নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১
আগের পর্বঃ কলকাতায় অপেক্ষা... (গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ট্যুর - পর্ব ০২)
“মর্নিং শোজ দ্যা ডে” কথাটি সেবার অক্ষরে অক্ষরে প্রমাণ পেয়েছিলাম। কোরবানী ঈদের দিন রাতে রওনা দিয়ে পরের দিন পৌঁছেছিলাম কলকাতা দুপুর নাগাদ। বিকেল-সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত পর্যন্ত ভালোমতই কাটিয়ে দিয়েছিলাম আমাদের চারজনের প্রথম দলটি। সেদিকে বাকী ছয়জন দুইটি ভিন্ন ভিন্ন বাসে আলাদাভাবে রওনা হয়েছে একদিন পরে কলকাতার উদ্দেশ্যে। কথা হয়েছে পরদিন সরাসরি সবাই দমদম বিমানবন্দরে মিলিত হবো, ধরবো কলকাতা টু দিল্লী’র ভিন্ন ভিন্ন ফ্লাইট। কিন্তু বিধিবাম, ফুরফুরে মেজাজে কলকাতা হোটেলে যখন ঘুমাতে যাবো, তখন থেকে সকল খারাপ খবর পেতে শুরু করলাম। ঠিক রাত বারোটার পর খবর পেলাম আমাদের দ্বিতীয় দলের বীথি আপুদের রাত এগারোটার বাস তখনও আসে নাই। এরপর ফজর পাঁচটা'র দিকে খবর পেলাম দ্বিতীয় দলের দুই বাসের একটি'র চাকা পাংকচার হয়েছে, আরেকটি বিকল... হায়রে গ্রীণ লাইন পরিবহণ!!!
দিনের শুরুঃ
দিনটা শুরুই হয়েছিলো খারাপ খবর দিয়ে। ফিরতি যাত্রার বাসের টিকেট করতে গিয়ে হলো ঝামেলা, ঝামেলা হলো মানি এক্সচেঞ্জে ডলার ভাঙ্গানোর সময়ও, এমনকি সকালের নাস্তা করতে গেলাম যে রেস্টুরেন্টে, সেখানকার ওয়েটারের ব্যবহারে মেজাজ হয়ে গেল খারাপ। যাই হোক নাস্তা করে একটা ট্যাক্সিযোগে চলে গেলাম জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ী দেখতে। সেখানে গিয়ে শুনি বেলা এগারোটার আগে ঢোকা যাবে না। প্রবেশ গেট দিয়ে কিছুটা ঢুকে কয়েকটা ছবি তুলে ট্যাক্সি ধরলাম ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এর দিকে। সেখানে ঝামেলা বাঁধালো এক সিকিউরিটি অফিসার। সে বিদেশী কোটায় আমাদের টিকেট কাটা ছাড়া ঢুকতে দেবে না, অথচ আমার সাথে ভারত সরকারে জারি করা প্রজ্ঞাপন ছিলো যেখানে সুস্পষ্ট বলা ছিলো সার্কভুক্ত দেশের নাগরিকেরা ভারতীয়দের সমমানের টিকেট কেটে ভারতের হেরিটেজ সাইটগুলোতে প্রবেশ করতে পারবে। সেই প্রজ্ঞাপন জেরেই পরবর্তীতে কিন্তু বিদেশীদের ১০০০ রুপীর টিকেট এর বদলে আগ্রা তাজমহলে আমরা ৫৩০ রুপীর টিকেট কিনেছিলাম, কারন ১০০০ রুপীর মধ্যে ৫০০ রুপী আগ্রা ডেভেলপমেন্ট অথরিটির ফি, যা কমানো হয় নাই। যাই হোক, আমরা বিরক্ত হয়ে সেবার আর ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের অভ্যন্তরে প্রবেশ না করে হোটেলের উদ্দেশ্যে ফিরতি ট্যাক্সি ধরি, কেননা আমাদের দিল্লীর ফ্লাইট পৌনে পাঁচটায়, এয়ারপোর্ট এ দ্বিতীয় দলের সাথে দুপুর দুইটায় মিট করার কথা; তার সাথে হোটেল চেক আউট টাইম বেলা এগারোটায়। হোটেলে ফিরে এলাম সাড়ে দশটার আগে আগে; হোটেলে ঢুকতেই রিসিপশন থেকে তাড়া রুম ছাড়ার জন্য। বললাম বেলা এগারোটা বাজতে এখনো আধঘন্টা বাকী, তার আগেই রুম ছেড়ে দিচ্ছি। রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে ব্যাগ নেয়ার মাঝে দুবার ইন্টারকমে ফোন, দুবার হোটেল স্টাফদের রুমে নক!!! কারন, নীচে পরের দিনের জন্য রুম বুক করা গেস্টদের আর্লি চেকইন করার সুযোগ করে দেয়া; যা নীচে নেমে বুঝতে পেরেছি। এগারোটা বাজার পাঁচ মিনিট আগে রিসিপশনে চাবি বুঝিয়ে দিয়ে ব্যাপারটা বলতে গেলে তাদের মারমুখী আচরণ দেখে মনে মনে কিছু গালি দিয়েই বের হয়ে এলাম। কলকাতা শহরের কোন কিছুই আমাকে আকর্ষন করে না, বরং ভারত ভ্রমণে বের হলে মনে হয় দুই বাংলা পার হয়ে গেলে যেন স্বস্তি।
টেনশনে পেরেশানঃ
যাই হোক হোটেল হতে চেক আউট করে বারোটার দিকে ট্যাক্সি করে রওনা হয়ে গেলাম দমদম এয়ারপোর্ট এর দিকে। পথে “হালদিরাম” এর একটা শোরুমে গাড়ী থামিয়ে তাদের লাঞ্চবক্স কিনে নিলাম জনপ্রতি দুইশত বিশ রূপী বা এর আশেপাশের কোন অঙ্কে। এটা উল্লেখের কারন, এটা কেন্দ্র করে একটা ঘটনা একটু পরেই ঘটতে যাচ্ছে। সেখান থেকে আমাদের সকলের জন্য লাঞ্চবক্স কিনে এয়ারপোর্টে ঢুকে খোঁজ করলাম দ্বিতীয় দলের। ওমা! উনারা এখনো বেনাপোল থেকে রওনা দেন নাই, তবে ছয়জনই বর্ডার ক্রস করে একত্রিত হয়েছেন। ঘড়িতে তখন বেলা দুইটা, পেট্রাপোল থেকে দমদম এয়ারপোর্ট কিভাবে তারা দুই ঘন্টায় পৌঁছবে আমার টেনশন শুরু হলো। এয়ারলাইন্সের বোর্ডিং কাউন্টারে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানলাম বোর্ডিং পাস নেয়ার শেষ সময় বিকেল চারটা, ফ্লাইট এর পঁয়তাল্লিশ মিনিট আগে। আমি তাদেরকে আমার সমস্যার কথা খুলে বললে, তারা আমাকে তাদের এয়ারলাইন্সের দমদম এয়ারপোর্ট এর দায়িত্বে থাকা ম্যানেজারের কাছে পাঠালো। উনি আমার সমস্যা শুনে আমাকে দশ মিনিট গ্রেস পিরিয়ড দিলেন। বিমানবন্দরের অথরিটি এবং ইমিগ্রেশন সিকিউরিটি চেক এর কিছু নিয়মের জন্য এরপর আর কোন যাত্রী তারা গ্রহণ করবেন না উক্ত সময়ের পর। এতো টাইট শিডিউলের ছোট ট্রিপ, কোন মতে ফ্লাইট মিস হলে ট্রিপ ক্যান্সেল হয়ে যাবে। যেই ভয়ে লাদাখ গেলাম না, সেই ঝামেলার চাইতে বেশী ঝামেলায় পড়লাম এই ট্রিপেই।
হাঁফ ছেড়ে বাঁচা এবং প্লেনে খানাপিনাঃ
যাই হোক আমাকে একগাদা টেনশন আর চিন্তার ঘাম ঝড়ানোর বিনিময়ে ঠিক বিকেল চারটা দশ এর সাত মিনিট আগে দ্বিতীয় দলের প্রবেশ এয়ারপোর্টে। হাফ ছেড়ে বাঁচলাম, দ্রুত সবার বোর্ডিং পাস নিয়ে সিকিউরিটি চেকিং এ গিয়ে খেয়াল হলো সাথে দুই হাতে দুই ব্যাগভর্তি হালদিরাম এর লাঞ্চবক্স এবং হাফলিটার করে মিনারেল ওয়াটার এর বোতল। প্লেনে তো এগুলো নিয়ে উঠতে দিবে না…… কি করি, কি করি। সিকিউরিটি চেকিং এ দেখি এক সার্দারজী দাঁড়িয়ে আছে। এর আগের দুইটা ট্রিপে বিমানবন্দরে থাকা পাঞ্জাবী আর্মড ফোর্স এর অফিসার থেকে খুব ভালো ব্যবহার পেয়েছিলাম। সেই ভরসায় আশা নিয়ে তাকে বিস্তারিত খুলে বললাম, আমার দলের বাকী ছয়জন যে গতকাল রাতে রওনা দিয়ে এই পর্যন্ত নানান ঝামেলা পোহাতে পোহাতে বিমানবন্দরে পৌঁছেছে এবং দুপুরের খাবার খায় নাই, সব জানালাম তাকে। উনি আমাকে সাইডে নিয়ে খাবারে পলিব্যাগের মুখে এয়ার টাইট ক্লিপ দিয়ে বেঁধে একটা করে ট্যাগ এটে দিয়ে সিল মেরে দিলো। বলল, এরপরে প্লেনে উঠার আগ পর্যন্ত কেউ ব্যাগ চেক করতে চাইলে যেন সেই ট্যাগটা দেখাই। আর অবাক কান্ড, প্লেনে উঠা পর্যন্ত তিন জায়গায় এয়ারলান্সের লোক ব্যাগ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে সেই ট্যাগ দেখানোর পর তারা আর কিছুই জিজ্ঞাসা করে নাই।
মজার ব্যাপার হলো একটু পরে। সবাই ঠিকঠাক প্লেনে চড়ে বসার পর যথাসময়েই প্লেন উড়াল দিলো। আর প্লেনের এয়ার হোস্টেসরা তাদের খাবার বিক্রির ঠেলা নিয়ে বিক্রিবাট্টা শুরু করার মুহুর্তে আমার ছোট ভাই একটা করে লাঞ্চবক্স আর পানির বোতল আমাদের দলের সবার সিটে গিয়ে গিয়ে দেয়া শুরু করে দিলো। আমাদের সিট ছিলো ছড়ানো ছিটানো। এয়ারহোস্টেস এর চেহারা হয়েছিলো দেখার মত। খাবার শেষে যখন আমাদের লাঞ্চবক্স এর খালি প্যাকেট তাদের ওয়েস্টেজ বিন এ ফেলছিলাম আমরা, তাদের চাহনি ছিলো দেখার মত। বেচারাদের বিক্রিবাট্টা কমিয়ে দিয়ে আমরা পেটপূজোর পর আরামসে উড়ে চললাম দিল্লীর পাণে।
পৌঁছলাম দিল্লীঃ
সন্ধ্যের পরপর, সাতটা নাগাদ বিমান পৌঁছলো দিল্লী। এয়ারপোর্ট আমাদের বুকিং করা ট্রাভেল এজেন্সির দিল্লী প্রতিনিধি আমাদের বরণ করে নিল ফুল আর চকলেট দিয়ে। এরপর বিমানবন্দর থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরের হোটেলে নিয়ে চলল দুটো প্রাইভেট কার এ করে। হোটেলে চেকইন করে গল্প, সাথে ম্যাংগো জুস, ওয়েলকাম ড্রিঙ্কস হিসেবে। এরপর ফ্রেশ হয়ে কিছুক্ষণ গল্প, সবাই সবার সাথে পরিচিত হওয়া। হোটেলে এসে শুনি সপ্তাহে দুদিন তাদের কিচেন থাকে “অনলি ভেজ”। আমি হোটেলের মালিকের সাথে দেখা করে তাকে অনেক কষ্টে বুঝিয়ে রাজী করলাম রাতের মেন্যুতে একটা চিকেন কারি করে দিতে। আমার জোরাজুরি’তে সে রাজী হল, কিন্তু কথা হল একটু বিলম্ব হবে ডিনার সার্ভ করার। তাকে জানালাম কোন সমস্যা নেই, সবাই ফ্রেশ হয়ে বিশ্রাম নিয়ে একটু দেরীতে ডিনার করতে সানন্দেই রাজী হবে। রাত দশটার পর ডিনার শেষে সবাই ঘুমানোর জন্য যার যার রুমে চলে গেলাম। আগামীকাল সকাল থেকে সাইট সিয়িং শুরু, দিল্লী থেকে আগ্রা...
উৎসর্গঃ আমার ভারত ভ্রমণের এই সিরিজটি ব্লগার "কামরুন নাহার বীথি" আপাকে উৎসর্গ করছি। উনি আমার এই ট্যুরে ট্যুরমেট ছিলেন। গত পহেলা জানুয়ারী রাত এগারো ঘটিকায় বীথি আপা আল্লাহ্র ডাকে সারা দিয়ে পরপারে চলে গেছেন আমাদের সবাইকে ছেড়ে। আল্লাহ্ তার শোকার্ত পরিবারকে এই শোক সইবার ধৈর্য দাণ করুন। আর আপাকে পরপারে আল্লাহ্ সকল গুনাহ (যদি থাকে) মাফ করে তার কবরে আজাব মাফ করুন এবং আখেরাতে বেহেশত নসীব করুন।
প্রথম পর্ব থেকে বীথি আপার এই ট্যুরে যুক্ত হওয়ার ঘটনাটা আবার তুলে ধরলামঃ
ঈদের কয়েকদিন আগে আমি কোন একটা কাজে নীলক্ষেত মোড়ে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে আছি, একটি অচেনা নাম্বার থেকে কল এলো, কল রিসিভ করতে অপরপাশ থেকে অচেনা কণ্ঠস্বর। আমাদের দলের সাথে যুক্ত হতে চায় এই ট্রিপে। “সামহোয়্যার ইন ব্লগ” এ তখন পর্যন্ত আমার পূর্বপরিচিত কেউ ছাড়া আর কারো সাথে পরিচয় ছিলো না। “সাদা মনের মানুষ” খ্যাত কামাল ভাই এর সাথে পরিচয় ভ্রমণ বাংলাদেশ থেকে। সেই কামাল ভাই এর কাছ থেকে খবর পেয়ে ফোন দিয়ে প্রিয় ব্লগার কামরুন নাহার বীথি আপা। উনি এবং ভাইয়া যুক্ত হতে চাচ্ছেন আমাদের সাথে। আমি একদিন সময় নিয়ে উনাকে কনফার্ম করলাম উনাদের যুক্ত হওয়ার ব্যাপারটা। এরপর উনাদের এয়ার টিকেট এর ব্যবস্থা করা হলো। দল গিয়ে দাড়ালো দশজনের। সিদ্ধান্ত হল চারজনের একটা দল ঈদের দিন রাতে রওনা হয়ে যাবো কলকাতার উদ্দেশ্যে। একদিন পরে বাকী ছয়জন রওনা হবে, যেহেতু কোরবানী ঈদের ছুটি, তাই অনেকেই সারাদিনের কোরবানীর হ্যাপা পোহানোর পর সেদিন রাতেই রওনা হতে রাজী হলো না। ফলে আমরা যে চারজন আগে রওনা হবো, তারা একরাত কলকাতা থেকে পরেরদিন সরাসরি বিমানবন্দর চলে যাবো। অপর দলও সরাসরি বেনাপোল বর্ডার হতে দমদম বিমানবন্দর চলে আসবে। এরপর ঢাকা থেকে সকলের কলকাতার বাসের টিকেট এবং আনুষাঙ্গিক কাজ শেষ করে অপেক্ষার পালা চলতে লাগলো….
ভ্রমণকালঃ সেপ্টেম্বর ২০১৬
গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ট্যুর, ২০১৬ এর সকল পর্বঃ
* যাত্রা শুরুর আগের গল্প (গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ট্যুর - পর্ব ০১)
* কলকাতায় অপেক্ষা... (গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ট্যুর - পর্ব ০২)
* ফ্লাইট মিসড তো ট্যুর ক্যান্সেলড... টেনশনিত অপেক্ষার শেষে (গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ট্যুর - পর্ব ০৩)
* আগ্রার পাণে যাত্রা (গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ট্যুর - পর্ব ০৪)
এক পোস্টে ভারত ভ্রমণের সকল পোস্টঃ বোকা মানুষের ভারত ভ্রমণ এর গল্পকথা
১৮ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:৪৫
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:০৯
শেরজা তপন বলেছেন: সময় করে পড়ে মন্তব্যে আসছি।
১৯ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:৫৫
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ওকে।
৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:০৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: বাপরে! কতই না ঝামেলা পেরিয়ে তবে আপনারা শেষ পর্যন্ত দিল্লী পৌঁছালেন! এমনিতেই কি বলে "দিল্লী দূরাস্ত"!
বাঙালিরা কেন জানি অনেক সময় স্বজাতীয়দের সাথে বিদ্বেষপূর্ণ আচরণ করে থাকে! যেখানেই বাঙালি, সেখানেই কিছু না কিছু সমস্যা থাকবেই!
১৮ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:৪৮
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেকদিন পর ব্লগে বসলাম, মন্তব্যের দেরীর জন্য আন্তরিক ক্ষমাপ্রার্থী।
২০১৬ সালের ভ্রমণগল্প শুরু করতে করতে এই ভ্রমণের ভ্রমণসাথী "কামরুন নাহার বীথি" আপা আমাদের ছেড়ে পরপারে চলে গেলেন। আল্লাহ্ উনার কবরে আজাব মাফ করে জান্নাত নসীব করুন। আমীন।
আসলেই, সেটা ছিলো আমার এই পর্যন্ত ভারত ভ্রমণের সবচেয়ে ছোট ট্যুর আর সবচেয়ে ভোগান্তির ট্যুর। আসলে ভোগান্তি না বলে টেনশন আর মিসম্যানেজমেন্ট এর ট্যুর বলা ভালো।
আপনি কেমন আছেন ভাইয়া? আশা করি ভালো। ভালো থাকুন সবসময়, সুস্থ থাকুন, আমাদের সাথেই থাকুন, পাশেই থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর ভ্রমন হয়েছে। লিখেছেনও সুন্দর করে।
আমি ৩ বছর আগে কলকাতায় গিয়েছিলাম। আসলে বউ সাথে নিয়ে ভ্রমন করলে আনন্দ পাওয়া যায় না। এজন্য ভ্রমন করার দরকার বিয়ের আগে।