নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বিপ্লবী ধারায় লিখতে পছন্দ করি।

গিলগামেশের দরবার

সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র গবেষক (দক্ষিণ চীন সাগর)

গিলগামেশের দরবার › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বাধীনতা দাও

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৩:৪৮


জুঁজুঁর ভয়ে তো তোমার রাষ্ট্রযন্ত্র ছুঁড়ে ফেলেছে বিপ্লবীর মরা লাশ-
কাঁধের ভাঙা হাড় দিয়ে বানিয়েছে ড্রামের স্টিক-
চুল গুলো বেনী করা। জাদুঘরে রেখে বাচ্চাদের ভয় দেখাচ্ছে কিউরেটর,
ফরমালিনে বাঁচিয়ে রাখা ত্বক তোমাদের বিনোদন দেয়,
বিপ্লবীর দেহ ভষ্ম তোমরা উড়িয়ে দিয়েছিলে,
উড়িয়ে দিয়েছিলে, ভারত সাগরের আন্দামানে-
ঐ বহুদুর। মরা বিপ্লবী উঠে আসে না।

তোমাদের বাচ্চাদের পাঠ্যপুস্তকে আমার বিপ্লব উঠবে না,
উঠবে না কোন মরা বিপ্লবীর জুতোর ছবি, চোখ দেখা আয়না-
নষ্ট সোয়েটার, পানি খাওয়া বোতল, জুতোর ফিতা-
স্বপ্নের ক্যানভাস অথবা মনে মনে আঁকানো কোন জাতীয় পতাকা।

একদিন সব শেষ হয়ে যাবে। তোমাদের এই সভ্যতা, কিছু দাঁতের মাজন,
বুক জুড়ে হাহাকার করা ঐ সব সেনা চৌকি, বুলেটের দাগ
কামানের গোলা, সাইলেন্সার লাগানো পিস্তল সব, সব, সব,
ধ্বংস হয়ে যাবে তোমাদের ঐ দম্ভোক্তি, ভাষণ, রাজনীতি
তোমাদের ভাষায় ছেলে হারানো মায়ের আর্তিও থেমে যাবে
কুকুর গুলো আগের মতো ডাক পাড়বে না,
শিয়াল কষ্ট পাবে না খেতে পেয়ে, হায়েনারা দলছুট হবে,
ধ্বংস শৈলিতে, নিষ্ঠুর কষাঘাতে হারিয়ে যাবে সব রাজ্য সভ্যরা।

কত দিন দাবায়ে রাখবা? কত দিন পারবা?
ওরা মরা শিখে গেছে, মারতেও। তোমাদের বুলেটের শব্দ ওদের গান শোনায়,
যেন কোন ষোড়শির বুকে ফুলে ওঠা আবেগী ভালোবাসা
সপ্তদশী মেয়ের চিবুক, অন্তঃহীন ভালোলাগা, ওদের রাস্তায় নামায়
টিয়ার শেল, ছররা আর রাবার বুলেটের সাথে ওদের প্রেম হয়েছে
গণগ্রেফতার ওদের বোনের বিয়ের উৎসব, মরা লাশ ওদের শক্তি,
হাসপাতালের মুমুর্ষু ওদের মহামিলনের ক্ষেত্র। আবেগ সব ভালোবাসার।

তোমাদের ঐ খেলনা পিস্তল আর বন্দুক নিয়ে তোমরা ফিরে যাও,
স্বাধীনতা দাও! স্বাধীনতা দাও ঐ কাঙ্গালকে তোমরা স্বাধীনতা দাও।


উৎসর্গঃ কাশ্মিরের স্বাধীনতাকামী মানুষদের কে

কবিতাটা লিখেছিলাম কাশ্মিরের জনগনের দুঃখ দুর্দশার কথা চিন্তা করে

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.