নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বোকা মানুষের কথায় কিই বা আসে যায়

বোকা মানুষ বলতে চায়

আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১

বোকা মানুষ বলতে চায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

হুট করে উত্তরে (ভ্রমণকথা - প্রথমাংশ)

১৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ১১:২৯



যা চেয়েছি কেন তা পাই না, যা পেয়েছি কেন তা চাই না... উঁহু, ব্যাপারটা মোটেও এমন না। যা চেয়েছি তা পাই না বেশীরভাগ সময়ই হয়তো, কিন্তু যা পাই তাও কিন্তু কম নয়। এই যেমন সপ্তাহ দুয়েক আগে, যে কোন একটা ভবিষ্যৎ ভ্রমণ পরিকল্পনা নিয়ে একটু গুগল ম্যাপে মেঘালয়ের কোল ঘেঁষে থাকা দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এ চোখ বুলাতে বুলাতে একটা জায়গা মনে ধরে গেল। ব্যাস, মন হল উতালা, যেতেই হবে ওখানে, সামনের শুক্রবারে। কিন্তু বেশ কয়েকজন ভ্রমণ বন্ধুকে ফোন দিয়ে দেখি সবাই ব্যস্ত, দুয়েকজন বলল, ঈদের পরে চলেন, বর্ষায় আরও ভাল হবে। আমার মন খারাপ হয়ে গেল, কেমন যেন অস্থিরতা ভেতরে। ঠিক সেদিন রাতে অফিস থেকে ফিরে ছোট ভাই জানাল, অফিসের একটা কাজে ও দিনাজপুর যাবে শুক্রবার রাতে। আমি সাথে সাথে বায়না ধরলাম ;) আমিও তার সাথে যাব। তারপর আর কি সাথে সাথে বসে গেলাম ট্যুর প্ল্যান করতে।

রাত বাজে এগারটা, অনলাইনে রেলওয়ের টিকেট কাটা যাবে না। তাই নোট প্যাডে টুকে নিলাম আমার দেখার তালিকা। পরদিন বিকেলের দিকে কমলাপুর গিয়ে দেখি কোন বাসের সিট নেই, যা আছে একেবারে শেষের দিকে, যেটাতে আমি শারীরিক সমস্যার কারনে কখনোই ভ্রমণ করি না। ফলে ঢুকলাম রেলষ্টেশনে, খুঁজে পেতে ফার্স্ট ক্লাস চেয়ারে দুটো টিকেট মিলল, এবং ঐ দুটোই শেষ টিকেট ছিল। সিট নাম্বার ১ ও ২, মানে একেবারে প্রান্তে, টয়লেট এর কাছে... :(

যাই হোক যাত্রার দিন সন্ধ্যের পরপর দুইভাই রিকশাযোগে হাজির হলাম কমলাপুর রেলস্টেশনে। প্ল্যাটফর্মে আগে থেকেই ট্রেন দাঁড়ানো ছিল, ট্রেনে উঠে নিজ নিজ সিটে বসে পড়লাম, নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেল, ট্রেনের কোন নড়চড় নেই। এদিকে লোকাল যাত্রী একে একে উঠে দুই পাশের দুই গেটের কাছে জটলা পাকিয়ে জমা শুরু করল। আমি সেই জটলার মাঝে সিট নাম্বার ০১ এর সিঙ্গেল সিটে পুরাই নাস্তানাবুদ। প্রথম কিছুক্ষণ কয়েকজনকে বলে করে, বকাসকা দিয়ে সরালেও একসময় হাল ছেড়ে দিলাম। সারাটা রাত যতগুলো ষ্টেশনে ট্রেন থেমেছে, সেখান থেকেই লোক উঠেছে। শুধু লোক উঠেই রেহাই নেই, সাথে নানান মালপত্র। আর সব ডাম্পিং হচ্ছিল আমার আশেপাশে। একসময় আমার দুই সারী সামনের এক সত্তরোর্ধ্ব বয়সের আংকেল রাতের খাবার খাওয়ার আগে এলেন টয়লেট যাবেন বলে। ওমা! টয়লেটের ভেতর নাকি মালামাল রাখা!!! বেচারা বয়স্ক ভদ্রলোক’কে ফের অপর প্রান্তের টয়লেটের দিকে ধরে ধরে নিয়ে গেল উনার মেয়ে। আমি আর সাথে আরেকজন কয়েকবার পেছনের সবাইকে জিজ্ঞাসা করলাম, “টয়লেটের ভেতর মালামাল কার?” কেউ কোন উত্তর দেয় না। শেষে টিটি’কে খোঁজ করা হল। ঘণ্টা দুয়েক পর টিটি সাহেব যখন উপস্থিত হয়ে টয়লেট থেকে মালামাল (একটা ইয়া বড় বেতের ঝুড়ি যা খড়কুটো দিয়ে ভরা, আর কিছুই নেই... !!!) চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দিতে উদ্যত হলেন, তখন আমার সিটের পেছনেই বসে থাকা বছর পঞ্চাশের এক প্রবীণ বললেন উনার ঝুড়ি। মেজাজ তখন এতো খারাপ হল... উনাকে শুধু একটা কথাই বললাম, ‘আপনি যদি বয়সে বড় না হতেন, আপনাকে শুদ্ধ এই ট্রেন থেকে ফেলে দিতাম, ফাজিল কোথাকার।’। চিন্তা করেন বিবেচনা বোধ, তার সব মিলে ২০০ টাকা মূল্য হবে কি না সন্দেহ, সেই জিনিস একটা বগির প্রায় শখানেক মানুষের ব্যবহারের জন্য থাকা টয়লেটে রেখে টয়লেট বন্ধ করে উনি বসে আছেন ফার্স্ট ক্লাস এর বগিতে, স্ট্যান্ডিং টিকেট কেটে, তাও মাঝ পথের... আমাদের ট্রেন সার্ভিস যে কবে ভাল হবে...

এই ঝামেলা শেষ না হতে মধ্যরাত থেকে শুরু হল আরও নানান ঝামেলা। এক মহিলা উঠে পুরো বগি ঘুরে বসার পছন্দমত জায়গা না পেয়ে (যদিও দুই গেটের কাছে কিছু দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ ছাড়া পুরো ট্রেন ফাঁকা, সিট ব্যতীত); ‘অন্য বগিতে যাই’ বলে নেমে পড়ল। আমি পাশে দাঁড়িয়ে থাকা লোককে বললাম একটু দেখেন তো কোথায় যায় এই মহিলা, দরজা দিয়ে উকি দিয়ে দেখে প্ল্যাটফর্মে গিয়ে একটা কোনে বসে রইল। আমাদের বগি ছিল লাস্ট বগি... যা বুঝার বুঝে নেন, তাই ট্রেনে উঠলে একেবারেই ঘুমানো উচিত না...

এরপরের যন্ত্রণা শুরু হল ঈশ্বরদী জংশন থেকে। এক জটা বাবা এই গরমে দশ বারোটা নোংরা জামা গায়ে ভয়াবহ দুর্গন্ধ নিয়ে উঠল আমাদের বগীতে। আমার সিটের পেছনে যে দরজা সেখান দিয়ে। উঠতেই নাকে ভয়ানক দুর্গন্ধে চারিপাশে চেয়ে দেখি জটা বাবা। আমার সিটের পাশে দাঁড়ান দুই ভদ্রলোক’কে বললাম, ‘ভাই একটু আমার সিটের দিকে সরে এসে দাঁড়ান’। দুইজন বুঝল উল্টা, তারা আরও সরে দাঁড়াল, আর এই ফাঁকে জটা বাবা সেখানে ধপ করে বসে চোখ বন্ধ করে ভান ধরে বসে রইল। আমি জানালা দিয়ে মাথা সাবধানে বাইরে দিয়ে রাখলাম। কিছুক্ষণ পর উনার সুবাসে সবাই অতিষ্ঠ, হাজারো চেঁচামেচিতে কোন সাড়া নেই। শেষে একজন কোথা থেকে একটা মোটা লাঠি এনে একটা গুঁতো দিয়ে বলল, ‘ওঠ এখান থেকে নইলে দিলাম মাথায় একটা বাড়ি’!!! বলতেই বাবার ধ্যান ভাঙ্গল, একটু প্যা...প্যু... করে সামনে চলে গেল। কিছুক্ষণ বগির মাঝে ছিল, সবাই ঘুমে বলে টের পেল না। কয়েক ষ্টেশন পরে বাবাকে আর দেখা গেল না বগিতে।

এসব যন্ত্রণা সইতে সইতে একসময় আমরা চলে এলাম আমাদের গন্তব্য ফুলবাড়ী ষ্টেশন, তখন মাত্র ভোর হয়েছে। ভোরের প্রথম প্রহরে ষ্টেশনে নেমে মন ভাল হয়ে গেল। চারিদিকে কেমন শান্ত একটা পরিবেশ। চায়ের দোকানে পানি গরম হয়েছে, রঙ চা পাওয়া যাচ্ছে, দুই ভাই চা পান করলাম। ষ্টেশনে একটা ওয়েটিং রুম আছে, সেখানে আমাদের মোবাইল চার্জে দিয়ে দিল আমার ভাই, আর আমি এই ফাঁকে বাইরে হাঁটাহাঁটি করতে লাগলাম। ভাই যে প্রতিষ্ঠানে এসেছে অফিসের কাজে, সেখান থেকে গাড়ী নিয়ে আসবে আমাদের রিসিভ করতে। ততক্ষণ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কি আর করা অপেক্ষা করি... আপনারাও করেন... পরের পর্বে বাকী গল্প হবে না হয়। (চলবে)

কিছু ছবি তো দিতেই হয়, ভ্রমণ পোষ্ট বলে কথা! প্রথম দুটো ছাড়া বাকী সব ফুলবাড়ী ষ্টেশন এর আশেপাশের ছবি, সেই মায়াময় ভোরবেলায় তোলা...

























মন্তব্য ২১ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুন, ২০১৬ রাত ২:০৩

কালনী নদী বলেছেন: এক জটা বাবা এই গরমে দশ বারোটা নোংরা জামা গায়ে ভয়াবহ দুর্গন্ধ নিয়ে উঠল আমাদের বগীতে।
anyway traveler you must respect him maybe for that you cud suffer!!

JOY BaBa VuLenaTh . . . . .
potiker vromon huk sundor chobir motoni preccol . . . .

২০ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৩৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই, ভবিষ্যতে যে কোন বাবার দেখা পেলে সম্মান করা হপে কথা দিলাম ;)

২| ২০ শে জুন, ২০১৬ ভোর ৪:৩০

নাবিক সিনবাদ বলেছেন: ভালো লাগলো, ছবিগুলোও দারুণ।

২০ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:২১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ভাই আপনার হাত এত বড় কেন? আপনি কি গালিভার এর সমগোত্রীয় কেউ? B:-)

৩| ২০ শে জুন, ২০১৬ ভোর ৪:৩১

নাবিক সিনবাদ বলেছেন: ভালো লাগলো, ছবিগুলোও দারুণ।

৪| ২০ শে জুন, ২০১৬ ভোর ৬:৩৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: জটা বাবার একটা ছবি দিলে পারতেন, নাকি পোষ্ট থেকে দূর্গন্ধ ছড়াবে বলে দিলেন না? :-B

২০ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:১৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমি তখন নাকমুখ চাইপ্যা নিজেরে উদ্ধার করতে ব্যস্ত, আর উনি আসছেন ছবি তুলার কথা নিয়ে। এই একটা সমস্যা, ফুডুগিরাপার সব কয়টার, সব কিছুর খালি ছবি তুলতে চায়। ;)

=p~ =p~ =p~

৫| ২০ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১:৫৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: জটা বাবার ছবি দিলেন না কেন? মাইরের উপর কোন মেডিসিন আছে? আমি ট্রাভেলে বিশেষ করে ট্রেনে আর গাড়িতে গেলে সাথে একটা লাঠি নেয়ার চেষ্টা করি। অনেক কাজে আসে।

২০ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: শেষে আবার নাম হয়ে যাবে লাঠি বাবা! ;)

গন্ধে বাঁচি না, আর তার ছবি তুলব? ইয়াক... রোজা রেখে সেই গন্ধ মনে করতে চাই না.....

৬| ২০ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:২৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভ্রমণের বর্ণনা শুনে হাসি পাচ্ছিল অনেক জায়গায়। বিশেষ করে জটাবাবার কথায়। এক সময় নিয়মিত ট্রেনে যাতায়াত করতে হোতো, তখন উনাদের দৌরাত্ম্য আরও বেশি ছিল।

২১ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:১৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আসলে পুরো জার্নিটাই একটা কমেডি ছিল প্রোফেসর সাহেব ;)

৭| ২০ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৩

সুমন কর বলেছেন: কি আর করা অপেক্ষা করি... আপনারাও করেন... পরের পর্বে বাকী গল্প হবে না হয়। ....চলুক।

২১ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:২৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: গাড়ী থেমে গেছে, মানে বাকীটুকু আজ পোষ্ট করা হয়েছে, তবে কেমন অগোছালো হয়েছে লেখাটা। কারন, ভ্রমণের মূল বিষয়বস্তু "জমিদার বাড়ি" যা নিয়ে পৃথক পোষ্ট দেয়ার ইচ্ছে আছে।

বন্ধুর খবর কি? আছেন কেমন আপনি? দিনকাল যাচ্ছে কেমন?

৮| ২০ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:২৪

কল্লোল পথিক বলেছেন:





ছবি গুলো বেশী সুন্দর হয়েছে।

২১ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ কল্লোল পথিক ভাই, ভাল থাকুন সবসময়। :)

৯| ২২ শে জুন, ২০১৬ রাত ২:১২

মাদিহা মৌ বলেছেন: আপনি বেশ হাস্যরসাত্মক ভাবটা নিয়ে ভ্রমণের বর্ণনা
লিখেছেন। মজা পেয়েছি। জটাবাবার ছবি তুলতে
পারলে বেশ হত!

২২ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। বোকা মানুষের ব্লগে স্বাগতম।

মাঝে অনেকদিন ব্লগে অনুপস্থিত ছিলাম, সময় করে আপনার ব্লগে ঘুরে আসব।

ভাল থাকুন সবসময়, শুভকামনা।

১০| ৩০ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৪৪

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: আ ----------- রে ভ্রমণ, মারাত্মক!!!!!
স্নিগ্ধ সকালের ছবিগুলো সত্যিই অসাধারণ!!!
অনেক অনেক শুভেচ্ছা!!

৩০ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:২০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ আপু, আসলেই সেইরাম মারাত্মক ছিল, পুরাই... "দে দৌড়"। =p~

১১| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: এ ধরণের ভ্রমণ কাহিনী পড়তে আমার খুব ভাল লাগে। এটাও লেগেছে, তাই পোস্টে প্লাস + +।
জটাবাবার একটা ছবি দিলে ভালোই হতো।
ফুলবাড়ীর ছবিগুলো খুব সুন্দর। সবচেয়ে সুন্দর লেগেছে "একেলা খেজুর গাছ" আর শেষের ছবিটি।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আসলে জটা বাবার ছবি তুলবো কি? নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে আসছিল তার শরীর থেকে আসা বিটকেলে গন্ধে। এখন মনে করেও গা গুলিয়ে আসছে।

আমার কাছে ভাল লেগেছে শেষের ছবি আর ফুটপাথের উপর শুয়ে থাকা লোকটির ছবি। এই দুই ছবির ঘুমন্ত লোক দুজনকে দেখে নিজেরই লোভ হচ্ছিল, মনে হচ্ছিল এরা খোলা আকাশের নীচে কি প্রশান্তিতেই না শুয়ে আছে। ক্যামেরায় সেই দৃশ্য তুলে ধরতে পারি নাই। অনেক অনেক দিন মনে থাকবে সেই ভোরবেলার কথা।

অনেক অনেক ভাল থাকুন, শুভ কামনা রইবে নিরন্তর। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.