![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছু কিছু মানুষ থাকে যারা কোন ঘটনার উদ্দেশ্য হয়না,বিধেয় হয়না; সকলের অগোচরে মেঠো ইদুরের মত নিজেকে লুকিয়ে বেচে থাকে; এরা শুধুই অবজারভার- কোন অনুভূতি তাদের স্পর্শ করেনা....আমিও নেপথ্য চরিত্র হয়ে যাচ্ছি বহুকাল ধরে। এইতো আমি; বেঁচে আছি নিজের নিয়মে: কাউকে ধরে রাখা বা কোথাও ধরা পড়া_ দুটো সম্ভাবনাই যার পরম শূন্য
চোখ খোলো পাপড়ি, ঠিক সেইভাবে যেভাবে লজ্জাবতীর পাপড়িগুলো ধীরে ধীরে মেলে ধরে নিজেদের;এবার এই চেয়ারটাতে বসো।চুলের বাধন খুলে দাও, ফ্যান ছেড়ে দিচ্ছি, বাতাসে তোমার চুল উড়তে থাকুক; এই দৃশ্যটি দেখবো বলেই না এত আয়োজন!
তুমি তো জানো ডায়েরী লেখাটা আমার প্রিয় অভ্যাস, তোমার-আমার প্রতিটি দিনকে সন্তানতুল্য মমতায় আমি এখানে লিখে রাখি।তবে তুমি বোধহয় জানোনা আমাদের অসংজ্ঞায়িত সম্পর্কের ৪০০তম দিন পূর্ণ হল আজ, আর আমাদের সপ্তাহান্তের সেই বিশেষ খেলাটির ৩৬৫দিন, অর্থাৎ ১বছর।এখনো মনে আছে, সম্পর্কের ৫ম সপ্তাহের শেষ দিনে আমরা এক বিকেলে রিক্সায় ফার্মগেট যাব স্থির করেছিলাম, কিন্তু কোন রিক্সাওয়ালাই সদয় হচ্ছিলনা আমাদের প্রতি। হঠাৎ তুমি কী মনে করে যেন বললে-‘আর ১০মিনিটের মধ্যে আমরা রিক্সা পেয়ে যাব, শুধু তাই নয়, সেই রিক্সাওয়ালাটি লুঙ্গির বদলে ফুলপ্যাণ্ট পড়ে থাকবে।চাইলে যে কোন শর্তসাপেক্ষে তোমার সঙ্গে এ ব্যাপারে বাজী ধরতেও রাজী আছি।"
১৫মিনিটের মধ্যে রিক্সা পেতেই পারি, কিন্তু ফুলপ্যাণ্ট পরিহিত রিক্সাওয়ালা সংক্রান্ত তোমার এই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস আমাকে অবাক করেছিল বইকি, কারণ আমি লক্ষ্য করেছি অধিকাংশ রিক্সাওয়ালারাই লুঙ্গি পরে থাকে। তাই বাজীতে রাজী হয়েছিলাম নির্দ্বিধায়_ সবার মত আমারও বিজয়ী হওয়ার দুর্দমনীয় লোভ, বিশেষত জয়টা যদি হয় তোমার বিরুদ্ধে এবং এর বিপরীতে যে কোন শর্ত দেবার স্বাধীনতায়, তাহলে তো সেই বিজয় বাংলাদেশের অষ্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে দেয়ার চেয়েও বহুগুণে আনন্দময় আমার কাছে; হোক না সেটি রিক্সাওয়ালার পোশাকের মত আপাত গুরুত্বহীন কোন বিষয়ে।
আমি বিজয়ের ব্যাপারে এতটাই নিশ্চিত ছিলাম যে তোমার সেই বাজীর শর্তটি আমিই দিয়ে দিলাম_‘‘যদি সত্যিই এমন হয় তাহলে আগামী ৩ঘণ্টা তোমার যে কোন খেয়ালের খেলোয়াড় হয়ে থাকব, এই সময়টুকুতে তোমার যে কোন কথাই আমার জন্য আদেশ, এমনকি তুমি বললে এই ৩ঘণ্টা বসে বসে ভিক্ষা করতেও আপত্তি নেই।কিন্তু বাজীতে হারলে তোমার ক্ষেত্রেও যে একই কথা প্রযোজ্য হবে এটা বুঝতে পারছো তো?” তুমি কোন কথা না বলে এক অদ্ভুত দৃষ্টিতে আমার চোখের দিকে তাকিয়েছিলে শুধু, এরপর শর্তে তোমার সম্মতি জানানোর খানিকবাদেই রিক্সা পেলাম, আর আশ্চর্যজনকভাবে হেরে গেলাম বাংলা সিনেমার কাকতালীয় ঘটনার মত অবিশ্বাস্যতায়!
তোমার বাজীতে জেতার বহিপ্রকাশ আমার বুকে কাঠ ঠোকরা পাখি হয়ে নিরন্তর ঠুকরে গিয়েছিল পরবর্তী ৩ঘণ্টা, ওহ কী ভয়ানক সে অভিজ্ঞতা: তোমার ব্যাগ আমার কাধে ঝুলিয়েই ক্ষান্ত হলেনা, আমাকে বসতে হলো রিক্সার পাদানীতে গুটিসুটি হয়ে; আশেপাশের রিক্সা থেকে মানুষ কৌতুকপূর্ণ দৃষ্টিতে তাকালেও তোমার দিলে একটুও দয়া হয়নি, উপরন্তু রিক্সা থেকে নেমে আমরা যখন ফাস্ট ফুডের দোকানে ঢুকলাম তুমি নিজের জন্য লাচ্ছির order দিয়ে আমাকে দিলে সিঙ্গারার অর্ধেক, এবং পুরো লাচ্ছির তিন-চতুর্থাংশ শেষ করে বাকি লাচ্ছিটুকুর সঙ্গে পানি মিশিয়ে দিলে আমাকে খেতে। এরপর দোকান থেকে বের হয়ে তোমার নির্দেশমত একপায়ের জুতা খুলে হাতে নিয়ে আমাকে তোমার সঙ্গে হাটতে হয়েছিল বাকি সময়টুকু। খালি পায়ে হাটার একটা ভাব আছে, কিন্তু একপায়ে জুতা পড়ে হাটাটা যে কেমন অস্বস্তিকর তা কিভাবে বোঝাই!
সেই থেকে শুরু, এরপর প্রতি সপ্তাহের শেষ দিনটিতে ঐ একই শর্তে আমরা বাজী ধরতাম,যথারীতি আমার হার হত,আর তোমার বিচিত্র সব খেয়ালের বলি হতে হত ৩ঘণ্টা যাবৎ। বাজীতে জেতার মুহুর্ত থেকে তুমি হয়ে যেতে অচেনা কেউ_ কখনো আমাকে প্রখর রোদের মধ্যে স্ট্যাচু অব লিবার্টির ঢঙে দাড় করিয়ে রেখেছো, মাঝে মাঝে জেতার পর ৩ঘণ্টা নিজের জন্য রেখে দিয়েছো অন্যসময় ব্যবহার করবে বলে,কখনোবা বলাকা হলের সামনে পুরনো বই বিক্রি করিয়েছো, এমনকি ধানমণ্ডি লেকের পাড়ে ভিক্ষাও করিয়েছো; কী বাদ রেখেছো তুমি! জানো, আমার একসময় প্রচণ্ড জেদ চেপে গিয়েছিল, জিততে হবেই যে কোন মুল্যে, তাইতো এই খেলাতে তোমার চেয়ে আমার আগ্রহই বেশি; মনে দৃঢ় বিশ্বাস ছিল একদিন জিতবোই, আর সেইদিন আমার সব অপদস্থতার শোধ তুলব। বিশ্বাস করো, প্রতিটি হারের রাত্রিতে আমি পরিকল্পনা করেছি সেই কাঙ্ক্ষিত ৩ঘণ্টা নিয়ে। অবশেষে গতকাল তুমি হারলে; ইচ্ছে হচ্ছিল তখনই মনের ভেতর পুষে রাখা ইচ্ছাটা বাস্তবায়ন করি, কিন্তু মনে মনে হিসাব কষে দেখলাম আজ সেই খেলাটির ১বছর পুর্ণ হয়; তাইতো গতকালকের অব্যবহৃত ৩ঘণ্টা উশুলের জন্য তোমাকে আমার ফ্ল্যাটে ডেকে এনেছি। তুমি ভাবতেও পারবেনা কী খেলা আজ খেলব তোমার সাথে_ গত ৫১টি সপ্তাহ আমাকে বলতে গেলে রীতিমত কাঁঠাল পাতা খাইয়েছো যত্রতত্র, আমার আজকের এই ৩ঘণ্টার খেলা তোমাকে আজীবন মনে রাখতে হবে পাপড়িমণি; ভালোবাসা মনকে কেবল উদারই করেনা, কখনো কখনো হিংস্রও করতে পারে।তোমার চোখ বলছে তুমি ভয় পাচ্ছো, তাইতো এই AC room এও ঘামছো।
এই মেয়ে, ট্যিসু পেপার ব্যাগেই রাখো;এই ঘামকে ঝরে যেতে দাও, ভালোবাসা দিয়ে এই ঘামকে কিনে নেব আমি।হ্যা, আমার খেলা এখনই শুরু হবে;তার আগে প্রাথমিক কিছু শর্তের কথা বলি_ আগামী ৩ঘণ্টা তুমি মুখে কোন শব্দ উচ্চারণ করতে পারবেনা, এমনকি চেয়ার ছেড়েও উঠতে পারবেনা, কোনকিছু বলার প্রয়োজন হলে ইশারায় বলবে, আর বাকিটুকু আমি তোমার মুখভঙ্গি থেকে বুঝে নেব। বলতে পারো, এটা আমার জন্যও একটা পরীক্ষার মত; তোমাকে কতটুকু অনুভব করতে পারি সেই পরীক্ষা। একমিনিট বসো; পাশের রুম থেকে কিছু জিনিসপত্র নিয়ে আসি।
শুরুতেই এই অফসেট কাগজ দুটি আর কলমটি ধরো, আগেই বলেছি কোন কথা বলতে পারবেনা; কেবল আমার কথামত কাজ করে যাবে, খেলা কিন্তু শুরু হয়ে গেছে।
আমার মনে হয় তোমাকে এভাবে বিভ্রান্তির মধ্যে রাখলে খেলার মুল উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে। তাই তোমাকে সংক্ষেপে আমার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলি_ আমি আসলে তোমাকে খেলার ছলে লেখালিখির চিরায়ত বর্ণিল-স্বপ্নিল ভুবনে নিমন্ত্রণ জানাতে চাইছি; আমি কোন দেশবরেণ্য লেখক নই, কোনদিন হব এমন সম্ভাবনাও বাংলাদেশের ফুটবল বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়ার সমান। তবুও আমি লিখি প্রাণের তাগিদে, একটি বিষয়কে নিজের মত করে বিশ্লেষণ-উপস্থাপনের অভিপ্রায়ে, আর সেকারণেই তোমাকে এই ভুবনে আমার এত প্রয়োজন_ এখানে আমি এক নিঃসঙ্গ পানকৌড়ি; তাড়নায় নয়, প্রেরণার জন্য হলেও কাউকে আকড়ে ধরতে চাই ভেসে থাকতে।আমি জানি, লেখার ব্যাপারে তোমার মধ্যে নিদারুণ এক ভীতি কাজ করে, তবুও বলছি, একবার শুধু সাহস করে কাগজ-কলম নিয়ে বসে মিনিটখানেক কাটিয়ে দিলেই দেখবে এর মত আনন্দদায়ক কাজ পৃথিবীতে খুব কমই আছে। তাছাড়া, তুমি যে কখনই আর একজন হেলেন কেলার দুরে থাক, নিদেনপক্ষে অরুন্ধতী রায়-ঝুম্পা লাহিড়ীও হতে পারবেনা তাতো নিশ্চিত; সুতরাং তোমার সঙ্কোচ কিসের?আমাদের লেখালেখি শুধুমাত্র আমাদের নিজস্ব অনুভুতির খণ্ড খণ্ড মেঘ; আজ নাহয় খেলার ছলেই একে বৃষ্টি হয়ে ঝরতে দাও, যেভাবে আমরা হাত ধরাধরি করে বৃষ্টিতে ভিজেছিলাম ফুলার রোডের এক সান্ধ্যবিকেলে।
চিন্তার কিছু নেই ম্যাডাম, তুমি বুঝতেও পারবেনা কখন-কিভাবে একটি লেখার কাঠামো দাড়িয়ে যাবে তোমারই অজান্তে। তুমি শুধু আমার নির্দেশনাগুলো পালন কর। তোমার সামনের টেবিলটিতে আপাত অপ্রয়োজনীয় যে জিনিসগুলো রাখা আছে এগুলোই তোমার লেখায় সঞ্চালকের ভুমিকা পালন করবে। এখন আমি এগুলোকে একটি একটি করে টেবিল থেকে তুলবো, তোমার কাজ হবে প্রত্যেকটি জিনিসের সাথে সঙ্গতিপুর্ণ একটি শব্দ অফসেট কাগজের সর্ববামে লেখা। এই যে, তুমি আবার ঘামছো!আরে, এটাও তো আমাদের সেই কাছাকাছি হওয়া খেলারই অংশ। চেয়ে দেখ, তোমার জন্য চা-বিস্কুট-পানির বোতল সবই নিয়ে এসেছি; তাড়াহুড়োর কিছু নেই, ভয তো নয়ই।
প্রথমেই টেবিল থেকে চিঠি লেখার একটি খাম তুলে নিলাম। তুমি এর রঙটি লিখো কাগজের সর্ববামে। দেখতেই তো পাচ্ছো এর রঙ “নীল”।
আমার হাতে এখন একটা প্যারাসুট নারিকেল তেলের বোতল।আগের লেখা শব্দটির দেড়ইঞ্চি নিচে এই তেলের গন্ধসূচক একটি শব্দ লিখো।ধরে নিচ্ছি, তুমি লিখলে “সুগন্ধি”।
তোমার হাতটা একটু বাড়াও তো, এইতো হাতভর্তি লালচুড়ির টুংটাং আওয়াজ সমগ্র রুমটিতে যেন জলতরঙ্গ সৃষ্টি করেছে। গতবৈশাখী মেলায় এই চুড়িগুলো কিনে দিয়েছিলাম; তোমার সাথে কেনাকাটা করতে যাওযার চেয়ে বঙ্গবাজারে দিনভর জ্যামে আটকে থাকাও অনেক তৃপ্তিকর_ এত চুজি হয় মানুষ!ভাবতে অবাকই লাগে, আমার মত এক ৬৭শতাংশ উন্মাদ মানুষকে তুমি পছন্দ করেছো!অবশ্য, সেই বৈশাখী মেলায় লালশাড়ি-লালচুড়ি-লালটিপে তোমাকে দেখে ছেলেগুলোর কেমন হিংসা হচ্ছিল তা আমি ভালোই বুঝতে পারছিলাম; কারণ তুমি আসার আগে আমিও এভাবেই উদ্দেশ্যহীন ঘুরে বেড়াতাম মেলা দিয়ে, আর রঙিন কপোতীদেরকে সাদাকালো কপোতদের বাহুলগ্না হতে দেখে দেখে মনে মনে “beauty with dirty” স্তবক আউড়াতাম।
এই যাহ,খেলার মাঝখানে অপ্রাসঙ্গিক কথা বলা শুরু করে দিয়েছি; এবারের মত মাফ চাই প্রিয় “perfect number”, আমার।প্রেয়সী-প্রিয়তমা শব্দগুলোকে জীর্ণ-সংকীর্ণ মনে হয়, তাই তুমি আমার শুধুই “perfect number”, এই সংক্রান্ত ব্যাখ্যাটা তোমার ভাল লাগতে পারে: দেখ ৬, ২৮, ৪৯৬, ৮১২৮....এরকম বেশকিছু সংখ্যা আছে গণিতের ভাষায় যাদেরকে বলা হয় “perfect number”। উদাহরণস্বরূপ ২৮; এর উৎপাদকগুলো হচ্ছে ১,২,৪,৭,১৪...এগুলো যোগ করে দেখ যোগফল সেই ২৮-ই হবে।অনুরূপভাবে, কোন মানুষের প্রতিইঞ্চি অনুভবের সমষ্টি যদি আর একটি ভিন্ন মানুষের জন্য নির্ধারিত হয়,এবং অনুভবগুলোকে একেকেটি সংখ্যা ধরা হয়, সেক্ষেত্রে “ভিন্ন মানুষটিকে” “perfect number”বলাটাই সঙ্গত মনে করি; “প্রেয়সী” কি পারবে ভাবনাকে এত গভীরে ভাবাতে?যাইহোক, খেলায় ফিরে আসি। তোমার এই চুড়ির “shape”এর সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ একটি শব্দ লিখো।
হুম, আমি মনে হয় তোমাকে বেশ ভালোই অনুভব করতে পারি প্রশ্বাসের মত করে; তাই জানতাম তুমি “বৃত্ত”-ই লিখবে।
এবার মুখটা তুলে আমার চোখের চশমাটা খেযাল করো।তুমি যেটা করবে তা হলো চশমার একটি প্রায়োগিক শব্দ লিখবে।
বাহ, “দৃষ্টি” লিখেছো!তোমার শব্দচয়নে মুগ্ধ হচ্ছি, বারেবারে কেবলই মনে হচ্ছে তোমার এই “তুমি”টা তোমার নিজেরও অচেনা ছিল এতকাল।
ওহো, তোমাকে তো বলা হয়নি, কাল রাতে ব্রতী আপুকে ফোন করেছিলাম জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে। তুমি করনি কেন?আপুটাকে আমার ব্যাপক লাগে; অসম প্রেমের প্রতি আমার প্রবল আগ্রহটা তোমার কারণেই আর আলোর মুখ দেখতে পেলনা, নয়তো আপুর খবরই ছিল, হা হা হা। আচ্ছা, ব্রতী আপুর জন্য যথার্থ একটি শব্দ লিখতো।ওরে বাপস, একেবারে “প্রতিভা” লিখে ফেললে?
হাসছি কেন জানো?আমি এখন, তোমাকে পাঠানো আমার প্রথম sms টা পড়ছি। কেমন ভোম্বল যে ছিলাম, এত কাকুতি-মিনতি করে লেখা smsপড়ে তুমি নিশ্চয়ই আমার চেয়েও বেশি হেসেছিলে সেসময়; তোমার এখনকার এই মুচকি হাসি অবশ্য আমার বক্তব্যকেই সমর্থন করছে।তো,আমার সেই “হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান এন্ডারসনের” কদাকার চেহারার মত sms পড়ে তোমার মনে সৃষ্ট অনুভূতিকে একশব্দে লিখো দেখি।
What a melancholy joke!তুমি “প্রার্থিত” লিখলে! এটা কি অবাধ-স্বচ্ছ অনুভূতির প্রকাশ, নাকি নিতান্তই মনরক্ষার জন্য লেখা?
ধুত্তরি, এইসময় তোমাকে আবার ফোন করে কে?একদম নড়বেনা, ফোনও রিসিভ করবেনা, নিয়ম নিয়মই।রাগ করোনা পাপড়িমণি, দেখো তুমি-আমি এইমুহূর্তে এক অপার্থিব সত্তা হয়ে উঠেছি, ফোনের অনুপ্রবেশের মাধ্যমে সেই সত্তার abstractness কে কিছুতেই ক্ষুণ্ন হতে দেয়া চলবেনা।সুতরাং ফোন বন্ধ কর।যা বলছিলাম, তোমার ফোনের রিঙটোনকে একটি শব্দে প্রকাশ কর।আ্যা, এটা কী লিখলে?তোমার রিংটোন “ছন্দোময়”?লেখ তোমার যা খুশি,তাতে কাকের রঙ যদি হলুদও লেখ তা-ই সই; আপাতত শব্দসংগ্রহই আমাদের মূখ্য উদ্দেশ্য।
একমিনিট, আজকে পেপারের বিনোদন পাতাটি পড়েছো?’দ্য লাস্ট ঠাকুর” সিনেমার উপরে একটা ফিচার লিখেছে, অনেক প্রশংসিত হয়েছে দেখলাম। যদিও প্রশংসিত চলচ্চিত্রের ব্যাপারে আমার ব্যক্তিগত অভিমত ততটা উৎসাহব্যঞ্জক নয়, তবুও এটি আমরা দেখবো স্টার সিনে কমপ্লেক্সের পর্দায় পাশাপাশি বসে।এ নিয়ে পরে বিস্তারিত কথা হবে; আপাতত খবরের কাগজের প্রতি তোমার মনোভাব লিখো।
বাহ, “আস্থা” শব্দটি সার্বিক বিবেচনায়ই ওজনে ভারী।তুমিই পারবে।ভালোবাসতে মনকে প্রশান্ত মহাসাগরের ঢেউ গুণতে শেখাতে হয়; তোমার মত যাদের মনের প্রতিকোণে সেই ঢেউয়ের নামতা লেখা আছে, তাদের হাতে লেখা
আসবেই।
ভালো কথা, তুমি কি “Next” মুভিটা দেখেছো?তুমি হ্যা সূচক মাথা নাড়ছো। হলিউডে এই থিমে প্রচুর মুভি হয়, আমার ততটা ভালো লাগেনি, যদিও আমার বন্ধু বলেছে এটা ৫বার দেখার পর বুঝতে হবে।আসলে আমার কোন মুভি ২য় বার দেখতে ইচ্ছা হয়না; সবঘটনা আগে থেকেই জানা থাকলে বা পূর্বানুমানের সাথে মিলে গেলে আমি সেই বই পড়া কিংবা মুভি দেখার আগ্রহ হারিয়ে ফেলি। ঠিক আছে, একত্রে নাহয় আর একবার দেখা যাবে কোন একসময়।তার আগে, এই মুভিকে একটি শব্দে বিশ্লেষণ কর।
যত তোর কাছে আসি, যাই দূরে সরে।নাহ, তোমার মন বোঝা আমার কম্ম নয়; তুমি “কল্পনা”লিখলে কেন?
দাঁড়াও, কোথায় যাচ্ছো?তুমি কিছুতেই এমনটি করতে পারোনা, এই ৩ঘণ্টা তুমি আমার ইচ্ছার অধীন, এমনকি তোমাকে এই নির্জনঘরে নগ্ন করে ছবি তুললেও তোমার টু’শব্দটি করার অধিকার নেই। আমি দুঃখিত, খারাপ উদাহরণ দেয়ার জন্য।মানছি, আমার ওভাবে বলাটা উচিৎ হয়নি তোমার “কল্পনা” লেখার প্রেক্ষিতে। যাও, একটি প্রস্ফূটিত হৃদয়ের বিকাশকল্পে আগের বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিলাম।কেননা, তোমার এই অজ্যামিতিক মুখটি আমার আজীবনের ক্যানভাস_ এখানে আমি শুধু তোমার নানা ভঙ্গিমায় হাসির ছবি আকবো; কখনো যদি অভিমানী-দুঃখবিলাসী ছবি আকার প্রয়োজন হয়,জেনে রাখো আমি নিঃসঙ্কোচে নিজের হাত-চোখ বিসর্জন দিয়ে দেব।
বেশ বুঝতে পারছি, এত শব্দ লিখতে তোমার বিরক্ত লাগছে।এই খেলাটায় বিরক্তির কোন স্থান নেই।সুতরাং আর একটিমাত্র শব্দ লিখেই খেলার ২য় পর্ব শুরু করব।
আচ্ছা পাপড়ি, তুমি কি কখনো ভেবে দেখেছো “মন” শব্দটা যতটা ক্ষুদ্র , এর Concept টা তার চেয়েও অনেক অনেক বিস্তৃত ও অভিনব। আমিতো বলবো “theory of relativity” কিংবা “big-bang theory” এর চেয়ে “cycle of human psychology” বহুলাংশে জটিল, কারণ আইনস্টাইন-স্টিফেন হকিংরা মহাবিশ্বকে “পাঠশালার পাঠ্য” করে ফেললেও নিজেদের মনের ন্যুনতম একটি গহ্বরের সন্ধানও কি পেয়েছিলেন?বেশি গুরুগম্ভীর কথা আরম্ভ করেছি?অতকিছুর দরকার নেই, তুমি তোমার মনকে একটি বিশেষণে বিশেষায়িত করলেই চলবে।
তোমার মনোবিশ্লেষণটা উপভোগ করলাম; অধিকাংশ মানুষের মত তুমিও তাহলে ‘স্বাপ্নিক” মনের অধিকারী। কেউ কেউ অবশ্য নিজেকে সবার থেকে আলাদা ভেবে পুলকিত হয়। আমি মনে করি এই পুলকটা কুপমন্ডূকতার পরিচায়ক, কারণ “ব্যতিক্রম” বলতে আদতে কিছু নেই, আপাত দৃষ্টিতে যা কিছু ব্যতিক্রম বলে ভ্রম হয় সেগুলো আসলে অতিস্বাভাবিকেরই একটি অপ্রচলিত রুপ। কক্ষনো নিজেকে ব্যতিক্রম ভাবার ভুল করোনা যেন, তাহলে একসময় নিজেকে ভাবনার একাকী-জনমানবশূন্য আন্দামানে এক অপ্রকৃতিস্থ পণ্ডিতমন্য হিসেবে আবিষ্কার করে ফেলার আশঙ্কা আছে।
খেলার প্রথম পর্বে সহায়তা করার জন্য তোমার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিৎ ছিল, কিন্ত করবোনা, কারণ কৃতজ্ঞতায় মুক্তি এবং সৌজন্যের সংমিশ্রণ আছে, অন্যদিকে ভালোবাসায় আছে বন্ধনের আবরণে মহামুক্তির ফানুস; সৌজন্য তাকে নিষ্প্রভ করে দেয়।বলা তো যায়না, এই কৃত্রিম কৃতজ্ঞতা তোমাকে যদি কোন পঞ্চমাত্রার অস্পষ্ট চিত্র করে তুলে আমার কাছে!
মন দিয়ে শোন, এই পর্বে তুমি কী করবে_ কাগজের সর্ববামে যে শব্দগুলো দেড়ইঞ্চি ব্যবধানে নিচে নিচে লিখেছো সেগুলো দিয়ে এমনসব বাক্যরচনা কর যাতে প্রতিটি বাক্যে “পরিবারের” থিম থাকে। তোমার লিখতে বেশ কিছুটা সময় লাগবে, ততক্ষণে আমি আজকের পেপারে দেয়া সুডোকু সমাধান করি।
লেখা শেষ?আমিতো এত দ্রুত কিছুতেই লিখতে পারতাম না। মানবী পাপড়ির সৌরভতো বহুকাল পেলাম, এবার দেখি তার বাক্যগুলো কেমন সুরভি ছড়ায়_
নীল: মা'র নীলশাড়িটা পড়লে নিজেকে মা-মা মনে হয় ইদানীং।
সুগন্ধি:কতদিন পার হয়ে গেছে, অথচ বিকেলবেলা বুবু চুল বেধে দেয়ার সময় যে সুগন্ধি তেল মেখে দিত মাথায় এখনো বাতাসে সেই সুবাস মিশে আছে যেন।
বৃত্ত:পরিবার কোন বিচ্ছিন্ন জ্যামিতিক নকশা নয়, একটি বর্ধমান পরিধির বৃত্ত_ সময়ের সাথে যার ব্যাসার্ধ ও অন্যান্য পরামিতিগুলো পরিবর্তিত হতে থাকে।
দৃষ্টি:আমাদের ঘরের প্রতিটি দেয়াল ভালোবাসার ইট দিয়ে গাথা; তাই অভিমানের দৃষ্টি সে দেয়াল ভেদ করে ভেতরে আসতে পারেনা।
প্রার্থিত: প্রার্থিত সুখ, প্রার্থিত মানুষের প্রার্থিত স্পর্শ, আর কিছু প্রার্থিত মুহুর্ত_ এই নিয়েই একে নিলাম প্রার্থিত পরিবারের ছবি।
প্রতিভা: কোন অলৌকিক ক্ষমতা চাইনা, শুধু অকৃত্রিম স্নেহের প্রতিভায় আপনজনকে পরিচালিত করতে চাই আলোকিত জীবনাদর্শে।
ছন্দোময়: সংসারে রাগ-অনুরাগ, মান-অভিমান যেন ছন্দোময় কবিতার মত অনুরণিত-স্পন্দিত হয় অন্তর থেকে অন্তরে।
আস্থা: কোন পারিবারিক সম্পর্কই কখনো একপাক্ষিক হতে পারেনা; তা হবে নির্ভরতা, নির্ভারতা, আর আস্থার সমণ্বয়।
কল্পনা: আমার কল্পনার সংসারে তুমি, আমি , আর কিছু সুন্দর মুখ নিশ্বাস নেয় সর্বক্ষণ।
স্বাপ্নিক: আজ এই স্বাপ্নিক মনের সকল স্বপ্নকে নিবেদন করছি আমাদের স্বপননীড়ের উদ্দেশ্যে।
খেলার এই অবস্থায় একটি “স্পর্শ বিরতি” নিচ্ছি_ তোমার খোলাচুলে স্পর্শ করে হাত দুটিকে সাদা বকের মত শুভ্রতার প্রতীকে রূপান্তিরত করে নিই আগে, তবেই তো ভাবের ভরা কটাল আসবে! কিন্তু স্পর্শের এই এক দোষ: চুলে স্থান পেলে চোখ-অধরেও স্থান চায়। সেই লোভকে সংবরণ করে পুনরায় খেলা শুরু করা যাক।
বাক্যগুলো আরেকবার দেখ ভাল করে, অতঃপর এমন দুটি বাক্য বাক্য বাদ দাও যে দুটি তোমার ততটা মনঃপুত হয়নি।
Well-done, নির্বাচনের এই সহজাত ক্ষমতাটা ভীষণভাবে জরুরী। আমিও “প্রতিভা” আর “স্বাপ্নিক” এর বাক্য দুটি বাদ দিতে চাইছিলাম।আজকের এই অনির্দিষ্ট প্রহরগুলো আমাদের আরও কাছাকাছি নিয়ে আসছে, কী বলো।যাইহোক, বাকি বাক্যগুলোকে তোমার পছন্দের ক্রমানুসারে পাশাপাশি লিখ কাগজের অপর পৃষ্ঠায়। তোমার লেখা চলুক, ইত্যবসরে আমি পিসিতে আবৃত্তি শুনতে থাকি। তমি টেবিলে সামনের দিকে ঝুকে পড়ে লিখছো, চুলগুলো অবিন্যস্ত হয়ে প্রায়ই মুখের উপর এসে পড়ছে, আর তুমি তা সরিয়ে দিচ্ছো অন্যমনস্কভাবে_ এই দৃশ্যকে ভাষা দিতে আবৃত্তির বিকল্প কিছু আছে কি?
হ্যা, বাক্যের বিন্যাস মোটামুটি ঠিক আছে।বাক্যগুলো পড়েই বুঝতে পারছো যে এক বাক্যের সঙ্গে তার পুর্ববর্তী বা পরবর্তী বাক্যের কোন সম্পর্ক নেই। সুতরাং বাক্যগুলোর মধ্যে সেতুবন্ধন গড়তে প্রতিটি বাক্যকে এমনভাবে সম্প্রসারিত কর যেন সেগুলোকে আর বিচ্ছিন্ন বাক্য মনে না হয়।এবার নিশ্চয়ই লেখাটা দীর্ঘ হবে।সম্প্রসারণ শেষ হলে পুরো লেখাটি আবার পড়ো। হ্যা, এখনো বেশকিছু অসংলগ্নতা রয়ে গেছে, এ ব্যাপারে একটু পরে বলছি; আপাতত যতটুকু লিখেছো এর সাপেক্ষে একটি প্রাসঙ্গিক শিরোনাম দিতে পারবেনা?অবশ্যই পারবে। তুমিই তো সেই যে রবিঠাকুরের বই বুকে নিয়ে ঘুমায়, জেগে উঠে হাতড়ে বেড়ায় আলবেয়ার কাম্যুকে।“গ্রন্থকীট” শব্দটির প্রতি আমার দীর্ঘকাল উন্নাসিকতা ছিল; তোমার পাঠ্যাভ্যাস আমার সেই মনোভাবকে ভেঙ্গেচুরে নতুন মূর্তি গড়েছে মানসের মন্দিরে। আবশ্য এক্ষেত্রে আমি কিছুটা অনোন্যপায়ও ছিলাম: তুমি আমাকে শুরুতে প্রত্যাখ্যান করেছিলে সম্পূর্ণ অচিন্তনীয় এক কারণে_পড়াশোনার বাইরে যতটুকু সময় পাও সেটুকু ছিল গল্প-উপন্যাসের জন্য নির্ধারিত, সুতরাং আমার জন্য হৃদয়ে আবাসন থাকলেও আমাকে দেবার মত সময় নাকি তোমার ছিলনা।তোমার সেই সরল স্বীকারোক্তি আমাকে ফ্রানজ কাফকার “মেটামরফোসিসের” ঘোরটোপে নিক্ষেপ করছিল সম্মোহনের প্রাবল্যে।
এইতো, তোমার সম্পর্কে ইতিবাচক কথা শোনামাত্র কেমন স্বাচ্ছন্দে লেখাটার শিরোনাম লিখে ফেললে।প্রশংসার ক্ষমতা ৭৪৬ ওয়াট এর চেয়ে কোনক্রমেই কম হবেনা।তাইতো এই প্রেম-প্রেম কথকতার উপজাত হিসেবে একটি অনিন্দ্যসুন্দর লেখার সৃষ্টি হলো আমাদের যৌথ প্রচেষ্টায়।আসলে প্রকৃত সত্য কি জানো? “লেখা” প্রত্যেক মানুষের জন্মগত প্রতিভার মত; একে শুধু পারিপার্শ্বিকের প্রেক্ষাপটে জাগিয়ে তুলতে হয় তার অন্তর্গত বোধের গভীর থেকে।সেক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন sense; এই একটিমাত্র ইন্দ্রিয়ের যথার্থ প্রয়োগ ঘটিয়েই লেখা সম্ভব, এর সঙ্গে অনুঘটক হিসেবে “কল্পনাশক্তিকে” যোগ করে নিতে পারো।
প্রকৃতিগতভাবেই আমরা মানুষেরা কল্পনাপ্রবণ। এই যেমন, তুমি-আমি যতটা সময় দুরে থাকি তার সিংহভাগ অংশই ব্যয় করি লোভাতুর কল্পনায়_ তাতে কখনো রাতের ঢাকায় পাশাপাশি হেটে খিলগাও ফ্লাইওভারে যাই, কিংবা পিঠে পিঠ ঘেষে বসে থাকি কোন পদ্মপুকুরের সামনে। সেই কল্পিত ঘটনাকে চোখের সামনে ঘটতে দেখতে পাওয়ার মাঝেই লেখার মূল রহস্য বা চালিকাশক্তি নিহিত।তুমি নিশ্চয়ই শোনা ঘটনার চেয়ে চাক্ষুষ ঘটনাকেই অধিকতর দক্ষতায় বর্ণনা করতে পারবে, তাই না?তাই যখনই যা লিখবে, এমনকি একটি নিঃশ্বাস পতনের শব্দও, যেন তোমার দৃষ্টিকে এড়িয়ে না যায়।
একজন লেখখকে সর্বপ্রথমে একজন মনোযোগী পাঠক হতে হয়।তোমাকে এই কথাটি বলতে লজ্জা পাচ্ছি, কারণ আমার চেয়ে অন্তত ৩গুণ বেশি বই তোমার পড়া আছে।তবে যে কথাটি না বললেই নয় তা হচ্ছে, লেখার ক্ষেত্রে শেষকথা বলে কেউ নই, তাই কখনই কাউকে আদর্শ ধরবেনা।তাহলে তার ছায়ায় ঢাকা পড়তে পারে তোমার সহজপাঠ্য লেখা।বরং সবার লেখা পড়ে স্টাইল এবং লেখার মৌলিক অনেক অনুসঙ্গ সম্পর্কে ধারণা নেবে, এটা ধার করা বিদ্যে নয়, বরং ধারণার আদান-প্রদান।
আমার নিজস্ব একটি মতাদর্শ আছে লেখার ব্যাপারে। কখনই প্রচলিত, বহুল চর্চিত উপমা ব্যবহার করবেনা লেখায়; যেমন ধর প্রেয়সীর মুখ চাঁদের মত, প্রেমপত্রের খামের রঙ নীল....এরকম কিছু।দেখো নিয়মের মধ্যে থেকে হয়ত গড়পড়তা কাঠামো তৈরি করা যায়, কিন্তু নিয়ম ভাঙ্গার মধ্য দিয়েই ভিন্ন নিয়ম গড়া হয়। এই সত্যটি মাথায় রাখা উচিৎ লেখার সময়।
তুমি আমাকে ভালোবাসো কেন?অথবা তোমাকে এভাবে দেখছি কেন?এই দেখাটা শুধুই দেখার আনন্দে নয়, এর সঙ্গে একটি অদৃশ্য আত্মিক চাহিদাও আছে; এই আত্মিকতা থেকেই লেখালেখির প্রজনন ঘটে।তোমার বই প্রকাশিত হবে, বইমেলায় মানুষ লাইন ধরে তোমার বই কিনবে, টেলিভিশনে তোমার লেখা লাটক প্রচারিত হবে....এরকম উচ্চভিলাষ নিয়ে লিখতে বসলে কিছুই হবেনা কাগজ অপচয় ছাড়া।সবকিছু ভুলে শুধু মানসিক প্রশান্তির জন্য মাত্র ২লাইন ছড়াও যদি লিখতে পারো , দেখবে সেই আনন্দ আমার স্পর্শের চেয়েও তোমার কাছে অধিকতর প্রার্থিত হবে।
শিরোনাম দেয়া হল, লেখা সাজানোও শেষ; এবার চাইলে পুরো লেখাটি একটানে কেটে দিতে পারো। এটা ছিল লেখার খসড়া; মূল লেখাটি শুরু হবে এখন ২য় অফসেট কাগজটিতে। এই কাগজে তুমি আগের লেখাটিই হুবুহু লিখতে পারো, তবে আমি জানি তুমি তা করবেনা।লেখার এই পর্বকে নাম দিতে পারি “নিরীক্ষণ অধ্যায়”।এসময় তোমার হয়ত মনে হচ্ছে মাঝের অংশটুকুই প্রারম্ভিক অংশ হলে ভালো হয়, কিংবা শেষাংশটুকই বেশি প্রাসঙ্গিক লেখার আঙ্গিক বিবেচনায়। যেহেতু লেখাটিকে তুমি একটি পর্যায়ে নিয়ে এসেছো, তাই এটা মোটেও আস্বাভাবিক হবেনা যদি তুমি পুরো লেখাটিকেই বাদ দিয়ে ভিন্নকিছু লিখতে শুরু কর, কারণ খেলার শুরুতে তুমি-আমি কেউই লেখাটির গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে অবগত ছিলাম না; এই মুহূর্তে তার অনেক কিছুই আমাদের সামনে দৃশ্যমান।
এইবার পুরো লেখাটির এলগারিদমটা খেয়াল কর। আমরা শুরু করেছিলাম শব্দ দিয়ে, এরপর বিচ্ছিন্ন কিছু বাক্য, সেগুলোকে পরিমার্জন করে অর্থপূর্ণ কিছু লাইন....এভাবেই একসময় পূর্ণাঙ্গ একটি লেখা পেলাম। তাই লেখার ক্ষেত্রে শব্দই ক্ষুদ্রতম একক।
না না আমাকে আলিঙ্গন করার প্রয়োজন নেই। ২ঘণ্টা আগে খেলা শুরুর সময়ই তোমার দুহাত তুলে পরম তৃপ্তির হাসির দৃশ্য কল্পনা করে রেখেছিলাম; প্রকৃত অর্থে সৃজনশীলতার আনন্দ ব্যক্তি নিরপেক্ষ অনুভতি। তাই তুমি আজ বাড়ি ফিরেই যদি তোমার ছোটভাইয়ের সঙ্গে একই খেলায় মেতে উঠো, বিশ্বাস করো একটুও অবাক হবনা। এখন গলাটা একটু ছাড়তো পল্লবিত পাপড়ি সোনা, এখনও খেলার শেষদৃশ্য মঞ্চায়নের অপেক্ষায় আছে।
শুনতে পাচ্ছো, পিসিতে বনলতা সেন কবিতাটি আবৃত্তি হচ্ছে?তুমি আবার ঐ চেয়ারটাতে বসো। এইতো সেই বিশেষ অংশটুকু চলে এসেছে_
সব পাখি ঘরে ফিরে-সব- নদী-ফুরায় এ জীবনের সব লেনদেন
থাকে শুধু অন্ধকার, মুখোমুখি বসিবার, বনলতা সেন।।।
তুমি লেখার সময় আমি কবিতার এই বিশেষ অংশটুকু আলাদা ফাইল হিসেবে সেভ করে রেখেছিলাম। এখন থেকে আগামী ৩৫মিনিট শুধু এই লাইনগুলোই চলবে পিসিতে। মোবাইল বন্ধ করে এলার্ম দিয়েছি; আমরা এখন মুখোমুখি বসে থাকব নিশ্চুপ-শুনশান। সব আলো নিভিয়ে জানালার পর্দা টেনে দিয়েছি, টেবিলে জ্বলবে একটি ক্ষয়িষ্ণু মোমবাতি। চোখের প্রতিটি পলকের মাঝে আমরা নিজেদের অব্যক্ত কথাগুলো খুজে বেড়াব, নিশ্বাসের শব্দে মাপবো অনুভবের গভীরতা।এরপর নির্ধারিত সময় শেষে তুমি-আমি একটি নতুন লেখা লিখবো।।।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:২৭
হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: ভালো করছো।।।
২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:৩৩
জিনাত বলেছেন: কুপমন্ডূকতা ??প্রতিভা: কোন অলৌকিক ক্ষমতা চাইনা, শুধু অকৃত্রিম স্নেহের প্রতিভায় আপনজনকে পরিচালিত করতে চাই আলোকিত জীবনাদর্শে।
ভাবনা আর বাস্তবতা যদি এক হতো !!!!!!!
০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:৩৬
হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: আপনি এ কোন্ ঘোরটোপ তৈরি করলেন মন্তব্যে???ভাবনা-বাস্তবতার ফারাকটা তো বুঝলামনা।।।
৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:৪৪
জিনাত বলেছেন: কোন অলৌকিক ক্ষমতা চাইনা, শুধু অকৃত্রিম স্নেহের প্রতিভায় আপনজনকে পরিচালিত করতে চাই আলোকিত জীবনাদর্শে।
একথাটার বাস্তব প্রয়োগ সবার জীবনে থাকলে ভালো হতো
০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:৪৬
হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: আরোও অনেক কিছু হলেই ভালো হত, কিন্তু আমাদের সেই কিছুগুলো আর হয়ে উঠেনা।।।
৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৪:০৮
অপ্সরা বলেছেন: নীল, সুগন্ধ, দৃষ্টি এ সবের বিশ্লেষন খুব সুন্দর হয়েছে হিমালয়।অনেক গুলো +++
০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৪:১৫
হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: আফ্রোদিতি আপু, এটা কোন বিশ্লেষণ নয়; একটি লেখার ধারাবাহিক জন্মবৃত্তান্ত। আমার পরিচিত ছোট-বড় অনেক মানুষ প্রায়ই আমার কাছে লেখার টিপস চায়, এখন কথা হচ্ছে আমি কিসের টিপস দেব?আমি নিজেই কী এমন হয়ে গেছি যে আরেকজনকে শেখাবো।।। তাই কয়েকটি ক্রিয়েটিভ রাইটিং কর্মশালার অভিজ্ঞতা আর লেখার ব্যাপারে আমার ব্যক্তিগত অভিমতকে একত্রিত করে একটি গল্প লিখেছি সেইসব মানুষের জন্য যাতে করে তারা ১ পৃষ্ঠা হলেও লিখতে পারে।।। একবার লেখার আনন্দ ধরতে পারলে নিজে থেকেই তখন দীর্ঘ লেখা লিখতে পারবে তারা।।।
৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:০৪
সব যদি আজ বদলে যেত বলেছেন: যাক লেখাটা শেষ করতে পারলাম তাহলে।
কিছু মনে করবেন না, আপনি যেভাবে লেখার টিপস দিলেন, সেটা আমার কাছে
খুব বোরিং ঠেকেছে।
এটাকে যদি গল্প বলেন, তবে তা সাহিত্যের মাপকাঠিতে যথার্থ।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৩০
হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: আপনার টিপস আর গল্পের কথাটা বিশদ ব্যাখ্যার দাবী রাখে। আশা করি আপনার কাছ থেকে পাওয়া যাবে সেটা।।। টিপসটা ব্লগারদের জন্য নয়, আমার পরিচিত মানুষদের জন্য যারা লেখার কথা শুনলেই কম্বলের নিচে লকায়।।।
৬| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৫২
পারভেজ বলেছেন: তোমার এই লেখাটা আগের যেকোন লেখার তুলনায় একটা আলাদা মাত্রা পেয়েছে। 'সুফির প্রশ্ন' (এরকম কিযেন নামটা!) বইটার কথা মনে পড়লো। শব্দ, তার প্রয়োগ আর আমাদের অনুভবগুলি কিভাবে একসাথে কম্পোজিশন হয়ে উঠে আসে- এই সবকিছুই একটা অন্যরকম গল্প বলার ভেতর দিয়ে অনুভবে উঠে এসেছে।
খুব ভালো লাগলো।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:০৪
হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: আমি চেষ্টা করি প্রতিটি লেখাতেই আলাদা কিছু এক্সপেরিমেণ্ট করতে, তাতে কখনো সফলকাম হই, কখনোবা ব্যর্থ, তবু আগ্রহ হারাইনা।।। আপনাদের ভালো লাগলে আমারও ভাল লাগে।।।
৭| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ৮:৪১
বরুণা বলেছেন: হবেনা।তাইতো এই প্রেম-প্রেম কথকতার উপজাত হিসেবে একটি অনিন্দ্যসুন্দর লেখার সৃষ্টি হলো আমাদের যৌথ প্রচেষ্টায়!
ঠিক ঠিক আমাদের যৌথ প্রচেষ্টার মত তাইনা হিমলু!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
হহাহাাহাহাহহা এইবার মনে হয় তুমি আমাকে মাইর লাগাবা।
আমি পালাই তবে একটা কথা এটা তোমার বেস্ট লেখা আমার চোখে।তবে ভাঙা বলছে এনডিং পছন্দ হয়নাই ঐটারে একটা মাথায় বাড়ী দাও। আমা এনডিং খুব পছন্দ হইসে।
অনেক ভালো থেকো।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ৮:৪৯
হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: কাকীমা, আপনারে মেরে গুণাহগার হতে চাইনা।।
ভাঙ্গা আমার স্নেহের ছোটভাই, বেচারা তার মতামত দিছে, সেইজন্য ওরে মারতে হবে কেন??
আচ্ছা কাকীমা, আপনি আসলে কোথায় পড়াশোনা করেন?আর কাদের ব্যাচ, ভাঙ্গাদের নয়তো??তাইলে তো আমার জুনিয়র। অবশ্য কাকীমার সম্পর্কে বয়স-ক্লাস এগুলো ধর্তব্যের মধ্যে পড়েনা।।।
৮| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ৯:৩১
অদৃশ্য বলেছেন: হিমেল ভাই................একটু যে ভিন্ন ভাবের লিখা লিখছেন তা প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্বটা পড়েই বুঝেছিলাম........তাইতো চুপচাপ ছিলাম.....শুধু ভালোলাগা। জানতাম শেষটা নাপড়ে কিছু বলা যাবেনা।
ধরনটা ভালো লেগেছে.........হয়তো খুব গভীরে যেতে পারিনি.....কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভালো লাগলো। আর এন্ডিং টাও ামার কাছে ভালো লাগলো।
আগেরটায় জবাব দেননি.........মাইন্ড করেছেন নাকি!
খুব ভালো থাকুন।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ৯:৩৭
হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: ইচ্ছা করেই দেইনি, আপনি যেমন পুরো লেখা পড়ে মন্তব্য করার পক্ষপাতী, আপনার ক্ষেত্রেও সেজন্য অপেক্ষায় রেখেছিলাম।।। এইবার দিয়ে দেব।।। মাইণ্ডের ধারণাটা আপনার মধ্যে কিভাবে প্রবেশ করলো এটাও একটা লেখার থিম হতে পারে।।।
৯| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ৯:৩৮
বরুণা বলেছেন: ভাঙা তো বুইড়া! আমি আলো তোত্ত! কাকিমার বয়স কি? আগের দিনে
৯/১০ বছরে মেয়েরা কাকীমা জেঠিমা হইতো তোমার মত বুড়া বুড়া ভাইপো ভাইজি এর! বুড়া বলায় মনে কষ্ট নিওনা হিমলুয়া!!!
০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ৯:৪১
হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: না না কাকীমা আমার কাছে তরুণ-বৃদ্ধ এগুলো একেকটি বিচ্ছিন্ন শব্দের চেয়ে আলাদা কিছু নয়।।। এমনকি ঘাটের মরা বললেও আলাদা কোন অনুভূতি হয়না।।।সুতরাং, কাকীমা কষ্টকে বরং চা-সিঙ্গারা খাইয়ে বিদায় করেন।।।
১০| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ৯:৪৪
একরামুল হক শামীম বলেছেন: অবশেষে তৃতীয় পর্বটা পড়তে পারলাম। খুবই ভালো লাগলো।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ৯:৪৬
হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: ভালো লাগাতে পেরে ভালো লাগছে।।।
১১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১০:১০
শিট সুজি বলেছেন: তিনটা পর্বই পড়লাম
জটিল।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১০:১৬
হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: নাকি কুটিল বলবা???
১২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১০:২৮
অদৃশ্য বলেছেন: হিমেল ভাই...............আমি আগেও বলেছি.........আমি খুব সাধারন..........খুবই সাধারন।
অনেক ভালো থাকুন।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১০:৩৯
হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: ভাই আবার সাধারণ-অসাধারণের বিতর্কে নামলেন নাকি!!!
১৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:০৬
সীমান্ত আহমেদ বলেছেন: আমি তো তোমার ফ্যান হয়ে যাইতেসি ধীরে ধীরে।
একটানে পড়ার চেষ্টা করছি।আজ সারা সন্ধ্যা তোমার লেখাটা নিয়ে চিন্তা করলাম।
পারফেক্ট নাম্বার থিওরীটা ভালো লেগেছে।আমাদের জীবনটা আসলে মহাগণিতের জালে আটকানো।তার ছোট ছোট নাকি কোনটাই বুঝি না। অসম্ভব সুন্দর লেগেছে অনুভূতি আর প্রিয়ার পারফেক্ট নাম্বার থিওরী।
আর লেখার মাঝে আমি কখনো সরাসরি বক্তব্য খুজি না।এই গল্প থেকে তুমি কিছু সরাসরি বক্তব্য দেয়ার চেষ্টা করেছ। বক্তব্যে মোটামুটি একমত হলেও একটু খচখচানি রয়ে গেল।
সব মিলিয়ে লেখাতে ইনোভেশনটা জটিল।
অফটপিক: আমার নিজের প্রিয় লেখা গুলোর লিংক দিলাম।টাইম পাইলে পইরো।
Click This Link
/28829348
Click This Link/28827996
Click This Link/28839954
০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:১৫
হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: আমি তো প্রতিদিনই আপনার ব্লগে গিয়ে কোন না কোন লেখা পড়ি; মন্তব্য করা হয়না কারণ আপনাকে অনলাইনে সেভাবে দেখিনা।। মন্তব্যের প্রতিমন্তব্যটাও আমাকে ভীষণভাবে টানে।
ভাইরে, মানুষ আবার ফ্যান হয় কেমনে?ওইটাতো একটা যণ্ত্র বৈ আর কিছু নয়।
সরাসরি বক্তব্য দেয়াতে আমি এই গল্পের ক্ষেত্রে কোন সমস্যা দেখছিনা, কারণ খেয়াল করে দেখেন এখানে আমি এমন একজনকে লিখতে অনুপ্রাণিত করছি যার পড়ার জগৎটা আমার চেয়ে ৩গুণ বড়, তো স্বাভাবিকভাবেই তার সঙ্গে কথা বলতে গেলে আমাকে কিছু সরাসরি কথা কলতেই হবে।। আপনার খচখচানির জায়গাটা পরিষ্কার করেন, তাহলে আমার জন্য সুবিধা হয়।
পারফেক্ট নাম্বার থিওরিটা আমার পরিচিত মহলে অনেককেই পছন্দ করেছে, তারা একে bf/gf এর আদলে সংক্ষেপে pf বলে।।
লিংক দেয়া লেখার ২টা পড়েছি< অন্যটা পড়ে ফেলব।।। আর মন্তব্য করে আসব একসময়।।।
১৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:০৯
মেহবুবা বলেছেন: পরে সময় নিয়ে পড়ে বলব ।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:১৬
হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: ওকে।।
১৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:১৫
নাজনীন খলিল বলেছেন:
শুভ নববর্ষ হিমু। কেমন আছ? শুভেচ্ছা রইল।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:১৭
হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: জ্বি আন্টি, আপনার দোয়া।।। লেখাটা পড়েছেন??এটা একটু বড় হলেও টোটালি ভিন্নধর্মী; পড়ার অনুরোধ রইল।।।আপনাকেও নতুন বছরের শুভেচ্ছা।।।
১৬| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:১৯
অক্ষর বলেছেন: শুভ নববর্ষ
(লেখাটা পড়ি নাই)
০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:২১
হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: ধুর মিয়া, লেখা পড়লেননা; আপনেরে অশুভ নববর্ষ!!!
১৭| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:২৪
অক্ষর বলেছেন: অনেক বড় লেখা, পর্তে মঞ্চায় না
০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:২৬
হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: তাইলে আর কি!!! শুভ নববর্ষ।।
১৮| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:২৫
সীমান্ত আহমেদ বলেছেন: খচখচানির জায়গাগুলো পড়ে ক্লিয়ার করে আরেকটা কমেন্ট দিবো।
অফিস আছে ।এখণ যাবো।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:৩৮
হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: ঠিক আছে, দিয়েন কিন্তু মনে করে।।। আমার দরকার পড়বে।।।
১৯| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:৫১
কালপুরুষ বলেছেন: যাক, কালকে অফিসে বসে তোমার লেখা পড়ে সময় কাটানো যাবে-কাজের চাপ একটু কমেছে। তিনটা পর্ব এক সাথেই শেষ করা যাবে।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:৫৬
হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: আমিও আপাতত একটু ফ্রি আছি।।। বাসায় বসে একটা দীর্ঘ গল্প লিখেছি, কমপক্ষে ৬-৭পর্ব লাগবে শেষ করতে।। কিন্তু টাইপ করাটাই সমস্যা।।।
২০| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:২১
সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
"মানবী পাপড়ির সৌরভতো বহুকাল পেলাম, এবার দেখি তার বাক্যগুলো কেমন সুরভি ছড়ায়_"
বাক্যগুলো সত্যি দারুণ সুরভিত।
হিমুরে হিমু এত দারুণ করে ভাবতে পারা ,লিখতে পারা ..............
তোমাকে মনে হয় আপনি করে বলতে হবে কোনদিন।
ভাবছি তার আগেই তোমার চাওয়ার মত তুই তুকারি করি।
জীবন তোমাকে ফেরাবেনা.......।
অনেক বড় হবে একদিন।
সেই দোয়া রইলো।
লিখতে থাকো।
যেমন খুশী। যেমন করে ভাবনাগুলো আসে।
পড়ে পড়ে অবাক হই আর ভাবি
এত সুন্দর করে কি করে ভাবো! কি করে লেখো!
শুভেচ্ছা থাকলো।
শীত তো পড়েছে......।২ কাপ চায়ে কি সকাল হয়?
নাকি আরো বেশী?
ভালো থাকিস রে হিমালয়।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:২৭
হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: আমি তো চায়েই ডুবে থাকি সাদা বক আপু।। বাক্যগুলো ইচ্ছা করেই গড়পড়তা লেখা হয়েছে, বেশি স্ট্যাণ্ডার্ড বাক্য লিখতে গেলে বিশ্বাসযোগ্য হতনা, কারণ গল্পের পাপড়ি চরিত্রটি এর আগে কখনই লিখেনি, লেখার আগ মুহূর্তেও জানতনা লিখতে হবে।।।
আমাকে আপনি-তুমি কোনটাই বলতে হবেনা, "তুই" আপনার জন্য পেটেন্ট করা সম্বোধন।।। বইমেলায় দেখা হবে ইনশাল্লাহ।।
২১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ৯:৪৭
সীমান্ত আহমেদ বলেছেন: খচখচানি গুলো গল্পের মাঝে এসে মেয়েটিকে বেশি রহস্যময়ী মনে হয়েছে।কখনো সে এ্যমেচার আমার কখনো বেশি ম্যাচিউরড।
শেষের বনলতাসেনটা বাদে ফিনিশিংটা ভালো হয়েছে।
বনলতা সেনকে এমন লেখার ফিনিশিং মনে হয়নি আমার কাছে।ব্যাক্তিগত অভিমত।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১০:৩২
হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: এই ব্যাপারটি ইচ্ছাকৃত; মানুষের চরিত্র এবং মনস্তত্ত্বকে আমার কাছে বরাবরই ভীষণ দুর্বোধ্য মনে হয়, তাই মেয়েটির চরিত্রকেও কোন নির্দিষ্ট প্যাটার্নে না রেখে প্রত্যেক জায়গায় ডানমেনশন বদল করে দিয়েছি।।
বনলতা সেন এখানে কোন ফিনিশিং নয়, আর একটি শুরুর প্রস্ত্ততি, কারণ আসল লেখাটি শুরু হবে এই বিরতির পর থেকে।।। সম্মোহনের অনেকগুলো কৌশলের মধ্যে সবচেয়ে প্রচলিতটা হচ্ছে কারও দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকা, এবং তাকেও তাকাতে প্রলুব্ধ করা।। এখানেও অনেকটা সেই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। বনলতা সেন এখানে রোমাণ্টিকতা নয়, একটি কৌশলের অনুসঙ্গ।। লেখাটির শিরোনাম "লিখি চলো।" আর শেষ লাইন _ "এরপর নির্ধারিত সময় শেষে তুমি-আমি একটি নতুন লেখা লিখবো।"...........গল্পের থিমের স্বার্থেই আমি মনে করি ঐ লাইন দুটি প্রয়োজনীয় ছিল।।।
প্রত্যেকটি লেখায় আমি সবার কাছ থেকে এদরনের ভিন্ন মতামতই প্রত্যাশা করি, এতে করে নিজের কাজগুলোকে অন্যের চোখ দিয়ে দেখে সীমাবদ্ধতা-অসম্পূর্ণতাগুলো দেখা যায়। ধন্যবাদ শিমুল ভাই।।।
২২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:৪০
ছন্নছাড়ার পেন্সিল বলেছেন: পুরোটা একটানে পড়লাম। এখনই তেমন কিছু বলছি না। একটা পর্যবেক্ষণ শুধু চোখে পড়ল। আমি একটু ধন্দে পড়লাম, এটাকে কোন ক্যাটাগরিতে ফেলবো। তুমি কোনও ট্যাগ দাওনি। সম্ভবত একটা আধা-গল্প, আধা-নির্দেশিকা ধরনের কিছু। পুরোটাই গল্প মনে হচ্ছিল (মানে অনায়াসে গল্প বলে চালানো যায়), শুধু এই পর্বের মাঝামাঝি এসে স্ব-কথনটা পুরাই নির্দেশ করে দিচ্ছে লেখালেখির মানদণ্ড। ওখানে কি কোনওভাবে গল্পের আবেশটা আনা যায়?
আরেকটা কোণঃ গল্পের অপর চরিত্রের কোনও ইনভল্ভমেন্ট নাই, তাকে একটু ক্রেডিট দিতে পারো। তার প্রশ্নগুলো সে-ই করুক, কেমন হয়?
লেখাটা আরো কয়েকবার পড়বো শিওর। কথা হবে আরো।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:৫৭
হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: হ্যা, স্বকথনের ব্যাপারটা আমারও একটু চোখে লেগেছে, এটাকে গল্পের প্যাটার্নে আনবো পরে একসময়।।।
তাকে প্রশ্ন করতে দেয়া যাবেনা তো, খেলা শুরুর আগেই তো বলা হয়েছে
"আমার খেলা এখনই শুরু হবে;তার আগে প্রাথমিক কিছু শর্তের কথা বলি_ আগামী ৩ঘণ্টা তুমি মুখে কোন শব্দ উচ্চারণ করতে পারবেনা, এমনকি চেয়ার ছেড়েও উঠতে পারবেনা, কোনকিছু বলার প্রয়োজন হলে ইশারায় বলবে, আর বাকিটুকু আমি তোমার মুখভঙ্গি থেকে বুঝে নেব। বলতে পারো, এটা আমার জন্যও একটা পরীক্ষার মত; তোমাকে কতটুকু অনুভব করতে পারি সেই পরীক্ষা।"
তাই তার মুখ দিয়ে কোন শব্দ উচ্চারণ করানো যাবেনা।।। এই ব্যাপারটি এমনভাবে করা হয়েছে যাতে যখন যে লেখাটি পড়ে সে-ই যেন নিজেকে গল্পের নারী চরিত্র হিসেবে কল্পনা করে নির্দেশিকাগুলো পালন করে।। সেক্ষেত্রে তার মুখে ভাষা দিলে গল্পের প্রবাহটা ক্ষতিগ্রস্থ হত।
শিমুল ভাইয়ের শেষ মন্তব্য এবং আমার জবাবটা পড়ার অনুরোধ রইল।।। বনলতা সেনকে আমি যেজন্য ব্যবহার করেছি সেটিকে বোঝা যাচ্ছে? এ ব্যাপারে আপনার বক্তব্য শুনতে চাইছি।।। আমার এখন ব্লগে থাকার কথা ছিলনা।।। তবু আপনার মন্তব্যের জন্যই কিছুক্ষণ পর পর লগইন করছিলাম। ধন্যবাদ ভাই।।।
২৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:১২
অন্যসময় বলেছেন: চমৎকার লেগেছে হিমেল - তোমার উপমা ব্যাবহার,বক্তব্যের ব্যাপ্তিতে বোঝাতে পরিমিত বাকস্ফুর্তি - সব কিছুতেই আঁটোসাটো একটা বুনোট আছে।অনেকটা বনফুল এর লেখা'র মতন-তুমি 'দেবযান' পড়েছো?
অনেক অনেক লিখতে থাকো - গদ্যে তোমার বিপুল সম্ভাবনা।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৭
হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: আরে, শিহার ভাই কেমন আছেন? হ্যা বইটা পড়েছি। তবে যেটা পড়তে পারছিনা সেটা হল আপনার লেখা।। আর কয়েকটা লেখা দেননা ভাই! আর একাটা লেখার লিঙ্ক দিচ্ছি, এইটাও পইড়েন....
পর্দাকে উল্টো করে লেখা .আর বুয়েটিক কি বন্ধ হয়ে গেল???
২৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৪:৫৯
ছন্নছাড়ার পেন্সিল বলেছেন: আমার কাছে বনলতা সেনের ব্যবহারটাকে খাপছাড়া লাগে নাই। এখানে পুরো গল্প যেভাবে এগিয়েছে, সেখানে কথকের স্বৈরক্ষমতা। পাঠক পড়তে পড়তে সেইভাবেই ধাবিত হয়। নতুন যেকোন মোড় (যেমন সংখ্যার উদাহরণ) পাঠককে শুধু অন্য জানালর দৃশ্য দেখায়। সেভাবে পড়ার কারণেই বনলতার আগমন খারাপ হয় না। (যেহেতু আবৃতি আগেই চলছিল)। আর জীবনানন্দ-কে নিয়ে চিন্তার উন্মেষ নতুন দিকনির্দেশও করতে পারে।
[অফিসে বসে কাজের ফাঁকে মন্তব্য করলাম। তোমার মতোই আমার এখন লগইন থাকার কথা না! ]
০৬ ই জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৫:০১
হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: ভালো তো, যা কিছু হওয়ার কথা না তাই হয়ে যায়; অদৃশ্য যোগাযোগ রক্ষা হোক।।।
২৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১০:১১
নাজনীন খলিল বলেছেন:
একেবারে ভিন্নধর্মী একটি লেখা।লেখা নিয়ে তুমি খুব পরীক্ষা-নীরিক্ষা করো তাইনা?
নীল: মা'র নীলশাড়িটা পড়লে নিজেকে মা-মা মনে হয় ইদানীং।
সুগন্ধি:কতদিন পার হয়ে গেছে, অথচ বিকেলবেলা বুবু চুল বেধে দেয়ার সময় যে সুগন্ধি তেল মেখে দিত মাথায় এখনো বাতাসে সেই সুবাস মিশে আছে যেন।
বৃত্ত:পরিবার কোন বিচ্ছিন্ন জ্যামিতিক নকশা নয়, একটি বর্ধমান পরিধির বৃত্ত_ সময়ের সাথে যার ব্যাসার্ধ ও অন্যান্য পরামিতিগুলো পরিবর্তিত হতে থাকে।
দৃষ্টি:আমাদের ঘরের প্রতিটি দেয়াল ভালোবাসার ইট দিয়ে গাথা; তাই অভিমানের দৃষ্টি সে দেয়াল ভেদ করে ভেতরে আসতে পারেনা।
প্রার্থিত: প্রার্থিত সুখ, প্রার্থিত মানুষের প্রার্থিত স্পর্শ, আর কিছু প্রার্থিত মুহুর্ত_ এই নিয়েই একে নিলাম প্রার্থিত পরিবারের ছবি।
প্রতিভা: কোন অলৌকিক ক্ষমতা চাইনা, শুধু অকৃত্রিম স্নেহের প্রতিভায় আপনজনকে পরিচালিত করতে চাই আলোকিত জীবনাদর্শে।
ছন্দোময়: সংসারে রাগ-অনুরাগ, মান-অভিমান যেন ছন্দোময় কবিতার মত অনুরণিত-স্পন্দিত হয় অন্তর থেকে অন্তরে।
আস্থা: কোন পারিবারিক সম্পর্কই কখনো একপাক্ষিক হতে পারেনা; তা হবে নির্ভরতা, নির্ভারতা, আর আস্থার সমণ্বয়।
কল্পনা: আমার কল্পনার সংসারে তুমি, আমি , আর কিছু সুন্দর মুখ নিশ্বাস নেয় সর্বক্ষণ।
স্বাপ্নিক: আজ এই স্বাপ্নিক মনের সকল স্বপ্নকে নিবেদন করছি আমাদের স্বপননীড়ের উদ্দেশ্যে।
শব্দ বিশ্লেষণগুলো খুবই চমৎকার লাগল।এতে তোমার চিন্তা-ভাবনার ভারী সুন্দর এক ছবি ফোটে উঠেছে।শুভেচ্ছা।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১০:৫৪
হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: জ্বি আন্টি, লেখা এবং সংখ্যা; দুটিই আমার খুবই পছন্দের বিষয়।।। তাই প্রতিনিয়তই এক্সপেরিমেন্ট চলে নিজেকে ভেঙ্গে নতুন করে গড়ার তাড়নায়।।।
২৬| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:২৯
লীনা দিলরূবা বলেছেন: এই লেখাটি দেরীতে পড়া একদমই ঠিক হয়নি।
এটিকে গল্পই বলি। এই গল্পটি গল্প হয়ে উঠবার পেছনে লেখকের কোনো হাত নেই যদিও। এর অনিবার্য পরিনতি ছিল এটি সময়ের সেরা একটি গল্প হবে। এটি কি অপরবাস্তবে ছাপা হয়েছে? যদি না হয়ে থাকে তবে তা হতাশাজনক।
গল্পের নায়ক সরব, নায়িকা বোবা। বোবা নায়িকা পাপড়ীকে নিয়ে আবারো কোনো লেখার সূচনা হোক, আপাতত এটাই বলি।
পরে কোনো একদিন আবার এটি পড়বো। আবার বলবো। কারন ভাল লেখা আমি বারবার পড়ি। যদিও তুমি একবারই পড়ো।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:৫৮
হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: আপু, ব্লগে আমি বোধহয় সমালোচক হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছি, তাই আমার কোন লেখাই যেমন আমার ভাল লাগেনা,, পাঠকেরও ভাল লাগেনা।। এই আর কি!!!তবু লিখতে ইচ্ছে হয় তাই লিখি।। পারসোনালি যদি মতামত চান, তাহলে বলব আমার "..র্দাপ" লেখাটি অপরবাস্তবের অন্তত২/১টি লেখার চেয়ে ভালো ছিল এই কনফিডেন্স আমার আছে। কিন্তু ওই যে বললাম, কারো ভাল লাগেনা আমার লেখা।।। যা-ই হোক, এই গল্পটা এইবছরে লেখা, ২০০৮ এর নয়।।।
আরও একটা লেখা আছে, যেটা কেউ কেউ ভালো বলেছিল।
Click This Link
এই লেখাটা নিয়ে খুবই মজার কিছু ইতিহাস আছে, এটা অবশ্যই পড়বেন।। তখন ইতিহাসটা শেয়ার করা যাবে...
২৭| ০৬ ই মার্চ, ২০০৯ রাত ১২:৫৭
আশরাফ মাহমুদ বলেছেন: সবগুলো পড়ে এখানে মন্তব্য করছি।
প্রথম পর্ব পড়ে মনে হল ব্যক্তিগত দিনলিপি পড়ছি, তাতে নিজের চোখে দেখা দৃশ্যগুলোর ভিতরের দৃশ্য-ও তুলে ধরা হচ্ছে। গভীরে যেতে আমি ভালবাসি। সংখ্যা বা অংকগুলো ১, ২, ৩ না দিয়ে এক, দুই, তিন দিলে ভালললাগে, চোখের আরাম হয়।
AC Room - শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরা বা কক্ষ।
ইংরেজি শব্দ বা বাক্যগুলোর বাংলা নিশ্চয় আপনি জানেন। ব্যবহারের কারণটা বোধগম্য হচ্ছে না। আপনার সাহায্য প্রয়োজন। ক্রমানুক্রমিক বিচারে দ্বিতীয় পর্ব প্রথম পর্ব থেকে সাবলীল এবং হৃদয়গামী।
তৃতীয় পর্ব এসে নিজেকে পেলাম। মানে, নিজের মতো করে পড়লাম। বলার অপেক্ষা রাখে না যে এটা সুখপাঠ্য রচনা।
মানুষের একটা শ্রেষ্ঠত্ব হল সে নিজেকে বিশ্লেষণ করতে পারে, এবং অন্যকে-ও। যত গভীরে যাওয়া যায় ততই যেন অতল।
০৬ ই মার্চ, ২০০৯ রাত ১:০৯
হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: আমি আজ পর্যন্ত কাউকে বলতে শুনিনি " এই , শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্রটা ছাড়তো, বরং রুমের ACটা ছেড়ে দাও, এটাই প্রচলিত ব্যবহার।" এখানে যদি বর্ণনামূলক হত ,সেক্ষেত্র অবশ্যই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত লেখা হত, কিন্তু এখানে দেখানো হয়েছে সংলাপ হিসেবে, " আমি জানি তুমি ভয় পাচ্ছো, তাই এই AC room এও ঘামছো".........এবার বোঝা গেল কি?
আপনার কথায় যুক্তি আছে "যত গভীরে যাওয়া যায় ততই যেন অতল", একইসঙ্গ যত অতল থেকে দূরে যাওয়া যায় ততই যেন তলকে খুব কাছাকাছি মনে হয়।।
Click This Link এটাও পড়ে দেখতে পারেন।। এটা অবশ্য সিরিজ নয়, সিঙ্গেল গল্প।।।
২৮| ০৬ ই মার্চ, ২০০৯ রাত ১:২২
আশরাফ মাহমুদ বলেছেন: এখানে সেই চিরায়িত যুক্তিটা আমি দেই। ভাষার উত্তরণ এবং অবমনন চলমান প্রক্রিয়া। আমি এভাবে বলি (বিশ্বাস করুন, তবে সর্বদা না এটা ঠিক)। ব্যবহার করতে থাকুন- একদিন শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের বিষয়টা আপনার ঠোঁটে বাঁধবে না। হয়ত এক রাত্তিরে রোম শহরের সৃষ্টি হবে না, তদাপি পরবর্তী প্রজন্মে আমি বিশ্বাস রাখি।
আপনার কথা-ও যুক্তি আছে, এই রচনার শরীরে AC room -র ব্যবহার বিবেচ্য।
---------------------
একটা ফুল। আপনি দেখছেন সৌন্দর্যের উপস্থিতি হিসেবে। আমি দেখছি কলুষিকতার অনুপস্থিতি হিসেবে (সেই প্লেটো-এরিস্টটলের কাহিনী)। দেখার চোখটা বিভিন্ন কোণে রাখলে ভিন্নার্থক জিনিস পরিলক্ষিত হয়।
০৬ ই মার্চ, ২০০৯ রাত ১:৩৪
হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: হুম, তা সত্য, তবে কিছু কিছু প্রতিশব্দ ঠিক ভাল লাগেনা।। যেমন "শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত" এটি লেখার জন্য যতটা সুন্দর শব্দ, বলার পক্ষে ততটাই কষ্টকর।।। একইভাবে মোবাইলকে মুঠোফন শুনতে -লিখতে বশ লাগে, কিন্তু আমার বন্ধুকে বলার সময় বলব, "দোস্ত, তোর মোবাইলটা একটু দে", কাব্য লিখলে " বন্ধু, তোর মুঠোফোনটা চাইতে গিয়েও চাইতে পারিনি ..." এরকম কিছু.............তাই যথার্থ প্রয়োগ এবং প্রয়োগক্ষেত্র এটাও বিবেচনায রাখতে হবে।।।
শুধু ফুল নয়, সবকিছুকেই বিকল্পভাবে দেখার অভ্যাস করা উচিৎ, তাতে করে দর্শনের মজাটা যেমন পাওয়া যায়, বিষয়টি রহস্যপূর্ণ হয়, একইসঙ্গে তুলনামূলক চিত্রটিও তৈরি হয়।।। আর, এই প্যারালেল ভিউ তো , গল্পকে আরো মহিমাণ্বিত করে..............
২৯| ২৭ শে মার্চ, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:০৬
শাওন৩৫০৪ বলেছেন:
পড়লাম....চমকিত হইনাই বুঝতেই পারছেন(আপনার অন্যান্য লেখার পর যেইটা হই) ।
অভিভূত হইছি ।
এইটা একটা লেখা (গল্প বলতে পারমুনা!!প্রবন্ধ ও না!!)...
আপনার সবগুলা গল্প শেষ করতে হবে......হুমমমম ।
২৭ শে মার্চ, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:২২
হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: চমকিত আর অভিভূত নিয়া টানাটানি চলুক।।।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:২৫
ভাঙ্গা পেন্সিল বলেছেন: এন্ডিং পছন্দ হয় নাই...হয়তো কাঠামোড় বাইরে ভাবতে পারিনি বলে!!