![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বেগুনী আলোতে দেখেছি রক্তের লাল রং, সেতো কালো-
নিকষ কালো। লেজকাঁটা শিয়ালের গায়ের রং এর মত কালো,
কুঁচকুঁচে কালো বিড়াল, নাক কাঁটা রাইনো, বুড়ো হরিনের সিং,
আমাবস্যার চাঁদের মত কালো দেখাচ্ছিল।
বধ্যভূমিতের শিটকে পড়ে থাকা মৃতের রক্তের রঙ্গের মত নিকষ,
তিন দিনের বাসি মরা লাশের স্তুপের গন্ধের মত কালো।
ওরা যেদিন ইসাপ্রিয়াকে গনধর্ষনে মেরে ফেলেছিল, আমি তার
মরা চেহারার নগ্ন নাভী নীচে দেখে ছিলাম ছোপ ছোপ কালো রক্ত।
প্রতিটা কমরেডের পিঠমোড়া করে বাঁধা উলঙ্গ লাশ গুলোর চোখের ভাষা,
মৃত শিশুর মাটি কামড়ে ধরে থাকা বিলাপ, অবাধ্য বৃদ্ধের কালো দাঁত,
বৃদ্ধার উঠোনের মায়া, ট্রেঞ্চের ভিতর গৃহবধুর লুকানো স্বপ্ন, কুমারি মেয়ের-
অনাহত বধু হবার কাল্পনিক ইচ্ছা, বোমার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত গৃহস্থের সাইকেল,
উদ্বাস্তু শিবিরের ভাতের হাড়ির মধ্যকার লেগে থাকা ভাত, লাল নীল আলোতে-
নেতার বুকের নীচে পেষা বেশ্যার পায়ের পাতা, স্বপ্নের কালো রং এর মতো কালো।
বিপ্লব স্তব্ধ হয়ে গেছিলো। সাথে মরা বিপ্লবীর খুলি উড়ে যাওয়া লাশ ও স্তব্ধ,
মগজ সব সভ্যতার ওজন দরে বিক্রি হয়ে গেছে, বালাচরনের পোড় খাওয়া দেহটাও
বেঁচে আছে কিছু কীট পোকা আর মাকড়, সভ্যতার কানা গলি বিকোচ্ছে-
মহাসাধু নাম নিয়ে বলে বেড়াচ্ছে নষ্ট কালো ধ্বজাধারী স্বাধীনতার কথা।
আমি পারি নি কমরেড, আমি পারিনি। আমার কবিতা তোমার দিতে পারেনি-
কালো সেই স্বাধীনতা। আমি হেরে গেছি।
তোমার লাশ নিয়ে উৎসব করা পঙ্গপালকে আমি থামাতে পারিনি-
আমি তোমাকে ক্রস বন্দুকে আঁকানো স্বাধীনতাকে দিতে পারিনি।
উৎসর্গঃ তামিল স্বাধীনতাকামী বিপ্লবী ভিলুপিল্লাই প্রভাকরনকে
©somewhere in net ltd.