নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তন্দ্রাকুমারী একটি কাল্পনিক চরিত্র যার সন্ধানে আছি নিশিদিন!!
যখন বুঝতে পারলাম লাইলীর একজন মজনু আছে, তখন আমি দ্বিধা অনুভব করলাম এবং পরিষ্কার হয়ে গেলো আমার সাথে কেন লায়লী কোন ধরণের সম্পর্কই রাখতে চায় নি। আমার উচিৎ ছিল ওর সাথে কোন ধরণের যোগাযোগের চেষ্টা না করা, এবং মনেমনেও ওকে না খোঁজা। কারণ, মনে মনে খুঁজলেও ওর রক্তে প্রচ্ছন্ন অসুখ হয়! এসব আমি বুঝতে পেলাম লাইলীর সমগ্র জীবন পর্যালোচনা করে। যেহতু আমি নিজের সাথে একটি দীর্ঘ বৈঠক শেষে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আমি ওর শুভাকাঙ্খী বা ভাল বন্ধু হতে চাই না। প্রেমিক ছাড়া অন্য কোন প্রকার সম্পর্কের ব্যাপারে আমি কোন ধরণের আকর্ষণ অনুভব করি না। বরং ওর ভাই-বন্ধু-স্বজন হতে গেলে যে আমার জীবনের কোন মানেই থাকে না!
সুতরাং আমার শেষ সিদ্ধান্ত এই যে, আমি ওকে চিরদিন ভালবাসব এবং তা হবে নিঃশর্ত। তাহলে ওর আত্মা সুখ বোধ করবে। নিঃশর্ত বৃত্ত গোলাকার নাও হতে পারে এবং নিঃশর্ত ত্রিভুজে তিনটি সরলরেখা নাও থাকতে পারে। আমি রক্তের ভেতর নিঃশর্ত ভালবাসার বীজ ছিটিয়ে দিলাম- লাইলীর ভবিষ্যৎ প্রশান্তির কথা ভেবে। যদিও নিজের ওপর খুব সন্তুষ্ট হলাম, কিন্তু আমার জীবনে আমি মৃত্যু যন্ত্রণার প্রচণ্ড এক হাতছানি দেখলাম এবং কাল্পনিক একটি ছায়ামূর্তির ‘লাশ, লাশ’ বলে হাঁক দেয়া শুনতে পেলাম। পাশাপাশি আমার শরীরের জ্বর হুহু করে বাড়ছিল। আমি তখন আমার অস্তিত্বের মধ্যে গভীর শোক অনুভব করলাম।
খুব ক্ষুধা আর ক্লন্তি নিয়ে অবশেষে ঘুমিয়ে পড়লাম। আমার নিঃশ্বাস ততক্ষণে প্রায় খরস্রোতা নদীর মত লম্ফঝম্ফ করছে আর আমার শরীর উত্তাপের চরম সীমা অতিক্রম করছে। গভীর রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেল। পায়ের তলায় শিরশির অনুভব হচ্ছে। কারণ, একটি পিঁপড়া সেখানে চলাচল করছে। আমার ক্লান্তি আমাকে পিঁপড়াটার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে বাঁধা দিচ্ছে। পিঁপড়াটি যে আমার আধো ঘুম আধো জাগরিত অবস্থায় কত বার কামড়েছে, তার কোন পরিমাপ আমি করতে পারলাম না। এই পিঁপড়াটি কি আমার মৃত্যু কামনা করছে? বুঝতে পারছিলাম না কেউ আমাকে সত্যিকার অর্থেই মৃত্যুর এই প্রবাহ থেকে সরাতে পারবে কিনা! যেহেতু সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম শর্তহীনভাবে ভালবাসবো, সেহেতু এই পিঁপড়াটি কেন অমার ভালবাসা থেকে বঞ্চিত হবে? আমি পিঁপড়াটির প্রতি তীব্র মমতা বোধ করলাম এবং নিজের নেয়া ‘কখনো কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ না করা’র সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানালাম।
এটা বুঝতে পরলাম যে পিঁপড়াটির কামড়েই আমার জ্বর এসছে এবং এ ব্যাপারে আমি সচেতন ছিলাম না। হঠাৎ আমার রুমের দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ পেলাম। একজন নারী কড়া নাড়ছে, সেটা শব্দের প্রাবল্যেই টের পাওয়া যায়। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতে চলল। আমি গত রাত থেকে কিছু না খেয়ে রুমের ভেতরে পড়ে আছি এবং তখন তীব্র ব্যথায় এলোমেলো প্রলাপ বকছি। দরজা খোলার কোন সম্ভাবনা দেখতে না পেয়ে বাড়িওয়ালার মেয়ে চিৎকার করতে থাকলো, “মিল্টন সাহেব, আপনার মা এসেছেন।” বাডিওয়ালার মেয়ের নাম ছিল নূপুর।
পুনশ্চঃ তখন আমি তখন ছন্নছাড়া বেকার এক যুবক। আমার বসবাস তখন ঢাকার যাত্রাবাড়ি এলাকার ছোট্ট একটি মেসে। সেখানে আমার খোঁজ নেবার মতো কেউ ছিল না, কারণ আমি একাই থাকতাম চিলেকোঠার একটি ঘরে। বিল্ডিংটি ছিল ছয় তলা এবং বাড়িওয়ালা থাকতো ছয় তলাতে। বাকি ফ্ল্যাটগুলো ইউনিভার্সিটির ছাত্র এবং কর্মজীবীদের কাছে ভাড়া দেয়া ছিল।
০৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০৩
অতন্দ্র সাখাওয়াত বলেছেন: তাই নাকি?
০৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০৫
অতন্দ্র সাখাওয়াত বলেছেন: আচ্ছা, চেষ্টা করবো আরো বড় করার।
২| ০৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: পিপড়ার কামড়ে জ্বর আসে?
০৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০৪
অতন্দ্র সাখাওয়াত বলেছেন: এটাও ভিনগ্রহ থেকে আগত পিঁপড়া।
৩| ০৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৩৭
নেওয়াজ আলি বলেছেন: মৌমাছি হতে মানুষ শিখার আছে
৪| ০৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: এটাও ভিনগ্রহ থেকে আগত পিঁপড়া।
ওয়াও!!
৫| ১০ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৪৬
শায়মা বলেছেন: আপু প্রিয়তে.......
তারপর লেখো তাড়তাড়ি
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বেশি ছোট হয়ে যাচ্ছে পর্ব গুলো!!!
আরেকটু বড় করা যায় না? ভেবে দেখবেন
+++