নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তন্দ্রাকুমারী একটি কাল্পনিক চরিত্র যার সন্ধানে আছি নিশিদিন!!
আমার ভাল-মন্দ আমি সৃষ্টিকর্তার চরণে সঁপে দিয়েছিলাম তখন। সে কারণে বোধ করি কোন কষ্ট হয় নি আমার মনের গোপন বাসনার কথা অকপটে আমার স্ত্রীকে জানাতে। ওর সাথে আমার সম্পর্ক ছিল মানবিক এবং যৌক্তিক। তবে কোথাও আটকে গেলে অযৌক্তিক হতে পারতাম আমি। মেয়ে মানুষের মন সব সময় যুক্তি বোঝে না। পরে অবশ্য যুক্তির কষ্টি পাথরে নিজেকে ঘষে নিতাম। ওর নারী জীবনের সব যন্ত্রণার কথা আমাকে বলতো, আর আমি মনোযোগ দিয়ে ওর কথা শুনতাম। ও আমাকে বলতো, ওর জীবনের প্রাপ্তি আর অপ্রাপ্তির কথা, স্বপ্নের ভাঙ্গা-গড়ার কথা, জীবন আর যৌবনের কথা। যেহেতু ওর কোন ভাই-বোন ছিল না, সেহেতু ওর মা-বাবার সম্পূর্ণ বুক জুড়ে স্থিতিশীল থাকতো ওর অবস্থান।
দীর্ঘদিনের প্রেমানলে পুড়ে আমি আমার পৌরুষের যে অবমাননা করেছি, তা ধীরে ধীরে কেটে যেতে লাগলো। এক সময় যেতেতু লাইলী আমার অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যৎ জুড়ে ছিল এবং তাকে একান্তে আমি পাই নি কোন দিন, সেহেতু নূপুর ছিল আমার জন্য অন্য রকম এক ভালবাসার নাম। যেখানে আশার আশা ভেঙে পড়ে না। ভালবাসা মানুষের খুব সহজ এক প্রবৃত্তির নাম। আমি ভালবাসার কাঙাল। আমি ভালবাসতে ভালবাসি। কারণ, যে ভালবাসতে জানে না, সে শুধু ঘৃণা করতে শেখে। ঘৃণা হলো এক মানসিক বিকারের নাম। আমি কাউকে ঘৃণা করতে শিখি নি। নূপুরের ক্ণ্ঠস্বর আমার কাছে নূপুরের মতই বাজতো। খুব সুন্দর ছিল ওর হাসি। ওর চলার ভঙ্গী আর চিন্তার গভীরতা আমাকে মুগ্ধ করতো। এক সময় বিরহের আঘাতে যেমন জ্বালিয়েছি নিজেকে ঠিক তেমনি মিলনের আদরে নিজেকে সম্পূর্ণ করতে থাকলাম আমি।
আমি যখন নূপুরকে স্পর্শ করতাম তখন হৃদয়ে অন্য এক কম্পন খেলা করতো। এই কম্পনে ভয় ছিল, ব্যর্থ হবার আশঙ্কা ছিল, যৎসামান্য বিরক্তিও ছিল। নূপুর আমার মন থেকে লাইলীর স্মৃতি মুছে দিতে চায় নি। এটা ছিল ওর বদান্যতা। ওর সাথে লাইলীর বিষয়ে তেমন কোন আলোচনা কখনো করি নি। শুধু বলেছি আমি তাকে একতরফা ভালবাসতাম কিন্তু ও বুঝতে পেত আমার ভালবাসা। কি করলে বুঝতো আমাকে? তবে নূপুর আমাকে বারবার বোঝাতে চাইতো- একটি মেয়ের মুখ কি আরেকটি মেয়েতে নেই?
ওর সাথে আমার যোগাযোগ ছিল অত্যন্ত গভীর এবং নিগূঢ়। আমরা অনেক সময় জানতেই পারি না যে, দুটি হৃদয়ের মধ্যে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ হলে একে অপরের কাছে তারা যা চায়, তাই তারা পায়। মানুষের ভাব-রস-বোধের জগৎ কতই না মধুময়!
-তুমি কি আমার মধ্যে তোমার স্বপ্নকে খুঁজে পেয়েছ?
খুব মায়াবী স্বরে ও আমাকে প্রশ্ন করেছিল। আমি হতবাক হয়ে সেদিন ওর মুখের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। এই মেয়েটি আমার জন্য এতটা তরল হলো কি করে?
মুচকি হেসে জবাব দিয়েছিলাম,
-তোমার মাঝে আমি আমার জীবনের বাস্তবতাকে খুঁজে পেয়েছি- যে বাস্তবতা অনন্ত নক্ষত্রবীথির মতো স্বপ্নময়।
আমাকে জড়িয়ে ধরে ও সেদিন অনেক্ষণ কেঁদেছিল। আমাকে অনুরোধ করে বলেছিল, আমি যেন ওকে খুব সহজ করে কিছু বলি, কারণ আমার কথা ওকে ওর ক্লান্তিকর জীবন থেকে পরিত্রাণ দেয়। ওর ক্লান্ত থাকতে ভাল লাগে না। আমি ওর চোখের ভাষা সেদিন বুঝতে পারি নি। ও আসলে সেদিন লাইলীর কার্বন কপি হতে চেয়েছিল!
মৌমাছিটি আমার বাসর ঘরে সারারাত উড়াউড়ি করেছিল। সে আমাকে বারবার ইশারা করেছিল, আমি যেন ঘুমিয়ে না পড়ি। অন্য কারো কথা ভেবে আমি যেন জেগে থাকি। যেহেতু দীর্ঘ এক বছর আমি স্মৃতিহীন অবস্থায় ঘুমিয়ে কাটিয়েছি, সুতরাং আমি শুধু স্বপ্ন দেখতে চাইতাম। ঘুমিয়ে গেলেই আমি লাইলীকে স্বপ্নে পেতাম। আমি ওর সাথে হাঁটতাম, সাঁতার কাটতাম, পাহাড়ে উঠতাম। সুতরাং আমার পুরুষ হৃদয় তৃপ্তির আশায় চোখ বন্ধ করতেই বেশি পছন্দ করতো এবং সেটাই যৌক্তিক ছিল।
এত কিছুর মধ্যেও কর্তব্যে আমি অবহেলা করি নি, তাই বলে! পেশাগত দায়িত্ব পালন শুরু করি ২০১১ সালের আগস্ট মাসের ১ তারিখে। বনলতা হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার হিসেবে চাকরি শুরু করেছিলাম। এটি ছিল গুলশান-২ এ অবস্থিত। অতি আধুনিক কর্পোরেট লোকজনের আড্ডা ছিল সেখানে।
১৮ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৫৭
অতন্দ্র সাখাওয়াত বলেছেন: এটাই সৃষ্টির আনন্দ।
২| ১৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৩:৫৩
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সুন্দর উপস্থাপন ।
১৮ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৫৫
অতন্দ্র সাখাওয়াত বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ১৮ ই জুলাই, ২০২০ ভোর ৬:১৫
নেওয়াজ আলি বলেছেন: চিন্তা ভাবনা সম্বলিত রচনাশৈলী।
১৮ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৫৫
অতন্দ্র সাখাওয়াত বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ।
৪| ১৮ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: লিখতে থাকুন।
১৮ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:০০
অতন্দ্র সাখাওয়াত বলেছেন: চেষ্টা করছি, করবো। ভুল ভ্রান্তি পেলে, ধরিয়ে দেবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৩:০২
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: তুমি কি আমার মধ্যে তোমার স্বপ্নকে খুঁজে পেয়েছ?
..............................................................................
সবাই চায়, সে যেন কারও মাঝে আজীবন বেঁচে থাকে ।