়েছে, তারা বলল, যত রাতই হোক, তোমাদের রিসিভ করার জন্য লোক থাকবে। রাত দেড়টা, ঠাণ্ডায় সবাই কাঁপছি, এই অবস্থায় ব্যাটা আমাদের আগে রিসিভ না করে তার একশত টাকার ধান্দায় ব্যস্ত। শেষে ড্রাইভারকে ফোন দিলাম, সে তাকে নীচে আসতে বলল, আমি বললাম ওকে বল টাকা দেয়া হবে। অবশেষে গর্দভটা নীচে এল, বয়স বিশের হ্যাংলা পাতলা একটা ছেলে, দেখেই মন চাইল একটা চড় লাগাই। যাই হোক, সে এসে ড্রাইভারকে বলল গাড়ী আরও উপরে নিতে। ড্রাইভার রাজি হল না, ছেলেটা যতই আশ্বস্ত করছিল, সে রাজি হল না। কেননা, বড় করে সাইনবোর্ড লাগানো আছে, ঐ সীমা ক্রস করলে হাজার তিনেক রুপী জরিমানা থেকে শুরু করে লাইসেন্স বাতিল হতে পারে। পরে দেখেছি, লোকাল মানুষজন পর্যন্ত এই সীমার নীচে গাড়ী রেখে পায়ে হেঁটে বাসায় ফেরে।

যাই হোক, সেই হোটেল বয় কিভাবে, কোথা থেকে সেই চেক পোস্টের একজন পুলিশকে নিয়ে এল। সে সব শুনে পারমিশন দিল গাড়ী উপরে নেয়ার। গাড়ী মোটামুটি হোটেলের কাছাকাছি একটা জায়গা নেয়া হল, আমরা বিপিন সাহেবের কাছ থেকে পরের দিনের শিডিউল জেনে নিয়ে বিদায় দিয়ে চলে এলাম হোটেলে। আগেই ফোন করে জানিয়ে দিয়েছিলাম, ডাইনিং রাত এগারোটা পর্যন্ত খোলা থাকে, তাই পেমেন্ট করা থাকা সত্ত্বেও সেদিন কোন ডিনার হল না এই হোটেলে। হোটেলের খাবারগুলো ভালোই ছিল, পরের দিন টের পেয়েছিলাম। এবার যে যে যার যার রুমে গিয়ে ঘুমাবার পালা, পরের দিনের গন্তব্য কুফরি-ফাগু।

=========================================================================

এই সিরিজের প্রথম ভাগে ছিল কাশ্মীর ভ্রমণের গল্প। আগের কাশ্মীর সিরিজটি যারা মিস করেছেন তাদের জন্যঃ

* যাত্রা শুরু'র আগের গল্প (মিশন কাশ্মীর এক্সটেন্ড টু দিল্লী-সিমলা-মানালিঃ ভারত ভ্রমণ ২০১৫)
* দাদাদের উঠোন পেড়িয়ে দিল্লী'র পথে (মিশন কাশ্মীর এক্সটেন্ড টু দিল্লী-সিমলা-মানালিঃ ভারত ভ্রমণ ২০১৫)
* দু'পলকের দিল্লী দর্শন (মিশন কাশ্মীর এক্সটেন্ড টু দিল্লী-সিমলা-মানালিঃ ভারত ভ্রমণ ২০১৫)
* মুঘল রোড ধরে কাশ্মীরের পথে (মিশন কাশ্মীর এক্সটেন্ড টু দিল্লী-সিমলা-মানালিঃ ভারত ভ্রমণ ২০১৫)
* অবশেষে পৌঁছলুম পাহেলগাও!!! (মিশন কাশ্মীর এক্সটেন্ড টু দিল্লী-সিমলা-মানালিঃ ভারত ভ্রমণ ২০১৫)
* পাথুরে নদী আর উপত্যকার শহর "পাহেলগাঁও" (মিশন কাশ্মীর এক্সটেন্ড টু দিল্লী-সিমলা-মানালিঃ ভারত ভ্রমণ ২০১৫)
* "meadow of flowers" খ্যাত "গুলমার্গ" এর পানে, গণ্ডোলা'র টানে (মিশন কাশ্মীর এক্সটেন্ড টু দিল্লী-সিমলা-মানালিঃ ভারত ভ্রমণ ২০১৫)
* গুলমার্গে যাপিত অলস দিনটি (মিশন কাশ্মীর এক্সটেন্ড টু দিল্লী-সিমলা-মানালিঃ ভারত ভ্রমণ ২০১৫)
* অতঃপর শ্রীনগর - ওয়াজওয়ান ভক্ষণ শেষে নাগিন লেকের ওয়াঙনু হাউজবোটে (মিশন কাশ্মীর এক্সটেন্ড টু দিল্লী-সিমলা-মানালিঃ ভারত ভ্রমণ ২০১৫)
* শ্রীনগর এর দুই বিস্ময় - নাগিন এবং ডাল লেক (মিশন কাশ্মীর এক্সটেন্ড টু দিল্লী-সিমলা-মানালিঃ ভারত ভ্রমণ ২০১৫)
* শ্রীনগর শহর পরিভ্রমনঃ হযরতবাল মসজিদ এবং শঙ্কর আচার্য পাহাড় চূড়া-মন্দির (মিশন কাশ্মীর এক্সটেন্ড টু দিল্লী-সিমলা-মানালিঃ ভারত ভ্রমণ ২০১৫)
* কাশ্মীরি মুঘল গার্ডেনস (প্রথম পত্র) - পরিমহল এবং চাশমেশাহী (মিশন কাশ্মীর এক্সটেন্ড টু দিল্লী-সিমলা-মানালিঃ ভারত ভ্রমণ ২০১৫)
* নিশাতবাগ - কাশ্মীরি মুঘল গার্ডেন (দ্বিতীয় পত্র) (কাশ্মীর এক্সটেন্ড টু দিল্লী-সিমলা-মানালিঃ ভারত ভ্রমণ ২০১৫)
* শালিমার বাগ - কাশ্মীরি মুঘল গার্ডেন (শেষ পত্র) (কাশ্মীর এক্সটেন্ড টু দিল্লী-সিমলা-মানালিঃ ভারত ভ্রমণ ২০১৫)
* কাশ্মীরে কেনাকাটা (কাশ্মীর এক্সটেন্ড টু দিল্লী-সিমলা-মানালিঃ ভারত ভ্রমণ ২০১৫)
* কাশ্মীরি খানাপিনা (কাশ্মীর এক্সটেন্ড টু দিল্লী-সিমলা-মানালিঃ ভারত ভ্রমণ ২০১৫)

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৫৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

ঠিক বলেছেন হাসান ভাই, যখন আপনারা বিমানে চড়ার লন্য লাইন ধরে এগিয়ে যাচ্ছিলেন আর আমরা এক ঘন্টা পরের বিমানে চড়বো বলে বসে ছিলাম তখন সত্যিই খুব কষ্ট হচ্ছিল

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:০২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ভাই আপানদের কাছে কত কত ছবি, আর আমি হলাম ছবি শূন্য :(

২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:০০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
গোএয়ারের এই বিমানটায় আপনারা চড়েছিলেন, সুযোগ বুঝে সেটার ছবিও আমি তুলে রেখেছিলাম :D

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:০৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: হয় নাই, হয় নাই, আমাদেরটা Go Air ছিল না, IndiGo ছিল। :P

৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:০৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: বিপিন প্রথমে ঘার ত্যাড়ামি করলো ক্যান?

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:২৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: বিপিন একটা পিকিউলিয়ার ক্যারেকটার। কিন্তু রসবোধ প্রচুর, আগামী পর্বগুলোতে টের পাবেন আশা করি।

৪| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:০৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
বিমানে বসে দিল্লী এয়ারপোর্টে নামার পূর্বক্ষণের ছবি

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:০৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমি প্লেন থেকে দেখা শ্রীনগরের পাহাড় চুড়োর সেই রূপ এখনো ভুলতে পারি নাই। :(

৫| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:০৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: হায় আল্লা তাহলে কার বিমান আইনা আপনারে দিলাম :-B

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: দিলেন মিয়া একখান ছবি, আর কইতেছেন বিমান দিলাম!!! হায় মোর খোদা রে... :-*

=p~ =p~ =p~

৬| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:১১

বিজন রয় বলেছেন: দিল্লী বহুত দূর।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:১৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: বেশী না, ১৭৫০ কিলোমিটার প্রায়। :)

কিন্তু কমেন্টের মর্মার্থ বুঝিতে পারিলাম না ভ্রাতা। :P

৭| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:২০

মুসাফির নামা বলেছেন: ছবিতেতো বাতি ছাড়া আর কিছুই দেখলুম না।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ভাই রাতের বেলা বাতির ছবি ছাড়া তেমন কিছু তুলতে পারি নাই। আজ পরের পর্ব পোস্ট করব, অনেক ছবি পাবেন আশা করি।

ভালো থাকুন সবসময়।

৮| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৫৭

প্রামানিক বলেছেন: এক দলের মানুষ দুই ভাগ হইল কেমনে?

ছবি এবং লেখা খুব ভাল লাগল। ধন্যবাদ

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:০৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: গুফন খবর তো পাস কইইরে দিছি পুষ্টেই, দেকেন নাই?

তার মানে কি প্রামানিক ভাই? পোস্ট পড়েন নাই!!! X(( X(( X((

৯| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:১০

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: তিন পয়েন্ট ফাইভ এম এম বদলে যে ৯ এম এম বাড়িয়ে ধরে নি তাই আপনর সৌভাগ্য =p~ ।।
আর কিছু মনে না করলে বলবো ভারতীয় মনেই চরম হিসেবী B:-/ ।।
আমি কিন্তু অনেকবরই গিয়েছি সেই '৭০য়ের শেষের দক থেকে '৮০র দশকে।। তবু বলবো দেখা হয় নাই আপনার মত চক্ষু মেলিয়া!!

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:২২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ভাল বলেছেন... +++

এটা সত্যি, ভারতীয়রা খুব হিসেবী, বেশীরভাগ মানুষই। তবে পাঞ্জাবের দিকের লোকেরা মনে হয় না, যদিও ওদিকে এখনো বেড়ানো হয় নাই।

আর আমিও কিন্তু খুব বেশী চক্ষু মেলিয়া দেখি না, ব্লগিং এর কারণে ইদানীং একটু বিশেষভাবে দেখতে হয় বেড়াতে গেলে, ছবি তুলতে হয়, এই যা।

ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা সতত।

১০| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:১৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বেশ স্মার্ট লাগছে! B-)

পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৪৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ভাই মগা নেন কেনু? মগাই মগা!!! ;) :P

পরের পর্ব তো দেখেছেন নিশ্চয়ই? আমিও অপেক্ষায় রইলাম।

ভালো থাকুন সবসময়, অনেক শুভকামনা।

১১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৬

ফারিহা নোভা বলেছেন: অনেক দারুণ একটা পোস্ট, আমি দিল্লী পর্যন্ত গিয়েছি সময়ের অভাবে সিমলা যাওয়া হয়নি।
আপনার লেখা পড়ে আবারো ঘুরতে যাবার ইচ্ছা জাগল।
পোস্ট প্রিয়তে।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৫১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, বোকা মানুষের ব্লগে আপনাকে স্বাগতম।

পাঠ এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন। ভালো থাকুন সবসময়।

১২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:০৬

জেন রসি বলেছেন: জীবনে একবারের জন্য হলেও কাশ্মীর ভ্রমণ করতে হবে। আপনার পোস্টগুলো পড়লে ভ্রমণের সুপ্ত বাসনা আবার জাগ্রত হয়ে যায়। :)

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৪৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: একবার গেলেই সর্বনাশ, আবার যাওয়ার জন্য তড়পাবেন ভাইজান। যাইয়েন না, যাইয়েন না, যাইয়েন না। :(

১৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৩৯

উল্টা দূরবীন বলেছেন: জীবনে একবারের জন্য হলেও কাশ্মীর ভ্রমণ করতে হবে। আপনার পোস্টগুলো পড়লে ভ্রমণের সুপ্ত বাসনা আবার জাগ্রত হয়ে যায়।

জন রেসির সাথে সহমত। কাশ্মির ভ্রমণের ইচ্ছা আছে। দোয়া রাইক্ষেন।

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৪৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: জেন রসি'র মন্তব্যের প্রতিত্তর দ্রষ্টব্য। ;)

এক কাজ করেন, আপনারা একসাথে যান, আমাকেও গাইড হিসেবে নিয়ে যেতে ভুলেন না যেন। :)

১৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:২৩

সাথিয়া বলেছেন: ভাইয়া এত সুন্দর জায়গায় একবার হলেও বেড়াতে যেতে চাই।

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অবশ্যই যাবেন। সিরিজের সাথে থাকুন, সিরিজ শেষ একটি পূর্ণাংঙ্গ ভ্রমণ নির্দেশনা দিয়ে পোস্ট থাকবেন। যেমনটা ছিল কাশ্মীর ট্যুর নিয়েঃ কাশ্মীর ভ্রমণ পরিকল্পনা এবং বাজেট (একটি অপূর্ণাঙ্গ পোস্ট)

ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা জানবেন।

১৫| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২১

দীপংকর চন্দ বলেছেন: ভালো লাগলো অনেক।

মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য কৌতূহলোদ্দীপক!!

অনিঃশেষ শুভকামনা জানবেন ভাই।

ভালো থাকবেন। সবসময়। অনেক।

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, পাঠ এবং মন্তব্যে ভালোলাগা জানবেন। ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা।

১৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৩৮

বোকামানুষ বলেছেন: রাতের ছবিগুলা দারুন

১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:১১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আরে মিতা যে, অনেকদিন পর! কেমন আছেন, আশা করি ভাল। ভালো থাকুন সবসময়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.