![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আয় হতাশার আবর্জনায় সবাই মিলে আগুন জ্বালি শুন্য বনের শুন্য শাখায় নতুন করে ফাগুন ঢালি ব্যর্থতা সব যাক ভেসে যাক এই বেলাতে আশার আলো ছড়িয়ে পড়ুক এই মেলাতে জোয়ার ছোঁয়ায় হাওয়ার ঘায়ে নতুন দিনের বাজুক ডালি। - কবি মতিউর রহমান মল্লিক।
আমাদের জাতীয় পরিচয় আমরা 'বাংলাদেশী'- এতে আমাদের অনেকেরই আপত্তি ও বিরক্তি। কারণ সীমানার ভিত্তিতে আমরা বাংলাদেশী হলেও বিবিধ বহুপাক্ষিক মিলগত কারণে ভুখণ্ডগত সীমানা পেরিয়ে আমাদের বড় পরিচয়- আমরা 'বাঙ্গালী'। যেহেতু, বাংলা ভাষা বাংলাদেশের সীমানা ছাড়িয়েছে, সুতরাং আমাদের জাতিসত্তার পরিচয়ও ভুখন্ডের সীমানা ছাড়িয়ে বাঙ্গালী হয়েছে।
প্রশ্ন হচ্ছে, আমাদের জাতিসত্তার পরিচয় কি ভাষাতেই আটকে থাকবে? সীমানা যখন পেরুলোই, তখন সে পরিচয় আরো বড় হতে দোষ কোথায়? আমরা বরং বলতে পারি আমরা এশিয়ান। এশিয়ার মানুষগুলোর বিশ্বাস, জীবনধারা ও মূল্যবোধে অনেকগুলো কমন ও স্বতন্ত্র বিষয় রয়েছে। পারিবারিক মূল্যবোধ, খাদ্যাভ্যাস, ভুখন্ডগত নৈকট্য- ইত্যাদি অনেক বিষয়েই ঘোরতর মিল রয়েছে। সুতরাং আজ থেকে আমাদের পরিচয় আমরা বাংলাদেশী না হয়ে, বাঙ্গালী না হয়ে, 'এশিয়ান' হোক। আমরা আরো বড় হই, আরো বিস্তৃত হই, আরো ব্যাপক হই।
এখানেও আপত্তি। আমরা আমাদের মনটাকে আরো বড় করিনা কেন? আমরা আমাদের জাতিসত্বার পরিচয় কেন ভূখন্ডে বা ভাষায় সীমাবদ্ধ রাখবো? যে লোকের ভাষা বাংলা না, সে তো কখোনোই বাঙ্গালী হতে পারবেনা। যে এশিয়ায় জন্মেনি- সেও তো ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আমাদের জাতিসত্তায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেনা। এ আমরা কেমন নির্মম জাতি, আমাদের শ্রেষ্ঠত্বে অন্তর্ভুক্ত হতে যখন অন্যদের জন্য দরোজা বন্ধ?
তারচেয়ে আমরা সকলে মানুষ- এটিই আমাদের বড় পরিচয়। আমরা একই পৃথিবীর বাসিন্দা সকলেই এক জাতি। আমরা দেহ সৌষ্ঠবে একই রকম। আমাদের জীবনের সূচনা ও শেষ একই রকম, আমাদের জীবন জীবিকা ও কর্মকাণ্ডের মধ্যে অমিলের চেয়ে মিলই বেশি। সুতরাং আমরা পৃথিবীর মানুষগুলো একই জাতি এটিই আমাদের জাতিসত্ত্বার পরিচয় হোক।
এ লেখকের কুপমন্ডুকতায় এতক্ষণ দুএকজন পাঠক বিরক্ত হয়ে উঠছেন সন্দেহ নেই। আমরা মানুষ না জানে কে? কেউ কি অস্বীকার করছে যে আমরা মানুষ না? আমরা মানুষ তাই বলে কি এই মানুষদের মধ্যে কমন বিষয়গুলোর অধিকারীরা স্বতন্ত্র হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিতে পারবোনা? আমরা মানুষ এ কথা নির্দ্বিধায় স্বীকার করেই আমরা একটি স্বতন্ত্র জাতিসত্ত্বার পরিচয় দিতে পারবোনা কেন?
দুঃখিত। আসুন আমরা মানুষ জাতি অস্বীকার না করেও কমন বিষয়গুলো নিয়ে স্বতন্ত্র জাতিসত্ত্বার পরিচয় স্বীকার করে নেই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে সে পরিচয় নির্ধারণের ভিত্তি কি হবে? কেউ বলেন ভাষা, কেউ ভুখন্ড, কেউ রক্ত সম্পর্ক, কেউ জীবনাচার- আবার কেউ বলেন 'বিশ্বাস'। আমি বিশ্বাসের কথাই বলছি। সবচেয়ে ব্যাপকতর, যৌক্তিক, সুগভীর ও ইনসাফপূর্ণ বিভাজনের ভিত্তি হতে পারে বিশ্বাস। বিশ্বাসের দিক থেকে যারা এই বিশ্বজগতের স্রষ্টাকে স্বীকার করেন তারা এক জাতি, আর অস্বীকারকারীরা অন্য জাতি। যারা স্রষ্টার সার্বভৌমত্ত্বের ঘোষণা দেন, বিশ্ব পরিচালনায় কেবলমাত্র তার একনায়কতন্ত্রকে মেনে নেয়ার ঘোষণা দেন- তারা এক জাতি। যারা অস্বীকার করেন তাদের থেকে তারা পৃথক।
সারকথাঃ
সুতরাং আমাদের জাতি সত্ত্বার পরিচয় নির্ধারিত হবে বিশ্বাসের ভিত্তিতে। এরই ভিত্তিতে পৃথিবীতে জাতি সত্ত্বার প্রধান পরিচয়সমূহ হচ্ছে মুসলিম, কি খ্রিস্টান কি ইহুদী কিংবা অংশীবাদী। বড় যে প্রশ্নটি থেকে যায়, তাহলে কি আমাদের অন্য পরিচয়গুলো মুছে ফেলতে হবে? মোটেই না। বিশ্বাসের ভিত্তিতে জাতীয় পরিচয় নির্ধারিত হবার পর, অন্য যে কোন পরিচয় আমরা ধারণ করতে পারি। ভাষার ভিত্তিতে আমরা বাঙ্গালী হতে পারি, সীমানার ভিত্তিতে আমরা বাংলাদেশী হতে পারি, এলাকার ভিত্তিতে আমরা 'নোয়াখাইল্যা' কিংবা 'বরিশাইল্যা' হতেই পারি। রক্ত সম্পর্কের ভিত্তিতে আমরা চৌধুরী কিংবা সরদার হতেই পারি। হতে পারি বুয়েটিয়ান কিংবা নটরডেমিয়ান। কিন্তু শর্ত একটাই বড় পরিচয় অস্বীকার করে ছোট পরিচয়কে আকড়ে থাকার সুযোগ নেই। আমি বাংগালী কি এশিয়ান কি নোয়াখালী, - আমার মূল পরিচয়ের সাথে সাংঘর্ষিক হয়ে যদি কেউ আমাকে এগুলো হতে বলে আমি জোর প্রতিবাদের সাথে তা অস্বীকার করি।
উৎসব, আনন্দ কিংবা কর্তব্য নির্ধারণে আমরা আমাদের জাতিসত্ত্বার মূল পরিচয়কে ক্ষতিগ্রস্থ করে না বসি।
১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:২৯
হলদে ডানা বলেছেন: জাতিসত্ত্বার পরিচয় নির্ধারিত হোক বিশ্বাসের ভিত্তিতে। অতপর মূল পরিচয়কে ক্ষতিগ্রস্থ না করে অন্য যে কোন পরিচয় আমরা ধারণ করতেই পারি।
২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:৩৩
নাজিম উদদীন বলেছেন: কথা এত ঘুরাইয়া প্যাঁচাইয়া বলার কি দরকার?
১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:৩৯
হলদে ডানা বলেছেন: 'সহজ কথা যায়না বলা সহজে।' সহজে পারলে কি আর ঘুরাইয়া পেচাইয়া বলতাম। তারপরও এইমাত্র বোল্ড আর আন্ডারলাইন করে কিছুটা সহজ করার চেষ্টা করেছি। আগ্রহ থাকলে আরেকবার চেষ্টা করে দেখতে পারেন- হয়তো সহজ হবে।
বুঝার চেষ্টা করেছেন, এজন্য একটা ধন্যবাদ।
৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:৪৪
অরণ্যচারী বলেছেন: এখনো ব্যান খান নাই? কনগ্র্যাটস।
১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:৫৪
হলদে ডানা বলেছেন: এখোনো খাইনাই। কোন প্রক্রিয়া কি চলছে?
৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:৪৭
অরণ্যচারী বলেছেন: তবে আমি আপনার সাথে একমত, পয়লা বৈশাখ একটা হিন্দুয়ানী কালচার। এইটা জামাতীদের ধর্মানুভূতিতে আঘাত হানে।
১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:৫৭
হলদে ডানা বলেছেন: অতীব দুঃখের সাথে জানানো যাইতেছে যে, এমন কোন মত আমার লেখায় প্রদান করা হয়নি। এবং
বাংলাদেশে শুধু জামায়াতের লোকেরাই ধর্মানুভূতি সম্পন্ন নয়। লেখাটির মর্ম বুঝতে পুনর্বার পড়বার পরামর্শ দেয়া যাচ্ছে।
৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:৪৮
হারান সত্য বলেছেন: আপনার সাথে সম্পুর্ন একমত
মানুষের জাতীয়তা অবশ্বই বিশ্বাসের ভিত্তিতে হওয়া উচিত
অন্যসব ভিত্তির চেয়ে বিশ্বাসের দৃঢ়তা যেমন বেশী তেমনি বিশ্বাসের ভিত্তিতেই আচার আচরন বা সাংস্কৃতিক পরিচয় গঠিত হয়ে থাকে।
১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:৫৯
হলদে ডানা বলেছেন: আমার এতবড় লেখা আপনি অতি সংক্ষেপে ও সহজে বলে দিয়েছেন, ধন্যবাদ।
৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:৪৮
অরণ্যচারী বলেছেন: কমেন্ট যখন মডারেশনে রাখছেন তাইলে আরেকটা কমেন্ট করি। পহেলা বৈশাখ আইলেই জামাতীদের গা জ্বলা শুরু হয় কেন?
১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:০১
হলদে ডানা বলেছেন: প্রথমেই আপনার জামায়াত ফোবিয়ার চিকিৎসা হওয়া প্রয়োজন।
৭| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:৫০
দাসত্ব বলেছেন: বাঙালীত্ব বনাম বাংলাদেশীত্ব এটাই আমার উত্তরঃ
১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:০৭
হলদে ডানা বলেছেন: আমি বাঙ্গালী বলে গর্বিত, আমি বাংলাদেশী বলে গর্বিত, আমি মুসলিম বলেও গর্বিত।
বিশ্বাসে আমি মুসলিম, ভাষায় বাঙ্গালী, সার্বভৌম ভূখন্ডের দিক থেকে আমি বাংলাদেশী। বাঙ্গালী হতে গিয়ে মুসলিম জাতিসত্ত্বা ত্যাগ করার সুযোগ নেই, কিংবা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব অস্বীকার করারও সুযোগ নেই।
৮| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:০০
অডং চাকমা বলেছেন: "আমাদের জাতি সত্ত্বার পরিচয় নির্ধারিত হবে বিশ্বাসের ভিত্তিতে।" ভালো কথা।কিন্তু সেটা কার বিশ্বাস? সংখ্যাগুরুর নাকি সংখ্যা লঘুর? আর বিশ্বাসটার ভিত্তি বা কী?
যাক, এ প্রশ্ন করলাম এ কারণে আমারও অনেক পরিচিতি। আমরা বিশ্বাস করি, নাগরিক হিসেবে আমরা বাংলাদেশী। এটা আমাদের পরিচয় এবং বিশ্ব দরবারে এই পরিচয়টা দিয়ে থাকি।
অন্য পরিচয়গুলোতে আসি। জাতিতে আমি চাকমা, ধর্মে বৌদ্ধ। অন্যদিকে দেশের বৃহত বাঙালি জাতিগোষ্ঠী আমাকে বলে "উপজাতি", কখনো বলে "সংখ্যালঘু", কখনো বলে "পাহাড়ী"। যখন সাংবিধানিকভাবে সবাইকে বাঙালি বানানো হলো, তখন আমরা বললাম, আমরা তা বিশ্বাস করি না। বললাম, আমরা 'জুম্ম', কেননা, তা আমাদের জুম সংস্কৃতি সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এখন আওয়ামী লীগ সরকার বললো, নৃ-তাত্তিক জনগোষ্ঠী। অন্যদিকে সকল 'উপজাতি' দাবী করছে, আমরা "আদিবাসী"। আদিবাসী'-শব্দের সাথে সংস্কৃতি ও জীবনধারা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কিন্তু অনেক বাঙালি "আদিবাসী" বললে ক্ষেপে যান। তারা দাবী করে বলেন, এ ভূমিতে বাঙালিরাই আদিবাসী। দেখতে পাচ্ছি, বাঙালিরা 'আদিবাসী' পরিচয়টাও হাইজ্যাক করে নিতে চাচ্ছে। এখন সেসব বাঙালিরা কোনটাতে বিশ্বাস করে - বাঙালি নাকি আদিবাসী?
পরিশেষে আমার বিশ্বাসটা বলি। সবার উপরে আমরা বাংলাদেশী। দ্বিতীয় বিশ্বাসটা হলো, আমরা আদিবাসী; তারপর অন্যান্য পরিচয়। বাংলাদেশী পরিচয়টা এখন রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃত। এখন দ্বিতীয় বিশ্বাসটার প্রতি রাষ্ট্রের স্বীকৃতি চাই।
আমার দ্বিতীয় বিশ্বাসের প্রতি সংখ্যাগুরুরা মর্যাদা দেবে তো?
১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:১৯
হলদে ডানা বলেছেন: ১. আপনি বলেছেন, বিশ্বাসের ভিত্তিতে"- ভালো কথা।কিন্তু সেটা কার বিশ্বাস? সংখ্যাগুরুর নাকি সংখ্যা লঘুর? আর বিশ্বাসটার ভিত্তি বা কী?
আগে তো বোঝা দরকার সংখ্যাগুরু বা সংখ্যালঘু নির্ধারণ করেছেন কিসের ভিত্তিতে? নৃতাত্বিকতার ভিত্তিতে, বংশের ভিত্তিতে নাকি এলাকার ভিত্তিতে? আপনি এক স্রষ্ঠার সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করেন কিনা সে প্রশ্নে তো সংখ্যাগুরু বা সংখ্যা লঘু বিষয়টি আসার কথা না। যে কেউই যে কোন বিশ্বাসে অন্তুর্ভুক্ত হতে পারে।
৩. আপনি বাংলাদেশী, আপনি চাকমা, আপনি বৌদ্ধ, আপনি পাহাড়ী- এগুলোর কোনটাতেই কোন সমস্যা দেখিনা। সবগুলোই তো আপনার গৌরবময় পরিচিতি হওয়া দরকার। আপনি কেন অস্বস্তি ফিল করছেন? আর আপনি চাকমা বলেই আপনাকে উপজাতি বলা হয়, তাতেই বা অসুবিধা কোথায়?
৪. আপনাকে সংখ্যালঘু বলা হয়, কিসের ভিত্তিতে? ধর্মের ভিত্তিতে বলা হতে পারে। তাতেই বা সমস্যা কোথায়, আপনার কোন অধিকার খর্ব না করলেই তো হলো।
৫. আপনি বলেছেন, সবাইকে বাঙ্গালী বানানো হলো,
এখানে আপত্তি। আপনার ভাষা পাহাড়ী হলে আপনাকে জোড় করে বাংগালী বানানো হবে কেন? নিজস্ব ভাষা আপনার পাহাড়ী কিংবা চাকমাই থাকবে, রাষ্ট্রীয় ভাষার ক্ষেত্রে আপনি বাংলা ব্যবহার করবেন, তাহলেই তো হলো।
১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:২৯
হলদে ডানা বলেছেন: ৬. আপনাদের জুম্ম হতেও তো কোন সমস্যা দেখিনা।
৭. আদিবাসী বিষয়ে আমার কিছু প্রশ্ন আছে। যারা আদি থেকে বাস করে তারাই আদিবাসী- এটাই তো আদিবাসীর ব্যখ্যা। পাহাড়ী, চাকমা কিংবা অন্যান্য উপজাতিরা কি আসলেই আদি থেকে বাস করে। যতদূর জানি তাদের আদি নিবাস পাশের বার্মা। সেখান থেকে তারা বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে এসে বাস করছে। তাহলে তারা কেন আদিবাসী হবে, বরং যারা পাহাড়ে আগে থেকে ছিল, তারাই না আদিবাসী।
৮. "পরিশেষে আপনার বক্তব্য হচ্ছে, সবার উপরে আমরা বাংলাদেশী।"- এখানে আমার একটি ব্যখ্যা করার মত বিষয় আছে।
আমাদের প্রথম ও মূল পরিচয় হওয়া উচিত বিশ্বাসের ভিত্তিতে। আপনি এই বিশ্বস্রষ্টার সার্বভৌমত্বকে বিশ্বাস করেন কিনা, তার ভিত্তিতেই আপনার প্রথম পরিচয় নির্ধারণ হওয়া উচিত। যে স্রষ্ঠার সার্বভৌমত্বকে বিশ্বাস করে, মৃত্যুর পর পুনরুত্থানকে বিশ্বাস করে, তার কর্মধারা সম্পূর্ণ সে বিশ্বাসের ভিত্তিতে পরিবর্তিত হয়, আর যে তা বিশ্বাস করেনা, তার চিন্তা চেতনা, ধ্যান, ধারণা, কর্মধারা সম্পূর্ণ অন্যধারণের হয়। সুতরাং জাতিসত্ত্বার প্রথম পরিচয় বিশ্বাসের ভিত্তিতে হওয়া উচিত।
৯| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:১৮
দাসত্ব বলেছেন: @অডং চাকমাঃ আপনি আমার লিংকে গেলে খুব খুশী হবো এবং আপনার মতামত পেলে আরো খুশী হবো। আমন্ত্রন
১০| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:২৯
তীব্র রঙিন বলেছেন: ছাগল ছাগল ডাকে মায়,
ছাগল ঘুরে গাছতলায়।
আয়রে ছাগল মেলায় যাই,
কাঁডল পাতায় কচকচায়।
১১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:৫১
অডং চাকমা বলেছেন: @ হলদে ডানা, সংখ্যালঘু সংখ্যাগুরু সেই বিষয়ে যাচ্ছি না। হ্যাঁ, আমার পরিচিতি চাকমা, বৌদ্ধ, পাহাড়ী, জুম্ম ও আদিবাসী এগুলোতে কোন আপত্তি নেই। এগুলো আমার বিশ্বাস ও সংস্কৃতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
কিন্তু 'উপজাতি' শব্দের প্রতি আপত্তি আছে। কেননা, উপজাতি শব্দটি নেতিবাচক, এবং মানুষ হিসেবে পূণ অধিকার স্বীকার করে না। আপনি জাতি হবেন, আমি কেন উপজাতি হবো? অনেকটা ইংরেজীর ' product থেকে by-products-এর মত। নিজেকে একটু প্রশ্ন করুন, কোন দেশের 'উপজাতি' বলার সাথে আপনার মনে কি রকম চিত্র ফুটে উঠে। তেমনি 'উন্নয়নশীল' ও 'উন্নত' রাষ্ট্র বলার সাথে সাথে কি রকম পার্থক্য আপনার মনে জাগতে পারে। সোজা কথায় বললে, "উপজাতি বা সংখ্যালঘু বললে কোন জাতিসত্ত্বার সামগ্রিক সত্ত্বাকে ধারন করা হয় না। এ নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে, থাকাটাই স্বাভাবিক। সেজন্য আন্তর্জাতিক আইনের মূল কথা হলো, self-identification টা হবে কোন জাতিসত্বার পরিচিতি নির্ধারণের মূল ভিত্তি। যে যেইটা পরিচয় দিতে চায় সেটা সম্মান করতে হবে। যেমন, যারা বাঙালি, তাদেরকে কেউ যদি চাপিয়ে দেয়, কাল থেকে আপনারা 'বাঙ্গাল'। বাঙালিরা কি মানবে? কখনো না।
"সবাইকে বাঙালি বানানো হলো"। হ্যাঁ, '৭২-এ যখন দেশের সংবিধান প্রণয়ন করা হয় তখন সংবিধানে একটা ধারা (সংবিধানের মূলনীতিতে) সংযোজন করে বলা হয়েছিল "বাংলাদেশের সকল নাগরিক বাঙালি বলিয়া পরিচিত হইবেন"। তখনকার সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে নির্বাচিত একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী এমএন লার্মা (সন্তু লার্মার বড় ভাই) এটা প্রতিবাদ করেছিলেন। বলেছিলেন, বাঙালি নয়, আমরা বাংলাদেশের সকল নাগরিক বাংলাদেশী। এটাই আমাদের নাগরিকত্বের পরিচিতি।
১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:৪৩
হলদে ডানা বলেছেন: ১. উপজাতির প্রতি আপনার আপত্তি বিষয়ে আপনি যে বিশ্লেষণ দিয়েছেন, আমি তার সাথে একমত। উপজাতি বলতে যদি মানুষের এটিই ধারণা হয়, তবে উপজাতি না বলাই উচিত।
২. শেখ মুজিবুর রহমান- সবাইকে বাঙ্গালী হতে বলে কার্যত উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা- এই উক্তির রিপিট করলেন। তবে তিনি যদি এ উক্তির মাধ্যমে ভুখন্ডগত দিক থেকে সকলকে বাংলাদেশী পরিচয় দেবার আহ্বান জানান, তাহলে তো ঠিকই আছে।
আওয়ামী লীগের এই একটি সমস্যা, যার শুরু শেখ মুজিব থেকেই। 'বাংলাদেশী' বলতে তাদের এলার্জি আছে। রাষ্ট্রীয়ঢ পরিচয়টাও তারা জোড় করে বাঙ্গালী বানাতে চায়। অথচ নাগরিক হিসেবে আমাদের বাঙ্গালী হবার সুযোগ নেই, কারণ বাংলা ভাষাভাষি মানুষ দেশের বাহিরেও আছে। ভাষাগত দিক থেকে আমরা বাঙ্গালী হলেও নাগরিক হিসেবে অবশ্যই আমরা বাংলাদেশী।
১২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:৫৮
অডং চাকমা বলেছেন: @দাসত্ব, আপনার লেখা পড়েছি। হ্যাঁ, আমাদের নাগরিকত্বের পরিচিতি বাংলাদেশী এবং এটাই সার্বজনীন। কিন্তু আমাদের জাতীয়তা নিয়ে এখনো ঘুরপাক খাচ্ছি এখনো।
অন্যান্য পরিচয়গুলো সেকেন্ডারি। বাঙালি হিসেবে আপনার পরিচিতি আপনার থাকবে। সেটা কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। তেমনি আমার আদিবাসী বা পাহাড়ী পরিচিতি আমার থাকবে। কিন্তু চাপিয়ে দেয়াটা গ্রহণযোগ্য নয়।
১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:৪৭
হলদে ডানা বলেছেন: কিন্তু চাপিয়ে দেয়াটা গ্রহণযোগ্য নয়। যথার্থই বলেছেন।
১৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:১৬
হারান সত্য বলেছেন: "কিন্তু চাপিয়ে দেয়াটা গ্রহণযোগ্য নয়। "
হ্যা চাপিয়ে দেয়া জাতিয়তা কখনই গ্রহনযোগ্য নয়। কিন্তু বিশ্বাস ভিত্তিক জাতীয়তা ছাড়া আর সবগুলোই কিন্তু চাপিয়ে দেয়া। একমাত্র বিশ্বাসের ব্যাপারেই আপনি স্বাধীন - জ্ঞানের ভিত্তিতে যে কোন বিশ্বাস আপনি নিজে থেকে গ্রহন করতে পারেন।
আপনি যে বাংলাদেশী জাতিয়তাকে সবার উপরে রাখছেন সেই ভৌগোলিক জাতীয়তা কি চাপিয়ে দেয়া নয়? এই দেশ যখন বৃটিশ ভারতের অধীন ছিল তখন আমরা ছিলাম ভারতীয়, পরে হয়েছি পাকিস্তানী আর এখন বাংলাদেশী - ভবিষ্যতে কি হব আল্লাহই ভাল জানেন। এ'গুলোর সাথে কি আমার ইচ্ছা - আকাংখার কোন মুল্য আছে? আমি যদি চাই ভৌগলিক ভাবে আমি 'আমেরিকান' বা 'ইওরোপিয়ান' - তা কি সজসাধ্য হবে?
আসলে ভৌগলিক, ভাষাগত, নৃতাত্বিক সবগুলো জাতিয়তায় বাধ্যতামুলক। আপনি যে জাতির মধ্যে জন্ম নিয়েছেন সেটাকে মেনে নিতে আপনি বাধ্য। একমাত্র বিশ্বাস ভিত্তিক জাতীয়তার ব্যাপারেই আপনি স্বাধীন - নিজের জ্ঞান বুদ্ধির ভিত্তিতে যেকোন বিশ্বাস আপনি গ্রহন করতে পারেন। এবং বিশ্বাস ভিত্তিক জাতীয়তাই স্বার্ব জনীন - দুনিয়ার যে কেউ এই জাতীয়তায় অন্তভুক্ত হতে পারে। এ'জন্যই বিশ্বাস ভিত্তিক জাতীয়তাকে সবার উপরে স্থান দেয়া উচিত।
১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:৩৮
হলদে ডানা বলেছেন: চমৎকার বলেছেন। এই কথাগুলোই বলতে চেয়েছিলাম, কিন্তু কেন যেন সাজাতে পারিনি। ধন্যবাদ।
তবে চাপিয়ে দেয়া বলতে উনি সম্ভবত এত গভীরে গিয়ে বলেননি।
১৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:২১
এস এইচ খান বলেছেন:
বিষয়ের উপর আপনার লেখার চমতকারিত্বে আমি পুলকিত।
QUOTE
সুতরাং আমাদের জাতি সত্ত্বার পরিচয় নির্ধারিত হবে বিশ্বাসের ভিত্তিতে। এরই ভিত্তিতে পৃথিবীতে জাতি সত্ত্বার প্রধান পরিচয়সমূহ হচ্ছে মুসলিম, কি খ্রিস্টান কি ইহুদী কিংবা অংশীবাদী। বড় যে প্রশ্নটি থেকে যায়, তাহলে কি আমাদের অন্য পরিচয়গুলো মুছে ফেলতে হবে? মোটেই না। বিশ্বাসের ভিত্তিতে জাতীয় পরিচয় নির্ধারিত হবার পর, অন্য যে কোন পরিচয় আমরা ধারণ করতে পারি। ভাষার ভিত্তিতে আমরা বাঙ্গালী হতে পারি, সীমানার ভিত্তিতে আমরা বাংলাদেশী হতে পারি, এলাকার ভিত্তিতে আমরা 'নোয়াখাইল্যা' কিংবা 'বরিশাইল্যা' হতেই পারি। রক্ত সম্পর্কের ভিত্তিতে আমরা চৌধুরী কিংবা সরদার হতেই পারি। হতে পারি বুয়েটিয়ান কিংবা নটরডেমিয়ান। কিন্তু শর্ত একটাই বড় পরিচয় অস্বীকার করে ছোট পরিচয়কে আকড়ে থাকার সুযোগ নেই। আমি বাংগালী কি এশিয়ান কি নোয়াখালী, - আমার মূল পরিচয়ের সাথে সাংঘর্ষিক হয়ে যদি কেউ আমাকে এগুলো হতে বলে আমি জোর প্রতিবাদের সাথে তা অস্বীকার করি।
UNQUOTE
চিন্তার খোরাক রয়েছে সারাংশে। প্রসংগত, কোরআনে এ বিষয়ে চমতকার একটি আয়াত,
আমি তোমাদের বিভিন্ন দলে ভাগ করেছি এ কারনে যে তোমরা একে অপরকে চিনতে পারো।
লেখক অনুরোধ রইল, পোষ্টের প্রসংগের বাইরের কমেন্টগুলো ignore করুন।
সবশেষে আপনার উৎসব, আনন্দ কিংবা কর্তব্য নির্ধারণে আমরা আমাদের জাতিসত্ত্বার মূল পরিচয়কে ক্ষতিগ্রস্থ করে না বসি।
সহমত পোষণ করছি।
১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:৪৫
হলদে ডানা বলেছেন: পোস্টটির মূল অংশটিই আপনি চিন্হিত করেছেন। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
১৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:২৬
লুকোচুরি বলেছেন: আপনার পোস্ট পড়ে মনে হলো-আপনি একজন "পেজগী" লোক! মাইনাস।
১৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:১৫
ক্ষতিগ্রস্থ বলেছেন: আমাদের জাতিসত্ত্বার পরিচয় আগে কেন পরেও পরিষ্কার হওয়ার দরকার নাই. আমরা যা আমরা তাই. যার ইচ্ছা নিজেকে বাঙ্গালি মনে করবে, যার ইচ্ছা নিজেকে বাংলাদেশি মনে করবে. করুক. তাতে কিছু আসে যায় না.
ফালতু প্যাচাল বাদ দিয়ে অন্য কোন সমস্যা নিয়ে লিখুন.
ধন্যবাদ.
১৭| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৮:৪৮
মোহাম্মদ লোমান বলেছেন: বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদই আমার নিকট যতার্থ প্রতিয়মান হয়। অবশ্য এটা আওয়ামী লীগ বিরোধীতার কারণ নয়। আওয়ামী লীগের উচিৎ বিষয়টি ভেবে দেখা।
১৮| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৫:৫২
রেদওয়ান খান বলেছেন: ঘটনাটাতো সোজা,
বাঙালি হল তারা যারা বাঙলায় কথা বলে।
১ এদের মধ্যে বাংলাদেশিরা যেমন আছে ।
২ তেমনি আছে ভারতীয় বাংলা ভাষাভাষীরা ।
৩ কিন্তু বাংলাদেশি উপজাতিরা এর আওতায় পরেনা ।(কারন তাদের ভাষা বাংলা নয়)
আর বাংলাদেশি তারা যারা বাংলাদেশে বসবাস করে।
১ এদের মধ্যে বাংলাদেশিরা যেমন আছে ।
২ তেমনি আছে বাংলাদেশি উপজাতিরা।
৩ কিন্তু নেই ভারতীয়রা।
এখন আমাদেরই বিবেচনা করতে হবে আমাদের পরিচয় কি ?
আমিতো অবশ্যই বাংলাদেশি।[/sb
Click This Link
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:২৩
হায়রে দুনিয়া বলেছেন: আপনার মূল বক্তব্য কি? পয়লা বৈশাখ করা উচিত নাকি উচিত না?