![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেফটেন্যান্ট জেনারেল ট্রাকের চাকার নিচে ফেটে যাওয়া দিপালী সাহার হৃদপিন্ডকে যারা ভ্যালেন্টাইন-বেলুন বানিয়ে বেচে দ্যায়, অথবা যাদের শুধুমাত্র শরৎবাবুই কাঁদাতে পারেন, একমাত্র গোপাল ভাঁড়ই হাসাতে পারে- সেই নিথর স্বাভাবিকতায় মৃত মানুষদের ব্যবচ্ছেদ ঘটে এক নীল ক্লিনিকে।
তখন আমার বয়স চোদ্দ,
পূর্ব বাংলার গভর্নর মোনায়েম খানকে শেষ করে দিতে হবে আজ রাতেই।
সন্ধ্যায় যখন শাহজাহান গরু নিয়ে বাসায় ফেরে তখন আমরা তার সঙ্গে মোনায়েম খানের বাড়িতে ঢুকি, মোনায়েম খান তখন ড্রইংরুমে ছিল। ড্রইংরুম খোলা ছিল। রুমের ভেতর পশ্চিম দিকে মুখ করে সোফায় বসা ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী আমজাদ হোসেন এবং তার জামাই জাহাঙ্গীর মোহাম্মদ আদেল আর মাঝখানে মোনায়েম খান।
সে সময় ইন্ডিয়ান স্টেনগানে ফায়ার ওপেন করি। একটা গুলি মোনায়েম খানের বুকে লাগে। আরেকটা গুলি করি চেম্বারে গিয়ে দ্বিতীয় বুলেট আটকে যায়, বুলেট আর বের হয়নি। সেই একটি গুলিতেই মোনায়েম খান প্রাণ হারান। তারপর হ্যান্ড গ্রেনেড চার্জ করি।
আমরা চলে যাওয়ার পর তার বাড়ির নিরাপত্তায় নিয়োজিত এক প্লাটুন আর্মি আকাশের দিকে ফায়ারিং শুরু করে অটোমেটিক রাইফেল দিয়ে। তাদের ফায়ারিংয়ে নিউ ইয়ার উৎসবের আতশবাজির মতো আলোকিত হয়ে গিয়েছিল ঢাকার আকাশ। চারদিকে যেমন ছিল গুলির শব্দ, তেমনি আকাশে ছিল আলোর ঝলকানি।
-মোজাম্মেল খান বীরপ্রতীক
মুক্তিযুদ্ধ কোন রূপকথা ছিলো না....
ধিক সেসব জারজ বাঙালিদের যারা মুক্তিযুদ্ধকে হাস্যরসের বিষয় বানায়। মুক্তিযুদ্ধকে চান্স মনে করে। সেই সব শুকরদের তোয়াজ করে চলি না, তাই আমি খারাপ...
"আমি শুকররে সাথে সহবাসের ফতোয়া অস্বীকার করি"
— শাহবাগ: প্রজন্ম চত্ত্বর
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৯
অর্ক হাসনাত কুয়েটিয়ান বলেছেন: মোজাম্মেল খান বীরপ্রতীক কে স্যালুট।