![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক সময়ের রক্তাক্ত জনপদে এখন বইছে শান্তির সুবাতাস। শিক্ষা থেকে অবকাঠামো, কিংবা সাংস্কৃতিক বিকাশ থেকে ক্রীড়াঙ্গন- সব ক্ষেত্রেই এখানে দেখা দিয়েছে উন্নয়নের ছোঁয়া। খুব বেশি দিনের কথা নয়, মাত্র কয়েক বছর আগেও যেখানে শিশুদের ঘুম পাড়ানো হতো ভয়ঙ্কর খুনী-সন্ত্রাসী বাংলাভাইয়ের কথা বলে। যে জায়গার নাম শুনলে বড়দেরও গা রীতিমত শিউরে উঠত, সেই স্থানটি রাজশাহীর বাগমারা। প্রত্যন্ত উপজেলা হলেও বাগমারা এক সময় দেশের সাধারণ মানুষের কাছে রক্তাক্ত জনপদ হিসেবেই পরিচিত ছিল। এই বাগমারায় যখন অব্যাহত ছিল সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের নির্মমতা-তখন ভয়ে নিয়মিত স্কুল-কলেজে যেতে পারত না সাধারণ শিক্ষার্থী, অথচ সেখানেই এখন দল বেঁধে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্কুলযাত্রার চিত্র চোখে পড়ে। অবাক বিস্ময় যে, সেখানবার জীবনযাত্রার গতি-প্রকৃতিও এখন বদলে গেছে অনেকটাই। এক সময় যেখানে অপহরণ, খুন, জখম, হত্যা ছিল নিত্য দিনের ঘটনা। আর বাংলাভাইয়ের উত্থান, সন্ত্রাসী কার্যক্রম, লাল পতাকা বাহিনীর নৃশংসতা আর বিভীষিকাময় জীবনের গল্প ছিল প্রতিদিনের জাতীয় পত্রিকার শিরোনাম। আজ বাগমারাবাসী তাদের সেই বিভীষিকাময় দিনগুলোকে ভুলে দিনবদলের পথে এগোচ্ছে। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল হওয়ায় যেখানে চিকিৎসা সেবা পাওয়া ছিল প্রায় অসম্ভব বিষয়, সেখানেই আজ সাধারণের দোরগোড়ায় উন্নত চিকিৎসা সেবা। শুধু কী তাই? বাগমারায় এখন শিক্ষা ক্ষেত্রে বিপ্লব চলছে, এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ক্রীড়া উন্মাদনা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বাগমারার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং ঢাকা মেডিক্যাল কলেজসহ সারাদেশের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে রাজশাহী জেলার মধ্যে বাগমারা উপজেলার সবচেয়ে বেশি ছাত্রছাত্রী ভর্তির সুযোগ পেয়ে থাকে। এসবই ভবিষ্যতের সমৃদ্ধ বাগমারার উদাহরণ। বাগমারার মানুষ এখন পূর্বের চেয়ে শান্তিতে বাসবাস করতে পারছে। ফলে বদলে গেছে এ উপজেলার প্রতিটি গ্রাম। পাল্টে গেছে মানুষের জীবনযাত্রার মান। এখন আর বাংলাভাইয়ের ভয় দেখিয়ে শিশুদের ঘুম পাড়াতে হয় না। বরং এখনকার সকালগুলো ঘরে ঘরে শিশুদের বই পড়ার আওয়াজে মুখরিত হয়ে ওঠে।
©somewhere in net ltd.