নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

টুকরো কথা

হিসলা সিবা

লেফটেন্যান্ট জেনারেল ট্রাকের চাকার নিচে ফেটে যাওয়া দিপালী সাহার হৃদপিন্ডকে যারা ভ্যালেন্টাইন-বেলুন বানিয়ে বেচে দ্যায়, অথবা যাদের শুধুমাত্র শরৎবাবুই কাঁদাতে পারেন, একমাত্র গোপাল ভাঁড়ই হাসাতে পারে- সেই নিথর স্বাভাবিকতায় মৃত মানুষদের ব্যবচ্ছেদ ঘটে এক নীল ক্লিনিকে।

হিসলা সিবা › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাকিবের সাথে চৌধুরী জাফরুল্লাহ শারাফাতের তুলনা করা আর মুজিবের সাথে জিয়ার তুলনা করা সমান কথা

২৬ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৫১

...এই ট্রাক ক্যান্টনমেন্টে ঢুকবে না, ক্যাপ্টেন অলি আহমেদ বললেন



মেজর জিয়া গম্ভীর ভাবে জানতে চাইলেন;

"কেন ?"



...স্যার আপনি বুঝতে পারছেন না... এই অস্ত্র ওরা আমাদের ওপর ব্যবহার করবে... আমরা বিদ্রোহ করেছি।



"বাঙালীরা বিদ্রোহ করেছে আমি জানতাম না, ঠিক আছে আমিও তাহলে বিদ্রোহ করলাম"



প্রিয় প্রজন্ম আপনারা কি বাংলাদেশের একজন স্বাধীনতার ঘোষকের গল্প শুনবেন, যিনি নিজ হাতে পাকিস্তানী জাহাজ থেকে কিস্তিতে কিস্তিতে অস্ত্র খালাস করেছেন একাত্তরের পুরো মার্চ জুড়ে, যেই অস্ত্র চালানো হয়েছিলো তারই দেশের মানুষের বুকের ওপর।



বলতে পারেন জিয়ার এখানে কি দোষ। সে কি আর জানতো পাকিস্তানীদের দুরভিসন্ধি।

এমন কথা আপনি বলতেই পারেন, কিন্তু একটু পড়ালেখা করলে জানবেন সত্যটা।



দুই দিন আগে;

১৯৭১ এর ২৪শে মার্চ রাতেই চট্রগ্রাম ক্যান্টনমেন্টে ক্যাপ্টেন রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে কার্যত বিদ্রোহ শুরু হয়। তাঁর আদেশ পেয়ে সীমান্ত ফাঁড়িতে বাঙালি সৈন্যরা অবাঙালি সিপাহিদের নিরস্ত্র ও নিষ্ক্রিয় করে চট্টগ্রামে এসে প্রতিরোধ যুদ্ধে যোগদানের জন্যে প্রস্তুত হয়। তাঁর অধীনে ন্যস্ত সৈনিকরা এম. ভি. সোয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্র খালাসের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। মেজর জিয়াউর রহমান তখনও বিদ্রহের সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় ২০ বালুচ রেজিমেন্ট-এর সৈন্যরা চট্টগ্রামে অবস্থিত ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টার-এর সহস্রাধিক বাঙালি সৈনিক ও অফিসারকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করে।



আরেকটা কথা আপনারা কি জানেন আপনাদের সাধের স্বাধীনতার ঘোষক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে মুক্তিযুদ্ধের সময় এক নাম্বার সেক্তরের সেক্তর কমান্ডার থেকে বহিস্কার করা হয়েছিলো ?



সাকিব আল হাসানের সাথে চৌধুরী জাফরুল্লাহ শারাফাতের তুলনা আর মুজিবের সাথে জিয়ার তুলনা দেয়া সমান কথা। সাকিব যখন ছক্কা হাঁকায় চৌধুরী সাহেব তখন সেটা মানুষকে বলেন। তিনি না বললেও আমরা ঠিকই টেলিভিশনে দেখতাম সাকিবই ছয়টা মেরেছে। আর এই ছক্কার কৃতিত্ব যদি চৌধুরী সাহেব নিতে চান তাহলে সকল রেডিও স্টেশানে কর্মরত ধারাভাষ্যকারদের দিতে হয় এই ক্রেডিট।



মুজিবের ঘোষণা জিয়া যেই রেডিও স্টেশান থেকে পাঠ করেন সেটার রেডিয়াস ছিলো সাড়ে এগারো কিলোমিটার তারমানে সেই বেতার কেন্দ্রের আশেপাশের সাড়ে এগারো কিলোমিটারকে ব্যাসার্ধ ধরে একটা বৃত্ত আঁকলে যতটুকু এলাকা হয় ঠিক ততটুকু এলাকা জুড়ে স্বাধীনতার বার্তা ছড়িয়ে যায়, যদিও তার আগেই একাই বেতার কেন্দ্র থেকে আরও সাতজন একই ঘোষণা পাঠ করেছিলেন। সারা দিন ধরে দেশের আনাচে কানাচে মাইকিং হয়েছে লিফলেট বিলি হয়েছে সবই মেজর সাহেবের ঘুম ভাঙ্গার আগে।



২৬ শে মার্চ দুপুরে প্রথম স্বাধীনবাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত হয় এম এ হান্নানের ভরাট কণ্ঠে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষনা বার্তা। বেলাল মোহাম্মদের তত্ত্বাবধানে আবুল কাশেম সন্দীপ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষনার উল্লেখ করে সাধারণকে উদ্দীপ্ত করার জন্য বিভিন্ন ধরণের বক্তব্য প্রচার করতে থাকেন।





আমি ক্রিকেট ভক্ত না,

তাই বলে খেলোয়াড় হিসেবে সাকিবের সাথে চৌধুরী জাফরুল্লাহ শারাফাতের তুলনা আমি মেনে নিতে পারি না।



আমি মুজিব ভক্ত না,

তাই বলে মুজিবের সাথে জিয়ার মত দেশদ্রোহীর তুলনা আমি করি না।





মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৩:০০

মতিউর রহমান মিঠু বলেছেন: "আমি ক্রিকেট ভক্ত না,
তাই বলে খেলোয়াড় হিসেবে সাকিবের সাথে চৌধুরী জাফরুল্লাহ শারাফাতের তুলনা আমি মেনে নিতে পারি না।

আমি মুজিব ভক্ত না,
তাই বলে মুজিবের সাথে জিয়ার মত দেশদ্রোহীর তুলনা আমি করি না।"

তাইলে আপনি কে?

২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ৮:৫৮

পথহারা সৈকত বলেছেন: জিয়া দেশদ্রোহী .....?????

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.