নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাচৌ

এক কথায় ভাবুক! বহুকথায় আমি একজন স্বাধীন মানুষ, রোবট নই! তাই কারো কথায় সহজে প্রভাবিত হই না,সবার কথা শুনি, সবার লিখা পড়ি, হৃদয় দিয়ে বোঝার চেষ্টা করি , কেন তিনি এমন করে ভাবছেন!বুদ্ধিমান মানুষের সঙ্গ খুব উপভোগ করি,তাদের সাথে মতের মিল হলে ভাল, না হলে আরও ভাল, গলায় জড়াজড়ি করে বলি, আসেন আপনার কাছ থেকেই নতুন কিছু শেখা যাবে!

সাচৌ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুখস্ত বিদ্যা ভয়ানক বিদ্যা !

৩০ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:৫৩

চতুর্থ বা পঞ্চম শ্রেনীর একটা বাচ্চাকে যদি বলা হয় তোমার প্রিয় মানুষ সম্পর্কে একটা রচনা লেখ, সবাই গনহারে লিখবে নজরুল বা রবিকে নিয়ে ।

একটু লক্ষ্য করলেই দেখবেন এই বাচ্চাগুলো হয়ত দুই একটা কবিতা ছাড়া তেমন কিছুই পড়েনি এই ভীষন প্রিয় মানুষগুলোর । তাহলে একযোগে সবার প্রিয় মানুষ উনারা হলেন কি করে ?

উত্তর সোজা: মিস বলেছেন উনারা প্রিয় মানুষ তাই !!!

কি ভয়ানক একটা বিষয় ! একটা বাচ্চাকে মুখস্ত করিয়ে দিয়ে বলা হচ্ছে এটা তোমার প্রিয় মানুষ , পরীক্ষার খাতায় এভাবেই লিখতে হবে তার সম্পর্কে ।

কোন বাচ্চা যদি নিজের মত করে তার মা, বাবাকে নিয়ে নিজের ভাষায় প্রিয় মানুষ সম্পর্কে লিখে ফেলে তাহলে স্কুলের মিস নাক মুখ খিচে 00 + কানমলা দিয়ে দেবে । কত্ত বড় সাহস ! আমি যেমন দিছি তেমন লেখে নাই !

এই শিশুরা ভবিষ্যতে যখন দেশ চালাবে তখন অন্যের হাতে পায়ে ধরে, পলিসি ধার করে যদি দেশ চালায় , তাহলে কি আপনি তাদের খুব বেশী একটা দোষ দিতে পারবেন ?

ঠিক তেমনটাই তো হচ্ছে...

ফিরে যাই ক্লাস ফাইভের পড়ার স্টাইলে:

-ওই আওয়াজ শোনা যায় না কেন পড়ার ?

-এ এ এ এ অ্যাঁ কবি নজ্রুলের নাম ছিল দুখু মিয়া, এএএ উনি স্কুল পালাতেন এএএ !



বাবারা তোরা দরকার হলে স্কুল পালা, তারপর ও অন্যের শিখিয়ে দেওয়া প্রিয় মানুষ যেন তোদের প্রিয় মানুষ না হয় ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মে, ২০১৪ ভোর ৪:১৬

সকাল হাসান বলেছেন: মুখস্থ না করলেই তো বিপদ। পরীক্ষায় নম্বর পাওয়া যাবে না।

আর নম্বর না পেলে তো বাবা-মারাই আরো বেশি অত্যাচার করে। মুখস্থ করতে বাধ্য করে।

ওভার অল, মুখস্থই করা লাগবে - আর কোন উপায় নাই এছাড়া।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.