![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমরা জানি স্বাধীন দেশ হিসাবে যাত্রা শুরুর লগ্নে দেশটির ভাগ্যে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ হিসাবে একটি অভিধা জুটেছিল। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি উন্নয়নে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ হিসাবে স্বীকৃতিপ্রাপ্তিতে বর্তমান সরকার একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। আর মাত্র সাড়ে চার দশকের মধ্যে দেশটির জন্য এমন স্বীকৃতি যথেষ্ট গর্বের বিষয়। এই স্বীকৃতি অর্জনের পেছনে সরকারের দিক-নির্দেশক ভূমিকা যেমন কৃতিত্বের দাবিদার, তেমনি স্বীকৃত দেশের জনগণের অবদান। বাংলাদেশের মানুষ যে শুধু সংখ্যাধিক্যের পরিচিত তা নয়, তারা যে অর্থনৈতিক প্রগতিতে সুনিশ্চিত অবদান রাখতে পারে তা এই স্বীকৃতিই প্রমাণ করে। বর্তমান সরকারের মেয়াদে বাংলাদেশ কৃষিখাতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হয়েছে। অর্থাৎ কৃষিখাতে এখন রপ্তানিযোগ্য খাদ্য উৎপাদিত হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সরকার কৃতিত্বের দাবিদার হলেও মূল অবদান আমাদের পরিশ্রমী কৃষককুলের। এক সময় এদেশে দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি শোনা গিয়েছিল, কিন্তু এখন আশংকা যে সম্পূর্ণ তিরোহিত তা নিশ্চিতভাবে বলা যায়। ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকিয়ে দেখা যায়, ১৯২১-এ তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন খাদ্য ঘাটতি ও দুর্ভিক্ষের দেশে পরিণত হয়েছিল; কিন্তু ১৯২৮-এর মধ্যেই দেশটি খাদ্য উদ্বৃত্তের জনপদে পরিণত হয়েছিল। এমন একটি দৃষ্টান্তমূলক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের কৃষি সাফল্যও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। সারা বিশ্বের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের একটি কাজ দৃষ্টান্তমূলক, তা হলো স্কুল শিক্ষার্থীদেরকে বিনামূল্যে বই বিতরণ। বছরের পয়লা দিনেই প্রায় তেত্রিশ কোটি বই উৎসবমুখর পরিবেশে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া, যার নজীর বিশ্বের আর কোনো দেশেই নেই। পদ্মা সেতু বাংলাদেশের স্বপ্নের সেতু। এতো বিশাল একটি প্রকল্প বাংলাদেশের পক্ষে এককভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নয় বলে বিশ্ব ব্যাংকের দ্বারস্থ হতে হয়েছিল। কিন্তু কথিত দুর্নীতির অভিযোগে বিশ্বব্যাংক যে নাটক করেছিল তার সময়োচিত জবাব দিয়েছে বাংলাদেশ। এখন পদ্মা সেতু তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যথার্থই বলেছেন, বাংলাদেশকে কেউ এখন আর অবহেলা করতে পারবে না। পদ্মা সেতু নির্মাণ বর্তমান সরকারের জন্যে ছিল একটি বড় চ্যালেঞ্জ, চ্যালেঞ্জটি সফল ও দৃষ্টান্তমূলকভাবে মোকাবিলা করা হয়েছে।
©somewhere in net ltd.