নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বিপ্লবী ধারায় লিখতে পছন্দ করি।

গিলগামেশের দরবার

সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র গবেষক (দক্ষিণ চীন সাগর)

গিলগামেশের দরবার › বিস্তারিত পোস্টঃ

বড়পুকুরিয়ার দেড় লক্ষ টন কয়লা কই গেল?

২৪ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৫৩



সামহোয়্যার ইন বে অফ বেঙ্গল

বিশাল এই কর্মযজ্ঞের মূল হোতা পিয়ংইয়ং ইউনিভার্সিটির পোস্টডক ফেলো তারিকুল ইসলাম। বঙ্গপোসাগরের মাঝখানে ক্রস ড্যাম দিয়ে বানানো ১ স্কোয়ার মাইলের একটা দ্বীপের মুকুটহীন বাদশাহ এই তারিকুল। সারাদিন কয়লা গায়ে মেখে একটা মেশিনের সামনে দাঁড়িয়ে থেকে যে কি করে এটা মাথাতেই ঢোকে না প্রজেক্টের অ্যাকাউন্ট্যান্ট, ইস্পাহানের। আর এত কিছু বোঝার ও দরকার নেই তার, প্রজেক্টের টাকা আর মালামাল ঠিকমত আসছে আর যাচ্ছে কিনা সেটাই তার দেখার দরকার। যাইহোক কিছুদিন থেকে ১০০০০ টনের কার্গো জাহাজে করে দ্বীপে কয়লা আসছে। প্রতিদিন এক জাহাজ করে। এই কয়লা গুলা আগেকার কয়লার মত না একটু পার্থক্য আছে। আগের গুলা ছিল কম কালো আর এইগুলা আবার বেশি কালো। ইস্পাহান যায় এই দ্বীপের বাদশাহ তারিকুল কে রিপোর্ট করতে।
ইস্পাহানঃ স্যার, আজ ও এক জাহাজ কয়লা এসেছে। কয়লা গুলা আগের কয়লা থেকে অনেক বেশিই কালো। আমি এমন কয়লা আগে কখনো দেখি নাই।
তারিকুলঃ গুড, কয়লা তো আসতেই হবে। ওই ব্যাটা কয়লা কালো হবে না তো, চাইনিজদের মত দাঁত কেলানো ফর্সা হবে নাকি? আর তুই কয়লা দেখবিই বা কি করে? বাঙালি জীবদ্দশায় কিচ্ছু চোখে দেখে বলে শুনেছিস? যা ভাগ এইখান থেইক্যা। এইসব বলার জন্য আমার এখানে আর আসবি না। আমি তোর মত কয়লা গুনি না।

লউঞ্চ সাইট চিচিবাউ-৩, বে অফ বেঙ্গল, বাংলাদেশ

আজ নাকিঝাউ-৬৭৫৪ মহাকাশে লউঞ্চ হবে। পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বপ্রথম কয়লাভিত্তিক রকেট এটি। যার পেছনের নায়ক বা ভিলেন যাই বলেন, তিনি আর কেউ না, আমাদের তারিকুল ইসলাম। তার সারাজীবনের লালিত স্বপ্ন, বাংলাদেশের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির কয়লা দিয়ে রকেট উড়াবে। আজ যদি রকেট ঠিকঠাক ওড়ে তাইলে বাংলাদেশ সহ বিশ্বের প্রতিটা পত্রিকার হেডলাইন হবে এই ঘটনা। কাউন্টডাউন শুরু হলো, ১০,৯,৮........ গো।
সাই করে উড়ে যাচ্ছে তারিকুলের কয়লার রকেট, পেটে নিয়ে ১ লক্ষ ৪৬ হাজার টন কয়লা। জ্বালানি কয়লা দাউদাউ করে জ্বলে মহাকাশের দিকে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে রকেটকে। তারিকুলের এতদিনের স্বপ্ন আজ সার্থক হলো। বাংলাদেশ আজ মহাকাশ জিতল নিজস্ব টেকনোলজিতে।

রয়েল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সের নোবেল ডিক্লিয়ারেশন কমিটির বৈঠক

১ম মডারেটরঃ সব কিছু বিবেচনা করে চাইনিজ প্রফেসর ঝাউ উইকি কে এবারের নোবেলের বিজয়ীর মনোনয়নের জন্য সুপারিশ করছি।
২য় মডারেটরঃ হেই প্রফেসর কি করছে?
৩য় মডারেটরঃ প্রফেসর ঝাউ কয়লা থেকে কার্বন এমিশনের ডিক্লাইন ফ্যাক্টর আবিষ্কার করছে। এটা পুরো মানব জাতির জন্য গ্লোবাল ওয়ার্মিং আর ক্লাইমেট চেইঞ্জের একটা চমতকার সমাধান করে দেবে।
৪র্থ মডারেটরঃ হেতি বা* ছিড়েছে। ব্যাটা কয়লার ব্যবহার কমানোর জন্য যতসব ফালতু আবিষ্কার করে কয়লা দিয়ে চলা সব কয়টা বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করার পায়তারা করেছে। ওরে নোবেল দেয়া তো দূরে থাক, চাইনিজ গভর্মেন্টকে বলে উলটাপাল্টা কেসে ফাসায়ে, ফায়ারিং স্কোয়াডে নেবার ব্যবস্থা করতেছি। নেক্সট কার নাম আছে?
২য় মডারেটরঃ আর একজনের নাম আছে। বাড়ি বাংলাদেশে। পিয়ংইয়ং ইউনিভার্সিটির পোস্টডক ফেলো। কয়লা ভিত্তিক রকেট প্রপেল ইঞ্জিন নিয়ে কাজ করত পাগলাডা। এতে জেট ফুয়েলের নির্ভরতা কমিয়ে কয়লা ভিত্তিক রকেট লউঞ্জ প্রোগ্রাম চালু করা যাবে। মহাকাশে রকেট লউঞ্চ করতে খরচ দুই তৃতীয়াংশ কমিয়ে ফেলেছে ব্যাটা।
৪র্থ মডারেটরঃ দারুন কাজ তো। নাসা (NASA) আর ঈসা (ESA) ত দারুন খুশি হবে। গতবছরের চেয়ে সুইডিশ অ্যাকাডেমির ভর্তুকি আরো বাড়িয়ে দেবে তারা।
৩য় মডারেটরঃ কিন্তু পরিবেশ দূষনের ব্যাপার টা?
৪র্থ মডারেটরঃ আরে দূষন-টুষন বলে কিচ্ছু নাই। শোন নাই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট কি কইছে? এই গুলি হইলো গাঞ্জাখোর আর উন্মাদ সায়েন্টিস্টদের মস্তিস্ক প্রসূত ফসল। এইসব বাদ। আমি বাংলাদেশের ঐ বিজ্ঞানী কি যেন নাম? হ্যা হ্যা, তারিকুল ইসলামকে দেবার জন্য বোর্ডকে সুপারিশ করলাম। আমার মনে হয় না এতে কারো দ্বিমত থাকা উচিত, বছর শেষে ভর্তুকি আর প্রজেক্ট পাইতে তাকেই দিতে হবে। বাকিরা কি বলেন?
বিজ্ঞপ্তিতে, এই বোর্ড সর্বসম্মতি ক্রমে ২০১৯ এর পদার্থে নোবেলের চূড়ান্ত বিজয়ী হিসাবে তারিকুল ইসলাম (পিয়ংইয়ং ইউনিভার্সিটি, উত্তর কোরিয়া) নাম ঘোষনা করছে।

পরদিন.......
তিনটা খবর চারিদিকে চাউর হলো। দুইটা আন্তজার্তিক পত্রিকাতে আর একটা বাংলাদেশের জাতীয় পত্রিকাতে।
১. বাংলাদেশের বংশোদ্ভূত উত্তর কোরিয়ার নাগরিক ও পিয়ংইয়ং ইউনিভার্সিটির পোস্টডক ফেলো এই বছর পদার্থে নোবেল জিতেছেন। (আন্তজার্তিক)
২. বঙ্গপোসাগরের এক অজানা দ্বীপ থেকে বাংলাদেশের প্রথম কয়লাভিত্তিক রকেট সফলভাবে মহাকাশে উৎক্ষেপণ। এটি দিয়ে দেশটি নিজস্ব প্রযুক্তিতে মহাকাশ জয় করল। (আন্তজার্তিক)
৩. দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে ১ লক্ষ ৪৬ হাজার টন কয়লা গায়েব, সন্দেহ করা হচ্ছে, গতকাল যে কয়লা ভিত্তিক রকেট লউঞ্চ করা হয়েছে সেখানেই এই কয়লা ব্যবহার করা হয়েছে। (জাতীয়)

রয়েল সুইডিশ অ্যাকাডেমির প্রেসিডেন্ট তারিকুলকে টেলিফোন

প্রেসিডেন্টঃ মিঃ তারিকুল। উই উড লাইক টু ইনফরম য়্যু, দিস ইয়ার সুইডিশ কমিটি অফ ফিজিক্স ডিক্লিয়ার ইওর নেম অ্যাস অ্যান অ্যাওয়ার্ডী অফ নোবেল ইন ফিজিক্স ফর ইওর আউটস্ট্যান্ডিং ইনভেশন অফ কোল রকেট ইঞ্জিন। কনগ্রাচুলেশনস!!!
তারিকুলঃ আরে কি কও মিয়া কিচ্ছু বুঝি না। এখানে মোবাইলে নেটওয়ার্ক পাচ্ছিনা ঠিক মত। আমার স্যাট ফোনের নাম্বার থাকলে কিছুক্ষন পরে ফোন দেও।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:


দিনাজপুরের লোকেরা কাবাব বানাতে নিয়ে গেছে।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:১৩

গিলগামেশের দরবার বলেছেন: মিডিয়া হুদাই কাবাব মে হাড্ডি হতে আইছে..... শেইম ।

২| ২৪ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:৩৩

যবড়জং বলেছেন: এ কয়লায় দাতেঁর মাজনও হয়, পানি পরিষ্কারও হয় ।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:১৭

গিলগামেশের দরবার বলেছেন: দাঁত ও ফর্সা হয় সাথে পানিও গরম হয়। এখন অফিসারদের চেয়ার ও গরম হচ্ছে।

৩| ২৪ শে জুলাই, ২০১৮ ভোর ৬:৩০

নিভৃতেনৈঃশব্দে বলেছেন: হাহাহা I মহাশূন্যিক কর্ম কান্ড করা ছাড়া এতো কয়লা কাকপক্ষি টের পওয়ার আগেই গাপ করে ফেলা মস্ত কামেলিয়াতের ব্যাপার ...এদের সেটা অর্জন করা হয়ে গেছে ! জয় ...(স্যরি স্যরি আর বলবো না ) !

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:১৮

গিলগামেশের দরবার বলেছেন: বললে চাকরি থাকবে না!!!

৪| ২৪ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: প্রশ্ন হলো, ১ লাখ ৪২ হাজার টন কয়লা কীভাবে গায়েব হয়ে গেল? কয়লা কি কর্পুর, যে হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে?
না। এই কয়লা খনি থেকে তোলার পর অন্য কোথাও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
কীভাবে?
সম্ভবত ট্রাকে করে।
আচ্ছা। একটি ট্রাকে ১০ টন কয়লা বহন করা হলে ১ লাখ ৪২ হাজার টন কয়লা সরিয়ে নিতে কতগুলো ট্রাক দরকার? কত সময় দরকার? এই পরিমাণ কয়লা কি রাতারাতি সরিয়ে ফেলা সম্ভব?
একদমই সম্ভব নয়।

তাহলে কয়লা সরানোর এই কাজ চলেছে কত দিন, কত রাত ধরে?
বঙ্গজনতার মনে কি এসব প্রশ্ন জেগেছে? খোদ রিপোর্টারদের মনেও কি জেগেছে?
কে জানে!

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:১৯

গিলগামেশের দরবার বলেছেন: কিভাবে গায়েব হয়েছে সেই প্রসিডিউরই ত লিখলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.