![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সম্প্রতি ঘুরে এলাম নেপাল। অসাধারণ লাগলো। এত সুন্দর সব কিছু - ঠিক ছবির মতো। আসতে মন চাইছিলো না। তবু সব পাখি নিড়ে ফেরে..
এখন ফিরে আসার পর আবার যেতে ইচ্ছে করছে।
নেপাল এমন একটি দেশ যেখানে আপনি একসাথে পাবেন আপনার ছুটি উপভোগের সবকিছু , এ যেন এক সব পাওয়ার দেশ। ইচ্ছে মত চুটিয়ে উপভোগ করতে পারবেন একান্তে নিভৃতে আপনার অবসর আপনার নিজস্ব স্বকীয়তায় । বিলাসি প্রান জুড়ানো সবুজের হাতছানি আপনাকে মুগ্ধ করবে প্রাচীন কোন হ্রদের ধারে কিংবা জলপ্রপাতের কলকল ধ্বনির সাথে ।
ঐতিহাসিক মন্দিরের পবিত্রতা ছুঁয়ে যাবে আপনাকে । মন্দির ,স্বচ্ছ হ্রদ , সারি সারি সবুজ ভ্যালি , বন্য প্রানী সংরক্ষণ কেন্দ্র , পাহাড় কিংবা তাদের রাজপ্রাসদ সমূহ সব কিছুতেই মুগ্ধতা এ যেন পৃথিবীর বুকে এক টুকরো স্বর্গ ।
আমার বন্ধু ঘুরে এসে যে বর্ননা দিলো, মন আর মানলো না। এই সময়টা ওখানের অফ সিজন। বৃষ্টি হয় মাঝে মাঝে। বেস্ট সময় হলো সেপ্ট – মার্চ।
আমি গিয়েছি প্লেন এ। ১৮ তারিখ। ফিরেছি ২৬ তারিখ। যেতে সময় লাগলো ১ ঘন্টা ১০ মিনিট মাত্র। খরচ হলো ১৯০০০ টাকা। আর সাথে নিলাম প্রায় ৪০০ ডলার কার্ডে। ৩০০ ডলার হলে শপিং ছাড়া বেশ ভালো ভাবে ঘুরে আসা যাবে। ভিসা নিয়ে যাইনি। নেপালে “অন এরাইভাল” ভিসা নেয়া যায় ওখানের এয়ার পোর্ট থেকে। তাই আগে থেকে ভিসা নিতে হয়নি।
কাগজ ঠিক থাকলে ঝামেলা হবে না। তবে ভালো হবে ডলার এন্ডরসমেন্ড করে গেলে ব্যাঙ্ক থেকে। আপনার কিছু সময় বাচবে যদি ইমিগ্রিশন এ ধরে।
প্রথম বার দেশের বাইরে যাওয়া। স্বাভাবিক ভাবেই কিছুটা এক্সাইটেড। প্লেন ঠিক সময়ই ছাড়লো। নামলাম ত্রিভুবন এয়ার পোর্ট এ। চেকিং এ আমার সাধের লাইটার রেখে দিলো।
নেপাল এ টুরিস্ট রা এলে প্রথমে যায় থামেল এ – রাজধানী কাঠমন্ডুর ভেতর ছোট একটি এলাকা টুরিস্ট দের জন্য করা।
এয়ারপোর্ট থেকে বের হয়ে টেক্সি ওয়ালাদের হাক ডাক এ কান না দিয়ে প্রথমে এয়ারপোর্ট এর এ টি এম থেকে মাস্টার কার্ড দিয়ে নেপালের রুপি তুললাম। পরে একটা টেক্সি দিয়ে চলে এলাম থামেল। ৩০০ টাকা ভাড়া। কিন্তু আমি দিয়েছি ২০০/ টেক্সি ওয়ালাই একটা হোটেল এ নিয়ে গেলো। বলল-পছন্দ হলে নেবেন। পছন্দ হয়ে গেলো। পিল্গ্রিম হোটেল। ভাড়া ১০০০/ অফ সিজন বলে কম নিয়েছে। কাঠ মণ্ডূর ভাড়া তুলনা মুলক ভাবে বেশি অন্য শহর পোখারা থেকে। তবে নেপালের হোটেল ভাড়া একটু কমই বলতে হবে। পোছে ছিলাম সাড়ে পাচটার দিকে। হোটেল ঠিক করে কাপড় চোপড় রেখেই বের হয়ে পড়লাম থামেল এর রাস্তায়। অসংখ্য দোকান এক টার পর একটা সাজানো রয়েছে টুরিস্ট দের জন্য। এত রকম বাহারি পসরা দেখে খুব ই মুগ্ধ হতে লাগলাম। আর অসংখ্য টুরিস্ট দেখতে পেলাম। বেশ ভালোই কাটলো।
নেপালের টুরিস্ট স্পট গুলোর দোকান গুলোতে ঘুরে খুব ই মজা পাবেন। এত রকম বাহারি পসরার মেলে – সব ই কিনতে ইচ্ছে করে।
প্রচুর ফরেনার দেখবেন ঘুরছে কাধে ব্যাগ নিয়ে। মাঝে মাঝে ই নানা রকম রেস্টুরেন্ট, ক্যাফে, ডেন্স বার। চলার পথে অনেক রেস্টুরেন্ট এর লাইভ মিউজিক শুনতে পাবেন। অথবা কোন বার থেকে ভেসে আসা কোন ডান্স মিউজিক। অথবা কোন নেপালি সুরেলা সুর। বেশ মন মুগ্ধকর পরিবেশ বলা যায়। তবে জিনিস পত্র কেনার সময় বারগেইন করতে ভুলবেন ন
আর হ্যাঁ সব ক্যাফে, রেস্টুরেন্ট এই ওয়াই ফাই আছে। কিছু অর্ডার করে নিশ্চিন্তে আপনার ল্যাপটপ, সেল দিয়ে ব্রাউজ করে নিতে পারেন অবসরে দু দন্ড।
পরদিন ভোরে ৭ টার আগেই চলে গেলাম টুরিস্ট বাস স্পট এ। বাস ছাড়বে ৭-৩০ এ। যাবো পোখারা। প্লেন করেছি পোখারা ঘোরা শেষ করে যাবার আগে একদিন কাঠ মন্ডুতে থেকে ঘুরে যাবো।
পোখারা – নেপালের রানী
কাঠমান্ডু থেকে ২০০ কি মি পাড়ি দিয়ে ৬/৭ ঘন্টায় চলে গেলাম অন্নপূর্ণা পর্বত রেঞ্জের উপত্যকা পোখারা। এখান থেকে অন্নপূর্ণাসহ বিভিন্ন পর্বতশৃঙ্গে ট্রেকিং শুরু করেন অনেক পর্বতারোহী। বাস ভাড়া নিলো ৫০০/ এই বাস গুলো তে শুধু টুরিস্ট দের জন্য। প্রতিদিন ছাড়ে টুরিস্ট বাস স্পট থেকে। আসা খুবই সহজ। আর চাইলে হোটেল ম্যানেজার আপনার টিকেট কেটে রাখবে।
যাবার পুরোটা পথ পাহাড়ি আঁকা বাকা পথে আর পাহাড়ে ঘেরা। মুগ্ধ হয়ে দেখতে লাগলাম। কিছুটা মিল পেলাম আমাদের বান্দরবন এর নীলগিরি যাবার পথ টার সাথে। সারি সারি উচু পাহাড়ের মাঝখানে আঁকা বাকা পথ। এক পাশে বয়ে গেছে চমৎকার এক লেক। কি দারুন এক মিতালি, পাহাড়, পথ আর লেকের।
মাঝখানে ২ বার হোটেল এ থামল কিছু খনের জন্য। ব্রেকফাস্ট আর লাঞ্চ। যেখানেই যাবেন, প্রাকৃতিক দৃশ্য অতুলনীয়
দেখতে দেখতে খাবার খেয়ে আবার উঠে পড়লাম। এক সময় পৌঁছে গেলাম পোখারা। অনেক শুনেছিলাম এর সুনাম। পোখারা কে বলা হয় নেপালের রানী। এখানে বাস থেকে নামার পর ই অনেকেই ঘিরে ধরলো টেক্সির জন্য। উঠিনি। আমি একটু রয়ে সয়ে সব কাজ করতে পছন্দ করি। হাটতে লাগলাম। একটু পর একজন বলল তার মটর বাইক করে সে আমাকে পোখারা লেক সাইড (যেখানে টুরিস্ট রা থাকে- তাই অবশ্যই চেস্টা করবেন লেক সাইডে থাকার জন্য) এ নিয়ে যাবে বিনা ভাড়ায়। শুধু তার হোটেল টা একটু দেখতে হবে। যদি পছন্দ হয় থাকবো। ভালো ডিল। চলে গেলাম। অবশ্য হোটেল পছন্দ হয়নি
পরে হাটতে হাটতে বাইক ভাড়া করার ট্রাই করলাম। একটু বেশি মনে হল। সারি সারি বাইক রাখা ভাড়া দেয়ার জন্য। হ্যাঁ। এখানে আপনি পাস্পোর্ট জমা দিয়ে মটরবাইক/ বাইসাইকেল ভাড়া নিতে পারবেন। পরে খুজতে লাগলাম হোটেল। বেশি খুজতে হয়নি। “পিস আই” নামে একটা হোটেল ঠিক করলাম। দারুন
শাওয়ার নিয়ে ফ্রেশ হয়ে বের হয়ে পড়লাম। প্রথমেই হোটেল ম্যানেজার কে বলে একটা বাইক ৭০০ টাকা (নেপালি রুপি) দিয়ে রেন্ট এ নিলাম।
ফুয়েল নিজের। পালসার ১৫০ টা নিয়ে প্রথমে তেল নিলাম। এর পর চলে গেলাম ফিউয়া লেক।
ফিউয়া লেক
অসম্ভব সুন্দর ছবির মত একটা লেক। ঘুরে দেখলাম। ছোট ছোট বোট নৌকা ভাড়া নেয়া যায় ৪০০ টাকা/ ঘন্টা। যাবার একদিন আগে ঘুরেছিলাম। বেশ ভালো লাগলো।
নিজেই কিছুক্ষণ বৈঠা মারলাম এবং শুনতে পেলাম আমি নাকি প্রফেশনাল দের মত বাইছি। কি জানি - আগের জনমে মাঝি ছিলাম নাকি।
ও হ্যাঁ। আপনি চাইলে ড্রাইভার বা মাঝি ছাড়াই বোট নিতে পারবেন। অনেক ছবি তুললাম।
বোট এ করে চলে জাওয়া যায় world peach stupa তে। অনেক টুরিস্ট দেখলাম। লেকের ভেতর এ খোলা রেস্তোরা আছে। আছে ইনডোর রেস্টুরেন্ট। আছে রাস্তার পাশে পসরা নিয়ে বসা নেপালি মেয়েরা। নিয়ে নিন খুব কম দামে প্রেয়সীর জন্য উপহার। ৪ জন ইউরোপিয়ান কে দেখলাম লাফ দিয়ে নেমে পড়ে ফ্রিজবি খেলা শুরু করলো। একটা বাচ্চার সাথে পরিচয় হলো। এত সুইট। কিন্তু সে কিছুতেই ছবি তুলতে দিবে না।
----
ওখানে পরিচয় হলো চেক এর একটা মেয়ের সাথে। কথা বলে জানলাম ইতিমধ্য সে একা একা পর্বত আরোহন (ট্রেকিং) করে এসেছে। ঘুরে এসে ১৫ টা দেশ। বলে কি!! একা একা!! টাসকি খেলাম। তার সাথে ঘুরে বেড়ালাম সন্ধ্যা পর্যন্ত। রাতে একসাথে খেয়ে হাটলাম পোখা্রার দোকান গুলো তে।
দারুন। কি নেই এখানে। রাস্তায় অসংখ্য ফরেনার হাটছে।
অবশ্য আমি নিজে ই সেখানে ফরেনার কেউ ছবি তুলছে, কেনা কাটা করছে, রাস্তার পাশে গিটার নিয়ে বসে গান করছে। আমি নিজেও ওদের সাথে গান করলাম।
একটা রেস্টুরেন্ট এ দেখলাম নেপালের ঐতিহ্য বাহি নাচ হচ্ছে। দেখলাম। ভালো লাগলো সবকিছু। কি এক আবেশে ভরা সবকিছু। দারুন এক পরিবেশ। ও হ্যাঁ। এখানে নানা রকম ডেন্স বার ও আছে। তবে, বলা বাহুল্য, আমি সেই দলের না।
ভিডিও দেখুন
সারাং কোট
পর দিন ভোর রাতে বাইক নিয়ে চলে গেলাম সারাং কোট সূর্য দয় ও হিমালয় পর্বত দেখার জন্য। সাথে ম্যাপ ছিল। আর গাইড নেই নি। জিজ্ঞাসা করে করে চলে গেলাম। ওখানে গিয়ে মন একদম ভরে গেলো। আকাশ পরিষ্কার থাকায় ওখান থেকে ভোরের স্নিগ্ধ আলোতে দেখতে পেলাম দেখতে পেলাম হিমালয়। সাদা বরফে আচ্ছন্ন। মন কে অবশ করে ফেলো। দেখে স্তব্ধ হয়ে গেলাম। এই দৃশ্য ভাষায় ব্যাক্ত করার মত নয়।
মন পরতে পরতে পূর্ণ হয়ে গেলো। এত সুন্দর!! এখানে টুরিস্ট দের জন্য একটা জায়গা তৈরি করা হয়েছে। সবাই ছবি তুলছে আর তুলছে। কিছু টা ঠান্ডা আছে। তাই কফি নিলাম। আবেশে দিলাম চুমুক। জীবন টাকে মনে হলো পূর্ণ। সবাই দেখলাম ছবি তোলায় বেস্ত। আমিও লেগে পড়লাম।
ওখানে ২/৩ ঘন্টা ছিলাম। এর পর চলে গেলাম ডেভিস ফলস এ।
ডেভিস ফলস
১৯৬১ সালের ৩১ জুলাই বিকেলের রোদে সুইস তরুনী ডেভিস তার স্বামীর সাথে গোসল করতে নামলে লেক থেকে হঠাৎ দ্রুত বেগে নেমে আসা পানির স্রোতে ভেসে যায় ডেভিস। অনেক দিন পর তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। তবে জীবত নয়, মৃত অবস্থায়। পরবর্তীতে তার স্মৃতির উদ্দেশ্যে এ ঝর্ণার নামকরণ করা হয় ডেভিস ফলস। ৫০০ মিটার দীর্ঘ এবং ১০০ মিটার গভীরের এ নয়নাভিরাম ঝর্ণাপ্রবাহটি বছরের প্রায় সব সময় চলমান থাকে। তবে জুন-সেপ্টম্বর এর দিকে এর গতি তারুন্যদীপ্ত হয়ে উঠে।
খুবি ভালো লাগল
ভিডিও দেখুন
২০ টাকা টিকেট। পানির তীব্র স্রোত। কি গর্জন তার। সবাই ছবি তোলায় বেস্ত। গেটের বাহিরে নানান পসরা। কিছু কেনা কাটা করলাম। নেপালে যে বারগেইন করতে পারবে - সেই ভালো করবে। এই দেশ চলে বারগেইন এর উপর।
ব্যাট কেভ
এর পর গেলাম ব্যাট কেভ (বাদুরের গুহা)। ৫০ টাকা টিকেট আর ৫০ টাকা দিয়ে একটা বাতি নিলাম ভাড়ায় অন্ধকার এর জন্য। সাথে তাই টর্চ রাখলে ভাল হবে।
মাহেন্দ্র নাথ কেভ
এই গুহায় যেতে পথে পড়বে মাহেন্দ্র নাথের গুহা। এখানেও গেলাম। বেশ লম্বা গুহা। তবে ভেতরে আলো আছে। মনে হলো প্রাচীন কোন রাক্ষসের গুহা তে নেমেছি।
রাতে খেলাম চওমিন। আর বিকেলে খেয়েছিলাম নেপালের বিখ্যাত মম। ভেজ ও চিকেন এর পাওয়া যায়।
আমি ভেজ দিয়ে সারলাম। কারন মুরগি কিভাবে জবাই করেছে কে জানে। তবে খুজলে কিছু হালাল রেস্টুরেন্ট পাওয়া যাবে।
সেটি রিভার ও গোরখা মিউজিয়াম
পর দিন গেলাম সেটি রিভার ও গোরখা মিউজিয়াম। সেটি রিভার এর পানি খুভি ঠান্ডা। ব্রিজ থেকে দেখতে পাবেন নদী বয়ে যাচ্ছে। টানেল দেখতে পাবেন।
বেগ নাজ লেইক
এর পর দিন শহর থেকে কিছুটা দুরে চলে গেলাম বেগ নাজ লেইক। গিয়ে আবারো মুগ্ধ হয়ে গেলাম। সারি সারি ছোট ছোট বোট রাখা। এত সুন্দর। ওখানে ১০০ টাকা দিয়ে ঘোড়ায় কিছু খন একা একা ঘুরে বেড়াতে পারবেন। যাক, ঘোড়ায় চড়া শিখে গেলাম।
আসার পথে দেখলাম পথে পথে বিভিন্ন অনুষ্ঠান হচ্ছে। নেপালি নাচ, ইত্যাদি। এদের ফেস্টিভ্যাল - গাই যাত্রা। সবাই সেজেছে গরুর সাজে। বাইক থামিয়ে ছবি তুললাম।
প্রায় ই পথে পথে পাহাড়ের গায়ে দেখতে পাবেন পাহাড়ি মন মুগ্ধকর ঝরনা। পানি খেলে দিল একদম ঠান্ডা হয়ে যায়। এত মিস্টি আর ঠান্ডা। আহহ।
তার পরদিন চলে গেলাম ওয়ার্ল্ড পিস প্যাগোডা তে।
ওয়ার্ল্ড পিস প্যাগোডা
পাহাড়ের চুড়ায় অসম্ভব সুন্দর একটি তুষার শুভ্র প্যাগোডা। চারদিক কি পরিচ্ছন্ন আর এক পবিত্রতা ছড়ানো। মন ভালো হয়ে গেলো। পাহাড়ের অনেক উচু তে বলে দুরের দৃশ্য দেখে মন হারাবে বারেবার। কাছেই এক রেস্টুরেন্ট আছে। কফি খেতে খেতে উপভোগ করুন সন্ধ্যার বর্নিল শহর।
পুঙ্গি গড়
এই জায়গাটাএ সচরাচর সবাই যায় না। যেতে বেশ চড়াই উতরাই পার হতে হয়েছে আমাকে। আসলে প্যাগোডার পাশ দিয়ে পথ চলে যেতে দেখে বাইক নিয়ে দিলাম এক টান – দেখি পথে শেষে কি আছে – পথ তো আর ফুরায় না। অবশেষে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারলাম আমি চলে এসেছি সমুদ্র লেভেল থেকে প্রায় ৩০০০ ফিট উচ্চতায়।
একদম উপরে যাওয়ার জন্য আবার ৫ মিনিট হাটতে হলো। উপরে টাওয়ার বসানো। ওখান থেকে পোখারা র বেস্ট ভিউ টা পাওয়া গেলো। চারদিকে সারি সারি পাহাড়, পর্বত লেক আর মাঝে এক টুকরো শহর – পোখারা। এখানে স্থানীয় একটি ছেলে – সুবাস আমাকে নিজ থেকে গাইড করে নিয়ে যায়।
এই পথের ই একটি শাখা পথ দিয়ে – (আরো নানা উপ শাখা) চলে গিয়েছিলাম ওখানে পরিচিত হওয়া এক ফটগ্রাফার এর সাথে – এবার তার ভাড়া করা মাইক্র দিয়ে। ওখানে একটি লেক দেখে অবাক হয়ে গেলাম। আর এখান থেকে ও দেখতে পেলাম হিমালয় - খুব সুন্দর একটি জায়গা।
এছাড়াও পোখারাতে আছে স্রোতস্বিনী নদীর ফেনিল-শুভ্র জলে রাফটিংয়ের অ্যাডভেঞ্চার। যারা আরও সাহসী তাদের জন্য আছে প্যারাগ্লাইডিংয়ের সুযোগ। ১০০০ টাকা দিয়ে আকাশ থেকে ঝাপিয়ে পড়তে পারবেন। পোখরার আশপাশে নদী ছাড়াও আছে লেক, ঝরনা, মন্দির।পকেটে টাকার জোর থাকলে বিমান বা হেলিকপ্টারে চড়ে এভারেস্টসহ বিভিন্ন পর্বতশৃঙ্গের কাছাকাছি চলে যেতে পারেন। এক ঘণ্টার মাউন্টেন ফ্লাইটে অন্তত দশটি পর্বতশৃঙ্গের পাশ দিয়ে উড়ে আসবেন।
বুঝলাম, পোখারা কে কেনো নেপালের রানী বলা হয়। সত্যি, আসতে একদম মন চাইছিলো না।
--
পোখারা থেকে ফিরে আসার ২ দিন আগে চলে এলাম কাঠমন্ডু।
কাঠমন্ডু আসার পথে বাসে পরিচয় হল ইটালির এক ফটোগ্রাফার আন্দেয়ার সাথে। সে বলল মাত্র ৩০০ টাকা দিয়ে সে থাকে। আমি আকাশ থেকে পড়লাম। বলে কি??!! পরে তার সাথে টেক্সি ভাড়া শেয়ার করে গেলাম আলোবার২০০০ হোটেলে। আসলে সে ছিল ডরমিটরিতে। ডাবল খাট – ১ রুম এ ছয় জন। দেখে নিয়ে নিলাম। অভিজ্ঞতা হোক। প্রথমে তো আমরা ২ জন এ ছিলাম। একটু পর ইসরাইলি ২ টা মেয়ে এসে ঢুকে পরিচিত হয়ে নিলো। ওরাও থাকবে!! আমার বেশ আড়স্ট লাগছিলো।
প্রাইভেসি নেই বলে। তবে ভালো লাগলো সবার সাথে বেশ গল্প গুজব করে।
হোটেল বুক করে আন্দেয়ার সাথে চলে গেলাম দরবার স্কয়ার। আর সন্ধ্যায় রাস্তায় কিছু শপিং করলাম।
হায়। আমি ভুল করে কেনা ল্যাম্প এর কিছু ঝুলন্ত কাভার ফেলে এসেছি
পরদিন সকালে আবার বাইক ভাড়া করলাম। বাইক নিয়ে চলে গেলাম ভগতপুর।
ভগতপুর
ভগতপুর সব রাজা রাজরা দের দরবার, নানা বড় বড় স্তম্ভ, পুরাকির্তি ও কারুকার্জ তে ভরা। ঐতিহাসিক মুল্য অনেক। ওখানে গিয়ে পেলাম আন্দেয়া কে। ২ জন ঘুরতে লাগলাম।
কুমারি দের বাসভবনে কুমারি জানালাতে এসে দেখা দিলো। গাইড এর নিষেধে কোন ছবি তোলা গেলো না।
এর পর আমি চলে গেলাম নাগরকোট।
নাগরকোট
নাগরকোট এর পথ বান্দরবন এর মত সুন্দর। পাহাড়ের মাঝে মাঝে। আর অচেনা অনেক দারুন দারুন গাছ দেখলাম। পুরো পথ টাই মন টাকে মাতোয়ারা করে রাখলো। প্রাকৃতিক পরিবেশ অনন্য।
অনেক উচ্চতার দিকে যাচ্ছিলাম। দিনে দুপুরে শুরু হলো ঠান্ডা লাগা। গালি দিলাম বন্ধুকে কেনো সে জ্যাকেট আনতে বলে নাই। উঠে গেলাম প্রায় ৩০০০ ফিট উপরে। ওখান দেখে চারপাশের ভিউ দেখে বলে উঠলাম “ওয়াও”
হালকা ঠান্ডাতে চা নিলাম। সত্যি অনন্য। বাইক ৬ টার ভেতর জমা দিতে হবে বলে ফিরে এলাম। নাহলে ইচ্ছে ছিলো ধুলিখেল যাওয়ার। আপনি অবশ্যই যাওয়ার চেস্টা করবেন। কাঠমন্ডু রাজধানী বলেই হয়তো জ্যাম বেশি। বাইক জমা দিয়ে অবশেষে হোটেলে ফিরে এলাম।
হোটেলের ছাদ এর এক প্রান্তে বার, মাঝে মাঝে খোপ খোপ করা। যে যার ইচ্ছে মত গিটার বাজাচ্ছে, মোবাইল এ ওয়াই ফাই দিয়ে ব্রাউজ করছে, আড্ডা মারছে। আমি হোটেল বদলে নিলাম। আমার প্রাইভেসি ই ভালো লাগে বেশি।
আবার শপিং করতে বের হলাম। পরদিন বিকেলে ফ্লাইট বলে দুপুর পর্যন্ত জতটুকু পারলাম কেনাকাটা করলাম। অবশেষে থামেল থেকে টেক্সি নিয়ে এয়ারপোর্ট। প্লেন এ আসার পথে ওয়েদার খারাপ হওয়াতে কিছুটা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। জানালা দিয়ে দেখি বাজ পড়ছে। যাক। নিরাপদে ঢাকা এসে পোউছালাম। এসে নেপালি রুপি গুলো (যা বেঁচেছে) টাকাতে কনভার্ট করে নিলাম।
মোটামুটি এটিই মুল কাহিনী। আগামি পর্বে শুধু থাকছে উপ সংহার। ভালো থাকুন।
আমার ভ্রমণ এর আরো কিছু কাহিনী
(শেষ পর্ব)
ফেইসবুক এ আমার তোলা নেপালের আরো কিছু ছবি
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৪৪
হাসান মাহমুদ তানভির বলেছেন: ভাল লাগল জেনে ভাল লাগল। আপনিও ভাল থাকুন।
২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:১৩
বটের ফল বলেছেন: এত সুন্দর বর্ননা করেছেন আপনি, পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল আমি নেপালেই আছি!!! পড়া শেষে নেপাল যাওয়ার ইচ্ছা আরও জমে উঠলো।
অসাধারন একটি পোষ্ট। অসংখ্য ভালোলাগা। ++++++++++++++
ভালো থাকবেন অনেক বেশি।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৪৫
হাসান মাহমুদ তানভির বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যর জন্য। উৎসাহ পেলাম। অনেক অনেক ভাল থাকুন।
৩| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:০৭
নিমতিতা বলেছেন: ফাটাফাটি
৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৪৮
হাসান মাহমুদ তানভির বলেছেন: ধন্যবাদ । বলি যাচ্ছেন কবে?
৫| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৯
আরজু পনি বলেছেন:
পেইজ লোড হচ্ছে তো হচ্ছেই
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৭
হাসান মাহমুদ তানভির বলেছেন: কি করা যায়? যাক হাত হচ্ছে আশা জাগানিয়া।
৬| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৯
রাশেদ অনি বলেছেন: ভাইয়া অনেক ভাল লাগ্ল।৩০০ ডলার কি ভাইয়া প্লেন ভাড়া বাদ দিয়ে?
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৯
হাসান মাহমুদ তানভির বলেছেন: হ্যাঁ ভাই। তবে আমি কিন্তু ৯ দিন ছিলাম আর কিছু শপিং ও করেছি।
৭| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১০
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: প্রাকৃতিক দৃশ্য তো খুবই সুন্দর, বিশেষ করে লেকের ছবি গুলো। ঐ পিচ্চিটার ছবিটা খুব ভালো লাগছে, চোখ ঢেকে আছে দুই হাতে ছবি তুলতে দিবে না বলে।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৬
হাসান মাহমুদ তানভির বলেছেন: তাকে বললাম পুরা ছবি না তুলতে দিলে হাফ দাও। সে বলে আচ্ছা আমি আগে দেখি হাফ ছবি কেমন। আমি আগে তুলতে হবে তো। তখন হাসে, বলে আমার সাথে চালাকি
৮| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বেশ চমৎকার লাগল। বর্ননা, ছবি সব মিলিয়ে বেশ সুন্দর ভ্রমন কাহিনী।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৭
হাসান মাহমুদ তানভির বলেছেন: ধন্যবাদ।
৯| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৭
সোহানী বলেছেন: আপনার বর্ননা আর ছবি দেখে মাথা আমার খারাপের জোগাড়.... পারলে আজই যেতাম কিন্তু কিভাবে শুরু করবো....... কোন ট্রাভেল এজন্টের মাধ্যমে গেলে কি ভালো হবে.. ...??
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৯
হাসান মাহমুদ তানভির বলেছেন: আমারো ঠিক এমন টাই হয়েছিলো। বর্ননা শুনেই মাথা খারাপ। একদিনের ভেতর গিয়েছিলাম। আমি ট্রাভেল এজেন্ট ঠিক না করে গিয়েছি। আমার একটু মুক্ত ভাবে ঘুরে বেড়ানোর স্বভাব। তবে আপনাকে জানাতে পারবো আমার বন্ধুর কাছ থেকে জেনে।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৬
হাসান মাহমুদ তানভির বলেছেন: পেয়েছি: Mountainclubtours.com
১০| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২০
রাসেল মাহমুদ মাসুম বলেছেন: ভাল লাগলো , অনেক ভাল
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৮
হাসান মাহমুদ তানভির বলেছেন: ভাল লাগলো জেনে ভাল লাগলো। ধন্যবাদ।
১১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৫
শেখ শিহাব আল মাহমুদ বলেছেন: যাওয়া ইচ্ছা করে ফেলেছি। যাব ইনশা আল্লাহ
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৯
হাসান মাহমুদ তানভির বলেছেন: ভাল করলেন। গিয়ে অনেক ভাল লাগবে। যাবার আগে পারেন তো যোগাযোগ করবেন। নিচে ফেইসবুক এর লিঙ্ক দিয়েছি।
১২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪০
দি সুফি বলেছেন: ছবিগুলো অনেক সুন্দর, আর বর্ণনাও অসাধারন হয়েছে। গত বছর যাওয়ার ইচ্ছা ছিল। কিছু ঝামেলার কারনে যাওয়া হয়নি। এবছর মনে হয় সময় হবে না
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:১৭
হাসান মাহমুদ তানভির বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যর জন্য। আমি আসলে ঝামেলা নিয়েই গিয়েছি। ঝোঁক চেপে গিয়েছিলো। পরের বার মনে হয় তাই হবে। যাবার আগে জানাবেন। শুভ কামনা রইলো।
১৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫১
নতুন বলেছেন: আপনি অনেক জায়গায় ঘুরেছেন.... আমি ২দিন ছিলাম পোখারাতে..
হিমালয় কি দেখাযায় পোখারা হতে???
আমি তো জানি অণ`পূনা ১,২,৩,৪ আর ফিসটেল দেখা যায় সারংগট হতে ...
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৭
হাসান মাহমুদ তানভির বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার প্রশ্নের জন্য। ব্যাপারটা খুলে বলা যাক। হিমালয় আসলে কোন পর্বতের নাম নয় – হিমালয় পর্বতমালার নাম। হিমালয় রেঞ্জ এর আয়তন ২৪০০ কিঃমিঃ এবং এর ভেতর ১০০ এর বেশি পর্বত আছে যার উচ্চতা ৭০০০ মিটারের বেশি। সর্বচ্চ পর্বত মাউন্ট এভারেস্ট (উচ্চতা ৮৮৫০ মিটার {২৯০৩৫ ফিট}) হিমালয় রেঞ্জ এর অন্তর্গত। পৃথিবীর সর্বচ্চ পর্বত গুলোর ১০ টির ভেতর ৯ টি ই হিমালয় রেঞ্জ এর ভেতর অবস্থিত । (২য় সর্বচ্চ পর্বত k2 ছাড়া) এই বিশাল দানব এর রেঞ্জ ৫ টি দেশে পা দিয়ে আছে – নেপাল, ভারত, পাকিস্তান/চায়না ও তিব্বত।
১৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১০
নতুন বলেছেন: হুম বুঝলাম....
১৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৫
হাসান মাহমুদ তানভির বলেছেন: বলা বাহুল্য, ভারত, নেপাল ও ভুটান -হিমালয় রেঞ্জ এর মুল অংশ ধারন করে আছে। আপনাকে ধন্যবাদ।
১৬| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:১৮
মাহবু১৫৪ বলেছেন: অনেক ভাল লাগলো পড়ে
দারূণ অভিজ্ঞতা হয়েছে আপনার
++++
প্রিয়তে নিলাম পোস্ট
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৬
হাসান মাহমুদ তানভির বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। হ্যাঁ ভাই এক অভিজ্ঞতা হল বটে। আর ইচ্ছে করে ট্র্যাভেল এজেন্ট ধরি নি। তাতে ঘুরতে যেমন পেরেছি, ঠেকে ঠেকে শিখেছিও।
১৭| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৭
ঝড়ো হাওয়া বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট। সহজ কথায় এক পোষ্টে নেপাল ভ্রমন শেষ!
আপনি কি মটর সাইকেল ভাড়া নিয়ে ঘুরেছেন?
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৯
হাসান মাহমুদ তানভির বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আর হ্যাঁ। ঠিক ধরেছেন। মটর সাইকেল নিয়ে ঘুরেছিলাম। ওখানে ভাড়া পাওয়া যায়। আপনি কি চালাতে পারেন?
১৮| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৫
গেন্দু মিয়া বলেছেন: কাঁধে গিটার নিয়ে মোটরসাইকেলে চেপে একটি নতুন দেশ দেখা - তাও আবার প্রথমবারের মতো দেশের বাইরে পা রেখে... অসাধারন এক বোহেমিয়ান অভিজ্ঞতা। ছবি দেখে আর বর্ননা পড়ে রীতিমত হিংসে হচ্ছে।
লেখার জন্য ধন্যবাদ। আপনার চোখ দিয়ে যেন আমিও দেখে নিলাম একটা নতুন দেশ!
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৬
হাসান মাহমুদ তানভির বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যর জন্য। ভালো লাগলো। সত্যিই এ ছিলো অন্যরকম এক অভিজ্ঞতা।
১৯| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪২
সুমন ধ্রুব বলেছেন: জোশ!!!
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৫
হাসান মাহমুদ তানভির বলেছেন: ধন্যবাদ
২০| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৮
ভ্রমনবিলাসী বালক বলেছেন: আমরা এক গ্রুপ ফ্রেন্ড সড়কপথে যেতে চায়।আপনার প্লেন ভাড়া সহ ১৯০০০ হলে আমরা কি ১০-১২০০০ এর মদ্যে কাভার করতে পারব????
২১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৯
হাসান মাহমুদ তানভির বলেছেন: আসলে ভাই ১৯০০০ হাজার হলো প্লেন ফেয়ার। আর আমি সাথে নিয়েছিলাম ৪০০ ডলার। আপনি দল বেধে গেলে একেকজনের ভাড়া + ২৫০-৩০০ ডলার নিলে হয়ে যাবে। (কেনা কাটা ছাড়া)
২২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৫
রাজীব বলেছেন: অনেক সুন্দর লেখা, খুব ভালো লাগলো। প্রিয়তে রাখলাম। নেপাল ভ্রমনের সময়ে কাজে লাগবে।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৩
হাসান মাহমুদ তানভির বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রাজিব। যাবার আগে জানাবেন। আশা করি আরো কিছু তথ্য দিতে পারবো।
২৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৪
ভ্রমনবিলাসী বালক বলেছেন: "এছাড়াও পোখারাতে আছে স্রোতস্বিনী নদীর ফেনিল-শুভ্র জলে রাফটিংয়ের অ্যাডভেঞ্চার। যারা আরও সাহসী তাদের জন্য আছে প্যারাগ্লাইডিংয়ের সুযোগ। ১০০০ টাকা দিয়ে আকাশ থেকে ঝাপিয়ে পড়তে পারবেন।"
আমি গুগল করে যা পেলাম $100/65€ লাগবে।
Click This Link
Click This Link
এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানালে ভাল হয়।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৮
হাসান মাহমুদ তানভির বলেছেন: ১০০ ডলার নিয়েছে কারন তারা এজেন্ট এর মাধ্যমে গিয়েছে। আপনি সরাসরি পেরাগ্লাইডিং কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করবেন – এবং বারগেইন ও করবেন। নেপালে কোন কিছুই আমি ফিক্স প্রাইস পাইনি।
২৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১১
েবনিটগ বলেছেন: casino তে গিয়েছিলেন?
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৭
হাসান মাহমুদ তানভির বলেছেন: ভাই আমি কেসিনো থেকে একটু দুরে থাকি।
২৫| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সুন্দর পোস্ট
২৬| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৪
কাউসার রুশো বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম। যাওয়ার সময় কাজে দিবে
২৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৫৬
হাসান মাহমুদ তানভির বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।
২৮| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৭:১২
দুর্বার ফখরুল বলেছেন: ভাই অনেক বেশী ভাল লাগল। যাব ইনশাহল্লাহ। আপনি কতদিন ছিলেন, কয়টা জায়গা ঘুরেছেন, কত টাকা খরছ হয়েছে? একটু জানান। ধন্যবাদ।
২৯| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:১৪
হাসান মাহমুদ তানভির বলেছেন: শুনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে। আমি ছিলাম ৯ দিন। জায়গা যা ঘুরেছি বর্ননা তে পেয়ে যাবেন। কাঠমন্ডুর ৩ টি জায়গা, আর বাকি সব পোখারার। ফিউয়া লেক, ব্যাগনাস লেক, সারাং কোট, ওয়ার্ল্ড পিস প্যাগোডা, ডেভিস ফলস, ব্যাট কেইভ/ মাহেন্দ্র নাথ কেইভ, সেটী রিভার ইত্যাদি, জায়গা আপনার মিস হবে না। এটা টুরিস্ট কান্ট্রি। হোটেল থেকেই আপনাকে হেল্প করবে। আর ম্যাপ কিনে নেবেন। খরচ হয়েছে - প্লেন ভাড়া ১৯০০০ + ৪০০ ডলার। তবে বেশী কেনা কাটার ইচ্ছে থাকলে আরো নেয়া উচিত। আর শেষ পর্ব টা পড়ে নেবেন।
৩০| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৫১
রাবেয়া রব্বানি বলেছেন: যাওয়ার প্লান করছি। পোষ্টটা প্রিয়তে নিচ্ছি
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:১০
হাসান মাহমুদ তানভির বলেছেন: ধন্যবাদ। যাবার আগে জানাবেন।
৩১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৫১
রাবেয়া রব্বানি বলেছেন: যাওয়ার প্লান করছি। পোষ্টটা প্রিয়তে নিচ্ছি
৩২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৪৬
গৃহ বন্দিনী বলেছেন: নেপাল যেতে ইচ্ছা করে শুধু মাত্র প্যারাগ্লাইডিং আর একবার হিমালয়টা খুব কাছ থেকে দেখব বলে ।
হেলিকপ্টারে চড়ে এভারেস্টসহ বিভিন্ন পর্বতশৃঙ্গের কাছাকাছি চলে যেতে পারেন। এক ঘণ্টার মাউন্টেন ফ্লাইটে অন্তত দশটি পর্বতশৃঙ্গের পাশ দিয়ে উড়ে আসবেন।
এটাতে খরচপাতি কেমন বলতে পারেন?
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৫০
হাসান মাহমুদ তানভির বলেছেন: প্রায় ২ লাখ টাকা লাগবে যদি একা হেলিকপ্টার টুর দেন প্রতি ঘন্টায়। ধন্যবাদ।
৩৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২৮
এ.এস.এম.মনজু বলেছেন: এক কথায় অসাধারন ।
৩৪| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:০৭
হাসান মাহমুদ তানভির বলেছেন: ধন্যবাদ
৩৫| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:১২
রাব্বি ! বলেছেন: চমতকার ছবিগুলি
৩৬| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৩৪
হতাশ নািবক বলেছেন: ছাত্র অবস্থায় শিক্ষাসফরে '৯৬ সালে কাঠমুন্ডু গিয়েছিলাম , তখন সময় অভাবে পোখরা যাওয়া হয়নাই, আপনার বর্ননা দেখে মন টা আবার চনমন করে উঠল ।
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৭
হাসান মাহমুদ তানভির বলেছেন: পোখারাকে নেপালের রানি বলা হয়। ঘুরে আসুন। মন খুব ভালো হয়ে যাবে।
৩৭| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:০০
কেএসরথি বলেছেন: সুন্দর দেশ। বাড়ীর কাছের নেপালে এখনও যাওয়া হয়নি।
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৫
হাসান মাহমুদ তানভির বলেছেন: কোথায় আপনার বাড়ি? ঘুরে আসুন। ভালো লাগবে। ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
৩৮| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৮
৩৯| ০৮ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:১০
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: অক্টোবারে যাবার প্ল্যান ছিল...যাওয়া হয় নি...সামনে যাব আশাকরি।
চমৎকার লেখা ভাল লাগলো।
০৯ ই মে, ২০১৪ রাত ১:৩৭
হাসান মাহমুদ তানভির বলেছেন: সামনে কিন্তু আরেক অক্টোবর চলে আসছে। ঘুরে আসুন। ভালো লাগবে। অনেক ধন্যবাদ।
৪০| ০৯ ই মে, ২০১৪ রাত ৩:০২
অফ দ্যা পিপল, বাই দা পিপল, ফর দা পিপল বলেছেন: বিয়ার পর যাওনের ইচ্ছা আছে
১১ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৫৯
হাসান মাহমুদ তানভির বলেছেন:
৪১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:০৬
বুবলা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার সুন্দর দেশের সুন্দর ভ্রমন বর্ননার জন্য, আমি ভাবছি একবার নেপাল এ যাব, সেজন্য কতগুলো বিষয় জানার আছে আপনি কি আপনার ফেসবুক আইডি বা স্কাইপে আইডি বা জিমেল (মেল আইডি) টা দেবেন? আমার আইডি হল [email protected]
১৬ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৬
হাসান মাহমুদ তানভির বলেছেন: দুঃখিত দেরি করার জন্য। আহ। এখন আর গিয়ে করবেন? ভূমিকম্প হল কিছুদিন আগে। তবে ভুটান যেতে পারেন।
৪২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৫ রাত ১:৩৪
হাসান মাহমুদ তানভির বলেছেন: আমার ফেইসবুক view this link
৪৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫১
ভবোঘুরে বাউল বলেছেন: অসাধারণ লেগেছে লেখাটা। খুব শীঘ্রই যাব নেপাল। আপনার বর্ণনা অনেক কাজে আসবে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
১২ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:২৯
হাসান মাহমুদ তানভির বলেছেন: অনেক দেরি হয়ে গেলো। ঘুরে এসেছেন? যাই হোক দেরিতে হলেও আপনাকে ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৩৫
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ছবি , বর্ণনা অনেক ভাল লাগল ।
প্রিয়তে নিলাম ।
ভাল থাকুন ভাই ।