নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বিপ্লবী ধারায় লিখতে পছন্দ করি।

গিলগামেশের দরবার

সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র গবেষক (দক্ষিণ চীন সাগর)

গিলগামেশের দরবার › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্পাই বনাম বায়োলোজিস্ট

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৯



২০০১ সালের ৯/১১ তে লাদেন সাহেব যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে ঠুস করে দুইটা বিমান ক্রাশ করানোর পর পুরো পৃথিবীতে একটা যুদ্ধ অবস্থার সৃষ্টি হয়। যুদ্ধটা কখনোই পদাতিকের ছিল না, বরং ছিল ইন্টেলিজেন্স ওয়্যারফেয়ার। পরবর্তী কিছু মাসে যুক্তরাষ্ট্র কাবুল আর কান্দাহার (তালিবানের দাপ্তরিক রাজধানী ও প্রধান কার্যালয়, মোল্যা ওমর কান্দাহারে থাকতে পছন্দ করতেন) দখল করে। মাত্র ১৯ জন সৈন্য নিয়ে। তার ভিতরে ১৭ জন ছিলেন সি আই এ (CIA) (যুক্তরাষ্ট্রের মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স) এর ফিল্ড অপারেটিভ। এই ১৯ জন অপারেটিভ সম্বলিত অ্যাডভান্স টিমের কাজ ছিল, বি-৫২ থেকে বোমা বর্ষনের পর, যদি গুহা থেকে লাদেন সাহেব বের হন তবে তাকে গ্রেপ্তার বা হত্যা করা। যদিও এই সৈন্যদের যুদ্ধ করার কোন কৃতিত্ব দেয়া যেতে পারে না, যা করার বোমারু বি-৫২ আগে থেকেই করে গেছিলো। পৃথিবীর ইতিহাসে ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজির মুসলিম বাহিনী রাজা লক্ষন সেনের কাছ থেকে বাঙলা দখল করেন ১৭ জন সৈন্য নিয়ে। যুক্তরাষ্ট্র সেই রেকর্ড ভাঙতে পারে নাই।

সেই সময় একশ্রেনির মানুষের কদর খুব বেড়ে গেছিল। যারা এসপিওনাজের জটিল সমীকরন সমাধান করতে পারতেন। বিগ ডাটা অ্যানালাইসিস করতে পারংগম ছিলেন। ট্রেস, ট্রাকিং, নানা রকম ইলেকট্রনিক ডিভাইস, অস্ত্র চালনায় তারা ছিলেন, অদ্বিতীয়। এদেরকে স্পাই বলা হয়। তারা বাস করতেন রঙ্গিন দুনিয়ায়। নারী, অস্ত্র, মাদক, বাগিং, ডিবাগিং, খুন, ঘুষ, ইন্টেলেকচুয়াল মানুষদের কেনা বেচার এক দারুন বাজার তৈরী হয়েছিল গোটা পৃথিবিতে।

ওই সময় থেকে আজ অবধি এই এসপিওনাজ পেশার লোকজনের চাহিদা ছিল ব্যাপক এবং অন্য যে কোন পেশার চেয়ে বেশি পে স্কেল ছিল এই পেশার লোকজনদের। এই পেশাতে জীবনের নিরাপত্তা ছিল খুবই কম। যেকোন সময় যে কোন দিক থেকেই আক্রান্ত হওয়ার ভয় থাকতো।

প্যাচাল বহুত হো গ্যায়া; আব আসল কথায় আসি।

ডিসেম্বর ২০১৯ থেকে COVID-19 ভাইরাস সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এই ঘটনার পর থেকে সম্ভবত আকর্ষনীয় পেশা হিসাবে এই এসপিওনাজ ম্লান হয়ে যাবে। এই পেশাটা তার গ্লামার হারাচ্ছিল, যখন থেকে WikiLeaks এর মিঃ জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ সারা পৃথিবীর অনেক সরকারের গোপন নথিপত্র ফাস করতে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় NSA (যুক্তরাষ্টের আরেক গোয়েন্দা সংস্থা) এর এক দুষ্টু ডাটা অ্যানালিস্ট মিঃ স্নোডেন আরেক বোমা ফাটান যে, যুক্তরাষ্ট্র সরকার সারা বিশ্বের অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ন ব্যাক্তিদের ফোনে আড়ি পেতে তাদের কথা শোনেন। যেটা ছিল কফিনের শেষ কয়েকটি পেরেক, যা যুক্তরাষ্ট্র ও গোটা এসপিওনাজ দুনিয়ার উপর ঠোকা হয়েছিল।

COVID-19 ভাইরাস পরবর্তী বিশ্বের তাবৎ বড় বড় সরকার সম্ভবত হিউম্যান ইন্টেল সংগ্রহে আর এত বাড়াবাড়ি করবে না। অধিকাংশ দেশের গোয়েন্দা সংস্থা তাদের বাজেট কেটে ছোট করে আনবেন এবং এই ছেটে ফেলা বাজেটের বড় অংশই বায়োলোজিস্টদের কে দেয়া হতে পারে; যাতে আরো একটি অজানা রোগ, প্রানী, ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া মানব সভ্যতাকে আঘান হানার আগেই তারা প্রস্তুত থাকতে পারে।

ধারনা করা হচ্ছে, COVID-19 ভাইরাস পরবর্তী বিশ্বে ১/৩ মানুষ তাদের কর্মক্ষেত্রের জবের নিশ্চয়তা নিয়ে সমস্যায় পড়বেন। বায়োলজিস্টরা সম্ভবত সেইফ সাইডে আছে।

কি মনে হয়? তাই নয় কি?

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:১৮

মীর আবুল আল হাসিব বলেছেন: হতে পারে। তবে আমার মনে হয়, আমরা বাঙালিরা এই সমস্যার সবচেয়ে বড় ভিকটিম হবো। কারন বিড়ি না পেলে মাথা নষ্ট হয়ে যাওয়া কাকু মনে হয় আমাদের দেশেই বেশি।

২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:০৮

শের শায়রী বলেছেন: হ্যা বায়োলজিষ্ট এবং ঔষধ শিল্পের সাথে জড়িতরা তখন ব্লু কলারের মর্যদা পাবে।

৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:২০

রাজীব নুর বলেছেন: সোজা আঙ্গুলে ঘি উঠবে না। এবার রাজপথে নামার পালা।

৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৫১

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: বায়োটেকিরা এ আই নিয়ে কাজ করছে। হিউম্যান ইমোশন ডিসাইফার করার জন্য। মানুষের কল্যাণে বড় মার্জিনে কিছু হবে বলে মনে হয় না।

৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৩৪

মা.হাসান বলেছেন: সামুর বাগের কারনে লেখাটা দুবার চলে এসেছে।

২০২১এ মনে হয় নতুন পৃথিবী আমরা দেখতে পাবো যেখানে জিওগ্রাফিকাল বাউন্ডারির বদলে নতুন বাউন্ডারি গড়ে উঠবে।
২০ শতকের শেষের দিকে এবং একুশ শতকের শুরুতে শুধু রাস্ট্রিয় না, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এসপিয়োনাজেরও অনেক গুরুত্ব ছিলো।
বর্তমান রাষ্ট্র ব্যবস্থা যতদিন থাকবে এসপিওনাজের গুরুত্ব ততদিন থাকবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.