নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\'পরাজিত হওয়া\' আর \'হার মেনে নেওয়া\' কাছাকাছি দুটো বিষয়,কিন্তু আকাশ-পাতাল পার্থক্য

অা হ ম প্রধান

আমি মানুষ, প্রকৃতির অংশ

অা হ ম প্রধান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোটা,নাকি কোঁঠা ?

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৩৪

দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে শিক্ষার্থীর সংখ্যা যেমন দিন-দিন বেড়েই চলেছে তেমনি সমানুপাতিক হারে বাড়ছে চাকুরির চাহিদাও।ছাত্রজীবন শেষ করে যাঁরা কর্মজীবনে প্রবেশ করতে যাচ্ছেন, তাঁদের কারও কাছে ‘কোটা’ স্বস্তির বিষয়। বর্তমানে অধিকাংশের কাছেই তা আতঙ্ক। কোটা এমন একটি স্পর্শকাতর বিষয়, যা নিয়ে আলোচনা করাটা কখনো কখনো বিব্রতকর। বর্তমানে দেশের সিংহভাগ শিক্ষার্থীর দাবি কোটা সংস্কার করে,মেধার মূল্যায়ন হোক।

স্বাধীনতার পর থেকেই দেশের অনগ্রসর শ্রেণিকে সুবিধা দিয়ে সমতা বিধানের লক্ষ্যে কোটার প্রবর্তন করা হয়। তবে সেই সময় কোটার হার ছিল ভিন্ন।বর্তমানে সরকারি চাকরির জন্য সংরক্ষিত কোটার পরিমাণ শতকরা ৫৬ ভাগ। চাকরিতে বাকি ৪৪ ভাগ নেওয়া হয় মেধা যাচাইয়ের মাধ্যমে। বিসিএসে নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় শতকরা ৩০, জেলা কোটায় ১০, নারী কোটায় ১০ ও উপজাতি কোটায় ৫ ভাগ চাকরি সংরক্ষণ করা আছে। এই ৫৫ শতাংশ কোটায় পূরণযোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে সে ক্ষেত্রে ১ শতাংশ পদে প্রতিবন্ধী নিয়োগের বিধান রয়েছে।
দেশে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ সাধারন শিক্ষার্থী লেখাপড়া শেষ করে বের হচ্ছে। যেখানে সরকারি চাকুরি গুলোতে লোক নিয়োগ করা হয় অল্প সংখ্যক। সেই অল্প সংখ্যক চাকুরি পেতে সাধারন শিক্ষার্থীরা যখন দিন-রাত পরিশ্রম করে তার প্রস্তুতি নিচ্ছে তখন অল্প পরিশ্রম কিংবা অযোগ্য প্রার্থী কোটা সুবিধা নিয়ে চাকুরিগুলোতে ঢুকে পড়ছে। পিছিয়ে পরছে মেধাবি শিক্ষার্থীরা।

২০১৮ এসে কোটা সংস্কার দাবি একটা বড় ছাত্র আন্দোলনের রূপ ধারন করে। বাংলাদেশের সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা প্রথা বাতিল করে সে ব্যবস্থা পুর্নমূল্যায়ন করতে হাইকোর্টে ৩১শে জানুয়ারি ২০১৮তে একটি রিট দায়ের করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী ও দুইজন সাংবাদিক। আবেদনে তারা উল্লেখ করেন, “সব মিলিয়ে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা বিদ্যমান রয়েছে।৫ই মার্চ ২০১৮ সালে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ আবেদনে ভুল রয়েছে এই মর্মে রিট আবেদনটি খারিজ করে দেন।
এরপর ৫ দফা দাবি নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ১৭ই ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সালে ঢাকা ও দেশের কয়েকটি স্থানে মানববন্ধন করে।৮ই এপ্রিল ঢাকার শাহবাগে কোটা সংস্কারের পক্ষে বিক্ষোভ শুরু হলেও আস্তে আস্তে সেটি বাংলাদেশের প্রায় সবকটি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়ে এবং শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে।

প্রধানমন্ত্রী ১১ এপ্রিল জাতীয় সংসদে তিনি সব কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন।যদিও তখন পর্যন্ত কোন এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি। কিন্তু সাধারন শিক্ষার্থীদের দাবি কোটা সংস্কার,বাতিল নয়।তাদের দাবি‘দেশের মাত্র ২ দশমিক ৬৩ শতাংশ মানুষের জন্য ৩৬ শতাংশ কোটা রয়েছে৷ জেলা কোটা ও নারী কোটাসহ মোট কোটা ৫৬ শতাংশ৷ কিন্তু এই কোটাগুলোর ১০ ভাগের বেশি পুরণ হচ্ছে না৷ তাই সর্বোচচ ১০ ভাগ কোটা রেখে, কোটা সংস্কার করা হোক৷এরপর পাঁচ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। আন্দোলন শুরুর পর আটক শিক্ষার্থীদের নিঃশর্ত মুক্তি, আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার বিচার, কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপন জারিসহ পাঁচ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেন।
আন্দোলনের বিভিন্ন সময় সাধারন শিক্ষার্থীদের প্রশাসনিক,রাজনৈতিক ভাবে অনেক বাঁধার সম্মুখিন হতে হয়েছে। আন্দোলনের পথ যে কখনও বন্ধুর হয়না তা শিক্ষার্থীরা জানে। বর্তমানে আন্দোলন চলমান রয়েছে।
আমি একজন সাধারন শিক্ষার্থী হিসেবে এ আন্দোলনকে সমর্থন জানাই।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.