নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

টুকরো কথা

হিসলা সিবা

লেফটেন্যান্ট জেনারেল ট্রাকের চাকার নিচে ফেটে যাওয়া দিপালী সাহার হৃদপিন্ডকে যারা ভ্যালেন্টাইন-বেলুন বানিয়ে বেচে দ্যায়, অথবা যাদের শুধুমাত্র শরৎবাবুই কাঁদাতে পারেন, একমাত্র গোপাল ভাঁড়ই হাসাতে পারে- সেই নিথর স্বাভাবিকতায় মৃত মানুষদের ব্যবচ্ছেদ ঘটে এক নীল ক্লিনিকে।

হিসলা সিবা › বিস্তারিত পোস্টঃ

“হুমকির মুখে আবারও উত্তপ্ত নিটার ক্যাম্পাস”

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:০৪

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের অধিভুক্ত এবং বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিল’স এসোসিয়েশান (BTMA) দ্বারা পরিচালিত দেশের একমাত্র পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (PPP) শিক্ষা প্রতিষ্ঠান- জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষণা ইন্সটিউট, নিটার' এ স্বেচ্ছাচারী প্রিন্সিপালের পদত্যাগের দাবীতে গড়ে ওঠা স্বতঃস্ফূর্ত ছাত্র আন্দোলনের প্রথম দিনে বিক্ষুব্ধ প্রায় সাড়ে চার শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী অধ্যক্ষকে নিজ কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখে।
অবরুদ্ধ অবস্থায় অধ্যক্ষ তার ওপর দায়েরকৃত সমস্ত অভিযোগ স্বীকার করে নিয়ে পদত্যাগ করেন। প্রায় ৩-৪ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর অধ্যক্ষ পুলিশের সহায়তায় ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে যান তিনি। এরপর থেকে অধ্যক্ষের পদত্যাগ স্থায়ী করণ এবং নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগ সহ ৫ দফা দাবীতে উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করতে থাকে ক্যাম্পাসে।
দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি হিসেবে ছাত্ররা তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে ঢাকা আরিচা মহাসড়কের দুই ধারে শান্তিপূর্ণ অবরোধের সিদ্ধান্ত নেয় এবং সকালে ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জমায়েত হতে থাকে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিল’স এসোসিয়েশান BTMA'এর সভাপতি তপন চৌধুরী ক্যাম্পাসে আসেন এবং ছাত্রদের সাথে মত বিনিময় করেন। তিনি দোষী ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ তদন্তের আশ্বাস দেন এবং ছাত্রদের ক্লাসে ফিরে যেতে বলেন। ছাত্ররা শান্তিপূর্ণ উপায়ে তাঁর কথা মেনে নিয়ে ক্লাসে ফিরে যেতে, চলমান ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষা দিতে এবং ক্যাম্পাসে পুনরায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরির ব্যাপারে সম্মত হয়।

BTMA'এর সভাপতি তপন চৌধুরীর আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলন আপাতত স্থগিত রাখায় সিদ্ধান্ত নেয় ছাত্ররা।

কিন্তু পরদিন অর্থাৎ ৫ জানুয়ারি (সোমবার) পরিস্থিতি বদলে যায়। বর্তমানে ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত থেকেও অধ্যক্ষ ভাড়াটে মাস্তানের সাহায্যে শিক্ষার্থীদের এমনকি কয়েকজন সিনিয়র শিক্ষকদের ফোনে নানাভাবে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন করে ছাত্রদের হল ত্যাগের জন্য উসকানি দেয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ক্যাম্পাসে মারাত্মক অস্থির অবস্থা বিরাজ করছে।


ধারণা করা হচ্ছে অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবির বিটিএমের উপর মহল, বস্ত্র মন্ত্রনালয় সহ নানা জায়গায় তদবিরের পাশাপাশি ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার এই চেষ্টায় লিপ্ত আছেন।

ছাত্রদের সাথে কথা বলে জানা যায় তারা যে কোন মূল্যে পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক এবং তাদের ধারণা এই পরীক্ষাকে বানচাল করে দীর্ঘ মেয়াদে ছাত্রদের ক্ষতি করতে চায় দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবির।

ক্যাম্পাসের অন্যান্য শিক্ষক এবং কর্মচারীদের সাথে কথা বলে জানা যায় যে প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক কার্যকলাপ স্বাভাবিক ভাবেই চলছে এমন অবস্থায় অধ্যক্ষ পরীক্ষা পিছিয়ে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল প্রমাণ করতে চায় অধ্যক্ষ এবং এর মাধ্যমে এই স্বেচ্ছাচারী, অর্থলোভী, অযোগ্য অধ্যক্ষ আবারও ক্যম্পাসে ফিরে এসে তার স্বৈরাচারী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে চায়।

আন্দোলনকারী ছাত্ররা এ প্রসঙ্গে জানায় তারা কিছুতেই তাদের দাবী থেকে সরে আসবে না এবং স্বৈরাচারী অধ্যক্ষকে কোন ভাবেই ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেবে না। যতদিন পর্যন্ত তাদের দাবী আদায় না হবে এই আন্দোলন চলতে থাকবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.