![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেফটেন্যান্ট জেনারেল ট্রাকের চাকার নিচে ফেটে যাওয়া দিপালী সাহার হৃদপিন্ডকে যারা ভ্যালেন্টাইন-বেলুন বানিয়ে বেচে দ্যায়, অথবা যাদের শুধুমাত্র শরৎবাবুই কাঁদাতে পারেন, একমাত্র গোপাল ভাঁড়ই হাসাতে পারে- সেই নিথর স্বাভাবিকতায় মৃত মানুষদের ব্যবচ্ছেদ ঘটে এক নীল ক্লিনিকে।
১৯৯১ সাল থেকে মোটামুটিভাবে দেশ পরিচালনার নেতৃত্ব নারীদের হাতে ছিল। হয় হাসিনা নতুবা খালেদা। এবার তো হাসিনার মন্ত্রীসভায় শুরুতে স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, শ্রম সবকিছুতেই নারীরা ছিল। কিন্তু তাতে দেশের নারী সমাজের বিড়ম্বনা কমেনি বরং বেড়েছে। এই কিছুদিন আগেই সংসদে দেওয়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী নারী নির্যাতন, নারীর প্রতি সহিংসতা এবং নারী ধর্ষণ বেড়েছে। সংসদে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ৫০ হাজার ৬৯৯টি নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এসময়ে ১২ হাজার ৭৫০ জন নারী ধর্ষিত হয়েছেন। এটি আগের সকল রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গিয়েছে।
আপনি আমি সবাই জানি ধর্ষণ কিংবা নির্যাতনের ঘটনার একটা বড় অংশই আলোর মুখ দেখে না, থানা পর্যন্ত আসে না। পরিবারের ভয়ে, প্রশাসনের ভয়ে, স্থানীয় প্রভাবশালীদের আতঙ্কে অনেকেই আর থানা পুলিশ করেন না। অভিযোগ আছে, এবং আমাদের সবার কাছেই এ সত্য পরিস্কার সরকারি দলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাই এই ধরনের কর্মকান্ডে ব্যাপকভাবে জড়িত এটা বলা বাহুল্য। উভয়ক্ষেত্রে সরকারের সঙ্গে জড়িত থাকায় প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পারেনি। ফলে অপরাধপ্রবণ সরকারি দলের নেতাকর্মীরা অপরাধে জড়াতে উৎসাহিত হয়েছে।
নারী পুরুষ নির্বিশেষে সবার সচেতনতার মাধ্যমই হল এর এক মাত্র প্রতিষেধক ।ধর্ষক কিংবা নির্যাতক বুক ফুলিয়ে, কলার উঁচু করে বীরের বেশে এলাকায় ঘুরে বেড়ায় আর ধর্ষিতার স্থান হয় নির্জন ঘরের কোনে- যদি সে বেচে থাকে! পত্রিকার পাতায়, কলামে কলামে, থানায় পুলিশের ডাইরিতে, আদালতে অসভ্য উকিলের আপত্তিকর জেরায়। একটা মেয়ের জন্যে কেউ নিরাপদ না। শিক্ষক, সহপাঠী, বন্ধু, বয়-ফ্রেন্ড, এলাকার ছেলে, আত্মীয়- পুরুষ, চাচা-মামা-খালু, দুলাভাই কেউ না। কর্মক্ষেত্রে কলিগ, অফিসের বস- সুযোগ পেলেই মিষ্টি হাসি ঝেড়ে নির্যাতকের রূপ ধরতে মুহূর্ত দেরি করেন না। বাসের হেল্পার, ক্যান্টিনবয়, হাসপাতালের ঝাড়ুদার, বাসার দারোয়ান কিংবা অফিসের পিয়ন- ওটার ব্যবহারে কেউ কারো চেয়ে পিছিয়ে থাকতে রাজী নয়।
মেয়েরা কার কাছে বিচার চাইবে? শিক্ষকের কাছে? তারাই তো রুমে ডেকে নিয়ে ছাত্রী ধর্ষণে লিপ্ত। মন্ত্রীদের কাছে? এই দেশের কলেজের মেয়েদের তো তাদের কাছে উপঢৌকন হিসেবেই পাঠানো হয়। শরীরের বিনিময়ে মিলে পার্টিতে পদ কিংবা হলে সিট।
কালকের ঘটনাই ধরা যাক,
আদালত প্রাংগণে চারজন বীরপুরুষ একজন নারীকে নির্দয়ভাবে লাঠিপেটা করছে। রাজশাহীতে কেবলমাত্র বিয়ে করার অপরাধে প্রকাশ্যে পিটিয়ে, জুতার মালা গলায় ঝুলিয়ে ঘোরানো হয়েছে আরেকজন নারীকে। দুটো ঘটনাই ঘটেছে প্রকাশ্যে এবং ঘটিয়েছে সরকারের ক্যাডার বাহিনী। আদালত প্রাংগনে যা ঘটেছে তাকে যদি প্রশ্রয় দেয়া হয় তাহলে বলতে হয় বিশ্বজিতের খুনীদের ফাঁসি দেয়া অবিচার হয়েছে, কারণ তারা তো দলকে খুশি করতেই কাণ্ডটি ঘটিয়েছিলো।
মাননীয় সরকারী দল, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও জামাত-শিবিরের বিরুদ্ধে প্রজন্মের চলমান আন্দোলন একটি আদর্শিক সংগ্রাম। আমাদের দাবি, এখনই জামাত-শিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করুন, তাদের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিন। কিন্তু দয়া করে, আমাদের আদর্শিক আন্দোলন এবং আপনাদের চুড়ান্ত অসভ্যতাকে গুলিয়ে একটি ট্যাবলেট বানিয়ে আমাদের খাওয়ানোর চেষ্টা কইরেন না। প্লিজ, দোহাই লাগে !!
২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৯
তাসজিদ বলেছেন: শেষ কোথায় ?
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১১
অন্তরন্তর বলেছেন:
আদালত প্রাংগনে যা ঘটেছে তাকে যদি প্রশ্রয় দেয়া হয় তাহলে বলতে হয় বিশ্বজিতের খুনীদের ফাঁসি দেয়া অবিচার হয়েছে, কারণ তারা তো দলকে খুশি করতেই কাণ্ডটি ঘটিয়েছিলো।
-- খুব সুন্দর করে লিখেছেন। আমাদের বিবেক জাগ্রত হউক।
খারাপ সবসময় খারাপ, এই খারাপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চালিয়ে
যেতে হবে দল, মত নির্বিশেষে সবাইকে। তাহলে ইনশাল্লাহ একটা পরিবর্তন আসবে দেশে।
আপনার গাযিউল হক সাহেবের লিখায় একটা কমেন্ট করেছিলাম। উত্তর দিলে খুব খুশি হতাম। শুভকামনা।