![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেফটেন্যান্ট জেনারেল ট্রাকের চাকার নিচে ফেটে যাওয়া দিপালী সাহার হৃদপিন্ডকে যারা ভ্যালেন্টাইন-বেলুন বানিয়ে বেচে দ্যায়, অথবা যাদের শুধুমাত্র শরৎবাবুই কাঁদাতে পারেন, একমাত্র গোপাল ভাঁড়ই হাসাতে পারে- সেই নিথর স্বাভাবিকতায় মৃত মানুষদের ব্যবচ্ছেদ ঘটে এক নীল ক্লিনিকে।
দৃশ্য ১-১: দুইজন (পাকিস্তানি সৈন্য) ঘরে প্রবেশ করলো যেখানে কনের বাসর হবার কথা। বাকিরা রুমের বাহিরে পরিবারের বাকি সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাখলো।
দৃশ্য ২-১: আজকে ছোয়া অনেক উত্তেজিত। ওর স্বপ্নের পুরুষ শহীদ আফ্রিদির খেলা সরাসরি মাঠে দেখতে পারবে।
দৃশ্য ১-২: পরিবারের সবাই বাহির থেকে ভিতরে সৈন্যদের উত্তেজিত স্বরে কথাবার্তা শুনতে পেল এবং শুনতে পেল তাদের ছোট মেয়েটা প্রতিবাদ করার চেষ্টা করছে।
দৃশ্য ২-২: টিকিট জোগার করতে যে কি কষ্ট হয়েছে। ওর বন্ধুরা না থাকলে হয়তো এই টিকিট কখনো পাওয়া সম্ভব হতো না। যদিও টিকিট পাবার কারনে ওর বন্ধুদের একটা অনায্য আবদার রাখতে হয়েছে। এই সব ব্যাপার না। ওর স্বপ্ন পুরুষকে আজকে সামনা সামনা দেখতে পাবে এইটাই বড় কথা।
দৃশ্য ১-৩: রুমের ভিতর চুপচাপ নীরবতা যতক্ষন পর্যন্ত না মেয়েটা চিৎকার করতে করতে নিস্তেজ হয়ে গেল। কিছুক্ষন পর আবার মেয়েটার চিৎকার। তারপর আবার চুপচাপ।
দৃশ্য ২-৩:আম্মা আমার সবুজ টি-শার্টটা কোথায়? চিৎকার করলো ছোয়া ওর আম্মুর উদ্দেশ্যে। কাজের সময় কিছু পাওয়া যায় না। তবে প্লে-কার্ড ওর খুজতে হলো না। আগে থেকেই যত্ন্ব করে রেখে দিয়েছে। গতকাল সারারাত জেগে সে প্লে-কার্ডটা লিখেছে। ফাইনাল এক্সামের আগেও ও এত রাত জাগে নাই যতটা জেগেছে প্লে-কার্ডটা লেখার জন্য।
দৃশ্য ১-৪: কিছুক্ষন পর একজন সৈন্য রুম থেকে বের হয়ে আসলো। তার পোশাক বিধ্বস্ত। সে তার সঙ্গীর দিকে তাকিয়ে অশ্লীল ইঙ্গিত দিয়ে হাসলো।
দৃশ্য ২-৪: মুখে হালকা মেক-আপ ঘসে আংকেলের আমেরিকা থেকে পাঠানো পারফিউম সারা শরীরে মেখে তাড়াতাড়ি নিচে নেমে এল। নীচে বন্ধুরা অপেক্ষা করছে। দেরি হয়ে যাচ্ছে। কখন সে স্ট্যাডিয়ামে পৌছবে সে উত্তেজনায় তার কিছু ভালো লাগছে না।
দৃশ্য ১-৫: অন্য সৈন্য রুমে ঢুকে আগের সৈন্যের জায়গা দখল করলো। একে একে ছয় জন সৈন্য তাদের জায়গা বদল করলো। তারপর ছয়জন দ্রুত স্থান ত্যাগ করলো।
দৃশ্য ২-৫: স্ট্যাডিয়ামে ঢুকে কিছুই ভালো লাগছে না ছোয়ার। কখন আসবে তার স্বপ্ন পুরুষ। ঐ যে ঢুকেছে তার স্বপ্ন পুরুষ। উত্তেজনায় ছোয়ার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাবার মত দশা। সে তার প্লে-কার্ডটা শক্ত করে ধরে বসে থাকলো।
দৃশ্য ১-৬: হতভাগ্য পিতা তার কন্যার সন্ধানে রুমে ঢুকে দেখলো তার মেয়ে বিছানায় অচেতন হয়ে শুয়ে আছে। সারা বিছানা রক্তের বন্যায় ভেসে যাচ্ছে। মেয়েটার সদ্য বিবাহিত জামাই রুমের ফ্লোরে বমির উপর শুয়ে আছে।
দৃশ্য ২-৬: ছোয়া তার প্লে-কার্ডটা উচু করে ধরলো- ‘আফ্রিদি, উইল ইউ ম্যারি মি?’
দৃশ্য ১-এর রেফারেন্সঃ Against Our will by Brownmiller; Page-82.
দৃশ্য২-এর রেফারেন্সঃ ওইদিন খেলার পরের দিনের সমস্ত পত্রিকা। যদিও স্ট্যাডিয়ামে যাবার আগের অংশটুকু আমার কল্পনা।
কার্টেসিঃ Mostafizur Rahman Topu
২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৪৮
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: জামাত শিবির এদেরই বংশধর!
তাই বাংলা যতদিন থাকবে ততদিন জামাত শিবিরের জন্য প্রতিটা দিন ২৮ শে অক্টোবর হওয়া উচিত পুরোপুরি হত্যার ইনডেমনিটি স হকারে!
৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৫১
মতিউর রহমান মিঠু বলেছেন: @উদাসী স্বপ্ন, এভাবে বলা ঠিক না। অল্প বয়সের পাগলামী বলা যায়। তাই বলে বংশধর বলে গালি দেয়া যুক্তিহীন।
৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৫৯
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: @মিঠু সাহেব, আমি পোস্টের ঐ পাকিস্তানী সাপোর্টার নিয়ে কিছু বলি নাই। আমি বলছি এই পাকিস্তানী হারামী যারা৭১ এ নির্যাতন করছে তাদের সাপোর্টার জামাত শিবির বলছি এবং আমি স্পেসিফিকলি এই জামাত শিবির নিধন চাই পুরা বাংলায়
৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:০৩
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: পাকি জাত (পাকি বা পাকি মানসিকতার মানুষের ঔরসে বা গর্ভে জন্ম যার অথবা পাকি প্রেমী) তাদের ব্যাপারে আপোস নাই। তারা নিঃসন্দেহে পাকি-বংশের প্রতিনিধি। অবশ্যই তারা বেজন্মা। পাকিস্তানে কখনো মুক্ত-চিন্তার মানুষের জন্ম সম্ভব নয়।
লেখায় হাজার প্লাস।
৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:০৮
নিঃসঙ্গ আবেগ বলেছেন: oi mayada keda? akhn ki tar bia hoice jante mon chai .
৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:৪৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: জামাত মানেই পাকিস্থানি মোনাফিকের বাচ্চা
৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৩৯
আরিফ নাওগাঁ বলেছেন: পাকিস্তান ফুল দিলেও আমাদের নেওয়া উচিৎ না । আমাদের সবার ওই জাতিকে মন থেকে ঘৃণা করা উচিত।
আমি ঐ ম্যাচ দেখেছিলাম টিভিতে অনেক খারাপ লেগেছিল
৯| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৩
এম হাবিব আহসান বলেছেন: না, পাকিস্তান না
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৩১
আমি শফিক বলছি বলেছেন: লজ্জাজনক হলেও সত্যি যে আমরা খুব দ্রুতই আমাদের অতীত ভুলে গেছি।