![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গর্ভের শিশু কাঁদতে থেমে গেল-
টুপ করে গড়িয়ে পড়ল একফোটা ক্লান্তি,
কনক্রিট বুঝল না, লাল কেন রঙ হয়-
শান্ত ব্যাঙ লাফিয়ে নরক চলে গেল।
ফিনাইলের গন্ধ তেছড়া করে নাকে মুখে,
গন্ধ ছড়াতে ছড়াতে বর্ণহীন। ফুটছিল সব ফুটছিল-
হাড়, মাংস, চামড়া, খুলি, নাভি, মগজ-
কৃষকের গরু, খেতের মোষ, গাছের শুঁয়োপোকা।
স্থেতোস্কোপে শব্দ শোনা যায় না, চিন চিন করে,
হারিকিরি করতে চাওয়া বন্ধুটাও আজ আসেনি,
ভ্যাপসা গরমে মগজের ঘাম টগবগ ফুটছিল,
ক্রিসান্থ্যামামের গন্ধ নাকে আসছে-
শিশু গুলো গন্ধে চুপ হয়ে গেল।
সম্রাটকে বলেছিলাম, চুল বাঁধো।
বেঁধে দাও সকল আত্নার বাঁধন,
একসাথে গোরস্থানে বোনভোজনের কানামাছি-
লাশ গুলো কবরে নামে নি।
শব্দ আমাকে নিশব্দ করে দেয়, প্রেম অথর্ব,
বিষ নেমেছিল পাকস্থলী, বমি হয় নি।
ভুল করে বীরের আত্নহত্যা আমাকে কাঁদাচ্ছিল,
নাকের পানি না গড়িয়ে, শুকানো আর্কটিক।
গর্ভের শিশু ঘুমিয়ে পড়েছে, মা গলে যাচ্ছে-
বাবার শুক্রানু তো আগেই মৃত।
লাশ আমি গুনি নি, সংখ্যা আমার মনে নেই-
প্রেত্নাত্বারা এখনো ফিরে আসে বাড়িতে,
উঠোনে হাতুড় পিটায়, পিড়ি বানায়,
অনাগত কে আগলে রাখার নির্বিষ চেষ্টা।
মা, বাবা, বুড়ো কাকা, আমার ছেলে-
আমার দুই বছরের তুলতুলে গালের ছোট্ট মেয়েটিও বাঁচেনি।
ভষ্মীভূত ছাই দেখে চিনেছিলাম,
মেয়েটা পুতুল নিয়ে খেলা করতো-
ডান ঠোট দিয়ে মায়ের বাঁ গালে চুমু খেতো,
সে গলে পড়ে রয়েছে, আমার উঠোনের ছাইগাদায়।
তেল গুলো নাকি আরো তিক্ত ছিল, যা মাকে পুড়িয়েছিল।
বাবা ছিল বাংকারে গলিত ও মৃত।
ছেলেটাকে পাই নি।
কুকুর ও ছিল না, তাকে খেয়ে বাঁচবে,
কাকেরা নিভৃতে চলে গেছিল, আগুন ঝাপটায়।
ওরা সবাইকে মেরেছিল, আমি দেখেছি,
আমি সাক্ষী,
আমি হিরোশিমা বলছি।
Dedicated To: Dead souls of 1945's #Hiroshima Nuclear Blast.
©somewhere in net ltd.